![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথম সন্তান আসছে। দুনিয়া কাঁপানো খুশিতে আহ্লাদিত হন বাবা, মা। সন্তানের মুখটি দেখবে বলে অত যন্ত্রণার মধ্যেও হাতটা বাড়িয়ে দেন নার্স বা ধাত্রীর পানে। তার সন্তান, বুকের ধন! নাড়িছেড়া রতন!
যত কষ্ট, দুঃখ, বেদনা, যন্ত্রণা হোক না কেন-সন্তানের চাঁদমুখ সব নিমেষেই শুষে নেয় যেন! সে কি মায়া, ভালবাসা।
প্রথম সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর বাবা-মায়ের আনন্দ-আহ্লাদ কেমন হয়? এটি বোঝানোর মতো কোন মাপকাঠি বোধ হয় আবিষ্কৃত হয়নি।
মায়ের ভালবাসা- বাবার আদর মাপবে কী করে?
জাত্যাভিমান ভুলে সন্তানের মুখপানে চেয়ে কষ্টকে তুচ্ছ করে দিনের পর দিন অমানুষিক পরিশ্রম করেন। সন্তানের বেড়ে ওঠা, তার শিক্ষা আর রুচিশীল পোশাক-পরিচ্ছদের জন্যে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেন। আর সব ক্লান্তি নিমেষে ফিকে হয়ে ওঠে সন্তানের বাবা ডাকে!
নিজে হাইস্কুলের গণ্ডি পেরুতে না পারলেও সন্তানকে মানুষ করতে সব প্রচেষ্টাই ছিল বাবা-মায়ের। নিজেরা খেয়ে না খেয়ে সন্তানের সব চাহিদা পূরণ করেছেন। সেরা স্কুল, সেরা কলেজ এমনকী সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনাও করান তারা।
শিক্ষাজীবন শেষ, চাকরিতে প্রবেশ। মা-বাবার মুখে খেলে প্রশান্তির হাসি। অনেকখানি স্বস্তি! ছেলে তাদের আধুনিক। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন দামি সেলফোন, ল্যাপটপ ব্যবহার করে-ব্রান্ডের কাপড় ছাড়া চলে না তার!
হঠাৎ করেই বাবা-মায়ের মুখ কিছুটা বিষণ্ন দেখায়। ছেলে তাদের অমতেই বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই বদলে যাওয়া শুরু- (না কি বিয়ের আগেই ?)!
সন্তানের কর্মজীবনে যতটুকু প্রশান্তি এনেছিল তাদের মনে, বিষাদটা দ্রুত এসে লাগে হৃদয়ে। রক্তক্ষরণ বুকের ভেতর তাই দেখাও যায় না।
সারাজীবন যে মানুষগুলো তাকে এই পর্যায়ে এনেছেন, সময়ের কালস্রোতে তা বিলীন হতে মুহূর্তটুকুও লাগে না। যাকে বলে চোখ উল্টে দেওয়া!
ছেলে আজ বাবা হয়েছে। বাবা হওয়ার আনন্দ বুঝছে, বাবা হওয়ার গৌরব মাখছে ষোলআনা। আর বাবা হওয়ার যন্ত্রণাও আছে-বুঝেছে ষোলআনা!
বাবা হওয়ার পরই নিজ বাবাকে অসম্মান করে চলে যাওয়া ছেলের কি বাবা হওয়ার পর কোন অনুশোচনা নেই?
বাবাকে দুঃখ দিয়ে, মাকে কষ্টে রেখে নিজের স্বস্তির জন্যে, নিজের সন্তানের মঙ্গলের জন্যে দূরে সরে যাওয়া ছেলে আবার ফিরতে চায়। ফিরতে চায় বাবার কাছে, মায়ের কাছে।
সে কি ভালবাসার তাগিদ? না কি বাবা হওয়ার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে যন্ত্রণাদগ্ধ বাবা-মায়ের করুণা, তাদের সহযোগিতা নেবার মনোবাসনা!
বাবা-মা তাকে সাদরে নেবে জানি, কেননা সে তো তাদের সন্তান!
এই সন্তানকে ত্রিশটি বছরেরও অধিককাল স্নেহ, ভালবাসা, অর্থ সহযোগিতা দিয়ে আসছেন। দূরে সরে গিয়েও যে সেই সুযোগটুকুর সদ্ব্যবহারে পিছপা হয়নি।
তাই, নতুন করে ফিরে আসার আগে মায়ের কাছে মেকি কান্না, ‘বাবার এই অসহায়ত্ব আর দেখতে পারছি না!’
২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩৪
ফুলঝুরি বলেছেন: আপনার প্রথম কথাটা মানতে পারলাম না। এমন কিছু বাবা আছেন যারা সন্তান হইলে খুশী হইনা না হইলেই খুশী হয়।আদর দেয়া তো দুরের কথা সন্তান এর মুখ টাও দেখতে চাইনা।যতো কস্ট সহ্য করে মা সন্তান কে মানুষ করে।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮
ভবঘুরেআমি বলেছেন: valo laglo chalia jan