নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন আর বাস্তবতা- ঘুমভাঙা সকালের মতো

তৌহিদ জামান73

বাইসাইকেলও কখনো কখনো সুখকর স্মৃতি হয়ে যায়!

তৌহিদ জামান73 › বিস্তারিত পোস্টঃ

মা দিবস

১১ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪





মে মাসের দ্বিতীয় রোববার মা দিবস। বাংলাদেশের অনেক মানুষের জন্য দিনটি তেমন গুরুত্ব বহন করে না। কেননা তারা অহরহ মায়ের সান্নিধ্য পেয়ে থাকেন। যারা প্রতিদিন মায়ের স্নেহ ভালবাসা আদর পেয়ে অভ্যস্ত-তাদের কাছে এই মা দিবস এক ধরনের বিলাসিতা বা আদিখ্যেতা মনে হতে বাধ্য। কেউ কেউ ভাবেন, যারা দু’দশ বছরে একবার মায়ের কথা মনে করেন-তাদের জন্য মা দিবস। যে যাই ভাবুক, তাদের ভাবনা তাদের কাছে। আমি ভাবি আমার মায়ের কথা; উনি ১৯৮৪ সালের মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। আমার স্পষ্ট করে তারিখ মনে নেই, তবে সেদিন শবেরাত ছিল।

আমার মায়ের সাথে সুখের স্মৃতি খুবই কম এবং ঝাপসা। মাকে তেমন আপন করে পাওয়া হয়নি আমার। তিনি যখন মারা যান, সেসময় সপ্তম শ্রেণিতে আমি।

মাকে নিয়ে এই যে দিবস, নানা আয়োজন মাঝে মধ্যে পীড়া যে দেয় না-তা নয়। খুবই পীড়া দেয়। ভাবি, মা বেঁচে থাকলে কত ভাল হতো?

একসময় সহপাঠী বন্ধুদের বাসায় গিয়ে বাবা-মায়ের সাথে তাদের (বন্ধুদের) যে স্নেহ-ভালবাসা বা আদরের সম্পর্ক দেখতাম, তাতে বিষাদে মন ভরে যেতো। খুব হিংসে হতো, আহা আমার কেন বাবা-মা নেই। মা নেই বাবা নেই এমন এই আমি পরে কারো বাবা-মায়ের সাথে সন্তানদের উপস্থিতির দিকে তাকিয়ে থাকিনি। কেমন যেন কষ্ট হতো।

এভাবেই তো কাটলোজীবন। আজ বেলাশেষে এই কথায় ভাবি, মা দিবসে কিংবা বাবা দিবসে কি তাদের একটিবারের জন্য পাওয়া সম্ভব? তাহলে হয়তো নিতে পারতাম অনেক দিনের পাওনা!

মাগো তোমার কোন স্মৃতি খুঁজে পাই না, তবু তোমার সান্নিধ্য চাইছি। বাবা, কেমন ছিলে তুমি, কীভাবে আদর করতে আমায়-কপালে কি চুমু এঁকে ঘুম পাড়াতে কোলে নাচিয়ে-খুব জানতে ইচ্ছে করে।



তোমরা কেউই স্মৃতিতে নেই আজ; ভাবনায় আসো শাশ্বত মায়ের মুখ নিয়ে, মায়াময় বাবার চেহারায়।

তোমাদের অভাব পূরণে কেউ কেউ এসেছে জীবনে। আজ আমি বাবা, যার বাবা তাকে মা বলে সম্বোধন করি। সেই মায়াময় মুখে তোমাদের ছায়া খুঁজি, তোমাদের পরশ পাওয়ার অদম্য বাসনা থেকে। যদি দূর থেকে দেখতে পাও, তবে দেখো এখন তোমাদের সন্তানকে একজন বুকের মাঝে টেনে জড়িয়ে রাখে। নিজ হাতে খাবার মাখিয়ে তুলে দেয় তোমার সন্তানের মুখে, দু’চোখের জল মুছে দেয় পরম মমতায়। অধীর আগ্রহে বসে থাকে, তার সোনা কখন বাড়ি ফিরবে- এক পলক না দেখলে বিষাদে ভরে যায় তার হৃদয়-দূর থেকে দেখো আর মুচকি হাসো, তোমার সন্তান ভাল আছে, সুখে আছে...নাকি সেই আদর পেতে এখনও উদগ্রিব !





পরিশেষে



জেমসের মা গানের কথা যখন তুললেন, তখন একটু স্মৃতি হাতড়াই? বেশ কয়েক বছর আগে, ঈদের দিন। দুপুর গড়িয়েছে কেবল। ভাই বললেন, দে তো টিভিটা অন করে। চ্যানেলআইতে ছিল। হঠাত দেখি জেমস গান গাইতে প্রস্থুতি নিচ্ছে। ভাই বললেন, সরাও। বলি, গানটা একটু শুনি। উনি পাশ ফিরে শুয়ে পড়েন। গান শুরু হয়... দশ মাস দশ দিন ধরে তোরে গর্ভে ধারণ... ভাই পাশ ফিরলেন। অবাক হয়ে তাকিয়ে রয়েছেন টিভির পর্দায়। মা গানটি পুরোটাই শুনি। শেষে ভাইয়ের দিকে তাকাই, উনিও। দুজনের চোখ দিয়ে তখন ঝরণাধারার মতো নোনাজল। নিজেকে সামলে নিয়ে ভাই বললেন, ছেলেটা এ্মন গান গাইতে পারে...!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.