![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সিংহ দরবার হল নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে অবস্থিত রাণা বংশর একটি প্রাসাদ। কাঠমাণ্ডুর মধ্যাঞ্চল তথা বাবর মহল এবং থাপাথালি দরবার তার উত্তরদিকে এবং ভদ্রকালির পূর্বদিকে সিংহ প্রাসাদ অবস্থিত।১৯০৮ সালের জুন মাসে চন্দ্র শামসের জে.বি.আর. এই প্রাসাদটি নিৰ্মাণ করেছিলেন।কুমার নরসিংহ রাণা এবং কিশোর নরসিংহ রাণা এর গাঠনিক রুপাংকন করেছিলেন। পেলেডিয়ান স্থাপত্য, করিনথিয়ান, নব্য ধ্রুপদী স্থাপত্য শৈলীর এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে সিংহ দরবার নিৰ্মাণ করা হয়।১৯৭৩ সালের অগ্নিকাণ্ডের আগে সিংহ প্রাসাদে সাতটি প্রাঙ্গণ এবং ১৭০০ টি কক্ষ ছিল। প্ৰতিটি কক্ষের মেজে মার্বেলের নিৰ্মিত রূপালী আসবাবপত্র এবং স্ফটিক বাতিতে পরিপূৰ্ণ ছিল।
রাজ্য সভাঘর টি সিংহ দরবারের সবথেকে বড় এবং সবথেকে অলংকৃত কক্ষ। এই সভাকক্ষটি বিদেশ থেকে আমদানি করা সামগ্ৰী দিয়ে সজ্জিত যেমন, মুরানো কাঁচ, ক্রিস্টাল বিজলী বাতি, বেলজিয়ান দর্পণ এবং দেওয়াল ও ছাদে খুদিত বিভিন্ন ধরণের ফুলের নমুনার সাথে ইটালিয়ান মাৰ্বলের মেঝে।চন্দ্ৰ শামসের একটা ব্যক্তিগত নাট্যশালা নিৰ্মাণ করেছিলেন যার নাম গেলারী বৈঠক রাখা হয়েছিল।একে সংসদ ভবন হিসেবে ব্যবহার করা হত।
যতদূর জানা যায় প্রধানমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত হবার পরপরই শামসের এই সিংহ প্রাসাদটি নিৰ্মাণ করেছিলেন। প্রথমে এটি ছিল একটি ছোট্ট ব্যক্তিগত বাসগৃহ, কিন্তু নির্মাণের সময় একে বৃদ্ধি করা হয়। নির্মাণের পরপরই শামসের এই সম্পত্তি নেপাল সরকারকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসগৃহ হিসেবে ২০ মিলিয়ন নেপালী টাকায় বিক্রয় করে দেন।১৯২৯ সালে তার মৃত্যুর পর সিংহ দরবার রাণা বংশের প্রধানমন্ত্রীদের সরকারি বাসগৃহ হিসেবে ব্যবহার করা হত । সিংহ দরবার দখল করা রাণা বংশের শেষ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মোহন শামসের জে.বি.আর। এমনকি ১৯৫১ সালে রাণা বংশ ক্ষমতাচ্যুত হবার পরও মোহন শামসের সিংহ দরবারে ছিলেন কিন্তু ১৯৫৩ সালে সিংহ দরবার জাতীয় সম্পত্তি হিসেবে পরিগণিত হওয়ায় তাকে সিংহ দরবার ছেড়ে যাবার জন্য সরকারিভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়।
বংশগত প্ৰধানমন্ত্ৰী পদ্ধতির অবসান ঘটার পর নেপাল সরকার এই প্রাসাদটিকে সরকারি কাৰ্যালয় গৃহ হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করেছিল। প্রাসাদটিকে নেপাল সংসদের প্ৰতিনিধি সভা এবং রাষ্ট্ৰীয় সভার দ্বারা দখল করা হয়েছিল। এতে ২০ টি মন্ত্ৰণালয় এবং সরকারি কাৰ্যালয় রাখা হয়েছে। সিংহ দরবার রেডিও নেপাল এবং নেপাল দূরদর্শন এর প্ৰধান কাৰ্যালয়ও।১৯৭৩ সালের ৯ জুলাই সোমবার সিংহ প্রাসাদে ভয়ানক অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল যার ফলস্রুতিতে সিংহ প্রাসাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে নেপালে সংঘটিত ভূমিকম্পেও সিংহ প্রাসাদ মারাত্মকভাবে ক্ষতি হয়েছিল ।
০২ রা আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৩৪
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: বরাবরের মতো মন্তব্য করে লেখায় উৎসাহ দেয়ায় অনেক ধন্যবাদ আনু ভাই ।
২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:০৭
রাকিবুল হাসান অনিক বলেছেন: ধন্যবাদ সিংহ দরবার নিয়ে পোস্ট দেয়ার জন্য
০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:১২
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ রাকিবুল ভাই।
৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:১৩
কিছু বলার বাকি বলেছেন: গত এপ্রিলে নেপাল গিয়েছিলাম কিন্তুু বন্ধের দিন থাকায় ঢুকতে পারিনি ।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:১৪
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ কিছু বলার বাকি । সম্ভব হলে আবার যেয়ে দেখে আসবেন ।
৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
এসব দেশে সুন্দর বিল্ডিং আছে, কিন্তু সেখানে অমানুষরা স্হান করে নিয়েছে।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:১৫
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই । পরে আবার কি বললেন এটা ভাই
৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:১৯
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:১৬
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২৭
প্রামানিক বলেছেন: সিংহ দরবারের বিষয়ে জানতে পেরে ভাল লাগল।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:১৬
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।
৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:৩৭
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ভালো লাগল জেনে এ ভবন সম্পর্কে । তবে মনে হচ্ছে আপনার লেখার ফ্রন্টে কিছুটা ঝামেলা পেকেছে, সময় করে ফ্রন্ট ঠিক
করে নিয়েন ।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:১৮
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগ সার্চম্যান । ২য় বর্ষের শুভেচ্ছা ।
৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:৩২
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার বিষয় জানা হলো ।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:১৮
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মামুন ।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৩১
আনু মোল্লাহ বলেছেন: সিংহ দরবারের বিষয়ে জানতে পেরে ভাল লাগল। আপনার ইতিহাস সচেতনতা আমার খুব পছন্দের।
ভাল থাকুন।