নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শূন্য

তাসনুভা রায়া

আমি মানুষের পায়ের পায়ের কাছে কুকুর হয়ে বসে থাকি-তার ভেতরের কুকুরটাকে দেখবো বলে

তাসনুভা রায়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

৫জি প্রযুক্তির আদ্যোপান্ত | ফাইভ জি সম্পর্কে যা কিছু আপনার জানা প্রয়োজন

২২ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১০


নতুন জেনারেশনের ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক মানেই বেশি সুবিধা ও বেশি গতির ইন্টারনেট। ওয়ান জি প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা পেয়েছিলাম মোবাইলে কথা বলার সুযোগ। টু জি আমাদের দিয়েছিল মোবাইল থেকে মেসেজ বা বার্তা পাঠানোর সুবিধা। আর থ্রি জি আসার পর আমরা মোবাইল দিয়ে প্রথমবারের মতো স্বতস্ফূর্তভাবে ইন্টারনেট চালাতে পারলাম।

আর কিছুদিন আগে ফোরজি আসার পর মোবাইলে ভিডিও কল এ কথা বলা কিংবা ইন্টারনেট এ গেইম খেলা এখন হাতের মোয়ায় পরিণত হয়েছে। যদিও গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষজন এখনো ফোরজির সুফল পুরোপুরি ভোগ করতে পারছেন না। আমাদের দেশে ফোরজি নতুন এলেও উন্নত বিশ্ব এখন উপভোগ করছে ফাইভ জি সুবিধা, যার ডাটা ট্রান্সফার স্পীড ফোরজির চেয়ে ২০ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ গুণ বেশি। আজকের ভিডিওতে আমরা কথা বলবো ফাইভ জি জিনিস টা আসলে কি, এটি কিভাবে কাজ করে, এবং ফাইভজির আবির্ভাব কিভাবে হলো তা নিয়ে।



এ কথা প্রায় সবারই জানা যে, প্রয়োজনের তগিদেই নতুন নতুন উদ্ভাবন ঘটে। প্রতিদিনই বাড়ছে স্মার্টফোন ব্যবহারকারী, আর সেই সাথে বাড়ছে ইন্টারনেট ব্যবহারের চাহিদা। ইন্টারনেট অফ থিংস আবির্ভাবের ফলে এখন স্মার্টফোন ছাড়াও টিভি, রেফ্রিজারেটর, ঘড়ি, বাল্ব, হোম অ্যাসিস্ট্যান্ট ইত্যাদি পণ্য ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হচ্ছে। ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারের চাহিদা দিন দিন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্রমবর্ধমান এই চাহিদা মেটাতে গবেষকরা দীর্ঘদিন ধরেই চাচ্ছিলেন ডাটা বা তথ্য আদান প্রদানের জন্য নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য।

আর এ লক্ষ্যেই বিশ্বের বহু গবেষকের দীর্ঘদিনের গবেষনার ফলে উদ্ভাবিত হয় পঞ্চম প্রজন্মের টেলিকমিউনিকেশন প্রযুক্তি যা ফাইভ জি নামে পরিচিত। বলে রাখা ভালো ফাইভ জি এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে, চীন, কোরিয়া, আমেরিকা, কানাডা, ফিনল্যান্ড ও জার্মানিতে ফাইভ জি সেবা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে।

ফাইভ জি হলো এক যুগান্তকারী প্রযুক্তি যার ছোঁয়ায় আমাদের জীবনধারায় আমূল পরিবর্তন আসবে। এটি ফোর জির চেয়ে এক হাজার গুণেরও বেশি ডাটা ট্রান্সফার করতে সক্ষম হবে। আর এর ডাটা ট্রান্সফার স্পীড হবে ফোর জির চেয়ে ২০ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ গুণ বেশি। ভাবুন তো কেমন লাগবে যখন আপনি এক সেকেন্ডেই একটি এইচডি মুভি ডাউনলোড করে ফেলতে পারবেন। ফাইভ জির ফলে সম্ভব হবে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি, চালকবিহীন গাড়ি, ইন্টারনেট অফ থিংস ও আরও অনেক অভিনব প্রযুক্তি যা কিনা আমরা এখন কল্পনাও করতে পারি না। আপনি হয়তো এতক্ষনে ক্ষেপে গিয়ে বলছেন, আচ্ছা ফাইভ জির এত গুণগান করছেন, কিন্তু ফাইভ জি জিনিসটা আসলে কি সেটাই তো বললেন না এখনও!

ফাইভ জি হলো স্বল্পদৈর্ঘ্য তরঙ্গের মাধ্যমে তারবিহীন ডাটা আদান প্রদানের সর্বশেষ প্রযুক্তি যা পাঁচটি সম্পূর্ণ নতুন ও যুগান্তকারী প্রযুক্তির সমন্বয়ে গঠিত। এ প্রযুক্তিগুলো হলো,

১. মিলিমিটার ওয়েইভ বা মিলিমিটার তরঙ্গ

২. স্মল সেল বা কাছাকাছি থাকা ক্ষুদ্রাকৃতির টাওয়ার

৩. ম্যাসিভ মাইমো বা বৃহৎ পরিধির ইনপুট-আউটপুট

৪. বীমফর্মিং বা নির্দিষ্ট দিকে তরঙ্গ নিক্ষেপণ

৫. ফুল ডুপ্লেক্স বা ব্যালেন্সড সিগনালিং সিস্টেম।

১. মিলিমিটার ওয়েইভ বা মিলিমিটার তরঙ্গ
আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে, কোনকিছু একস্থান থেকে অন্যস্থানে পাঠানোর জন্য একটি মাধ্যম প্রয়োজন। যেমন আপনি যদি আপনাকে মানে আপনার শরীরকে ঘর থেকে বাজারে বা স্কুলে নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনাকে কোন পথ বা রাস্তা ব্যবহার করতে হবে। তো এই রাস্তা হলো একটি মাধ্যম। আপনি যদি বাস দিয়ে স্কুলে যেতে চান তাহলে বাস হলো একটি মাধ্যম যা অপর আরেকটি মাধ্যম রাস্তা ব্যবহার করে আপনাকে পৌঁছে দিচ্ছে আপনার গন্তব্যস্থলে। একইভাবে আপনি যখন মোবাইল দিয়ে কাউকে কল দিতে চান কিংবা মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চান তখন আপনার মোবাইল ও একটি মাধ্যম ব্যবহার করে। এই মাধ্যমের নাম তরঙ্গ মাধ্যম।

সহজ কথায় তরঙ্গ ব্যবহার করে আপনি মোবাইলের সাহায্যে কল করা কিংবা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন। আপনার মোবাইল সাধারণত একটি নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সির তরঙ্গ ব্যবহার করে, সাধারণত এর ফ্রিকোয়েন্সি থাকে ছয় গিগাহার্টজের নিচে এবং এই তরঙ্গের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য আকারে অনেকটাই বড়ো ও এর পরিমাণ নির্দিষ্ট। তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সীমাবদ্ধতার কারণে মোবাইল অপারেটর কোম্পানীগুলো এই ফ্রিকোয়েন্সির তরঙ্গের সাহায্যে কেবল নির্দিষ্ট পরিমাণ ডাটা ট্রান্সফার করতে পারে।

তাই যখন কোন নির্দিষ্ট স্থানে অধিক পরিমাণ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী থাকে তখন নেটওয়ার্ক সিগনাল প্রায়শই ড্রপ করে বা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং স্পীড ও কমে যায়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য গবেষকরা ভাবলো তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সীমানা বৃদ্ধি করার কথা। তাই তাঁরা পরীক্ষামূলকভাবে মিলিমিটার তরঙ্গ বা ৩০-৩০০ গিগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সির তরঙ্গদৈর্ঘ্যের তরঙ্গ নিক্ষেপণ নিয়ে কাজ করা শুরু করলো। এই ফ্রিকোয়েন্সির তরঙ্গদৈর্ঘ্যের তরঙ্গ আগে কখনো ব্যবহার করা হয়নি মোবাইল ফোনের জন্য।

তাই এটি চালু করা মানে সবার জন্য অনেক অনেক বেশি ব্যান্ডউইথ নিশ্চিত করা। কিন্তু এই ফ্রিকোয়েন্সির তরঙ্গদৈর্ঘ্যের তরঙ্গের একটি সমস্যা আছে। মিলিমিটার তরঙ্গ ভবন, গাছ, মানুষ কিংবা কোন ভারি বস্তু ভেদ করে অতিক্রম করতে পারে না। এমনকি বৃষ্টি কিংবা ঘন কুয়াশাতেও এর চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে গবেষকরা উদ্ভাবন করলো দ্বিতীয় প্রযুক্তি, স্মল সেল নেটওয়ার্ক।

২. স্মল সেল নেটওয়ার্ক
বর্তমানে ব্যবহৃত তারবিহীন ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত হয় দূরে দূরে থাকা বৃহদাকৃতির শক্তিশালী টাওয়ার। কিন্তু যেহেতু উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির ক্ষুদ্রাকৃতির মিলিমিটার তরঙ্গ কোন বাধা অতিক্রম করতে পারে না, সেজন্য গবেষকরা ছোট আকৃতির হাজার হাজার টাওয়ার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিলো। এই টাওয়ারগুলো হবে আকারে খুবই ছোট ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এবং এগুলো বসানো হবে খুবই কাছাকাছি। অর্থাৎ ছোট আকৃতির বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এই টাওয়ারগুলো থাকবে পাশাপাশি, মানে এদের মধ্যবর্তী দূরত্ব হবে খুবই কম। আর এগুলো থাকবে ল্যাম্পপোস্ট ও বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে আটকানো অবস্থায়।

প্রতিটি টাওয়ারের মধ্যবর্তী দূরত্ব কম থাকায় একটি টাওয়ার থেকে সিগনাল পেতে সমস্যা হলে নিকটবর্তী আরেকটি টাওয়ার থেকে সিগনাল চলে আসবে। তাই ব্যবহারকারী সবসময় পাবে নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ। এই প্রযুক্তির ফলে শহরাঞ্চলের বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করবেন। কারণ শহরে দালানকোঠা বেশি আর অল্প জায়গায় বেশি মানুষ বসবাস করে। তাই বেশি বেশি টাওয়ার থাকার ফলে যখন একজন শহুরে একস্থান থেকে অন্য স্থানে যাবেন, কিংবা চলন্ত অবস্থায় থাকবেন, তখন একটি টাওয়ার অতিক্রম করার সাথে সাথেই আরেকটি টাওয়ার সিগনাল পাঠাতে শুরু করবে, ফলে শহরবাসী পাবেন সার্বক্ষনিক দ্রুতগতির নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ।

৩. ম্যাসিভ মাইমো
মাইমোর পূর্ণ রূপ হলো মাল্টিপল ইনপুট, মাল্টিপল আউটপুট। বর্তমানে ব্যবহৃত ফোরজি বেইজ স্টেশনগুলোতে এ্যান্টেনার জন্য ডজনখানেক পোর্ট থাকে, সব ধরণের ট্রাফিক সামলানোর জন্য। কিন্তু ম্যাসিভ মাইমো বেইজ স্টেশনগুলো সমর্থন করবে প্রায় শখানেক পোর্ট। এতে করে বর্তমানে ব্যবহৃত নেটওয়ার্কের চাইতে নতুন নেটওয়ার্কের ক্যপাসিটি বাড়বে ২২ গুণ বা তারও বেশি।

এ কথা অস্বীকার করা যাবে না যে ম্যাসিভ মাইমোর ও সীমাবদ্ধতা থাকবে, কিন্তু তবুও এটি পূর্বের সকল সীমাবদ্ধতাকে ছাড়িয়ে যাবে। বর্তমানে ব্যবহৃত এ্যান্টেনাগুলো একই সময়ে সবদিকে সমানভাবে সিগনাল নিক্ষেপ করে, আর এতে করে একাধিক সিগনাল একটি আরেকটিকে ক্রস করার ফলে ব্যতিচার ঘটে, ফলে সংযোগে বিঘ্ন ঘটে। এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে গবেষকগণ আরেকটি প্রযুক্তির সাহায্য নেবেন, বীমফর্মিং।

৪. বীমফর্মিং
বীমফর্মিং হলো অনেকটা সেলুলার সিগনালের ট্রাফিক সিগনালিং সিস্টেমের মতো। বীমফর্মিং এর সাহায্যে সবদিকে সিগনাল নিক্ষেপ করার বদলে অ্যান্টেনাগুলো কেবল যেখানে ব্যবহারকারী থাকবে সেখানেই সিগনাল পাঠাবে, অন্য কোথাও নয়। সহজ কথায় বীমফর্মিং হলো ব্যবহারকারীর কাছে সর্বোচ্চ স্পীডে ডাটা পাঠানোর সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। বীমফর্মিং এর সাহায্যে একটি নির্দিষ্ট অ্যান্টেনা কেবল সেই অ্যান্টেনার কাভারেজ এর ভেতরে থাকা ব্যবহারকারীদের কাছেই সিগনাল পাঠাবে।

যদি কোন নির্দিষ্ট ব্যবহারকারী চলন্ত অবস্থায় থাকে, তাহলে অ্যান্টেনা সেই ব্যবহারকারীকে অনুসরণ করে সিগনালের স্থান পরিবর্তন করতে থাকবে। এভাবে নির্দিষ্ট দিকে সিগনাল পাঠানোর ফলে সংযোগ বিঘ্ন ঘটা কিংবা বিচ্ছিন্ন হবার সম্ভাবনা থাকবে না। ফলে একই সময়ে একটি অ্যান্টেনা অনেক বেশি ইনপুট ও আউটপুট সিগনাল সামলাতে পারবে। ধরুন আপনি কতগুলো ভবনের মাঝে দাড়িয়ে আছেন আর আপনি একটি ফোন কল করতে চাচ্ছেন। প্রচলিত নেটওয়ার্ক ব্যবহার করলে আপনার কাভারেজের ভেতরে থাকা অ্যান্টেনাটি সবদিকে ক্রমাগত সিগনাল পাঠাতে থাকবে। ফলে সিগনালগুলো একটি আরেকটিকে ক্রস করবে, সংযোগে বিঘ্ন ঘটাবে, কেবল কিছু সিগনাল আপনার মোবাইলে পৌছুঁবে। ফলে ডাটা ট্রান্সফার ধীরগতির হবে।

কিন্তু যদি ম্যাসিভ মাইমো প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় তাহলে আপনার কাভারেজের ভেতরে থাকা অ্যান্টেনাসমূহ আপনার অবস্থান নির্ধারণ করে কেবল আপনার মোবাইলের দিকেই সিগনাল পাঠাবে। ফলে আপনি পাবেন নিরবচ্ছিন্ন দ্রুতগামী সংযোগ। ম্যাসিভ মাইমো বেইজ স্টেশনের অ্যান্টেনাগুলো যখন কোন ইনপুট সিগনাল গ্রহণ করে, তখন এটি সিগনাল পাঠানোর দিক ও সময় মনে রাখে। তারপর এটি সিগনাল প্রসেসিং অ্যালগরিদমের সাহায্যে চিহ্নিত করে ঠিক কোথা থেকে সিগনাল টি এসেছে, আর কিভাবেই বা সবচেয়ে দ্রুত সময়ে ব্যবহারকারীর মোবাইলে আউটপুট সিগনাল পাঠানো যায়।

অনেক সময় এটি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে কিছু ডাটা প্যাকেটের গতিপথ পরিবর্তন করে দেয়, যেন ডাটা প্যাকেটগুলো ভবন, গাছ ও বাধাপ্রদানকারী বস্তুর পাশ দিয়ে চলে যায় কিংবা একটি সিগনাল আরেকটি সিগনালকে ক্রস না করে। ফলশ্রুতিতে আপনি পাচ্ছেন রকেট গতির রিয়েলটাইম ডাটা স্ট্রিমিং, কোন ল্যাটেন্সি বা দেরী ছাড়াই। আসলে ল্যাটেন্সি আছে, কিন্তু এর পরিমাণ এতটাই কম যে নেই বললেই চলে, ১ মিলিসেকেন্ড বা তারচেয়ে কম।

৫. ফুল ডুপ্লেক্স
আপনি যদি কখনো ওয়াকি টকি ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে, যোগাযোগ করার জন্য আপনাকে হয় বলতে হবে নতুবা শুনতে হবে, একই সময়ে আপনি বলতে ও শুনতে পারবেন না। আপনি যখন বলবেন, তখন অপরজন শুনবে। আবার তিনি যখন বলবেন, তখন আপনি শুনবেন। এভাবেই ওয়াকি টকি কাজ করে। আর এটা আসলেই বিরক্তিকর। বর্তমানে ব্যবহৃত বেইজ স্টেশনগুলোও ঠিক একইভাবে কাজ করে।

একটি সাধারণ অ্যান্টেনা একটি নির্দিষ্ট সময়ে কেবল একটি কাজ করতে পারে, হয় সিগনাল গ্রহণ করবে, নয়তো সিগনাল পাঠাবে। কিন্তু একই সময়ে সিগনাল গ্রহণ করতে ও পাঠাতে পারে না। এমন টা হয় ব্যতিহার বা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া নীতির ফলে। যা আসলে বেতার তরঙ্গের একই ফ্রিকোয়েন্সিতে সামনে পেছনে চলাচলের একধরণের প্রবণতা।

ধরুন একটি তরঙ্গ হলো একটি ট্রেন যার ভেতরে রয়েছে ডাটা বা তথ্য। আর যে ফ্রিকোয়েন্সিতে এটি চলাচল করবে সেটি হলো রেলপথ। ডাটা নিয়ে এই ট্রেনটি চলার সময়, সামনের দিক থেকে একই রেলপথে আরেকটি ট্রেন আসছে। এবার বলুন তো কি হবে? মুখোমুখি সংঘর্ষ। এতদিন পর্যন্ত এই সমস্যার সমাধান ছিল একটি ট্রেন যাওয়ার পর আরেকটি ট্রেন যাবে অথবা প্রত্যেকটি ট্রেনকে ভিন্ন ভিন্ন পথে বা ভিন্ন ভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সিতে পাঠাতে হবে।

কিন্তু এই সমস্যাটিকে ব্যতিহার এর সাহায্যে আরও কার্যকর উপায়ে সমাধান করা যায়। গবেষকগণ সিলিকন ট্রানজিস্টরের সাহায্যে উচ্চগতির সুইচ তৈরী করেছেন যা তরঙ্গ পারাপারের এই সেকেলে ব্যবস্থা থেকে মুক্তি দেবে। এটা অনেকটা সিগনাল ব্যবস্থার মতো যা ক্ষণিকের জন্য ট্রেন মানে তরঙ্গের গতিপথ বা ফ্রিকোয়েন্সি পরিবর্তন করবে, যাতে করে একাধিক তরঙ্গ কোনরকম সংঘর্ষ ছাড়াই একসাথে চলাচল করতে পারে।

প্রকৃতপক্ষে গবেষকগণ এই পাঁচটি প্রযুক্তি নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করছেন ও এগুলোর উন্নয়ন এখনও চলছে, গোটা ফাইভ জি প্রযুক্তি টি এখনও পরীক্ষমান পর্যায়ে রয়েছে। এমনও হতে পারে এতে আরও নতুন নতুন প্রযুক্তি যুক্ত করা হচ্ছে। বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যেমন চায়না, দক্ষিন কোরিয়া, কাতার, জাপান, আমেরিকা, কানাডা ও ইংল্যান্ডের কিছু কিছু স্থানে পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভ জি চালু করা হয়েছে।

২০১৮ সালের ২৫ জুলাই হোটেল সোনারগাও য়ে অনুষ্ঠিত হয় Bangladesh 5G Summit 2018, যেখানে খ্যাতনামা চাইনিজ প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভ জি প্রযুক্তি প্রদর্শন করে। উল্লেখ্য যে এখানে সর্বোচ্চ ডাউনলোড স্পীড প্রত্যক্ষ করা হয়েছিল ৪.১৭ গিগাবিট পার সেকেন্ড। সেই দিনটি বোধকরি খুব বেশি দূরে নয় যেদিন উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও চলে আসবে স্বপ্নের ফাইভ জি নেটওয়ার্ক।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


টেকনোলোজীকে সহজ করে, সুন্দরভাবে লিখেছেন, ভালো! আমি পোষ্টের উপরিভাগে আটকা পড়ে যাচ্ছি বারবার, নীচের অংশ পড়তে সময় লাগবে, মনে হয়!

২২ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৮

তাসনুভা রায়া বলেছেন: এই লেখাটি নিয়ে মূলত ভিডিও তৈরী করা হয়েছে, লেখাটি হলো মূলত ভিডিওটির স্ক্রিপ্ট। পড়তে সমস্যা হলে ভিডিওটি দেখতে পারেন ভাইয়া। ভালো থাকবেন, ধন্যবাদ

২| ২২ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১২

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: অনেক টেকনোলজি শিখলাম।

২২ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৪

তাসনুভা রায়া বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া

৩| ২২ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ!

সহজ সাবলীল ভাবে ৫জির উপস্থাপনায় ভাল লাগা!

আমাদের বিদ্যমান ইনফ্রাষ্টাকচার কি ৫জি বান্ধব?

২২ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৬

তাসনুভা রায়া বলেছেন: ভালো লাগলো জেনে আপ্লুত হলাম।
ফাইভ জির জন্য গোটা টেলিকম্যুনিকেশনস ইনফ্রাষ্টাকচার কে ঢেলে সাজাতে হবে।
ভালো থাকবেন ভাইয়া, শুভকামনা

৪| ২২ শে মে, ২০১৯ রাত ৮:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: তাসনুভা রায়া,




জটিল একটি টেকনোলজির ক্রিয়াবৈগুন্যজাত খুঁটিনাটি নিয়ে ভালো একটি লেখা হয়েছিলো কিন্তু তার আবেদন অনেকটাই নষ্ট হয়েছে ভিডিওটি দেখতে গিয়ে। বক্তার বর্ণনা বা "থ্রোয়িং অব স্পীচ" একটি টেকনোলজিক্যাল বিষয় বর্ননার মতো দৃঢ় হয়নি। নাটুকেপনা হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে ণাটকের ডায়ালগ।
শুধরে রি-রেকর্ডিং করলে ভালো হয়।



২২ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:২২

তাসনুভা রায়া বলেছেন: যৌক্তিক সমালোচনার আন্তরিক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার মতো আমার নিজের কাছেও বর্ণনা ভালো লাগেনি, যিনি বর্ণনা করেছেন তাঁর কাছেও একদমই ভালো লাগে নি, সত্যি বলতে জঘন্য লেগেছে। পুনরায় রেকর্ডিং করতে চেয়েও সময়, ধৈর্য্য ও আন্তরিকতার অভাবে শেষমেশ আর হয়ে উঠে নি।

ভালো থাকবেন ভাইয়া, আন্তরিক কৃতজ্ঞতা

৫| ২২ শে মে, ২০১৯ রাত ৮:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: তাসনুভা রায়া,



দুঃখিত, একটা টাইপো হয়েছে - "ণাটকের" শব্দটি। হবে "নাটকের"।

৬| ২২ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: তাসনুভা রায়া,



প্রতিমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
সময় ও ধৈর্য্যের অভাব কাটিয়ে পুনরায় রেকর্ডিং করার কষ্টটুকু স্বীকার করতে পারলে ভিডিওটি আসলেই সবার কাছেই সমাদৃত হবে। কারন নতুন প্রজন্ম "জি" টেকনোলজির পাগল।

আর আপনার আন্তরিকতার ঘাটতি সম্ভবত নেই মোটেও।

আপনার সফলতা কামনায়।

২৩ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:২৩

তাসনুভা রায়া বলেছেন: অযুত নিযুত শুভকামনা, ভালো থাকবেন ভাইয়া

৭| ২২ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:০৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ভালো পোস্ট :)

২৩ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:২৪

তাসনুভা রায়া বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া, ভালো থাকবেন

৮| ২২ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:০৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: টেকনোলজি জীবনকে বদলে দিক। মানুষের মনকে পরিবর্তন করুক।

২৩ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:৩৫

তাসনুভা রায়া বলেছেন: প্রযুক্তি আসলেই মানুষের জীবনকে একেবারেই বদলে দিয়েছে, তাঁর সবচেয়ে উৎকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে বলা যায় দাস প্রথার বিলুপ্তি। আগে যেখানে একজন মানুষকে বয়ে নেওয়ার জন্য চারজন দাস প্রয়োজন হতো, এখন সেখানে উন্নত প্রযুক্তির ছোঁয়ায় কোন মানুষই লাগে না। প্রযুক্তির এমন উৎকর্ষ সাধন না হলে কায়িক পরিশ্রমের জায়গায় মানুষের বদলে যন্ত্র স্থান পেতো না। ৫জি চালু হলে কায়িক পরিশ্রম অনেকাংশেই লোপ পাবে, চালকবিহীন গাড়ি এরমধ্যে অন্যতম। এতে যদিও অনেক মানুষ বেকার হিসেবে পরিণত হবে, কিন্তু এতে করে আরও অনেক নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে।

ধন্যবাদ ভাইয়া, ভালো থাকবেন

৯| ২২ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: বিষয়টা পুরো পরিস্কার হলো।

২৩ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:৩৯

তাসনুভা রায়া বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভালো থাকবেন

১০| ২২ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:৫৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ টেকনিকাল বিষয়টিকে সহজ ভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য।

২৩ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:৫৩

তাসনুভা রায়া বলেছেন: ভালো লাগায় প্রীত হলাম, আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া

১১| ২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভীষণ ভালো লাগলো। লাইক এবং সোজা প্রিয়তে। ‌

আপনি এত সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। লেখার হাত চমৎকার অথচ তিন বছরে মাত্র একটি পোস্ট কেন?

অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।

২৩ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:৫৭

তাসনুভা রায়া বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে আমারও ভীষণ ভালো লেগেছে।
একটু বেশি রকমের আলসে বলেই তিন বছরে একখানি পোস্ট B-)
অযুত নিযুত শুভকামনা, ভালো থাকবেন ভাইয়া

১২| ২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:১৪

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: থ্রিজী নিয়ে এখনও সঠিকভাবে ব্রাউজ করা যায় না সব জায়গায়।সুতরাং পাঁচ জী দিয়ে আর কি হবে?

২৩ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:০৫

তাসনুভা রায়া বলেছেন: আশা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে, আশা ছেড়ে দিলেই হতাশা গ্রাস করে। আমরা সবাই শূন্য থেকে একসময় অনেক কিছু গড়ে তুলি। একটা দেশ, যার রয়েছে হাজারো প্রতিকূল অবস্থা, সেই দেশটা যে ধীরে হলেও বদলাচ্ছে এটা সন্তোষজনক না হলেও আপাতদৃষ্টিতে ইতিবাচক।

ধন্যবাদ ভাইয়া, ভালো থাকবেন

১৩| ২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১:৫০

গোলাম রাব্বি রকি বলেছেন: বাংলাদেশে শুধু জি বাড়তেই থাকবে কিন্তু সব জি অপুষ্টিতে ভুগে কংকালে পরিণত হবে B-))

২৩ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:০৯

তাসনুভা রায়া বলেছেন: ধীরে ধীরে এই অবস্থার পরিবর্তন হবে আশা করি :) । ভালো থাকবেন ভাইয়া, ধন্যবাদ

১৪| ২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ৩:২৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনার টেক বিষয়ক লিখাটি পড়ে খুশি হলাম। একদিন হয়তো আমাদের জেনারেশন না হয় তার পরের ওরা এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবে।

২৩ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:১৩

তাসনুভা রায়া বলেছেন: সবকিছু ঠিকভাবে এগুলে আমাদের জেনারেশন অবশ্যই ৫জি সুবিধা ভোগ করতে পারবে, সেই দিনটি খুব বেশি দূরে নয়। দক্ষিন কোরিয়াতে ইতোমধ্যেই ফাইভ জি চালু হয়ে গেছে। দেখবেন একদিন হঠাৎই বাংলাদেশেও ৫জি চালু হয়ে গেছে। ভালো থাকবেন ভাইয়া, ধন্যবাদ

১৫| ২৩ শে মে, ২০১৯ সকাল ৯:১০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সহজবোধ্য ভাবেই লিখেছেন। এর মধ্যে না বুঝার কিছু নেই। কয়েকটা টেকনিক্যাল টার্ম হয়তো সবাই বুঝবে না। কিন্তু আমাদের মতো আম জনতার ওসব টার্ম বুঝার চাইতে পোস্টের বিষয়বস্তু বুঝাটাই জরুরী। সেটা ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পোস্টটি স্টিকি করার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি।

২৩ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:১৫

তাসনুভা রায়া বলেছেন: ভাইয়া, ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে। ভালো থাকবেন, শুভকামনা

১৬| ২৩ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:২১

একে৪৭ বলেছেন: কন্ঠ এবং বলার ভঙ্গি সুন্দর হয়নি, অন্য কাউকে দিয়ে দেখতে পারেন।
যুগোপযোগী ও তথ্যবহুল পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:৫৩

তাসনুভা রায়া বলেছেন: সমালোচনা ও পরামর্শের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন ভাইয়া।

১৭| ২৩ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:২২

একে৪৭ বলেছেন: (শুধুমাত্র ভিডিওর কথা বলেছি, লিখায় +++)

১৮| ২৩ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:৪০

পুলক ঢালী বলেছেন: প্রতিটি ধাপ এত সহজ উদাহরন দিয়ে বোধগম্য করে লিখেছেন যে আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ না দিয়ে পারছিনা।
পোষ্ট পড়ে যে ভাবনাগুলি মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে তা প্রকাশ না করে পারছি না।

১। ৫জি এর জন্য যদি অসংখ্য স্মল সেল বসাতে হয় এবং পুরো টেলি কমিউনিকেশন ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হয় তাহলে তার ব্যয় কেমন হবে ?

২। এই সিস্টেমের সুবিধা হচ্ছে ডাটা ব্যবহারের সময়কে সংক্ষিপ্ত করা, সেক্ষেত্রে ডাটা ব্যবহারের পরিমান কয়েক'শ গুন বেড়ে যাবে এতে ব্যবহারকারীর খরচ বাড়বে কিনা ?

আবিস্কার থেকে লদ্ধ সুবিধা সাশ্রয়ী মূল্যে ব্যবহার করা না গেলে সেই আবিস্কার উপকারে আসেনা।

এক সময় এ্যালুমিনিয়াম স্বর্নের চেয়ে দামি ছিলো কিন্তু যখন সহজ পদ্ধতিতে প্রকৃতি থেকে এ্যালুমিনিয়াম উৎপাদন সম্ভব হল তখন তার দাম কমে গেল।

ভাল থাকুন তাসনুভা রায়া ।

অঃটঃ রায়া এমন surname এই প্রথম দেখলাম। :)

২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:৩৫

তাসনুভা রায়া বলেছেন: ব্যয় অনেক হবে এতে সন্দেহ নেই, এজন্য মোবাইল অপারেটরগুলো প্রথমে ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোতে ফাইভ জি সেবা চালু করছে, যাতে অল্প জায়গায় অধিক সাবস্ক্রাইবার থাকার ফলে উভয়পক্ষেরই সুবিধা হয়।

শহরাঞ্চলের বাসিন্দাদের ডাটা ব্যবহারের পরিমান অনেকগুণ বাড়লেও খরচ বাড়ার কথা না, অনেক দেশে হয়তো কোম্পানিগুলো মানুষের তীব্র আকর্ষণ ও দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ইনফ্রাষ্ট্রাকচার নির্মাণে ব্যয়কৃত টাকা পুনরুদ্ধারের জন্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অনেকগুণ টাকা হাতিয়ে নিতে পারে। যেমনটা হয়েছিলো প্রথমদিকে বাংলাদেশে সিটিসেল কোম্পানির আকাশছোঁয়া কল চার্জ।

আপনি যদি সে সময়ের কথা ভাবেন তাহলে সহজেই দেখবেন যে তখন থেকে আমরা এখন মোবাইলে অনেকগুণ বেশি কথা বলি, অথচ খরচ আগের চেয়ে অনেক অনেক কম। একইভাবে ইন্টারনেট এর কথা ভাবুন, প্রথমদিকে মাসিক ১গিগাবাইট ইন্টারনেট এর জন্য কতো খরচ হতো! অথচ এখন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এ নিজের ইচ্ছেমতো যতখুশি ডাটা ব্যবহার করলেও খরচ হচ্ছে নামমাত্র।

ফাইভ জি চালু হলে মোবাইল বা কম্পিউটার ছাড়াও পরিধানযোগ্য ওয়্যারসমূহ, হোম অ্যপ্লায়েন্স, যানবাহন, ট্রাফিক সিস্টেম....এক কথায় প্রায় সব স্মার্ট যন্ত্রই একটির সাথে আরেকটি কানেক্টেড থাকবে। এতে প্রাইভেসির ঝুঁকি থাকবে, কিন্তু ফাইভি এক কানেক্টেড দুনিয়ার সূচনা ঘটাবে। শিক্ষা, চিকিৎসা, খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে অধুনিক সমাজব্যবস্থার প্রায় সকল ক্ষেত্রই এটির ছোঁয়ায় ভিন্ন রূপ নেবে।

বাংলাদেশে এই নামটি অনেকটা অপরিচিত হলেও, বিশ্বের বহু দেশে এই নামের মানুষ রয়েছে :)

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য, ভালো থাকবেন ভাইয়া

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.