![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সৌদি আরবের বাদশাহ ফয়সাল বিন আবদুল আজিজের সময়কার কথা ( পর্ব ১ )
বাদশাহ সৌদের সাথে দ্বন্দ্ব সেসময় নেপত্থে বাদশাহ সৌদের সাথে ফয়সালের দ্বন্দ্ব চলতে থাকে । বাদশাহ চিকিৎসার জন্য বিদেশ গেলে তার অনুপস্থিতিতে ফয়সাল আরো বেশি ক্ষমতা লাভ করে । তিনি সৌদের অনেক অনুগতকে তাদের পদ থেকে সরিয়ে অন্যদের নিয়োগ দিলেন । নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন তার ভাই ও ভবিষ্যত বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ যাকে সেসময় ন্যাশনাল গার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল । বাদশাহ সৌদ ফিরে আসার পর ফয়সাল দাবি করেন যাতে তাকে দায়িত্ব দিয়ে সৌদ নিজে আনুষ্ঠানিক অবস্থান গ্রহণ করেন । সেসময় ফয়সালের পক্ষে উলামাদের সমর্থন ছিল । বাদশাহ সৌদ এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন । ফয়সাল ন্যাশনাল গার্ডকে সৌদের প্রাসাদ ঘিরে ফেলার আদেশ দিলেন । শেষপর্যন্ত রাজপরিবারের সিদ্ধান্ত এবং উলামারা মত দেওয়ার কারনে সৌদ ক্ষমতা তার ফয়সালকে দিয়ে দিলেন । ১৯৬৪ সালের ২রা নভেম্বর ফয়সালকে বাদশাহ ঘোষণা করা হয় । তারপরে সৌদ বিন আবদুল আজিজ গ্রীসে নির্বাসনে চলে যান ।
ক্ষমতায় আসার পর ফয়সাল একটি ভাষণে বলেন আমি আপনাদের কাছে নিবেদন করছি ভাইয়েরা, আমাকে ভাই এবং সেবক হিসেবে আমার প্রতি লক্ষ্য রাখবেন । মহিমা ম্যাজেস্টি শুধু আল্লাহর জন্য সংরক্ষিত এবং মুকুট হল আসমান এবং জমিনের মুকুট । বাদশাহ আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ রাজকীয় পদবির ব্যবহার শুরু করেছিলেন । ফয়সাল সেগুলোর বিস্তার ঘটায় । বাদশাহ আবদুল আজিজের সরাসরি বংশধরদেরকে হিজ রয়েল হাইনেস ও আবদুল আজিজের ভাই অথবা সেরূপ সম্পর্কিত হলে তাদের হিজ হাইনেস বলে সম্বোধন করার নিয়ম ছিল । আল সৌদের অন্য কোনো শাখার সদস্য হলে হিজ এক্সিলেন্সি বলার রীতি ছিল । ১৯৬৭ সালে ফয়সাল দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রীর পদ সৃষ্টি করেন এবং প্রিন্স ফাহাদকে সেই পদে নিয়োগ দেন।[
ক্ষমতারোহণের পর ফয়সাল দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারকে প্রধান কর্তব্য হিসেবে গুরুত্ব দিলেন । শাসনের প্রথমদিকে তিনি তার রক্ষণশীল অর্থনৈতিক নীতি চালু রাখেন এবং পরে দেশের বাজেটে ভারসাম্য রক্ষায় তার লক্ষ্যও সফল হয় এবং তেল উৎপাদনও বৃদ্ধি পায় ।শাসনের শুরুতে সকল সৌদি রাজপুত্রকে তাদের সন্তানদের বিদেশে পাঠানোর পরিবর্তে দেশের ভেতর লেখাপড়া শেখাতে হবে মর্মে আদেশ জারি করেন । ফলে দেশের উচ্চবিত্ত পরিবারগুলো তাদের সন্তানদের দেশে এনে লেখাপড়া করাতে থাকেন । ফয়সাল দেশের তখনকার প্রশাসনিক অঞ্চলগুলোর প্রবর্তন করেন এবং আধুনিক কল্যাণ ব্যবস্থা চালু করেন । ১৯৭০ সালে তিনি বিচার মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দেশে প্রথমবার পাঁচ বছরব্যপী পরিকল্পনা শুরু করেন ।
১৯৬৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে টেলিভিশন প্রচার শুরু করা হয় । ১৯৬৬ সালে ফয়সাল নামে তার এক ভাইপো নতুন স্থাপিত টেলিভিশন হেডকোয়ার্টারে হামলা চালালে নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলিতে নিহত হয় । এই হামলাকারী ফয়সালের ভবিষ্যত হত্যাকারীর ভাই । ফয়সালের হত্যার জন্য এই ঘটনাকে মোটিভ হিসেবে ধরা হয় । দেশের রক্ষণশীল অংশ থেকে তার সংস্কারের বিষয়ে প্রশ্ন উঠলেও ফয়সাল তার আধুনিকীকরণ চালু রাখেন এবং তার নীতিকে ইসলামের সাথে সংগতিশীল রাখা নিশ্চিত করেন । ১৯৫০ এবং ১৯৬০ এর দশকে সেই অঞ্চলে কয়েকটি অভ্যুত্থান হয় । মুয়াম্মার গাদ্দাফির অভ্যুত্থানের ফলে ১৯৬৯ সালে তেলসমৃদ্ধ লিবিয়া থেকে রাজতন্ত্র উচ্ছেদ হয় । তাই ফয়সাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেন । তার শাসনের প্রথমদিকে লিখিত সংবিধানের ব্যাপারে দাবি উঠলে তিনি বলেন যে কুরআন আমাদের সংবিধান । ১৯৬৯ সালের গ্রীষ্মে অভ্যুত্থান চেষ্টার অভিযোগে জেনারেলসহ কয়েকশ সামরিক অফিসারকে গ্রেপ্তার করা হয় । অভ্যুত্থান মূলত বিমান বাহিনীর অফিসাররা পরিকল্পনা করে এবং তাদের লক্ষ্য ছিল রাজতন্ত্র উচ্ছেদ করে নাসেরপন্থি সরকার প্রতিষ্ঠা করা । ধারণা করা হয় যে আমেরিকান গোয়েন্দাদের সহায়তায় পরিকল্পনা জানা যায় কিন্তু হুমকি কতটা গভীর ছিল তা স্পষ্ট ছিল না ।
তথ্য নেট
০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৯
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: সাথে আছেন বলেই লেখায় অনুপেরনা পাই ভাই ।
২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১০
ইমরান আশফাক বলেছেন: হুমম, অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পর্বের জন্য।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০০
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সাথে থাকার জন্য ।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫২
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: প্রথম পর্বের পর দ্বিতীয় পর্বের জন্য প্রায় তিনদিন ধরে অপেক্ষায় ছিলাম।
ধন্যবাদ ইতিহাস জানানোর জন্য।