নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইয়াজিদি বা এজিদি কুর্দি নৃ-ধর্মীয় গোষ্ঠী লোকদের কিছু কথা

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৭


ওপরের ছবিটাতে আমরা সিনজার উপত্যকা,ইরাক সিরিয়ার সীমান্ত থেকে নেয়া ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের কিছু ইয়াজিদি বা এজিদি কুর্দি নৃ-ধর্মীয় গোষ্ঠীর লোকদের দেখতে পাচ্ছি।
ইয়াজিদি বা এজিদি হচ্ছে একটি কুর্দি নৃ-ধর্মীয় গোষ্ঠী এদের রীতিনীতির সাথে জরথুস্ত্র ধর্মমতের সাদৃশ্য রয়েছে। ইয়াজিদিগণ প্রধানত উত্তর ইরাকের নিনেভেহ প্রদেশে বসবাস করে থাকেন।অ্যামেরিকা, জর্জিয়া এবং সিরিয়াইয় বেশ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইয়াজিদিদের সাক্ষাৎ মেলে। ১৯৯০ সালের দিকে ইয়াজিদিদের একটা অংশ ইউরোপে বিশেষ করে জার্মানীতে অভিবাসিত হয়।ইয়াজিদি ধর্মীয় গোষ্ঠীর লোকেরা বিশ্বাস করেন ঈশ্বর পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি সাতটি পবিত্র জিনিস বা ফেরেশতার মাঝে এটাকে স্থাপন করেছেন। এই সাতজনের প্রধান হচ্ছেন, মেলেক তাউস,ময়ূর ফেরেশতা। ইয়াজিদিদের বর্ণিত তাউসের সাথে ইসলাম ধর্মে বর্ণিত শয়তানের সাদৃশ্য পাওয়া যায়। এমনকি স্বর্গ থেকে শয়তান এবং তাউসের বিতাড়নের কাহিনী একই, আদমকে সিজদা না করার সাথে মেলে ।

এটা হল লালিসে অবস্থিত সেক সাদির মাজারে একটা ছবি
ইয়াজিদি লোকদের ধর্মীয় রীতিনিতি
ইয়াজিদিদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবের একটি হচ্ছে ইরাক এর উত্তর মসুলের লালিস এ অবস্থিত শেখ আদি ইবনে মুসাফির অর্থাত সেক আদি এর মাজারে সাতদিনের তীর্থভ্রমণ পালন করা।যদি সম্ভব হয় প্রত্যেক ইয়াজিদি তাদের জীবদ্দশায় একবার সেক সাদির মাজারে তীর্থভ্রমণের চেষ্টা করতে বলা হয়েছে। তীর্থভ্রমণের সময় তারা নদীতে গোছল করেন। তাউস মেলেকের মূর্তি ধৌত করে এবং শেখ সাদির মাজারে শত প্রদ্বীপ জ্বালায়। আর সেই সময় তারা একটি ষাঁড় কুরবানী করেন।
ইয়াজিদিরা দিনে পাঁচবার প্রার্থনা করেন।
১। নিভেজা বেরিস্পেদে এটা হল তাদের ভোরের প্রার্থনা।
২। নিভেজা রোঝিলাতিনে,এটা হল সূর্যোদয়ের প্রার্থনা।
৩। নিভেজা নিভ্রো এটা হল তাদের দুপুরের প্রার্থনা ।
৪। নিভেজা এভারি এটা হল তাদের বিকেলের প্রার্থনা।
৫। নিভেজা রোজাভাবুনে এটা হল সূর্যাস্তের প্রার্থনা।
অবশ্য বর্তমানে ইয়াজিদি লোকেরা শুধুমাত্র সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের এই দুটি প্রার্থনা করেন।সূর্যোদয়ের প্রার্থনার সময় ইয়াজিদিগণ সূর্য পূজারীদের মত সূর্যের দিকে আর সূর্যাস্তের নামাজের সময় লালিস এর দিকে মুখ করে থাকে। দিনের সকল প্রার্থনা তাদের সূর্যের দিকে ফিরে পড়া হয়। বহিরাগতদের উপস্থিতিতে দিবসের প্রার্থনা হয় না। বুধবার হচ্ছে তাদের পবিত্র দিন এবং শনিবার বিশ্রাম দিবস। ডিসেম্বর মাসে তারা তিন দিনের রোজা রাখেন।

তথ্যসূত্রঃ Click This Link
Yezidi Religious Tradition

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

এ আর ১৫ বলেছেন: ইয়াজিদিরা সুর্যের পুজা করে তাই সুর্যালোকে আসা , দিনের বেলা ঘর থেকে বের হওয়া হারাম ও শিরিকি --- বিস্তারিত জানতে হলে নীচের লিংকে ক্লিক করুন প্লীজ ----ধন্যবাদ

Click here to read the link about this ---- :) :) :)

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০৬

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ জানানোর জন্য । জানলাম :)

২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: কত কিছু যে জানি না।
বার বার নিজের অজ্ঞতার জন্য নিজের কাছে নিজেকে ছোট লাগে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৭

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: জানার শেষ নেই ভাই রাজীব।

৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫০

বার্নাবাস বলেছেন: তারমানে এরা সস্ত্যিই শয়তানের পুজারি!!!

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭

হাঙ্গামা বলেছেন: জানলাম, শিখলাম

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: জানার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫

রুরু বলেছেন: ভালো লাগলো।।

৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৬

হাসান৬৭৬ বলেছেন: তথ্য মূলক পোস্ট।ধন্যবাদ।

৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৯

শাহিন বিন রফিক বলেছেন: শিক্ষামূলক পোস্ট ভাল লাগল।

৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রাচীন একই কাহিনী স্হান ও পাত্র ভেদে আলাদা আলাদাভাবে পরিবেশীত হয়েছে।

৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:২৮

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: দারুন সব ঘটনা উঠে আসছে। :)

১০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১০

প্রামানিক বলেছেন: জেনে ভালো লাগল। ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.