![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিকেলে পরিচয় হল এই ওয়ার্ডের বাসিন্দা পিলুভাইয়ের সাথে। পিলুভাই, শহরের ষষ্টীতলাপাড়ার বাসিন্দা। ৬ মাস থাকতে হবে তার। তিনি আমার খুব একজন প্রিয়-শ্রদ্ধেয় মহিয়সী নারীর ভাই। উনি কীভাবে যে বন্ধু হয়ে গেলেন-জানি না। সব বিষয়ে খোজ-খবর নেয়া, বড়ভাইয়ের মত দায়িত্ব পালন করাটা যেন তার অন্যতম প্রধান কাজ হয়ে গেল।
নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যা্ওয়া পাথর সময়ে তিনি ছিলেন আমার অক্সিজেন। রাতে খেয়ে গল্প করি, নানা বিষয় থাকে সে গল্পে। রাজনীতি থেকে শুরু করে প্রেম-কী ছিল না !
পরদিন এক বন্ধু ওয়ার্ডের বাইরে ফুলবাগানের পাশে আমায় দেখে চোখ কচলাতে শুরু করে। বিস্ময়ভরা চোখে জিজ্ঞেস করে, তুই?
আমি বলি, হা। ঠিক দেখছিস।...তার যেন ঘোর কাটতেই চাইছে না।
কবে এলি, কী মামলা? বাইরের কী অবস্থা... অমুক ভাই কেমন আছেন-ইত্যাদি!
বলি, দম নে... প্রশ্নের জবাব দেই আস্তে আস্তে।
ওয়ার্ডে এসে রাইটারকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে যায় সে। আমার বন্ধু, ওর যেন কোন সমস্যা না হয়। লব্ষ্য রেখো-
ধীরে ধীরে সহনীয় হয়ে আসে জায়গাটি। দুদিন পরেই ঝাক ধরে এখানে ঢোকে কলেজবন্ধু, সহযোদ্ধারা। একাকীত্বের যন্ত্রণা মিইয়ে যায়। আরেকটি জগতের বাসিন্দা হয়ে ভালই লাগতে শুরু করে।
মিঠু নামে আরেকজনের সাথে পরিচয় হলো এরই মধ্যে। গোটা ক্যাম্পাসে তার ব্যাপক দাপট। সকালবেলা গরম রুটি নিয়ে চলে আসে, বলে খা্ও!
গাছের লিচু এনে দেয়- গোপনে।
সেদিন রাতে খুব ব্যথা করছিল পায়ে। ঘুুমুতে পারছি না যন্ত্রণায়। পিলুভাই ভেবে পাচ্ছেন না কী করবেন। কোন ওষুধ পা্ওয়ার সম্ভাবনা নেই। কী আর করা !
কিছুসময় পর দেখি, সেই লোকটা আমার কাছে।
বলে, ভাই-একটু টিপে দেবো পা টা? যন্ত্রণা কমবে
কিছু বলি না; তার ওপর তো আমা বিশাল রাগ! এখানে বাথরুমের সেই বিষয়টা মনে পড়ে যায়।
কিন্তু, সে আমার কথার কোন তোয়াক্কা না করেই পা টিপতে শুরু করে। যন্ত্রণা কিছুটা কমে। রাতে ঘুমিয়ে পড়ি।
পিলুভাই সকালে বললেন, ভোরের আজান পর্যন্ত না কি ওই লোকটা আমার পা টিপে দিয়েছে।
তার ওপর যে রাগ ছিল-এক নিমিষে পড়ে গেল....
©somewhere in net ltd.