নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পর্কগুলো আত্নার ভেতরে বাস করে। আত্না অবিনশ্বর, সম্পর্কটাও তাই হারিয়ে যায়না।

তাসজিদ

[email protected] www.fb.com/tasjid.ahmed.9

তাসজিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈদ ও নস্টালজিয়া

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৫





ঈদ মানেই আনন্দ, সুখ, শান্তি আর নির্মল বিনোদন।



কিন্তু বাস্তব জীবন কি কেতাব মেনে চলে? মনে হয় না। সে তার নিজস্ব গতিতে চলে। যেখানে ঈদ তার কাছে আর একটি সাধারণ দিন ছাড়া আর কোন বিশেষত্ব বহন করে না। মানুষ ঈদ এর দিনেও তার বৃত্ত থেকে বের হতে পারে না।



জীবন মানেই বয়ে চলা। এক গন্তব্যের দিকে। তাই তো আমরা সবাই নির্দিষ্ট পথেই চলে যাচ্ছি জীবনের দিকে।



এখন আর ঈদ তেমন কোন আনন্দ নিয়ে আসে না। প্রতিটি দিনের মতই আর একটি দিন। কিন্তু একসময় এ রকম ছিল না। একটি স্বপ্নের দিনের মত ছিল সে দিনগুলো। এখনকার বাচ্চাদের মত কম্পিউটার, ফেসবুক, ল্যাপটপ, ইন্টারনেট ছিল না। কিন্তু ছিল তা একেবারেই ন্যাচারাল।



পোস্টার :



না, কোন রাজনৈতিক দলের পোস্টার নয়, ঈদ এর পোস্টার। শুনতে অদ্ভুত হলেও সত্যি। প্রতি ঈদের আগে আমরা পোস্টার বানাতাম। সবাই মিলে। সে কি উৎসাহ। যার পোস্টার সব থেকে ভাল হত তার পোস্টার গ্রহণ করা হত। এ কাজে বরাবরেই প্রথম হত আমার কাজিন রিয়াদ ভাইয়া। আমার থেকে তিন বছরের সিনিয়র হলেও সেই আমার সবথেকে কাছের বন্ধু ছিল। পোস্টার কালারফুল হত। যেমন : লেখা থাকতো, “কাল খুশির ঈদ”, “ ও রমযানের ওই রোযার পরে......”। অবশ্য কুরবানির ঈদে একটি বড়সড় গরুর ছবিও যোগ হত! :|:|



তারপর পোস্টার নিয়ে মিছিল করতাম!!!!!! মুখে থাকতো :কাল খুশির ঈদ, কাল খুশির ঈদ.!!!!!!!!!!!!!!! B-)B-)





কাপড় :



ঈদের কাপড় নিয়েও বিশাল উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল। কার কাপড় কত সুন্দর, কারটা বেশি গরজিয়াস তা নিয়ে তর্ক হত। দাম নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি ছিল না। আমরা সবাই কাপড় লুকিয়ে রাখতাম। ভাবতাম, কাপড় দেখলে বুঝি তা পুরনো হয়ে যাবে। তারপর ঈদের দিন তা পরতাম।

আর রাতে শোবার আগে কাপড় বদলাতাম। ভাবতাম, যে কাপড় বদলালে ঈদ শেষ হয়ে যায়।







ঈদের আগের রাতের স্পেশাল ঝাড়িঃ





এক শীতের ঈদের আগের রাতের কথা। বন্ধুরা মিলে বাজারে ঘুরতে গেলাম। বাজার মানে তখন ভিন্ন এক জগত। কত মানুষ, কত দোকান, কত কিছু। সারা বাজার ঘুরলাম। তারপর এক টি স্টলে বসে ২ টাকা দামের চা খেলাম। সেই প্রথম নিজে থেকে কোন দোকানে খাওয়া। গভীর রাতে:-/(সন্ধ্যা ৭টা!!!)বাড়ি ফিরলাম। ফিরে দেখি মা, বোন, চাচি সবাই দাড়িয়ে আছে। তারা সবাই উদ্বিগ্ন যে ছেলে গভীর রাতে বাইরে কোথায়? সবার গালি বর্ষণ খেয়ে তবেই ঘরে ঢুকার পারমিশন দেয়া হয়। প্রতিবাদ স্বরূপ : সে ঈদে কোন নতুন কাপড় পড়িনি।

আর এখন রাত ১১-১২ টা পর্যন্ত আড্ডা দেই। বেশি দেরি হলে তবে বাড়ি থেকে ফোন পাই।







ঈদ যখন হসপিটালে :





২০০৯ সালের ঈদের কথা। ঈদের তিন দিন আগে বাড়িতে যাই। গিয়ে দেখি আব্বু অসুস্থ। বেশ অসুস্থ। ঈদের দুই দিন আগে ECG করা হয়। স্থানীয় ডাক্তার বুঝতে পারে যে আব্বুর স্ট্রোক হয়েছে। মাইক্রোবাস ভাড়া করে তাৎক্ষনিক ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেই। সবাই যখন বাড়ি ফিরছে, আমরা তখন ঢাকার ফিরছি।

আব্বুকে হৃদরোগ ইন্সটিটিতে ভর্তি করা হয়। আব্বুকে CCU তে সাবমিট করা হয়। ঈদের আগের দিন আব্বুকে কেবিনে দেয়।

জীবনে ঈদ ঢাকায় করিনি। এবার যাও করলাম তাও কিনা হসপিটালে। বিকেল বেলা একটু ঘুরতে বেড়িয়েছিলাম। সবাই কত আনন্দ করছে। জগতে বৈপরীত্য কি জিনিস সেদিন বুঝেছিলাম। সবাই যখন আনন্দ করছে তখন আমি ..................



আর এক অদ্ভুত স্থান সিসিইউ। মৃত্যুদূত এখানে খুব বিজি সময় কাটায়।

সেই থেকে আমি প্রায়ই হৃদরোগ ইন্সটিটিতে যাই। ঘুরে ফিরে দেখি সিসিইউ, কেবিন এমনকি রাস্তার পাশের টঙ দোকানটি। কি যে খুঁজতে যাই আমি নিজের জানি না।





যেমন কাটল এবারে ঈদ :





ঈদে আমাদের এখানে একটি স্পেশাল আড্ডা জমে। কারণ সবাই তাদের কর্মস্থল থেকে বাড়িতে আসে।

সাধারণত আড্ডার মেম্বার ১০ -১২ জন থেকে ২৫ জনেও দিয়ে ঠেকে।

সে আড্ডার কোন টাইমটেবিল থাকে না। মাঝে মাঝে ত রাত ১২ টায় গিয়ে শেষ হয়।

প্রতিবারেই মত এবারেও ঘুরাফেরা আড্ডা দিয়েই শেষ করেছি এবারেই ঈদ।



আর স্পেশাল আকর্ষণ ছিল নদীর ধারে জ্যোৎস্নার আলোতে গানা বাজনা



মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



দেরীতে হলেও ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩২

তাসজিদ বলেছেন: আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা। আমি নিজেও ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে পারিনি অনেককে।

কারণ বাড়িতে যে নেট সংযোগ নেই। আর ল্যাপটপ ও নেই।

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৮

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ভাল্লাগলো পড়ে, শুভেচ্ছা ||

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৪

তাসজিদ বলেছেন: আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা।

এই কাল লাল ভয়ঙ্কর ছবি কেন নিকে।

আগের টিই তো ভাল ছিল।

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
বদনজরের ভয়ে || /:)

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫৮

তাসজিদ বলেছেন: বদনজর??? কার???? প্রেম প্রেম গন্ধ পাচ্ছি

৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৩

মামুন রশিদ বলেছেন: ভাল লেগেছে । লেইট ঈদ শুভেচ্ছা ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:৪৩

তাসজিদ বলেছেন: আপনাকেও ঈদের লেট শুভেচ্ছা।

ঈদ কেমন কাটল ?

৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ঈদের অভিজ্ঞতা নিয়ে এই প্রথম মনে হয় একটা পোষ্ট পড়লাম
স্মৃতিচারন ভালো লেগেছে। :)

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১

তাসজিদ বলেছেন: এই প্রথম কেও ঈদ নিয়ে পোস্ট দিল, তাহলে আমিই ফাস্ট। B-) B-) B-) B-) B-)

মন্তব্বের জন্য অনেক ধন্যবাদ

৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০২

সুমন কর বলেছেন: অসাধারণ লাগল, আপনার ঈদ স্মৃতিচারণ। আর খারাপ লাগল, সিসিইউ ব্যাপারটা।
ভালো থাকবেন।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১২

তাসজিদ বলেছেন: আসলে হসপিটালে কেও তো আর ঈদ করতে চায় না। তারপরেও অসুস্থ হলে কিছু করার থাকে না।

আর হা, বাবা এখন ভাল আছে।

৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২১

শ্যামল জাহির বলেছেন: লেট শুভেচ্ছা।

ঈদ ও নষ্টালজিয়া পোস্ট ভাল লাগলো।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:২০

তাসজিদ বলেছেন: মন্তব্বের জন্য অনেক ধন্যবাদ, শ্যামল ভাই

৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৯

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: লেট ঈদ মোবারক!

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬

তাসজিদ বলেছেন: আপনাকেও একেবারে ফ্রেশ ঈদ মোবারক !!!!

৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩২

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: লেট ঈদ মোবারক!

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯

তাসজিদ বলেছেন: ডাবল। ?????????????

১০| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

একজন আরমান বলেছেন:
স্মৃতিচারণ মুলক পোষ্ট পড়ে নস্টালজিক হয়ে গেলাম তাসজিদ ভাই।
আসলেই আগের দিনগুলি অনেক ভালো ছিল !

ঈদ মুবারক ! দেরিতে হলেও !!!

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৩

তাসজিদ বলেছেন: আসলে আগের দিনগুলই ভাল ছিল। অনেক কিছু বুঝতাম না। নির্মল আনন্দ পেতাম।

বনে বাদাড়ে ঘুরে বেড়াতাম।


কোথায় গেল সে দিন !!!

১১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আগে প্রতি ঈদে সব কাজিন এবং কাছাকাছি বয়সের খালাদের কার্ড দিতাম। কিছু কেনা হতো, বানানোও হতো কিছু। এখন আর এই জিনিস দেখি না।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:৪০

তাসজিদ বলেছেন: আসলে কার্ড কালচার মনেহয় হারিয়েই গেছে। এখন সবাই এসএমএস করে শুভেচ্ছা জানায়।

কিন্তু কার্ড র একটি অন্যরকম আবেদন ছিল। সেই বাহারি কার্ড গুল খুব মিস করি।

১২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫১

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: এক সময় ইদে রাত জেগে পাড়া সাজাতাম, পাড়ার মুখে গেইট করতাম। ইদ শপিংটা ছিল ইদ আনন্দের একটা বিরাট অংশ। বন্ধুদের ইদ কার্ড দেয়াটা ছিল একটা নিয়মিত ব্যাপার! তারপর ইদের দিন বন্ধুরা পাড়ার মুখে বসে জোরে সাউন্ড দিয়ে গান বাজানো, বিকেলে মোটর সাইকেলে করে দুরে কোথাও বেড়াতে যাওয়া, রাতে এক এক করে সব বন্ধুদের বাড়িতে যাওয়া। আহা সেই ইদ এখন আর মিউজিয়ামেও পামু না !

আপনার এই ইদ তো ভালই কাটছে - আড্ডা আর সাথে নদীর ধারে জ্যোৎস্নার আলোতে গানা বাজনা - আর কি লাগে !

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

তাসজিদ বলেছেন: একদিক থেকে ঈদ বেশ ভালই কেটেছে।

কারণঃ ঈদে এখন বাইক/রিকশা দিয়ে ঘোরা হয়

ম্যারাথন আড্ডা হয়



খানাপিনা হয়

নদীর পাড়ে গিয়ে চাদের আলোতে মূত্র বিসর্জন দেয়া হয় :-P :-P :-P



মেয়েদের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকা ও হয়


১৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:১১

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:

পোস্ট চমৎকার লেগেছে তাসজিদ ভাই। একটা জিনিস কি জানেন? এখন আর আগের মত আনন্দ পাইনা ঈদে!! জীবন কেমন যেন যান্ত্রিক আর পানসে লাগে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

তাসজিদ বলেছেন: বয়স যত বাড়বে, তত মনের আনন্দও কমবে। এটাই ত স্বাভাবিক।

ঈদ এ ভাল লাগে না, ভাল লাগাতে চেষ্টা করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.