![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যশোর: কাউন্সিলর জুলফিকার আলী জুলুর ওপর হামলা চালিয়েছেন যশোর পৌরসভা কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর পৌর মেয়র তাৎক্ষণিক সভা করে তদন্ত কমিটি গঠন এবং মনিরুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করেছেন। তদন্ত কমিটি গঠন ও কারণ দর্শানোর নোটিশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর পৌরসভার মেয়র মারুফুল ইসলাম।
যশোর পৌরসভার কাউন্সিলর মোকসীমুল বারী অপু জানান, যশোর পৌর এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলের বেশকিছু সড়ক বাতি নষ্ট হয়ে রয়েছে। ঈদ ও পূজার জন্য দ্রুত এ বাতিগুলো লাগানোর জন্য বলে আসছেন কাউন্সিলররা।
কিন্তু বাতি লাগানোয় গাফিলতির কারণে দুপুরে কয়েকজন কর্মচারীকে বকাঝকা করেন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অ্যাড. জুলফিকার আলী জুলু।
এরপরই পৌরসভা কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে কয়েকজন কর্মচারী জুলুর ওপর চড়াও হয়ে তাকে মারপিট করেন। এ সময় কাউন্সিলর অপুসহ কয়েকজন জুলুকে রক্ষা করেন।
ঘটনার পর পৌর মেয়র মারুফুল ইসলাম জরুরি সভা করেন। সভায় পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ হাসানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়াও পৌর কর্মচারি মনিরুল ইসলামকে কারন দর্শানোর নোটিশ করে ১০ দিনের মধ্যে জবার দিতে বলা হয়েছে।
পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার আলী জুলু সাংবাদিকদের জানান, সড়ক বাতি না থাকায় গত তিনদিনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে তিনটি ছিনতাই হয়েছে। ছুরিকাঘাতের ঘটনাও ঘটেছে। এ কারণে বাতিগুলো মেরামত করতে বলায় মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে তার ওপর হামলা চালানো হয়।
যশোর পৌরসভার একটি সূত্র জানায়, কর্মচারি ইউনিয়নের নেতা মনিরুল ইসলাম এ দপ্তরে বিভিন্ন কাজে আসা মানুষের কাছ থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে অর্থ আদায় করে আসছেন। দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি বিশাল সম্পদেরও মালিক হয়েছেন। একাধিকবার তিনি দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হন। অনেকদিন ‘সাসপেন্ড’ ছিলেন। তবে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে প্রতিবারই তিনি তার অপকর্ম ধামাচাপা দিতে সামর্থ্য হন।
©somewhere in net ltd.