![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সারাদেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিচ্ছে! নতুন করে রিপেয়ার করা রাস্তায় মাছ ধরিবার কারো সাধ হইতেও পারে। বৃষ্টি বড় নিমকহারাম! চলাচলকারী যানবাহনেরও দু'চোখে চর্ম নাই; কেবল ভাসাইতে জানে।
আজিজুল ভাইকে শুধোলেন শামসু ভাই, কেমন বুঝছেন দেশের রাজনৈতিক অবস্থা?
কী আর বলবো? শুনলাম, আমার গ্রামে এক গৃহস্থের ক্ষেতে এবার ধান হয়েছে সুন্দর। ধান কাটার পর তার কাছে চাঁদা চাওয়া হয়েছে ১০ হাজার। কেন চাঁদা? চাঁদা দিতে হবে কেননা তোমার ক্ষেতে ভাল ধান হয়েছে।
আজিজুল ভাই তার মুখটা খুবই রুক্ষভাবে তুলে ধরলেন।
আপনি তো এই কথা বললেন, আমার পাড়ার এক ভাড়াটিয়া সেদিন হাত দুটি ধরে কেঁদে ফেললেন। জিগ্যেস করলাম, কী হয়েছে?
তিনি বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে বললেন, আপনাদের ছায়ায় থাকবো বলে বাসাখানি ভাড়া নিয়েছিলাম। এখন -ওরা- বলে প্রতি মাসে তাদের হাত খরচ দিতে হবে। মেয়েটা স্কুলে যাবার পথে প্রতিনিয়ত তাদের অশালীন শব্দ আর বাক্যবাণে জর্জরিত। সামনের মাসে চলে যাচ্ছি এখান থেকে...
শামসু ভাই তাকে কোন আশ্বাস দিতে পারেননি। বরঞ্চ অসহায়ত্বের কথাই প্রকাশ তার গলায়, আমরা কীভাবে মাথা নিচু করে এলাকায় চলছি দেখেননি। কার সাথে গায়ের ছোঁয়া লাগবে, কে গলায় দা ধরবে- এই ভয়েই কাটছে সময়।
আমরা বেশ ভাল আছি।
একজন রিকশাচালকের ৬ সন্তান। ছোট্ট একখান ঘর ভাড়া নিয়ে থাকেন। আগে তাকে সওয়ারি নেবার জন্য রাস্তায় উদগ্রিব দেখেছি। এখন তার ছেলে দু' তিনটে বড় হয়েছে। বেশ দামি জিন্স পরে। হাতে আছে ব্রেসলেট। হাল স্টাইলে চুলের ছাঁট দেয়া। সে গা সাঁটা টাইট টি শার্ট। প্যান্ট কোমর থেকে বেশ খানিকটা নিচে ...এটা স্টাইল। লম্বা একটা স্লিপার, দাম দেড় থেকে দু' হাজার টাকা। রিকশাচালক সেই মানুষটা এখন তেমন একটা সওয়ারি নিতে চাননা। নিজের চা-নাশতা-সিগ্রেট আর মালিকের ভাড়ার টাকা পেলেই হলো।
সন্তানরা কেউ লেখাপড়া করে না। দামি মোবাইলফোন হাতে তাদের। তারা সরকারি দলের ছাত্রসংগঠন করে। টেন্ডার-ঠেকা ইত্যাদি কাজে ব্যস্ত। বড়ভাইরা দাদের দেখে, ওরাও বড়ভাইদের সহায়তা করে।
মাঝেমধ্যে বেশ দামি মোটরসাইকেলে চড়তে দেখা যায়।
রিকশাচালক বাবা যে বাসা ভাড়া নিয়ে আজ দশ বছর এখানে সময় পার করছেন, এখনও সেখানে আছেন । ছেলেদের এই অংশটা রাতে অন্য কোথাও থাকে-অন্য কিছু করে। তবে, আয় রোজগার মনে হয় বেশ ভালোই!
ভাল থাকি সবাই!!!
©somewhere in net ltd.