নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাদ্দাম হোসেনের সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু কথা

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১২


সাদ্দাম হোসেন ছিলেন ইরাকের একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি। তিনি ১৯৭৯ সাল থেকে জুলাই ১৬ তারিখ এবং ২০০৩সালের এপ্রিল মাসের ৯ তারিখ পযন্ত ইরাকের রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
সাদ্দাম হোসেনর জীবনীর কিছু অংশ
প্রথমে সাদ্দাম হোসেন জেনারেল আহমেদ হাসান আল বকরের উপ রাষ্ট্রপতি ছিলেন। আর সে সময় সাদ্দাম দৃঃঢ়ও ভাবে সরকার এবং সামরিক বাহিনীর মধ্যকার বিরোধের অবসান ঘটিয়েছিলেন। সেই উদ্দেশ্যে তিনি নিরাপত্তা বাহিনীও গঠন করেন। ইরাকের রাষ্ট্রপতি ও বাথ পার্টির প্রধান হিসেবে সাদ্দাম হোসেন আরব জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ধর্ম নিরপেক্ষ এবং আধুনিক ইরাক গড়ে তুলতে প্রয়াস নেন। সাদ্দাম এক দলীয় শাসন কায়েম করেন। সেইসময়ই সাদ্দাম হোসেন ইরানের সাথে ৯ বছরের যুদ্ধে জড়িয়ে পরেন ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পযন্ত। ইরাক ও ইরান যুদ্ধের পরে ১৯৯১ সালে আস্তে আস্তে সাদ্দাম হোসেন উপসাগরীয় যুদ্ধে জড়িয়ে পরেন। সাদ্দাম হোসেন তার মতে ইরাকের স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধের সকল পক্ষকে নির্মুল করার উদ্যোগ নেন। সেই বিরুদ্ধ পক্ষে ছিল উপজাতীয় এবং ধর্মীয় গোত্র গুলো যারা স্বাধীনতা দাবি করছিলেন। তাদের মধ্যে যেমনঃ ইরাকি শিয়া মুসলমান, কুর্দি, ইরাকি তুর্কি জনগন। ২০০৩ সালে যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বে কতিপয় আন্তর্জাতিক রাষ্ট্র ইরাক আক্রমণ করে। তারা এই যুক্তি দেখিয়ে আক্রমণ করে যে সাদ্দাম হোসেন ব্যাপক ধ্বংসাত্বক জীবানু অস্ত্র তৈরি করছে যদিও যুদ্ধ পরবর্তি সময়ে আসলে সেরকম কোন অস্ত্রের হদিসও পাওয়া যায় নাই। ২০০৩ সালের ১৩ই ডিসেম্বর সাদ্দাম হোসেন আমেরিকান সেনাদের কাছে ধরা পড়েন। পরবর্তিতে আমেরিকা ইরাকি সরকারের হাতে সাদ্দাম হোসেনের বিচার করা হয়। সাদ্দামের বিরুদ্ধে ছিল মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। ২০০৬ সালের ৩০শে ডিসেম্বর ইরাকি সময় সকাল ৬.০৬ মিনিটে ইরাকে সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসি কার্যকর হয়।

সাদ্দাম হোসেনের পতনের তের বছর কেমন ছিলঃ
তের বছর আগে ইরাকের স্বৈরাচারী একনায়কের পতন ঘটে ৷ সে যাবৎ ইরাক বহু অস্থিরতা অনিশ্চয়তা এবং রক্তক্ষয় দেখেছে ৷ সাদ্দামের পতনের বার্ষিকীতেও সেই ঐতিহাসিক ঘটনার মূল্যায়ন নিয়ে বিতর্ক থেমে নেই ৷

বাগদাদের ফিরদৌস চত্বরে সাদ্দামের ব্রোঞ্জ মূর্তিটি যে কংক্রিটের স্তম্ভের উপরে দাঁড়িয়ে ছিল । সেটি আজও খালি পড়ে রয়েছে ৷ ২০০৩ সালের ৯ই এপ্রিল উল্লসিত জনতা মূর্তিটিকে টেনে নামান ৷ তারপর এক নামী দামী ইরাকি ভাস্করের পরাবাস্তববাদী শিল্পকলা দিয়ে ফাঁকটা কিছুকালের জন্য ভরাট করা হয়েছিল । কিন্তু সন্ত্রাস এবং বোমাবাজি শুরু হওয়া যাবৎ সেটিও উধাও হয়ে যায় ৷ যতোদিন পর্যন্ত না ইরাকিরা তের বছর আগের মার্কিন অভিযান অনুপ্রবেশ ত্রাণ না জবরদখল ছিল, সে বিষয়ে একমত হয়, ততোদিন ফিরদৌস চত্বরের স্তম্ভটি খালিই পড়ে থাকতে পারে ৷

সাদ্দাম হোসেনের ফাসি মুহুর্ত কেমন ছিলঃ
পাশ্চাত্য এবং অনেক ইরাকির চোখে তিনি নিষ্ঠুর একনায়ক আর ভয়ংকর মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী। তবে ফাঁসির রশিতে ঝোলানোর আগ পর্যন্ত তার মনোবল ছিল অটুট। ছিল না কোনো অনুশোচনা। ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন সম্পর্কে এই কথা বলেছেন দেশটির সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মোয়াফফাক আল রুবাই। সাদ্দাম হোসেনের ফাসি কার্যকরের সময় তিনি সেখানেই উপস্থিত ছিলেন। মার্কিন অভিযানে পতনের কয়েক বছর পর ২০০৬ সালে সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছিল।
সেই দিনটির স্মৃতিচারণা করে মোয়াফফাক বলেছেন দরজায় দাঁড়িয়ে আমিই তাঁকে সাদ্দাম হোসেন স্বাগত জানাই। আমাদের সঙ্গে অন্য কেউ ছিল না এমন কি কোনো বিদেশিও না এবং কোনো মার্কিনও ছিলেন না। বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এনডিটিভি এই খবর জানিয়েছেন। এনডিটিভি জানিয়েছেন এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে মোয়াফফাক বলেছেন সাদ্দামের পরনে ছিল সাদা শার্ট এবং জ্যাকেট। মানসিকভাবে তিনি ছিলেন স্বাভাবিক নিরুদ্বিগ্ন। ভয়ভীতির কোনো চিহ্ন আমি তার মধ্যে দেখতে পাইনি।
মোয়াফফাক আরো বলেন অবশ্যই কেউ কেউ আমার মুখে শুনতে চান যে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন অথবা চেতনানাশক ওষুধের কারণেই তিনি নির্জীব ছিলেন। কিন্তু আমি যেটা বলছি সেটাই আসল। আমি তাকে অনুশোচনা করতেও দেখিনি। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে দেখিনি। শাস্তি মওকুফের জন্য কারও কাছে অনুরোধও করতে দেখিনি তাকে। ফাসির মুহূর্ত সম্পর্কে বলতে গিয়ে সাবেক এই উপদেষ্টা বলেছেন সাধারণত এসব মুহূর্তে একজন মানুষকে আমার অপরাধ মাফ করে দাও আল্লাহ আমি তোমার কাছেই ফিরে আসছি বলতে শোনা যায়। কিন্তু তিনি এর কিছুই বলেননি। দুই দশকের বেশি সময় ধরে কঠোর হাতে ইরাক শাসন করেছেন সাদ্দাম হোসেন। ২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় সামরিক অভিযানে তার পতন হয়। সাদ্দামের কাছে ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র আছে দাবি করে ওই অভিযান চালানো হয় যদিও পরে তা খুঁজে পাওয়া যায়নি। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর ফাঁসি দেওয়া হয় সাদ্দামকে। ১৯৮২ সালে দুজাইল গ্রামে শিয়া সম্প্রদায়ের ১৪৮ জন লোককে হত্যার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাঁকে। মার্কিন সরকারের সমর্থনপুষ্ট এই বিচার কার্যক্রমকে অনেকেই লোকদেখানো মনে করেন বলে তা বিতর্কিত

ছবি তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট ।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৯

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার বর্ননা। ভাল লাগল। ধন্যবাদ

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আপনাকেও পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই ।

২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৪

আমি মিন্টু বলেছেন: দারুন ভালো লাগল । :)

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১০

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই মিন্টু ।

৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫১

কালীদাস বলেছেন: কুয়েত হের কি ক্ষতি করছিল আজও বুঝি না। শিয়া-সুন্নি নিয়া গ্যান্জাম লাগানো আর কুর্দিস্হান নিয়া গ্যান্জাম লাগানো ছাড়া আর কি ভাল (!) কাজ করছে জানি না। তবে ওর একটা জিনিষের প্রশংসা করতে হয়- দুই বুশ আর ক্লিনটনকে একপয়সার দামও না দেওয়া ন্যাচারটা।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই ।

৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:২৮

পিচ্চি হুজুর বলেছেন: ২০০৩ সালে যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বে কতিপয় আন্তর্জাতিক রাষ্ট্র ইরাক আক্রমণ করে। তারা এই যুক্তি দেখিয়ে আক্রমণ করে যে সাদ্দাম হোসেন ব্যাপক ধ্বংসাত্বক জীবানু অস্ত্র তৈরি করছে যদিও যুদ্ধ পরবর্তি সময়ে আসলে সেরকম কোন অস্ত্রের হদিসও পাওয়া যায় নাই

আমি যতটুকু জানি সাদ্দাম হোসেন পেট্রোডলার এর সিস্টেমটা ভাংগতে চেয়েছিলেন, তিনি চেয়েছিলেন তেল এর বাজারমূল্য ডলারে না বরং গোল্ড এ নির্ধারণ হোক। এইটা নাকি মেইন ইস্যু ছিল তার পতনের। আমি ভূলও জানতে পারি।

৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৪১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: "বাগদাদের ফিরদৌস চত্বরে সাদ্দামের ব্রোঞ্জ মূর্তিটি যে কংক্রিটের স্তম্ভের উপরে দাঁড়িয়ে ছিল । সেটি আজও খালি পড়ে রয়েছে ৷ ২০০৩ সালের ৯ই এপ্রিল উল্লসিত জনতা মূর্তিটিকে টেনে নামান ৷ তারপর এক নামী দামী ইরাকি ভাস্করের পরাবাস্তববাদী শিল্পকলা দিয়ে ফাঁকটা কিছুকালের জন্য ভরাট করা হয়েছিল । কিন্তু সন্ত্রাস এবং বোমাবাজি শুরু হওয়া যাবৎ সেটিও উধাও হয়ে যায় ৷" মুর্খ জাতি এখন বোধহয় বুঝতে পারছে, সাদ্দাম হোসেন একনায়ক হলেও রাষ্ট্রীয় সংহতির জন্য কতটা কার্যকরি ছিলেন । তাঁর সময় ইরাক ভেঙে যায়নি । জাতিগত বিরোধ প্রকট হতে পারেনি ।

৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০

বিপরীত বাক বলেছেন: লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু।

৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: অনেক কিছু জানা হল ।ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.