নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অমর জেলিফিস যা যৌন পূর্ণতাপ্রাপ্তির পরও নিজেকে সম্পূর্ণভাবে একটি যৌন অপূর্ণাঙ্গ রূপান্তরিত করার ক্ষমতা রাখে

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:১১


অমর জেলিফিস বা টুরিটোসিস ডোরনি যা জেলিফিসের একটি প্রজাতি। ছোট ছোট এই জেলিফিস জৈবিকভাবে এবং ভূমধ্য সাগর এবং জাপান এর জলে ভিতরে পাওয়া যায়। সাধারণত জানামতে এটাই এমন একমাত্র প্রাণীর উদাহরণ যা যৌন পূর্ণতাপ্রাপ্তির পর নিজেকে সম্পূর্ণভাবে একটি যৌন অপূর্ণাঙ্গ বা ঔপনিবেশিক পর্যায়ে রূপান্তরিত করার ক্ষমতা রাখে।অধিকাংশ অন্যান্য হাইড্রাজোনদের মতো অমর জেলিফিস প্লানুলা নামেও পরিচিত স্বাধীন সাতুরে ক্ষুদ্র শুককীট হিসাবে তাদের জীবন শুরু করে।আর এই প্লানুলাগুলি থিতিয়ে পড়ে সমুদ্রের তলের সাথে সংযুক্ত হয় এবং পলিপের একটি উপনিবেশ তৈরি করে। আর সেই পলিপগুলি ব্যাপকভাবে শাখা প্রশাখাপূর্ণ একটি বিন্যাস গঠন করে যা সাধারণত অন্যান্য বেশিরভাগ জেলিফিস প্রজাতির মধ্যে দেখা যায় না। মেডুসি নামে পরিচিত জেলিফিস তারপর পলিপ থেকে কুঁড়ি নিঃস্বরনের মাধ্যমে মুক্ত সাতুরে জীবন পায় এবং এক সময় তা যৌন পরিপক্কতা লাভ করে। যৌন পরিপক্ব অবস্থায় তারা খুব দ্রুত অন্য প্রজাতির জেলিফিস শিকার করে।

সমস্ত পলিপ এবং একটি নির্দিষ্ট প্লানুলা থেকে উদ্ভূত সকল জেলিফিস জেনেটিকভাবে অভিন্ন ক্লোনস হয়। একটি অমর জেলিফিস যখন পরিবেশগত চাপ বা শারীরিক অচলবস্থার সম্মুখীন হয় অথবা অসুস্থ বা বয়স্ক হয়ে পড়ে সেটি তখন নিজেকে পলিপ পর্যায়ে রূপান্তরিত করে একটি নতুন পলিপ উপনিবেশ বিরচন করতে পারে।কোষ উন্নয়ন প্রক্রিয়া ট্রান্সডিফারেন্সিয়েশনের মাধ্যমে এটি সম্ভব হয় যা কোষের ডিফারেন্সিয়েটেড অবস্থার পরিবর্তিত করে নতুন ধরনের কোষে রূপান্তরিত করে।তাত্ত্বিকভাবে অনির্দিষ্টকাল ধরে এবং কার্যকরভাবে এই প্রক্রিয়া চলতে পারে বলে অমর জেলিফিস জৈবিকভাবে অমর। প্রকৃতিতে অধিকাংশ অমর জেলিফিস শিকারের বশীভূত হয় বা রোগের কারনে মেডুসা পর্যায় থেকে পপিপ অবস্থায় পরিবর্তন হতে পারে না।জীবনচক্রের মেডুসা ধারায় থাকার সময় এটি দেখতে একটি ঘণ্টার মতো হয়,আর আস্তে আস্তে পলিপয়েড ধারার দিকে যেতে থাকে আকৃতি ছোট হতে থাকে এবং এক সময় মাত্র ১ মিলিমিটার বিশিষ্ট জেলিফিশে রূপান্তরিত হয়। এ সময়ে এদের শরীরে নরম অস্থিবিহীন শুঁড়ের সৃষ্টি হয়। কোনো কোনোটাতে আটটি পর্যন্ত শুঁড় দেখা যায়। এই শুঁড়গুলো আবারো এক পর্যায়ে এসে মেডুসায় রূপ নেয়। ফলে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আপাতদৃষ্টিতে এদের মৃত্যু নেই।কিন্তু তাই বলে এরা যে মৃত্যুর ধরাছোঁয়ার বাইরে তা কিন্তু নয়।
তথ্যসূত্রঃ
Turritopsis dohrnii (Weismann, 1883)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: ওনেক আগে বিজ্ঞানের বইতে পড়েছিলাম।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আবারো পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০২

নিউ সিস্টেম বলেছেন: পড়লাম।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০৯

আবু তালেব শেখ বলেছেন: মানুষ এটা আশা করে

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: |-)

৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৫৯

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ভালো....................... B:-)

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: 8-|

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.