নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন আর বাস্তবতা- ঘুমভাঙা সকালের মতো

তৌহিদ জামান73

বাইসাইকেলও কখনো কখনো সুখকর স্মৃতি হয়ে যায়!

তৌহিদ জামান73 › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঝিনাইদহে বাস- ট্রেন দুর্ঘটনায় ১০ বরযাত্রী নিহত

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:২৪

যশোর ।। ঝিনাইদহের বারবাজারে বাসের সঙ্গে ট্রেনের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত ও বাসের ৭০ জনেরও বেশি বরযাত্রী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে মারা যান ৯ জন এবং ঝিনাইদহ হাসপাতালে মারা যান একজন।

নিহতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন কালীগঞ্জের ফুলহরী গ্রামের রঞ্জন দেবের স্ত্রী বন্যা দেব (২৩) ও তার ছেলে কৌশিক (৭), ভবেষ বিশ্বাসের মেয়ে তৃষ্ণা (২২) এবং গোবিন্দপুর গ্রামের কালীপদ বিশ্বাসের ছেলে বিমল বিশ্বাস (৪৮)।

মরদেহ এখনও ঘটনাস্থলে রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক জুয়েল মৃধা জানান, নিহতদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ, ২ জন নারী ও ১জন শিশু। তিনি ঘটনাস্থলে ৯টি মরদেহ দেখেছেন, অপরজন ঝিনাইদহের হাসপাতালে মারা গেছেন।

আহতদের মধ্যে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি সঞ্জয় এবং অমিতের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অমিত নিহত বিমল বিশ্বাসের ছেলে। তার ডান পা কাটা পড়েছে এবং মাথায় জখম মারাত্মক।

শুক্রবার ভোরে বারবাজার রেলক্রসিংয়ে বিয়ের বাস ও ট্রেনের মধ্যে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাকবলিত সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি সৈয়দপুর থেকে খুলনার দিকে যাচ্ছিল।

ট্রেনের অ্যাটেনডেন্ট আব্দুল হান্নান জানান, ভোর সাড়ে ৩টার দিকে সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি বারবাজার স্টেশন পার হয়। এর ৫ মিনিট পরেই বিকট শব্দ শুনে দুর্ঘটনা বিষয়টি টের পান। বারবাজার রেলক্রসিংয়ে একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ট্রেনটি ওই বাসটিকে প্রায় দেড় কিলোমিটার ঠেলে নিয়ে যায়। এ সময় আশপাশে ছিটকে পড়তে থাকে বাসযাত্রীরা। প্রায় দেড় কিলোমিটার পার হয়ে ট্রেনটি থামানো হয়।

আহত বাসযাত্রীরা জানায়, তারা ঝিনাইদহের শৈলকুপার ফুলহরি গ্রাম থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি বিয়ে অনুষ্ঠানে বরযাত্রী হিসেবে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সাঁকো গ্রামে যান। বাসটিতে ৭০ থেকে ৯০ জন বরযাত্রী ছিলেন। ফেরার পথে তারা দুর্ঘটনার শিকার হন।

কালীগঞ্জ দমকল বাহিনীর কর্মকর্তা রবিউল আমিন জানান, আহত ৩০ জনকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অন্যদের ঝিনাইদহ, কালীগঞ্জ হাসপাতালসহ আশপাশের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, গুরুতর আহত ১০ জনের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা খুবই সঙ্কটাপন্ন।

বারবাজার হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকিমুর রহমান জানান, তারা এখন পর্যন্ত ১০টি লাশ উদ্ধার করেছেন। দুর্ঘটনার পর হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি এলাকাবাসীও উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেন। পরে ঝিনাইদহ ও যশোরের দমকল বাহিনীর সদস্যরাও উদ্ধার তৎপরতায় যোগ দেন। বাসটি এখনও ট্রেনের সাথে সংযুক্ত রয়েছে। আর এখনও ট্রেনের নিচে ও দুর্ঘটনার দেড় কিলোমিটারের মধ্যে নিহত ও আহতদের কেউ পড়ে আছেন কি না তা খুঁজে দেখা হচ্ছে।

এদিকে, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনটি রেললাইনের উপরে থাকায় খুলনার সাথে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। খুুুলনা থেকে উদ্ধারকারী ট্রেনটি সাড়ে ৫টায় ঘটনাস্থলের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে। উদ্ধারকারী ট্রেনটি ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর বাসটি সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

খবর পেয়ে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজারের (ডিআরএম) নেতৃত্বে ৫ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের একটি দল পাকশী থেকে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.