নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যিশুর স্বর্গারোহণ

১১ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২০


আসলে যিশুর স্বর্গারোহণ হল একটি খ্রিস্টান ধারণা। নূতন নিয়মে প্রাপ্ত এই ধারণা অনুসারে, যিশুর পুনরুজ্জীবনের ৪০ দিন পর তিনি তার শিষ্যদের উপস্থিতিতে সশরীরে স্বর্গে গমন করেন। বাইবেলের উপাখ্যান অনুসারে, এক দেবদূত প্রত্যক্ষদর্শী শিষ্যদের জানান, যেমনভাবে যিশু স্বর্গে আরোহণ করলেন, ঠিক তেমনভাবেই তিনি দ্বিতিয়বার পৃথিবীতে নেমে আসবেন।প্রামাণ্য সুসমাচারগুলিতে যিশুর স্বর্গারোহণের দুটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা পাওয়া যায়: লুক-লিখিত সুসমাচার (২৪: ৫-৫৩) ও মার্ক-লিখিত সুসমাচার (১৬: ১৯)। ‘প্রভু যিশুর প্রেরিত শিষ্যদের কার্যবিবরণী’ পুস্তকে (১: ৯-১১) যিশুর স্বর্গারোহণের একটি অধিকতর বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়।

নাইসিন ধর্মমত ও প্রেরিতদের ধর্মমতে যিশুর স্বর্গারোহণের কথা বলা হয়েছে। এই স্বর্গারোহণের তাৎপর্য এই যে এই মতবাদের মাধ্যমে যিশুর মানবতার স্বর্গে আরোহণের উপর গুরুত্ব আরোপিত হয়েছে।ইস্টারের ৪০ দিন পর এই দিনটি বৃহস্পতিবার স্বর্গারোহণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এটি খ্রিস্টান বর্ষপঞ্জির অন্যতম প্রধান উৎসব। আনুমানিক খ্রিস্টীয় ৪র্থ শতাব্দীর শেষার্ধে চালু হওয়া এই উৎসব অত্যন্ত জনপ্রিয়।যিশুর স্বর্গারোহন সুসমাচারে উল্লিখিত যিশুর জীবনের প্রধান পাঁচটি উল্লেখযোগ্য ঘটনার এটি অন্যতম এবং অন্যগুলি হলো, দীক্ষা, রূপান্তর, ক্রুশারোহণ এবং পুনরুজ্জীবন।৬ষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যে খ্রিস্টান শিল্পকলায় স্বর্গারোহণের চিত্র অঙ্কিত হতে শুরু হয়। ৯ম শতাব্দী থেকে গির্জার চূড়ায় স্বর্গারোহণের দৃশ্য প্রদর্শিত হতে শুরু করে। অনেক স্বর্গারোহণের দৃশ্যে দুটি অংশ থাকে একটি উপরের স্বর্গীয় এবং একটি নিচের পার্থিব অংশ। স্বর্গারোহণের সময় যিশু ডান হাতে পৃথিবীতে তার শিষ্যদের আশীর্বাদ করছেন এমন দৃশ্যও দেখা যায়। এই দৃশ্যের তাৎপর্য যিশু সমগ্র চার্চকে আশীর্বাদ করছেন।
খ্রিস্টধর্মের মত ইসলাম ধর্মেও তিনি সম্মানিত একজন নবী তবে ইসলাম ধর্মে তার ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে স্বীকার করা হয় না বলা হয় যে, ক্রুশবিদ্ধ করার জন্য যখন বাহক তাকে নিতে ঘরে প্রবেশ করে তখনই আল্লাহ তাকে উপরে তুলে নেন এবং বাহকের চেহারাকে ঈসাএর চেহারার অনুরুপ করে দেন ফলে ঈসা মনে করে সেই বাহককে ক্রুশবিদ্ধ করা হয় ।ইসলাম বলে যে ঈসা বর্তমানে জীবিত অবস্থায় জান্নাতে অবস্থান করছেন। কেয়ামতের পূর্বে দাজ্জালের আবির্ভাবের পর ঈসা নবী মুহাম্মদ (সঃ) এর একজন উম্মত বা অনুসারী হিসেবে পুনরায় পৃথিবীতে অবতরণ করবেন এবং দাজ্জালকে হত্যা করবেন তারপর তিনি সমস্ত পৃথিবীর শাসনভার গ্রহণ করবেন এবং পৃথিবীতে শান্তি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবেন ।সবশেষে তিনি একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে মৃত্যূবরণ করবেন এবং মুহাম্মদ(সঃ)এর কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে যে কারণে মদীনায় নবী মুহাম্মদ (সঃ) এর কবরের পাশে তাকে কবর দেয়ার জায়গা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছিল এবং এখনও বহাল আছে ।তবে ইসলাম ধর্মে বাইবেল বলে কোনো ধর্মগ্রন্থের উল্লেখ পাওয়া যায় না। উল্লেখ যেটা পাওয়া যায় ঈশ্বরের বাণীবাহক ঈসা (আঃ) এর প্রতি অবতীর্ণ হয়েছিল ইঞ্জিল নামক পূর্ণাঙ্গ একটি ধর্মগ্রন্থ। ইঞ্জিলে বলা হয়েছে যে মানুষের গুনাহ্‌ থেকে নাজাত করার জন্য আল্লাহ্‌ তার মনোনিত ব্যক্তি ঈসাকে দুনিয়াতে প্রেরন করেন। যে কেউ যদি ঈসার মাধ্যমে আল্লাহ উপর ঈমান আনে এবং গুনাহের মাফ পাবার জন্য তওবা করে আল্লাহ্‌র দিকে ফেরে সেই নাজাত পায়। ইঞ্জিল কিতাবের ইউহোন্না খন্ডের ১৪ রুকু ৬ আয়াতে বলা হয়েছে, "আমিই (ঈসাই) পথ, সত্য আর জীবন। আমার মধ্য দিয়ে না গেলে কেউই পিতার কাছে (অর্থাৎ আল্লাহ্‌র কাছে) যেতে পারে না। উল্লেখ্য যে ঈসা (আঃ) আল্লাহ্‌ কে পিতা বলে সম্মধন করেছেন। কিন্তু কুরআন মাজীদে আছে আল্লাহ্ পবিত্র।তিনি কাউকে জন্ম দেন নি এবং তাকে কেউ জন্ম দেয় নি।ইসলামী জীবন-ধারার ব্যাখ্যামতে, এই ঈসা (আঃ)ই হলেন খ্রিস্টধর্মমতে যীশু। তাই ধরে নেয়া হয় বাইবেল হলো সেই ইঞ্জিল। কিন্তু ইসলাম, পূর্বতন এসব ধর্মগ্রন্থকে স্বীকৃতি দিলেও সেই যাবতীয় নিয়মকানুনকে রহিত করে শেষ বাণীবাহকের আনা ধর্মগ্রন্থ কুরআন-কে একমাত্র স্বীকৃত ধর্মগ্রন্থ এবং জীবনবিধান হিসেবে স্বীকার করে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইতিহাস অনুযায়ী, যীশুকে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে।

১১ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৩৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ইসলাম বলে না.................. ।

২| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


যীশু আসলে রোমান শাসক ও সামন্তবাদী রাবাইদের বিরুদ্ধে একজন প্রতিবাদী ধর্মীয় বিপ্লবী ছিলেন, মনে হয়।

১১ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৫২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: সব থেকে বড় কথা হলো ভাই তিনি একজন নবী ও রাসুল ছিলেন ।

৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:২১

আবদুল মমিন বলেছেন: ময়য়ের ঘটিত ঘটনা কখন ও তৎসময়ে লিখা হয়না , লিখা হয় তার কিচু সময় পরে । কিন্তু ঘটনা যিনি ঘটান তিনিই সঠিক টা যানেন ।

১১ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৭:০৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আল্লাহু আমাদের সকলকে সঠিক পথ দেখান ।

৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২৯

হানিফঢাকা বলেছেন: প্রথমতঃ
কোরআনে বর্ণিত ঈসা এবং বাইবেলে বর্ণিত জিসাস একই ব্যাক্তি নন। এর স্বপক্ষে প্রচুর প্রমান বিদ্যমান। যে কেউ একটু কস্ট করে পড়ালেখা করলেই বুঝতে পাড়ার কথা।

দ্বিতীয়তঃ

জিসাস সশরীরে স্বর্গ আরোহণ করেননি। বাইবেলের প্রাচীন ম্যানুস্ক্রিপ্ট গুলি একটু অধ্যয়ন করলেই এইটা পাওয়া যাবে। উদাহরণ স্বরুপঃ

১। কোডেক্স সিনাইটিকাস এ মার্ক এর ১৬/৯-১৬/২০ ভার্স নেই। কোডেক্স সিনাইটিকাস । প্রসঙ্গত এইখানে উল্লেখ্য তিনটা সিনপটিক গস্পলের (মার্ক, ম্যথিও, লুক) মধ্যে মার্ক এর গসপল সবচেয়ে পুরাতন। জিসাস সম্পর্কে মার্ক এর গসপলে যা বলা হয়েছে অন্য দুইটা গসপলে তাই বলা হয়েছে (অনেক ক্ষেত্রে হুবুহ কপি করা হয়েছে), কিন্তু মার্কের গসপলে জিসাসের কোন কাহিনী সম্পর্কে বলা হয়নি, কিন্ত অন্য দুইটা গসপলে (ম্যাথিও, লুক) বলা হয়েছে -এমনটা পাবেন না।

২। কোডেক্স সিরিয়াকাস - আরেকটি প্রাচীন ম্যনুস্ক্রিপ্ট। এইখানেও মার্ক এর ভার্স ১৬/৯-১৬/২০ অনুপস্থিত।

৩। চতুর্থ গসপলে জিসাসের সশরীরে স্বর্গ আরোহণের কোন বর্ণনা নেই।

৪। লুক ২৪:৫১ তে বলা হয়েছে, While he was blessing them, he withdrew from them and was carried up into heaven.[p]- লুক ২৪ঃ৫১

এখানে দেওয়া লিঙ্কে গেলে দেখতে পারবেন, ফুটনোট p - তে লেখা আছেঃ
Luke 24:51 Other ancient authorities lack and was carried up into heaven

অর্থাৎ, জিসাসের স্বশরীরে স্বর্গ আরোহণের ঘটনা প্রাচীন ম্যানুস্ক্রিপ্টে ছিল না। এইগুলি পরের দিকে ঢুকানো হয়েছে। এইটাকে বলে ম্যানিপুলেশন

এছাড়াও, তৃতীয় শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত ( ১০০-২৭০) অনেক খৃস্টান স্কলার/ ধর্ম প্রচারককে মার্ক লিখিত তথাকথিত ১৬/৯-১৬/২০ সম্পর্কে কোন রকম মন্তব্য, বর্ণনা করেছেন এই রকম কোন প্রমান নেই।

এছাড়াও আরও প্রমান আছে। আমার মনে হয় এইগুলি যথেষ্ট।
ধন্যবাদ।

১১ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:১৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় হানিফ ভাই । মন্তব্যের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই ভাই আপনাকে ।
সত্যই বলছি ভাই জানা ও শেখার শেষ নাই ।
আপনার দেয়া লিংগুলো আমায় অনেক কিছু জানতে শিখতে সাহায্য করবে নিশ্চয় ।

৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:২১

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: ধন্যবাদ ।

১১ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:১৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভালো থাকবেন ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.