![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আচ্ছা, এটা কি কোনো বিজ্ঞাপন হল? মেয়ের মাসিক হওয়ার খবর বাবাকে জানাতে হবে? পিরিওড তো আর দেখতে দেখতে একদিন হঠাৎ করে হয়ে যায় না। তার আগেই মেয়ের মা মেয়েকে এই বিষয়গুলো বোঝান, তাছাড়া মেয়েরা বান্ধবীদের সাথে আলাপ করে অনেক কিছু জেনে যায় । যেদিন প্রথম পিরিওড হয় সেদিন মেয়েটা অসহায় ও বিষন্নতা বোধ করে । সেদিন তার মাকে সে নিজেই খুলে বলে। মা তখন প্রয়োজনে বাবাকে বলেন । এই চলে আসছে আমাদের সমাজে । কিন্তু এই বিজ্ঞাপনে বেহায়াপনা শেখানো হচ্ছে না তো? প্রথম পিরিওডের কথা বাবাকে শোনালে বাবা এমন কি ব্যবস্থা নেবেন, যেটা মাকে শোনালে হবে না তাই বাবাকে শোনাতে হবে? এই বিজ্ঞাপনে জানতে চাওয়া হচ্ছে, পিরিওড কোনো লুকানোর মত বিষয় কি না । তবে কি এটা ঢাক -ঢোল পিটে জানানোর বিষয় যে আজ আমার প্রথম পিরিওড হয়েছে? তবে কি এটা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার বিষয়?
‘আজ আমার প্রথম পিরিওড হয়েছে’ এই লেখার সাথে একজন বাবার ছবি দেখে যে কেউ ভড়কে যাবেন । যদিও এখানে বলা হয়েছে ’উপরের কথাটা আমার হলেও ছবিটা তোমার, বাবা’ । তবুও কোনো বাবার নামে মেয়ের এমন উদ্ধত অভিযোগযুক্ত বিজ্ঞাপন কি বিকৃতরুচির পরিচায়ক নয়? একটা স্যানিটারি ন্যাপকিনের বিজ্ঞাপনে একজন বাবার ছবি ব্যবহার করা, সাথে বাবাকে এমন কটাক্ষ করে কথা বলা কি পিতৃকুলকে অপমান করা নয়?
২| ২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪৫
তাসরুজ্জামান বাবু বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন, সমস্যা যদি হয়েই থাকে বাবাকে বলাটা দোষের কিছু নয় ।এবং এভাবে বললে বাবা কখনো মাইন্ড করবেন না, কারণ এটা রোগ । কিন্তু এই বিজ্ঞাপনে যে সূরে 'আজকে আমার প্রথম পিরিয়ড হয়েছে' বলা হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে সে বাবাকে আহ্লাদি সূরে বলছে-'বাবা আমি গোল্ডেন এ+ পেয়েছি! ' । আর এ কারণেই বাবা আশ্চর্য হয়েছেন বলেই তো তার চেহারাটা এমন হয়েছে । এটা যদি সঠিক ঢং এ বলা হত তাহলে এমন হত না । এটা ফেসবু্কেও পোস্ট দিয়েছিলাম । আমার এক ফ্রেন্ড একটি নগ্ন কমেন্ট করেছে । তার কথাটি শুনতে খারাপ লাগলেও বাস্তবতা আছে । তাই আমি এটা তুলে দিলাম (ডোন্ট মাইন্ড এনিবডি প্লিজ)
'Selerao pare doure giye baba k joriye dhore bolbe "Abba amar bal gojaise"........ seleder o to socheton howa dorkar, ekhono shudhu ei dhoroner biggapon er opekkhay........'
৩| ২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: রক্ষনশীল চিন্তাধারার মানুষ হিসেবে আপনি লজ্জা পেতে পারেন, অস্বস্তি পেতে পারেন তবে মেয়েরা যদি তাদের প্রাকৃতিকভাবে শারীরিক সমস্যার কথা তার বাবাকে বলেন, তাতে অন্যায় বা ভুল কিছু নেই। কেননা মায়ের সাথে থাকাকালীন সময়ে বাবা নিশ্চয় এই বিষয়ে ধারনা পেয়েছেন। যদি কোন পরিবারের মা না থাকেন, বা মায়ের অবর্তমানে সন্তানের এই ধরনের সমস্যায় পরিবারের প্রধান হিসেবে বাবাই এগিয়ে আসবেন- এতে দোষের কিছু নেই।
সুর্দীর্ঘকাল ধরে আমাদের দেশের সমাজ ব্যবস্থায় এই বিষয়গুলো গোপন রাখা হয়েছে। কারন আমাদের দেশের মানুষের প্রকৃত শিক্ষার আলো গ্রহন করে আলোকিত হবার রেশিও এখনও পাস মার্কের অনেক নিচে। এখনও অনেক কিছুকে গোঁড়ামি আর কুসংস্কারের ভিত্তিতেই পালন করা হয়। এমনকি ধর্ম অনেক ক্ষেত্রে স্বাধীনতা দিলেও অঞ্চলভিত্তিক প্রথা এবং অজ্ঞতার দরুন সমাজে বাসা বাঁধছে অনেক অনভিপ্রেত সংস্কৃতি এবং নিয়ম। হ্যাঁ হতে পারে আমাদের সমাজ রাতারাতি এই সব পরিবর্তন মানার জন্য প্রস্তুত নয়, তবে যারা সচেতন আছেন, তাদেরকে ভুমিকা রাখতে হবে বুঝানোর জন্য।
যাইহোক আপনি যেহেতু মত প্রকাশ করেছেন, তাই আপনার প্রকাশিত মতের পক্ষে অবস্থানের জন্য আমাকে কয়েকটি যৌক্তিক কারন পয়েন্ট আকারে বলতে পারেন কি? অর্থাৎ এই বিষয়টির স্বাভাবিক প্রকাশ কেন ক্ষতিকর বা লজ্জার এই সম্পর্কে যদি আপনি ৫টি উল্লেখ্যযোগ কারন আমাকে বলতে পারতেন, তাহলে খুব ভালো হতো।
২৭ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯
তাসরুজ্জামান বাবু বলেছেন: রেজোয়ানা আলী তনিমার জবাবে আমার মন্তব্যটি দেখুন, জবাব পেয়ে যাবেন।
৪| ২৭ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬
জেন রসি বলেছেন: যৌক্তিক ব্যাপারগুলোকে যুক্তি দিয়েই বিচার করতে চেষ্টা করুন।
২৮ শে মে, ২০১৫ সকাল ৮:১৫
তাসরুজ্জামান বাবু বলেছেন: মূল্যবোধকে আপনি যুক্তি দিয়ে কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
৫| ২৭ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮
কানাই স্যার বলেছেন: এই বিজ্ঞাপনে যে সূরে 'আজকে আমার প্রথম পিরিয়ড হয়েছে' বলা হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে সে বাবাকে আহ্লাদি সূরে বলছে-'বাবা আমি গোল্ডেন এ+ পেয়েছি! ' । আর এ কারণেই বাবা আশ্চর্য হয়েছেন বলেই তো তার চেহারাটা এমন হয়েছে । এটা যদি সঠিক ঢং এ বলা হত তাহলে এমন হত না ।
২৮ শে মে, ২০১৫ সকাল ৮:১৬
তাসরুজ্জামান বাবু বলেছেন: থ্যাংক্স
৬| ২৭ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:২১
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ছবিটা মোটেও বিজ্ঞাপনের মূল বক্তব্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
ছবিটা প্রকাশ করছে যে, মেয়ের প্রথম পিরিয়ড হওয়ার কথা শুনে বাবার মাথায় বাজ পড়েছে এবং এটা একমাত্র তার মেয়েরই হয়েছে...
বক্তব্য যাই হোক না কেন, তার প্রকাশভঙ্গি সঠিক হয়াটা জরুরী।
২৮ শে মে, ২০১৫ সকাল ৮:১৭
তাসরুজ্জামান বাবু বলেছেন: হুম
৭| ২৭ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩
জনাব মাহাবুব বলেছেন: এখন আপনি যদি রক্ষণশীলতাকে শ্রদ্ধা করে টিকিয়ে রাখতে চান, তাহলে আপনি হবেন অশিক্ষিত, মূর্খ, সেকেলের ধ্যান ধারনার মানুষ।
বর্তমানে শিক্ষিত বলতে, তাদেরই বোঝায় যারা তাদের মূল্যবোধ বিসর্জন দিয়ে, নারী পুরুষের গোপন বিষয়টি ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করা। যে কোন অশ্লীলতাকে শিল্প হিসেবে মেনে নেওয়া, সেক্সুয়াল বিষয়কে পাপ হিসেবে না দেখে সহজভাবে দেখা, অবাধ মেলামেশাকে আধুনিক মনমানসিকতা বলে ধারনা করা।
আচ্ছা আমার একটি প্রশ্ন, মেয়েদের প্রথম পিরিয়ডের কথা যদি সবাইকে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে প্রচার করতে হয়, তাহলে ছেলেদের প্রথম স্বপ্নদোষের কথাও তো ঢাক-ঢোল পিটিয়ে প্রচার করার দরকার, তাই না? কিন্তু কোন কোম্পানীকে তো ছেলেদের বিষয়গুলো নিয়ে চটকদার বিজ্ঞাপন প্রচার করতে দেখা যায় না?
সবাই শুধু মেয়েদের শারীরিক বিষয়গুলো নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে এবং ব্যবসায়িক দিক দিয়ে নিজেদের কোম্পানাীকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বানিয়ে ফেলছে। অপরদিকে তথাকথিত শিক্ষিত মানুষগুলো এগুলোকে বাহবা দিচ্ছে এবং "নিজে সব বুঝে ফেলছে", এইরকম ভাবসাব ধরছে।
২৮ শে মে, ২০১৫ সকাল ৮:১৭
তাসরুজ্জামান বাবু বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন
৮| ২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:১০
মাসূদ রানা বলেছেন: একথা অস্বীকার করার জো নেই যে, আজকে বাংগালীদের প্রায় সিংহভাগ পুরুষই কোননাকোনভাবে পার্ভার্টেড হয়ে পড়েছে .... একটা সময় ছিল যখন ছেলেরা মেয়েদের দিকে ভয়ে শ্রদ্ধায় চোখ তুলে তাকাতে পর্যন্ত ভয় পেত, একটু কথা বলা, ভাব বিনিময় করার জন্য আকুপাকু করত, কিন্তু বর্তমান সময়ের মত এতো অশ্লীল আচরন,পাবলিক প্লেসে গায়ে হাত দেয়া, কিংবা নির্যাতন করা তখনকার সময়ে অসম্ভব ছিল .........
যাই হোক, আমাদের দেশের পুরুষদের সিংহভাগ যেখানে পার্ভার্টেড, সেখানে সেসব পার্ভার্টেড ফ্যামিলির মেয়েদের তাদের পার্ভার্টেড বাবার সাথে এসব স্পর্শকাতর ব্যপার নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে যাওয়া কি বিপজ্জনক নয় ?
লেখককে ধন্যবাদ বিজ্ঞাপনগুলোর নিম্নমান নিয়ে লেখার জন্য ।
২৮ শে মে, ২০১৫ সকাল ৮:১৮
তাসরুজ্জামান বাবু বলেছেন: আপনাকেউ ধন্যবাদ সহমত প্রকাশ করে সমর্থন দেওয়ার জন্য
৯| ২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:২৫
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: এই ব্যাপারগুলো শিক্ষা ব্যবস্থায় আলাদাভাবে আনা যেতে পারে, বিশেষ করে কন্যা শিশুদের জন্য। যেখানে কিছু শিক্ষকও সবাইকে একসাথে নিয়ে এসব ব্যাপার হলে কি করা উচিত বুঝিয়ে বলবে। ৭-৮ বছরের বাচ্চাদের না, ৯-১০ বছরের কন্যা শিশুদের আলাদা ক্লাস থাকতে পারে, যারা অল্প সময় পরেই এই পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাবে। ছেলেরা যেগেতু খুব বেশি বিব্রতকর অবস্থায় পরেনা, ওদেরটা আমাদের দেশে এখনই না ভাবলেও চলবে।
ছবিটা ভাল্লাগেনাই। মায়েদের মুখও এমন হয় নাকি আমার জানা নেই।
১০| ২৮ শে মে, ২০১৫ সকাল ৮:১৯
তাসরুজ্জামান বাবু বলেছেন: আপনার কথায় যুক্তি আছে
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ২:১৭
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: দেখুন কিছু মনে করবেন না, মাসিক বা মেয়েলী যেকোন শারীরিক সমস্যা খুব লজ্জার , প্রায় ঘৃণার কাছাকাছি একটা বিষয় আমাদের সমাজে। টিজিং তো হয়ই,কারণ ছেলেরা জানতেই পারে না তাদের নিজেদের মাবোনেরও এমন হয়।একারণে মেয়েরা অনেক সময় অনেক রোগ পর্যন্ত ক্রিটিক্যাল না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসা পর্যন্ত নিতে যায় না। কোন সমস্যায় প্রাণ গেলেও মা বা কোন মহিলাকেই বলতে হবে , বাবা ভাই কারো সাথে শেয়ার করে সমাধান চাওয়া যাবে না। অত্যন্ত স্বাভাবিক শারীরীক পরিবর্তন লুকিয়ে সংকুচিত হয়ে সব অসুবিধা একাই বহন করতে হবে- এটা সুস্থ পারিবারিক ব্যবস্থায় হওয়া উচিৎ না। যতক্ষণ মাতৃত্ব ও নারীত্বের বিষয় গুলো সম্পর্কে সবাই সচেতন না হবে ততক্ষণ একটি সুন্দর নারীবান্ধব সমাজ পাওয়া যাবে না। বাবা খুব দূরের কেউ একজনই হবেন যাকে শুধু ভয় করেই চলতে হবে এধারণা প্রাগৈতিহাসিক। মায়ের পরে বাবাই তো সবচে আপন। তাকে যদি বলা হয় তাতে বেহায়াপণার কিছু আছে বলে মনে হয় না।