নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন আর বাস্তবতা- ঘুমভাঙা সকালের মতো

তৌহিদ জামান73

বাইসাইকেলও কখনো কখনো সুখকর স্মৃতি হয়ে যায়!

তৌহিদ জামান73 › বিস্তারিত পোস্টঃ

যশোর সরকারি বালকিা উচ্চ বদ্যিালয় # কাস হয় না তাই ছাত্রীরা স্কুলে আসতে চাইছে না

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৪

যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের (মোমিন গার্লস স্কুল) কতিপয় শিক্ষক কোচিং ব্যবসা আর আর কাস না নেওয়ার কারণে বিদ্যালয়বিমুখ হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। কাসে তেমন একটা আগ্রহ দেখান না শিক্ষকরা। তাই কাসও হচ্ছে না ঠিকমত।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, বর্তমানে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীরা নিয়মিত স্কুলে যেতে চাইছে না। ছাত্রীরা কাসে না আসার কারণে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সম্প্রতি একটি নোটিস টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে।

শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ে জোরজবরদস্তি বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক রেহেনা ইয়াসমিন, শামীমা পারভীন ও শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শিক্ষার্থীরা বলছে, দু’একটির বেশি কাস না হওয়ার কারণে তারা বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। প্রতিদিন ৬/৭টি কাস হওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। আর যা দু’ একটি হয়-তা তেমন কার্যকর নয়। শিক্ষকরা ঠিকমত পড়ান না, পড়া ধরেন না-এমনকী কাসে বোঝানও না।

শিক্ষার্থীরা জানায়, শিক্ষকরা বাইরের কারো কাছে কোচিং না করে তাদের কাছে যেতে বলেন। শিক্ষকদের কোচিংয়ে না গেলে পরীক্ষায় ফল খারাপ হবে বলে শাসানো হয়। স¤প্রতি, এই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী অন্যস্কুলের এক শিক্ষকের কোচিংয়ে যাওয়ায় উল্লিখিত শিক্ষকরা সেখানে গিয়েও ছাত্রীদের শাসিয়ে আসেন।

স্কুলে অনিয়মিত কাস আর শিক্ষকদের এমন আচরণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। শিশুর উপর নির্যাতনের ভয়ে কোন অভিভাবক মুখ খুলতে সাহসও পান না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী জানান, স্যার-ম্যাডামরা স্কুলের কোচিংয়ে পড়তে বলেন। তাদের কোচিংয়ে না পড়লে পরীক্ষায় কম নাম্বার দেবেন বলে জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন অভিভাবক (গৃহিনী) জানান, এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজেদের বাণিজ্য ঠিক করতে গিয়ে শিশুদের শিক্ষার ভিত নষ্ট করে দিচ্ছেন।

তিনি জানান, বিদ্যালয়ে কাস না হওয়ার কারণে শিশুদের জন্য ৩/৪ হাজার টাকা দিয়ে গৃহশিক্ষক রেখে পড়ানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান সর্বনি¤œ পর্যায়ে পৌঁছেছে। অভিভাবকরা গৃহশিক্ষক রেখে শিশুদের না পড়ালে কেউই ভালো ফলাফল করতে পারবে না। যেসব শিশুর ফল খারাপ হয়, তাদের অভিভাবকরা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল। তারা বাড়িতে গৃহশিক্ষক রাখতে পারেন না। যে কারণে অনেক শিশু পরীক্ষায় ফল খারাপ করছে।

আরও একজন অভিভাবক জানান, শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর হলেও তারা এখন পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী। তারা বিদ্যালয়ের শিশুদের ভীতিকর অবস্থার মধ্যে ফেলে দিয়ে বাণিজ্যে নেমেছেন।

যোগাযোগ করা হলে শিক্ষক রেহেনা ইয়াসমিন প্রথমে মেয়েরা কাসে আসে না জানালেও পরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে বলেন, মেয়েরা তো কাসে আসে। কোচিং প্রসঙ্গে বলেন, কোন মেয়েকে চাপাচাপি করা হয় না। মেয়েরাই স্বেচ্ছায় কোচিংয়ে আসে। বাইরের শিক্ষকদের হুমকি ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক শামীমা পারভীন জানান, মেয়েরা ঠিকমত কাসে আসে। কাস না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিদিন ৬টি কাস থাকে। কোন শিক্ষক কাসে না এলে তাকে আগের দিন ছুটি নিতে হয়। তারপরও যে শিক্ষক অনুপস্থিত থাকেন তার কাস অন্য শিক্ষকদের মধ্যে বন্টন করে দেয়া হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক খালেদা খাতুন জানান, ছুটিছাটা বাদ ৫ মাসের মত কাস টাইম পাওয়া যায়। আমরা তার সদ্ব্যবহার করি, ঠিকমত কাস নেন আমাদের শিক্ষকরা। শিক্ষকদের কোচিং প্রসঙ্গে বলেন, এইস্কুলের শিক্ষকরা সবাই দক্ষ, ট্রেনিংপ্রাপ্ত। তারা খুবই যোগ্য।

একপ্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেসব শিশুরা বাইরে কোচিং করে, তারা সময় পায় না স্কুলে আসার। তাদের অভিভাবকরাই শঙ্কিত, এবং এসব কথা বলছেন। স্কুলে নোটিস টানানোর বিষয়ে তিনি বলেন, নোটিসটি মূলত দশম শ্রেণির মেয়েদের জন্য। তবে, তা সবার জন্য প্রযোজ্য বলে লাগানো হয়েছে।



মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৪

এম এস জুলহাস বলেছেন: আহা, এইডা কী খবর জানাইলেন !!!

আমিতো জানি- এই স্কুলের সকল শিক্ষক/শিক্ষিকা-শিক্ষার্থী আপাদমস্তক কম্পিউটারাইজড !!! আর পূরো স্কুলটাতো অত্যাধুনিক ওয়াইফাই'র আওতায়। এই স্কুলের সকল শিক্ষক/শিক্ষিকা-শিক্ষার্থী অলটাইম ইন্টারেনেটে সারা বিশ্বের সকল নামী-দামী স্কুল-কলেজের সাথে কানেক্টেড। কানেক্টিং ক্লাসরুম বৃটিশ কাউন্সিলতো এদের সবাইকে মাথায় নিয়ে নাচে !!! আরোও কত্ত কত্ত কী . . .। সব বলতে গেলে . . .।

তাহলে কি ওই সবই ভূয়া ???????? হায় হায় !!!!!!!!!!!

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৫

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: এক সময় আমি এই স্কুলের ছাত্রী ছিলাম । তখন এই স্কুলটাই তো সব দিক থেকে প্রথম ছিল । আপনি এ কি শোনালেন ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.