নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজিয়া সুলতানা ভারতবর্ষের প্রথম নারী শাসক

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ২:০০


রাজিয়া সুলতানা যিনি ছিলেন,সুলতান ইলতুতমিশের কন্যা এবং তিনিই ছিলেন এই ভারতবর্ষের প্রথম নারী শাসক। তিনি একাধারে একজন ভাল প্রসাশক এবং সেনাপতি ছিলেন । তাছাড়াও যুদ্ধক্ষেত্রে একজন দক্ষ সৈন্য হিসেবেও তার পরিচিতি ছিল। সুলতান ইলতুতমিশের সবথেকে যোগ্য পুত্র সুলতানের জীবদ্দশায় মৃত্যু বরণ করলে সুলতান তার কন্যা রাজিয়া সুলতানাকে দিল্লির শাসক হিসেবে মনোনিত করে যান। যখনই ইলতুতমিশের রাজধানী ছাড়তে হত, তিনি তখন তার কন্যা রাজিয়া সুলতানাকে শাসনভার বুঝিয়ে দিয়ে যেতেন। রাজিয়া ছিলেন সুলতানের জ্যেষ্ঠা কন্যা, বুদ্ধিমতী ও যুদ্ধবিদ্যায় পটু।সুলতানের মৃত্যুর পর তার আরেক পুত্র রোকনুদ্দিন ফিরোজ দিল্লির শাসন কেড়ে নেন এবং প্রায় সাত মাসের মত শাসন করেন। ১২৩৬ সালে দিল্লির জনগনের সাহায্য নিয়ে রাজিয়া সুলতানা তার ভাইকে অপসারণ করে ক্ষমতায় আরোহন করেন।রাজিয়া সুলতানা সম্রাজ্যে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন। শাসনকার্য দৃঢ়ও ভাবে পালন করার জন্য তিনি নারীত্বের আবরণ পরিত্যাগ করেন এবং পুরুষের পোশাক গ্রহণ করেন। এই পোশাকে তিনি জনসম্মুখে, প্রশাসনে এবং যুদ্ধক্ষেত্রে আসতেন। ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে রাজিয়া জালাল উদ্দিন ইয়াকুত নামক একজন ইথিওপিয়ান দাসকে নিয়োগ দেন। ইয়াকুতকে তিনি অত্যন্ত বিশ্বাস করতেন। এর ফলে তুর্কিরা রাজিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নামেন। ১২৩৯ সালে লাহোরের তুর্কি গভর্নর বিদ্রোহ করে। রাজিয়া তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে, গভর্নর প্রথমে পালিয়ে যান এবং পরে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তারপর ভাতিন্ডার গভর্নর বিদ্রোহ করেন। রাজিয়া যখন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত হচ্ছিলেন তখন তার তুর্কি কর্মকর্তারা তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারন করে এবং তার ভাই বাহারামকে সুলতান ঘোষণা করে। রাজিয়া ভাতিন্ডার গভর্নরকে বিয়ে করে তার সাহায্যে ক্ষমতা ফিরে পাবার চেষ্টা করেন। কিন্তু রাজিয়া সুলতানা পরাজিত হন এবং পলায়ন করেন। নারী হওয়ার কারনে এবং প্রকাশ্যে পর্দাপ্রথার বিরোধী হয়ে শাসনকাজ পরিচালনা করার জন্যে উলেমা ও প্রভাবশালী শ্রেনীর বিরাগভাজন হয়েছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত ছিল। এরকম নানান ষড়যন্ত্রের একটি অংশ ছিলো চল্লিশ জন ক্রীতদাসদের সমন্বয়ে গঠিত চল্লিশ চক্র বা তার্কান-ই-চিহালগানী। ১২৪০সালে পলায়নকালে তার একজন ভৃত্য যে কিনা এই চক্রের অন্তর্ভুক্ত ছিল তাকে খাদ্যে বিষ দিয়ে হত্যা করে। এই ভৃত্যই তাকে আশ্রয় দিয়েছিল।
রাজিয়া সুলতানার সমাধিস্থল নিয়ে বিতর্ক আছে। একটি মত অনুসারে তার দেহ হরিয়ানার কোইথালে সমাধিস্থ আছে, অপরদিকে মনে করা হয় তার সমাধি পুরোনো দিল্লীর বুলবুল-ই-খানা মহল্লায় আছে। পুরোনো দিল্লীর সমাধিটি বর্তমানে ভারতীয় পুরাতত্ব সর্বেক্ষণ দ্বারা সংরক্ষিত হলেও অত্যন্ত অবহেলিত এবং অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় বিদ্যমান।

তথ্যসূত্রঃইন্টারনেট।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ২:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভারতে তুর্কিদের জীবন ও ইতিহাস বেশ উল্লেখযোগ্য

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ২:১৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: সেটাই দেখছি ভাই।যতই হাতাই ততই বেশি বেশি হাত বুলাইতে নম চায়।

২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ২:৫৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বর্তমান ভারতীয় সরকার মুসলিম শাসকদের ইতিহাসকে সামনে আসতে দিচ্ছে না...

২৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: সত্য কখনো চাপাও থাকেনা ভাইজান।

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:০৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, ইতিহাসের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য।
অজানাকে জানতে পারলে আমার খুবই আনন্দ হয়, এখনও হচ্ছে।

শুভকামনা আপনার জন্য

২৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন।

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:৫১

এম ডি মুসা বলেছেন: রাজিয়া সুলতানা ইতিহাস তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ!!

২৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মুসা।

৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:৫৯

মলাসইলমুইনা বলেছেন: ভালো লাগলো ইতিহাসের একটা প্রায় ভুলে যাওয়া অধ্যায় আপনার লেখায় আমাদের জানিয়েছেন দেখে | ভারতে মুসলিম রাজত্বেও ইতিহাসে সুলতানা রাজিয়ার শাসন খুবই অসাধারণ আর গৌরবের একটা অধ্যায় |

২৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই নাইমুল ইসলাম।

৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:৪৮

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: ভাল লাগলো

৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটির জন্য। তবে একটা বিষয় আমরা জানি যে ভারতের প্রথম মহিলা শাসক ছিলেন সমুদ্র গুপ্তের নাতনী প্রভাবতী গুপ্ত (৩৮৫-৪০৫)খ্রীঃ শাসন করেছিলেন দ্বিতীয় রুদ্রসেনের মৃত্যুর পর বাকাটক সাম্রাজ্য। দেবসেন ও ধর্মসেন নামে দুই নাবালক পুত্র হওয়ায়,মাকে সেদিন এগিয়ে আসতে হয়েছিল।২-রাজিয়া পুরুষালি বেশে ঘুরে বেড়াতেন এবং নিজেকে সুলতান বলতেন।এ কারনে বোধহয় সুলতান রাজিয়া হবে। ৩-ভাতিন্ডার শাসক আলতুনিয়াকে তিনি বিবাহ করেছিলেন।
শুভেচ্ছা রইল।

৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হিন্দুত্ববাদীরা যখন হিন্দ্ববোধে চেতনা জাগ্রত করে তখন আমাদের মহৎ ইতিহাস চর্চায়ও এক শ্রেণী মৌলবাদীতা খুঁজে পায়!

আত্মপরিচয়হীন তাদের প্রতি একরাশ ঘৃনা!
অবহেলীত সমাধীর মতো মুসলিম ইতিহাসও আজ বিশ্ব জুড়ে অবহেলিত!


+++++++

৯| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৪৪

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ ঠাঠা ভাই হারিয়ে যাওয়া পুরনো ইতিহাস নতুন করে জানানোর জন্য। সাথে বিদ্রোহী ভৃগু ভাইজানের কমেন্টকে
লাইক দিলাম। :)

১০| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫২

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: বর্তমান ভারতীয় সরকার মুসলিম শাসকদের ইতিহাসকে সামনে আসতে দিচ্ছে না পক্ষান্তরে ভারতীয় মুসলিম শাসকদের জুলুমবাজ হিন্দু নিগ্রহকারী হিসেবে আখ্যায়িত করছে।

১১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: রাজিয়া সুলতানা ভারতবর্ষের প্রথম নারী শাসক ছিলেন,জানা ছিল না।

১২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২৬

ক্স বলেছেন: পদাতিক চৌধুরী, ইতিহাসে প্রভাবতী গুপ্তকে কনসর্ট কুইন বলা আছে। তিনি নাবালক পুত্র রুদ্রসেনকে সিংহাসনে বসিয়ে রাজ্যভার সামলাতেন। তাই তিনি আসলে সেই অর্থে রাণী নন। ভারতের হাজার বছরের ইতিহাসে রাজিয়া এবং মণিকর্ণিকা ছাড়া সিংহাসনে বসা কোন রাণী খুঁজে পাওয়া যায়না। আরেকজন আছেন অবশ্য - মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের তৃতীয় স্ত্রী মেহেরুন নিসা। তিনি খুব অল্প সময়ের জন্য দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন বলে জানা যায়।

১৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১১

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার একটা অজানা ইতিহাস জানলাম।

১৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ভালো লাগল ।

১৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এমন স্বাস্থ্যকর আলোচনার জন্য পোস্টটির লেখক, পাঠক সকলকে ধন্যবাদ।ক্স স্যারের মন্তব্যে অনুপ্রানিত হয়ে বলতে চাই, ভারতের প্রথম মহিলা শাসক কে তা নিয়ে মতানৈক্য থাকতেই পারে। তবে পেটিকোর্ট বা অন্তপুরের বা প্রমীলারাজ যাই বলুন বিষয়টি মূল ট্রপিক থেকে সরে যাচ্ছে। তবে এভাবেও সাম্রাজ্য শাসিত হয়েছে। বৈরাম খাঁকে ছুটি দিয়ে আকবরকে সামনে রেখে হামিদাবানু (১৫৫৬-৬০)খ্রীঃ শাসনকাজ সামলে ছিলেন।আর মেহেরুন নিসার কথা তো আপনি বললেন।
শুভেচ্ছা পুনশ্চঃ

১৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৪৬

সঞ্জীব ব্যানার্জী বলেছেন: সেকাল একালের পার্থক্য অনেক... তখন একনায়কতন্ত্রী কিমবা দলগত কিমবা বংশগত শাসন উত্তরাধীকার ছিল। এখন গনতান্ত্রীক প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বারেবারে নেতা নেতৃদের দারা রাজনীতি পিটুনি খেয়ে নিজের রুপ হারিয়েছে। ভারতবর্ষে মুঘল আমল, খিলজি আমল, সিরাজ আমল সবই সন্মানীয় ছিল। তারা সকলেই মুসলিম ছিলেন। এখন আর রাজার শাসন নেই তবে তাঁরা যা দিয়ে গেছেন সেটা অনেক ও আজও সর্বজনবিদিত। বর্তমান ভারতে মুসলিমদের সংখ্যা প্রচুর.. তাই তাদের আচার আচরন মিশে গেছে দেশের ধুলোয় ধুলোয়। তাদেরকে আজও সন্মান দেওয়া হয়। আজও এখানকার দুরদর্শনে পরিবারের সঙ্গে সকলে ** যোদ্ধা আকবর ** দেখে।

১৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:১৬

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: সে-ই যথারীতি প্রিয়তে............

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.