নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা অ্যাকিলিস (৩য় ও শেষ পর্ব )

০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩


শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা অ্যাকিলিস ( ২য় পর্ব )
শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা অ্যাকিলিস ( প্রথম পর্ব )
মেমন, এবং অ্যাকিলিসের পতন
প্যাট্রোক্ল্যাসের মৃত্যুর পর, অ্যাকিলিসের নিকটতম সহচর হন নেস্টরের পুত্র অ্যান্টিলোকাস। ইথিওপিয়ার রাজা মেমন অ্যান্টিলোকাসকে বধ করলে আর একবার ক্রোধের বশে প্রতিশোধকল্পে যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হন অ্যাকিলিস। অ্যান্টিলোকাসকে নিয়ে অ্যাকিলিস মেমন যুদ্ধ ছিল প্যাট্রোক্ল্যাসকে নিয়ে অ্যাকিলিস-হেক্টর যুদ্ধেরই অনুরূপ। কেবল হেক্টর মেমনের মতো দেবীপুত্র ছিলেন না।
অনেক হোমার-বিশেষজ্ঞের মতে এই পর্বটি ইলিয়াড মহাকাব্যে প্যাট্রোক্ল্যাসের মৃত্যু এবং তারপর অ্যাকিলিসের প্রতিক্রিয়ায় অনেক বিস্তারিত বর্ণনাকে অনুপ্রাণিত করে। এই পর্বটিই পরে মহাকাব্য চক্রের ইথিওপিস গ্রন্থের ভিত্তি রচনা করে, যা ইলিয়াড-এর পর সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীতে রচিত হয়। বর্তমানে এই গ্রন্থটি হারিয়ে গেছে। কেবলমাত্র পরবর্তীকালের লেখকদের রচনা থেকে উদ্ধার করা এই গ্রন্থের বিভিন্ন উল্লেখ থেকে এর কথা জানা যায়।মৃত্যুকালে হেক্টর যেমন ভবিষ্যদ্বাণী করেন সেই অনুযায়ী প্যারিসের তীরের আঘাতে অ্যাকিলিসের মৃত্যু হয়। কাহিনির কোনো কোনো পাঠ অনুসারে অ্যাপোলো এই তিরটিকে পরিচালনা করেছিলেন। এই দুই পাঠেই লক্ষ্যনীয়ভাবে হত্যাকারীকে বীরের সম্মান দিতে অস্বীকার করেছে। সাধারণভাবেও মনে করা হয়, প্যারিস ছিলেন ভিতু এবং অ্যাকিলিস যুদ্ধভূমিতে অপরাজেয়ই থেকে যান। তাঁর দেহাবশেষ প্যাট্রোক্ল্যাসের দেহাবশেষের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়। আয়োজিত হয় অন্ত্যেষ্টি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। হারিয়ে যাওয়া ট্রয়যুদ্ধকেন্দ্রিক মহাকাব্য আর্কটিনাস অফ মিলেটাস এর মতে মৃত্যুর পর অ্যাকিলিস ড্যানিউব নদীর মোহনায় লিউক দ্বীপে বাস করতে থাকেন । অ্যাকিলিসের মৃত্যুসম্বন্ধিত অন্য একটি কাহিনি অনুসারে তিনি ট্রয়ের রাজকুমারী পলিজেনার প্রেমে মজেন। অ্যাকিলিস প্রিয়ামের কাছে পলিজেনার পাণিগ্রহণের অনুমতিও চান। প্রিয়াম রাজি হয়ে যান। কারণ তার কাছে এই বিবাহের অর্থ ছিল যুদ্ধের অন্ত ও পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম বীরের সঙ্গে আত্মীয়তা স্থাপন। তিনি গোপনে অ্যাকিলিস ও পলিজেনার বিবাহের আয়োজন করেন। এদিকে অ্যাকিলিস প্যারিসের ভগিনীকে বিবাহ করলে তাকেও হেলেনের উপর থেকে দাবি প্রত্যাহার করতে হবে, এজন্য প্যারিস ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে দিব্য তিরের সাহায্যে অ্যাকিলিসকে হত্যা করেন।পরে ফিলোকটেটস হেরাক্লেসের বিশাল ধনুকের সাহায্যে প্যারিসকে হত্যা করেছিলেন।

অ্যাকিলিসের বর্ম
অ্যাকিলিসের মৃত্যুর পর তার বর্মটিকে নিয়ে ওডেসিয়াস এবং তেলামোনিয়ান অ্যাজাক্সের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়। বর্মটির উত্তরাধিকার পাওয়ার লক্ষ্যে উভয়ে বাগযুদ্ধে অবতীর্ণ হন। তাদের বাগযুদ্ধের বিষয় ছিল অ্যাকিলিসের পর কে শ্রেষ্ঠতর বীর এবং তাদের এই বাগযুদ্ধের বিচারক ছিলেন ট্রোজান যুদ্ধবন্দীগণ। দুই যোদ্ধার তুলনামূলক আলোচনার পর তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে ওডেসিয়াসই অ্যাকিলিসের পর শ্রেষ্ঠতর বীর। ওডেসিয়াস জয়লাভ করেন। ক্রোধান্বিত হয়ে অ্যাজাক্স ওডেসিয়াসকে অভিশাপ দিয়ে বসেন। এতে দেবী এথেনা মর্মাহত হন। তিনি সাময়িকভাবে শোক ও ক্রোধের দ্বারা অ্যাজাক্সকে উন্মত্ত করে তোলেন। অ্যাজাক্স মেষগুলিকে তার সঙ্গী মনে করে তাদের হত্যা করতে থাকেন। খানিক বাদে এথেনা অ্যাজাক্সের উপর থেকে এই উন্মত্ততা প্রত্যাহার করে নিলে অ্যাজাক্স দেখেন যে তিনি আসলে মেষ হত্যা করছিলেন। বিব্রত হয়ে তিনি আত্মঘাতী হন। পরে ওডেসিয়াস বর্মটি অ্যাকিলিসের পুত্র নিওপ্টোলেমাসকে দান করেন।প্যাম্পিলিয়ান উপসাগরের তীরে অবস্থিত লাইসিয়ার বন্দর ও দুর্গশহর ফাসিলিসের এথেনার মন্দিরে রক্ষিত একটি প্রত্নবস্তুকে অ্যাকিলিসের ব্রোঞ্জের সম্মুখভাগবিশিষ্ট বর্শা বলে দাবি করা হয়। ৩৩৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মহামতি আলেকজান্ডার এই শহরে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন। আলেকজান্ডার নিজেকে নব্য অ্যাকিলিস রূপে দেখতেন এবং নিজের সঙ্গে একটি ইলিয়াড বহন করতেন। তথাপি তাঁর সভাজীবনীকারদের রচনায় এই বর্শাটির কোনো উল্লেখ পাওয়া যায় না। তবে একথা নিশ্চিত করেই বলা যায় যে আলেকজান্ডার পরম উত্তেজনার সঙ্গে এই বর্শাটি স্পর্শ করেছিলেন।অবশ্য খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীতে পসেনিয়াসের সময়কালে এই বর্শাটি প্রদর্শিত হত।

অ্যাকিলিস এবং প্যাট্রোক্ল্যাশ
অ্যাকিলিস সংক্রান্ত পুরাণকথার একটি অত্যন্ত আলোচিত বিষয় হল প্যাট্রোক্ল্যাশের সঙ্গে অ্যাকিলিসের সম্পর্ক। ধ্রুপদি যুগ থেকে আধুনিক কাল অবধি এই সম্পর্কের যথার্থ প্রকৃতি নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। ইলিয়াড মহাকাব্যে তাদের সম্পর্ককে এক গভীর এবং বিশ্বস্ত বন্ধুত্বের সম্পর্কের আদর্শ রূপে দর্শানো হয়েছে। যদিও ধ্রুপদি যুগ থেকে আধুনিক কাল পর্যন্ত টীকাকারেরা নিজ নিজ সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই সম্পর্কের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীর এথেন্সে এই সম্পর্ককে পেডেরাস্টিক সম্পর্ক বলে ব্যাখ্যা করা হত। বর্তমান যুগের পাঠকেরা সাধারণত এই দুই যোদ্ধাকে যৌনসম্পর্কহীন সমরবান্ধব অথবা সমতাবাদী সমকামী যুগল হিসেবেই ব্যাখ্যা করে থাকেন।

প্রাচীন যুগের অ্যাকিলিস সংস্কৃতি
প্রাচীনকালে বর্তমান রোমানিয়া ও ইউক্রেনের উপকূলভাগের অদূরে কৃষ্ণসাগরের হোয়াইট আইল্যান্ড লিউস-এ অ্যাকিলিসকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠেছিল এক বীরপূজার সংস্কৃতি। এখানকার অ্যাকিলিস মন্দির ও ওর‌্যাকল রোমান যুগ পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল।
এইথিওপিস মহাকাব্যটি ইলিয়াড মহাকাব্যের প্রলম্বিত অংশ রূপে কথিত। মাইলটোসের আর্কটিনাসকে এই মহাকাব্যের রচয়িতা বলে মনে করা হয়। এই মহাকাব্যের বর্ণনা অনুযায়ী অ্যাকিলিসের মৃত্যুর পর তার মা থেটিস এসে বিলাপ করতে থাকেন। তিনি অ্যাকিলিসের চিতা থেকে তার চিতাভস্ম অপসারিত করে নিয়ে আসেন ড্যানিয়ুব নদীর মোহনায় অবস্থিত লিউসে। এখানে একিয়ানগণ একটি সমাধিঢিবি নির্মাণ করেন এবং আয়োজন করেন অন্ত্যেষ্টি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার।

প্লিনির ন্যাচারাল হিস্ট্রি গ্রন্থে একটি সমাধিঢিপির উল্লেখ আছে। এই গ্রন্থ অনুসারে ড্যানিয়ুব বদ্বীপ অঞ্চলে পেউস থেকে পঞ্চাশ রোমান মাইল দূরে অ্যাকিলিসের প্রতি উৎসর্গীকৃত একটি দ্বীপ ছিল এই দ্বীপে অ্যাকিলিসের একটি মন্দিরও ছিল । তবে আজ আর এই সমাধিঢিপিটির কোনো অস্তিত্ব নেই। পসেনিয়াসের লিখেছেন যে এই দ্বীপটি অরণ্য এবং বন্য ও পালিত পশুতে আকীর্ণ ছিল। এই দ্বীপে অ্যাকিলিসের একটি মন্দির ও একটি মূর্তিও ছিল। ১৮২৩ সালে ক্যাপ্টেন ক্রিটজিকলি ৩০ মিটার বাহুবিশিষ্ট একটি বর্গাকার মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেন। সম্ভবত এটিই ছিল অ্যাকিলিসের সেই মন্দির। তবে এই অঞ্চলে কোনো আধুনিক পুরাতাত্ত্বিক খননকার্য চালানো হয়নি।পম্পোনিয়াস মেলা লিখেছেন বরিসথেন এবং ইস্টারের মধ্যবর্তী অ্যাকিলিয়া নামে এক দ্বীপে অ্যাকিলিসকে সমাহিত করা হয়েছিল। ডমিটিয়ানের সমসাময়িক গ্রিক ভূগোলবিদ বিথিনিয়ার ডায়োনিসাস পেরিগেটাস এই দ্বীপটিকে লিউস নামে উল্লেখ করেছেন কারণ এই দ্বীপের অধিবাসী জীবজন্তুদের গাত্রবর্ণ ছিল সাদা। কথিত আছে লিউস দ্বীপে অ্যাকিলিস ও অন্যান্য যোদ্ধৃবর্গের আত্মা বাস করেন। তারা দ্বীপের নির্জন উপত্যকাগুলিতে ঘুরে বেড়ান। এইভাবেই জোভ সেই সব ব্যক্তিদের সম্মানিত করেন যারা নিজ গুণে তাদের স্থান সাধারণের থেকে পৃথক করে নেন। কারণ এই গুণাবলির মাধ্যমেই তারা লাভ করেন চিরকালীন সম্মাননা।

পেরিপ্লাস অফ দি ইউজিন সি গ্রন্থে নিম্নলিখিত বর্ণনাটির উল্লেখ আছেঃ কথিত আছে দেবী থেটিস তার পুত্র অ্যাকিলিসের জন্য এই দ্বীপটি সমুদ্রগর্ভ থেকে উত্থিত করেন। অ্যাকিলিস এখানেই বাস করতেন। এখানে অবস্থিত তার মন্দির ও মূর্তি একটি পুরাকীর্তি হিসেবে পরিগণিত হয়। এই দ্বীপে মনুষ্যবসতি নেই। কেবলমাত্র যারা অ্যাকিলিসের উদ্দেশ্যে বলি উৎসর্গ করতে জাহাজে এই দ্বীপে আসেন তাদের ছাগল এখানে চরে বেড়ায়। যদিও তাদের সংখ্যাও খুব বেশি নয়। এই মন্দিরে অনেক মূল্যবান পবিত্র উপহার পাত্র, অঙ্গুরীয় ও দামি পাথর রক্ষিত আছে। এগুলি অ্যাকিলিসের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত হয়েছিল। গ্রিক এবং লাতিনের রচিত মন্দিরের অভিলেখটি আজও লোকে পড়তে পারেন। এই অভিলেখে অ্যাকিলিসের বন্দনা করা হয়েছে। কয়েকটি আবার লিখিত হয়েছে প্যাট্রোক্ল্যাশের সম্মানে। কারণ লোকবিশ্বাস অনুযায়ী প্যাট্রোক্ল্যাশকে সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে অ্যাকিলিসের অনুগ্রহ পাওয়া যায়। তাছাড়াও এই দ্বীপে অসংখ্য পাখি রয়েছে যারা মন্দিরের দেখাশোনা করে। প্রতিদিন তারা উড়ে গিয়ে সমুদ্রের জলে ডানা ভেজায়। তারপর মন্দিরের উপর উড়ে এসে সেই ভিজে ডানা ঝাপটায়। এইভাবে জল ঝাপটিয়ে তারা মন্দিরের যজ্ঞবেদী পরিষ্কার করে দেয়। লোকে আরও বলে যে কেউ কেউ এই দ্বীপে বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে আসেন। তারা জাহাজে করে বলি উৎসর্গের পশু সঙ্গে আনেন। কোনো কোনো পশুকে তারা বধ করেন আবার কোনো কোনো পশুকে অ্যাকিলিসের সম্মানে দ্বীপে চরার জন্য ছেড়ে দেন। কিন্তু কেউ কেউ ঝড়ের কবলে পড়ে এই দ্বীপে এসে উঠতে বাধ্য হন। তাদের কাছে বলির পশু থাকে না। তারা দ্বীপের দেবতার কাছ থেকে বলির পশু পাওয়ার জন্য এখানকার ওর‌্যাকলের সঙ্গে আলোচনা করেন। তারা অর্থের বিনিময়ে এখানকার স্বাধীনভাবে বিচরণকারী পশুগুলির একটিকে বলি দেওয়ার অনুমতি চান। কিন্তু ওর‌্যাকল যদি মনে করতেন যে পশুর দাম যথেষ্ট হচ্ছে না সেক্ষেত্রে এই অনুমতি পাওয়া যায় না। তখন যতক্ষণ না অনুমতি পাওয়া যায় ততক্ষণ পশুর দাম বাড়ানো হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত যখন ওর‌্যাকল মনে করেন যে যথেষ্ট দাম পাওয়া গেছে তখন শিকার পশুটি আর পালিয়ে যায় না। সে ধরা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। এই ভাবে বলির পশুর দাম হিসেবে মন্দিরে প্রচুর রূপা সঞ্চিত হয়। কথিত আছে, যারা এই দ্বীপে আসতে চান তাদের স্বপ্নে দেখা দেন অ্যাকিলিস। কেউ কেউ আবার নৌচালনার সময় অ্যাকিলিসের দিব্যদর্শন পান। অ্যাকিলিস তাদের নোঙর ফেলার উপযুক্ত স্থানের সন্ধান দেন।লিউস দ্বীপের অ্যাকিলিস বীরপূজার রীতি কেবলমাত্র কৃষ্ণসাগর অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ থাকেনি বরং যেসকল শহরের সঙ্গে কৃষ্ণসাগর সংলগ্ন অঞ্চলের নিবিড় বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল সেখানেও ছড়িয়ে পড়ে।লিউস দ্বীপের অ্যাকিলিসকে পোন্টার্কেস বা কৃষ্ণসাগরের প্রভু তথা নাবিক ও জাহাজের রক্ষাকর্তা মনে করা হয়। এই পথে যাতায়াতকারী নাবিকেরা অ্যাকিলিসের উদ্দেশ্যে বলি উৎসর্গ করেন। গ্রিক জলভাগ অঞ্চলে অ্যাকিলিসের নামে একাধিক শহরও উৎসর্গিত হয়েছেঃ এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মেসেনিয়ার অ্যাকিলেনিয়ন এবং ল্যাকোনিয়ার অ্যাকিলিওস। নিকোলে ডেনসুসিয়ানু আরও মনে করেন ড্যানিয়ুব বদ্বীপের উত্তর ভাগে চিলিয়া শাখায় অবস্থিত অ্যাকুইলিয়ার নামটিও অ্যাকিলিসের নাম থেকে উৎসারিত। এ থেকে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে প্রাচীন সামুদ্রিক আইন অনুযায়ী পোন্টোস বা কৃষ্ণসাগরের উপর সার্বভৌম ক্ষমতা ছিল লিউসের।চিকিৎসাকেন্দ্র হিসেবেও লিউসের খ্যাতি ছিল। পসেনিয়াস লিখেছেন ডেলফিক পাইথিয়া ক্রোটোনের এক ভূস্বামীকে বুকের ক্ষত সারাবার জন্য এখানে প্রেরণ করেন। অ্যামিয়ানাস মার্সেলিনাস এই দ্বীপের জলের ঔষধি ক্ষমতার কথা লিখেছেন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:১৮

রুদ্র কায়সার বলেছেন: অন্ত্যেষ্টি ক্রিড়া নয় শব্দটি হবে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া কোন প্রতিযোগীতা নয়। এটা শুধুই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হবে, যার অর্থ "অন্ত" মানে 'শেষ', "ইষ্টি" মানে 'যজ্ঞ' বা 'প্রার্থনা'। মূলত মৃতদেহ আগুনে দাহ করাকে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বলে।


তিনটি পর্বই পড়লাম। প্রিয়তেও নিয়ে নিলাম।

১১ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:০৮

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রুদ্র কায়সার । ভুলগুলো ধরে দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞ । ঠিক করে দিচ্ছি ।

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৪৭

নতুন বিচারক বলেছেন: ভালো লাগল ইতিহাস ।

১১ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:০৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই নতুন বিচারক ।

৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:০৫

হাকিম৩ বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক সুন্দর ইতিহাস তুলে ধরেছেন ।

১১ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:১১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই HAKIM3 ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.