![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তরাইনের যুদ্ধ ১১৯১ সাল থেকে ১১৯২ সালে বর্তমান হরিয়ানার থানেশ্বরের নিকটে তরাইন নামক শহরের নিকটে সংঘটিত হয়েছিল। এই স্থান দিল্লি থেকে ১৫০ কিলোমিটার বা ৯৩ মাইল উত্তরে অবস্থিত। মুহাম্মদ ঘুরির নেতৃত্বাধীন ঘুরি বাহিনী এবং পৃথ্বীরাজ চৌহানের নেতৃত্বে চৌহান রাজপুত বাহিনীর মধ্যে সেই যুদ্ধগুলো সংঘটিত হয়।মুহাম্মদ ঘুরি ১১৯১ সালে পাঞ্জাবের ভাটিন্ডা দুর্গ জয় করেন। সেই স্থান ছিল পৃথ্বীরাজ চৌহানের সীমান্ত এলাকা ছিল। পৃথ্বীরাজ ভাটিন্ডার দিকে অগ্রসর হয়ে তরাইন নামক স্থানে থানেশ্বরের নিকটে প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হন। ঘুরি বাহিনীর অশ্বারোহীদের প্রতিপক্ষের মধ্যভাগের দিকে তীর নিক্ষেপের মাধ্যমে লড়াই শুরু হয়। পৃথ্বীরাজের বাহিনী তিন দিক থেকে পাল্টা আক্রমণ করেন এবং যুদ্ধে আধিপত্য স্থাপন করেন। ফলে ঘুরিরা পিছিয়ে যায়। পৃথ্বীরাজের ভাই গোবিন্দ তাইয়ের সাথে ব্যক্তিগত লড়াইয়ে মুহাম্মদ ঘুরি আহত হয়েছিলেন। সেই যুদ্ধে পৃথ্বীরাজ ঘুরিদের প্রতিরোধ করতে সক্ষম হন।গজনি ফিরে আসার পর মুহাম্মদ ঘুরি পাল্টা আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। লাহোর পৌছার পর তিনি পৃথ্বীরাজের কাছে আনুগত্য প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে দূত পাঠান। পৃথ্বীরাজ এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন। পৃথ্বীরাজ এরপর অন্যান্য রাজপুত নেতাদেরকে তার পাশে দাড়নোর আহ্বান জানান।ইতিহাসবিদ ফিরিশতার মতে রাজপুত বাহিনীতে ৩,০০০ হাতি, ৩,০০,০০০ অশ্বারোহী এবং পদাতিক সৈনিক ছিল। তবে এই সংখ্যা সঠিক সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি মনে করা হয়।মিনহাজ-ই-সিরাজ লিখেছেন যে মুহাম্মদ ঘুরির বাহিনীতে ১,২০,০০০ সশস্ত্র সৈনিক ছিল।
মিত্ররা এসে উপস্থিত না হওয়ায় পৃথ্বীরাজ আরো কিছু সময় আশা করছিলেন। এই সংবাদ পাওয়ার পর মুহাম্মদ ঘুরি সন্ধি প্রস্তাব দিয়ে পৃথ্বিরাজকে চিঠি পাঠান। ভোর শুরু হওয়ার পূর্বে ঘুরি বাহিনী রাজপুতদের উপর আক্রমণ শুরু করে। মুহাম্মদ ঘুরি তার বাহিনীকে পাঁচটি ইউনিটে বিভক্ত করেন। চারটি ইউনিট রাজপুত বাহিনীর পার্শ্বভাগ এবং পশ্চাতভাগ আক্রমণ করে।তার পার্শ্বভাগের আক্রমণগুলো ব্যর্থ হয় তবে লড়াই চলতে থাকে।রাজপুতদের সারি ভেঙে ফেলার জন্য মুহাম্মদ ঘুরি তার পঞ্চম ইউনিটকে পালানোর ভান করার আদেশ দেন।রাজপুতরা পিছু হটা ইউনিটকে আক্রমণ করে। তার ফলে পৃথ্বীরাজের বাহিনীর স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়ে যায়।এমনসময় পার্শ্বভাগের আক্রমণের পাশাপাশি ঘুরিদের ১২,০০০ অশ্বারোহী আক্রমণ শুরু করে। তার ফলে রাজপুতরা পরাজিত হয়। পৃথ্বীরাজকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
তথ্যসূত্র:
A Global Chronology of Conflict: From the Ancient World to the Modern Middle East (ইংরেজি ভাষায়), Vol. I, ed. Spencer C. Tucker, (ABC-CLIO, 2010), ২৬৩।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৬:৪৬
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: সেটাই জানার শেষ নাই ।
জানতে হবে তাই
বুঝতেও হবে ভাই
জানলে বুঝলে লাভ ছাড়া কোন ক্ষতি নাই।
২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:০৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ তরাইন যুদ্ধের ইতিহাস জানানোর জন্য ।
শুনেছি লাহোর ত্যাগ করে হযরত খাজা মাইনুদ্দীন চিশতী (র,) যখন দিল্লি ও পরে রাজপুত শক্তির কেন্দ্রবিন্দু আজমিরে আস্তানা গাড়েন তখন তাঁর অপার মহিমায়, মানব প্রেম ও চারিত্রিক মাধুর্যে মোহিত হয়ে হিন্দু প্রভাবশালীদের প্রবল বাধা বিপত্তির মধ্যেও দলে দলে লোক ইসলাম গ্রহণ করে তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করতে থাকেন । এতে হিন্দু রাজা পৃথ্বীরাজ ক্ষিপ্ত হয়ে খাজা মাইনুদ্দীন চিশতী (র,)কে আজমির ত্যাগের নির্দেশ দেন। খাজা মাইনুদ্দীন চিশতী (র,) ঐ সময় বলেছিলেন ‘আমি পৃথি¦রাজকে জীবিত বন্দী করে শিহাবুদ্দীন ঘোরীর হাতে তুলে দিলাম।’ তাঁর এই ভবিষদ্বাণী অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়িত হয়েছিল বলেই তো দেখা যায় ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:১৯
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ডাঃ এম এ আলী ভাই।
শুনেছি লাহোর ত্যাগ করে হযরত খাজা মাইনুদ্দীন চিশতী (র,) যখন দিল্লি ও পরে রাজপুত শক্তির কেন্দ্রবিন্দু আজমিরে আস্তানা গাড়েন তখন তাঁর অপার মহিমায়, মানব প্রেম ও চারিত্রিক মাধুর্যে মোহিত হয়ে হিন্দু প্রভাবশালীদের প্রবল বাধা বিপত্তির মধ্যেও দলে দলে লোক ইসলাম গ্রহণ করে তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করতে থাকেন । এতে হিন্দু রাজা পৃথ্বীরাজ ক্ষিপ্ত হয়ে খাজা মাইনুদ্দীন চিশতী (র,)কে আজমির ত্যাগের নির্দেশ দেন। খাজা মাইনুদ্দীন চিশতী (র,) ঐ সময় বলেছিলেন ‘আমি পৃথি¦রাজকে জীবিত বন্দী করে শিহাবুদ্দীন ঘোরীর হাতে তুলে দিলাম।’ তাঁর এই ভবিষদ্বাণী অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়িত হয়েছিল বলেই তো দেখা যায় ।
ইসলামেরর অনেক সুফি সাধু এবং খাজা মাইনুদ্দীন চিশতী (র,) ও বড় পীর আব্দুল কাদের আরও অনেকের ভবিষদ্বাণী অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়িত মিলে যাচ্ছে কিন্তু তবু আমরা এসব কেন যে বিশ্বাস করতে চাই না একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন সে কথা।
৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৩৫
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ভালো লাগলো লেখা।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৫০
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ হাসু ভাই ।
কি হলো আপনি ইদানিং কোন পোস্ট দিচ্ছেন না কেন ?
৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:১৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: যুদ্ধ মানে শত্রু শত্রু খেলা,
যুদ্ধ মানে আমার প্রতি তোমার অবহেলা!"
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ রূপক বিধৌত সাধু ভাই। অনেক কিছুই জ্ঞানের বাহিরে।
৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:২২
জগতারন বলেছেন:
যুদ্ধ অনেক সময়ে সুন্দর, সত্য, শান্তি ও সভ্যতা প্রতিষ্ঠা করে থাকে। @রূপক বিধৌত সাধু
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: সুন্দর জবাবের জন্য ধন্যবাদ ।
৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৫১
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: সোজা প্রিয়তে..............
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ ভাই ।
৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১১
চাঁনমিয়া বলেছেন: আপনার লেখার প্রেক্ষাপট অন্যরকম।
আমি ব্লগ অ্যাকাউন্ট খোলার পর এটাই প্রথম মন্তব্য।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:১৫
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ চাঁনমিয়া ভাই ।
৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৫৯
নাইম রাজ বলেছেন: জানা হল অনেক কিছু তরাইনের যুদ্ধের সম্পর্কে।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:১৬
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ নাইম রাজ ভাই ।
৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৮
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:১৬
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগ সার্চম্যান ভাই ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৬:৩৫
রিফাত হোসেন বলেছেন: পড়লাম, তবে কেন জানি গুরুত্বপূর্ন মনে হয় নি। তবে জানলাম, জানার শেষ নাই।