নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি ইটের জবাব পাথ্থরে পেয়েছি

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৪২


আমার মনে যদি মহৎত্ব থাকে তাহলে কেউ আমকে যত বড়ই আঘাত করুক
আমি তাকে ক্ষমা করে দিবো।আর যদি আমার মনের ভিতর কোন মহৎত্বে গুনাগুন
না থেকে,জ্বলে প্রতিশোধের অগ্নিশিখা তাহলে ক্ষমা নয় বরং ক্ষমার বদলে যে আমায়
আঘাত করেছে তাকে তো মারবই বরং তার আছে পাশে থাকা অর্থাৎ তার সাথে
বন্ধুত্বপরায়ণ থাকা লোকদেরও আমি মেরে আলুর ভর্তা বানাবো।তা যে করেই হোক,
যাকে বলে কঠিন প্রতিশোধ।আর এ কাজটা আমিই না শুধু যে কোনও মানুষেই করবে।
যেমন বিষাক্ত সাপকে আমি যদি না দেখে না বুঝে আঘাত করি তাহলে যে সাপটি আমার
জন্য আঘাত প্রাপ্ত হবে,সে সাপটি যে করেই হোক সে আমাকে ছোবল দিবেই তার আঘাতের
প্রতিশোধ নেবার জন্য ।আমি যখন ক্লাস ফোরে পড়ি তখন একবার আমার এক ক্লাসমেটের সাথে
আমার ঝগড়া হয় এবং হাতাহাতিও হয় একপর্যায় আমি আমার সে ক্লাসমেটের সাথে হাতাহাতি
লড়াইয়ে পেরে ওঠছিলাম না,পরে সে ক্লাসমেটকে আমি একটা ইতের কণা দিয়ে ঢিল মেরে তার
মাথা ফাঁটিয়ে দিয়েছিলাম।তার পর সে স্কুলের স্যারকে বিচার দিলেন,স্যার সে জন্য আমাকে বেশ
বেতআঘাতও করেছিলেন কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয়নি।আমার ক্লাসমেট তার মনের ভিতর খোব
বেঁধে রাখলেন যেভাবেই হোক তাকে মারার প্রতিশোধ সে নিজে হাতেই নিবে,এবং সেটা সে করেছিল
প্রায় চার পর।একদিন আমি তখন ক্লাস সেভেনে পড়ি,আমি জানতাম না সেটা ওদের বাড়ি ছিল,আমি
এক বিকেলে তাদের সেই বাড়ির পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি,হঠাৎ আমার মাথার পিঁছন থেকে কে যেন একটা
ছোট পাথরের টুকরো দিয়ে ঢিল ছুঁড়লো,আমি ততখনা বসে পড়ি পরে মাথার পিঁছনে হাত দিয়ে দেখি আমার
মাথা থেকে গাড় বেয়ে রক্তে ভেসে যাচ্ছে ।আমি ও ভাবে অনেকক্ষন মাথা ধরে বসে থাকার পর দেখলাম পাশে
থেকে একজন লোক দৌঁড়ে ছুঁটে আসল এবং সে আমাকে ওখানেই একটু দূরে থাকা একটা ডাক্তারের
দোকানে নিয়ে সেলাই দিয়ালেন এবং ওষুধ কিনে দিলেন।আমি ডাক্তারকে টাকা দিতে চাইলে সে টাকা দিতে দিল
না,বরং আমাকে আরো কিছু ফল কিনে দিতে চাইলেন কিন্তু আমি নিলাম না।পরে আমি তাকে প্রশ্ন করলাম আপনি
ডাক্তারের কাছে নিয়ে আমার মাথা সেলাই করালেন টাকা দিতে দিলেন না আবার ফলও কিনে দিলেন কিন্তু এর
কারনটা কি আঙ্কেল আমাকে একটু খুলে বলবেন আঙ্কেল ? বা আপনি কি আমাকে আগে থেকেই চিনেন ? পরে উনি
আমাকে বললেন বাবা আমি তোমাকে চিনি না তবে তোমার মাথার এই অবস্থা যে করেছে তাকে আমি চিনি ।
আমি বললাম কে সে ? উনি আমাকে দেখিয়ে দিলেন যে আমার মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করেছে তাকে আর বললেন
এই ছেলেটা আমার,কিন্তু নিজের ছেলে বলে বলছি না,ও কিন্তু এমন দুষ্ট কখনই করে না,কিন্তু সে যে কেন তোমার মাথায়
আঘাত করল বুঝতে পারছি না।কিন্তু সেদিন উনি না বুঝলেও আমি বুঝেছিলাম সে ছেলেটি ইটের জবাব পাথর ছুঁড়ে আমার
কাছ থেকে আদায় করে নিয়েছিল।

পৃথিবীটা একটা আজব জায়গা ।মাইরের বদলে মাইর,ইঁট ঢিলের বদলে পাথরের ঢিল।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সত্যি পৃথিবীটা আযব। কেউ ক্ষমা করে , কেউ কঠিন প্রতিশোধ নেয়।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আসলে সবই পৃথিবীর বিচিত্র চরিত্র।

২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২

আখেনাটেন বলেছেন: প্রতিশোধ পরায়ণতা মানুষের একটি পাশবিক বদগুণ। খুব কম মানুষই পারে এর থেকে মুক্ত হতে। কাউকে ক্ষমা করা সহজ কাজ নয়। যে পারে সে নিঃসন্দেহে মহৎ।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আমিও এখানে মহৎ এর গুনগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমরা অনেকেই জানিনা ক্ষমার ভিতরেই আসল মহৎ ।
হিংসা প্রতিহিংসা বা প্রতিশোধে কোন মহৎ নেই আছে শুধুই ধ্বংস।

৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: মাইরের বদলে....... B-)

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: মাইর।

৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি তো বুঝার শুরু করেছেন, স্কুলে ভর্তি হবার সময় হয়েছে।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আপনি পাঠশালা খুলেন আমি সে পাঠশালা প্রথম ছাত্র হবো ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.