![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কত শত বছর ধরে অপেক্ষা! কত শত হাজার স্বপ্ন মাড়িয়ে খুজে পেয়েছি তোমার ঠিকানা। পেয়ে ধন, নিমেষে হারাতে চাই না।
অনেক অভিমান তোমার, জেদও আছে বেশ। জানি তো, সবই জানি। তুমিই তো শুধু জানো না, পথ চেয়ে থাকার মত কষ্টকর কিছু আর আছে কি?
তারুণ্যে সাহস করে বলবার সুবর্ণসময়ে বেড়ালের মত নি:শব্দে সময় করেছি পার। বুকের ভেতর সেই হাহাকারই তাবড়ে বেড়িয়েছে অহর্ণিশ।
কত খুজেছি, কত...।
তাচ্ছিল্যের সাথে জানতে চাইলে, কোথায় খুজেছি, বনে - জংগলে ? হা কপাল!!
শত বছরের জমা করে রাখা কথার ভাণ্ডার প্রতিকূল বাতাসে ফরফর করে ওড়ে। উচ্ছ্বাসের ভেতর ভালবাসার কথাসমূহ খেই হারায়।
: তোমার শরীর ভাল আছে তো?
সকালে কি ওষুধটা খেয়েছো? নাশতাটা কি ব্যাগে ঢুকিয়েছো? দেখো ড্রাইভিং করার সময় মোটেও সেলফোনে কথা বলবে না!
এত কথা, এত আবেগ, এত অনুভূতি কোথায় রাখি বলো তো?
: কাল রাতে ঘুমটা কেমন যেন হলো?
কেমন?
জানো রাতটা কীভাবে পার হয়ে গেল! কত সুমধুর ছিল ক্ষণ, স্মৃতিময় গীতিময় ছিল! ভাবতে পারছি না, তবু রাতটা ভোর হলো! কুয়াশার চাদর ভেদ করে পুবের আকাশটাতে আস্তে আস্তে রঙ ছড়াতে শুরু করেছে- তোমাকে ভাবছি, তুমি কেমন আছো? কী হয়েছে তোমার? শরীরটা ভাল তো!
: এতে বিস্মিত হওয়ার মত কিছু নেই! আমি ভাল আছি-ঘুম হয়নি ঠিকমত, তবুও খারাপ লাগছে না। সারারাত তোমাকে পাশে ভেবেই কথা বলেছি- কত কিছু হলো আলাপ! প্রলাপ তো নয়? তুমি কি সত্যিই ভাল আছো?
: আছি- তবে, হাতটা সামান্য ব্যথা করছে
ইশশ ! ডাক্তার দেখিয়েছো? ডাক্তার
: হুমমম - কথা হয়েছে। দুদিন পরেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট
খুব ব্যথা করলে পেইন কিলার নাও। কষ্ট সহ্য করার চেয়ে একটি পিল খেয়ে নিও
: আমি অনেক পেইন সহ্য করি। প্রতিদিন কত পরিশ্রম করতে হয় জানো?
ইচ্ছে হয়, তোমার চুলের ভেতর দু'হাতের আঙুল ঢুকিয়ে এলোমেলো করে দেই! ভাবনার কথাটা কি পাড়বো? না কি থাকবে-
সাহস করে বলে ফেলি। অভয় দিলে কত সহসা!
: এরপর কী?
আমি তোমার কপাল থেকে সরিয়ে দেবো উড়ো চুল। চোখের মাঝে রাখবো তিন মিনিট এই পোড়া চোখ...
: আমার চোখের দিকে তুমি এক মিনিটও রাখতে পারবে না তোমার চোখ!
কেন ঝলসে যাবো?
: যেতেও পারো-! আচ্ছা, বল তো, মানুষ তার ভালবাসার মানুষকে কেন এত দ্রুত ভুলে যায়?
প্রশ্নটা কি আমাকে? নিশ্চিত হয়ে নিই আগে।
: হা, তোমার কাছেই জানতে চাইছি?
ভালবাসা বা মন্দবাসা আপেক্ষিক! মানুষের মুখই হচ্ছে তার ভাল বা মন্দের নিয়ামক। আর এখান থেকেই ভালবাসা বা মন্দবাসার জন্ম!
: ইশশ্ ! বড্ড আতলামি হচ্ছে!
সময়ের সাথে অনেক কিছুরই বদল হয়। বুঝবার মানসিকতা থাকা জরুরি। প্রভূ না হয়ে বরং বন্ধু হওয়াতেই শ্রেষ্ঠত্ব! আর, বিষয়টি তোমার-আমার নয়, আমাদের! ভাবনার জায়গাটা পরিষ্কার তো- সব ক্লিয়ার! আমি তোমাকে খুব ভালবাসি, খুউব... খুউব
: তুমি সত্যি করে বলো তো, আমাকে ভালবাস, না সময় পার করার...
বিষাদটা গ্রাস করে নিতে চাইছে পুরো দেহমন! চনমনে সকালটা হঠাত করেই কেমন মেঘে ঢেকে যেতে থাকে। কালো মেঘগুলো কুসুমরঙা সকালটাকে ফিকে করে দিচ্ছে। বুকের ভেতর দহন, শত সহস্র কালো কাক কা কা করতে শুরু করেছে। কষ্টটা আর চেপে রাখা যাচ্ছে না। খুবই রূঢ়ভাষায় জানাতে হচ্ছে প্রিয় মানুষটিকে, তোমার মনে যদি হাজারও সংশয়, তবে রাখো, ক্ষেমা দাও! বন্ধ করো আলাপ! আমি আর পারছি না-
: কি বললে তুমি, তুমি এভাবে কেন বললে? কি বলতে চাইছো তুমি... কণ্ঠটা রুদ্ধ হয়ে আসে তার।
আমি আসলে এভাবে বলতে চাইনি! আমার বলার স্টাইলটা খুব শক্ত হয়ে গেছে সোনা! এভাবে বলা ঠিক হয়নি, সরি- জান, আমি খুবই সরি!
: ইটস ওকে! আমিও সরি! তোমাকে এভাবে জিজ্ঞেস করাটা আমারও ঠিক হয়নি!
বাতাসটা শান্ত হয়। কথা ছিল, সবকিছুই হবে আলোচনার মাধ্যমে। শান্তিপূর্ণ সমাধান কেবল সংলাপেই সম্ভব! আমি যত বলি, তিনি তত প্রশ্ন করেন; তার অদ্ভূত যুক্তিসমূহ খণ্ডানোর চেয়ে বলি, আমাকে শক্ত করে জাপটে ধরো। বুকের পরে মাথাটা রাখো। কিছু শুনতে কি পাচ্ছো?
: হা পাচ্ছি, তোমার নিশ্বাসের সাথে শব্দ করে উচ্চারিত হচ্ছে আমার নাম! খুব গভীর থেকে বেরুচ্ছে এক মিষ্টি আওয়াজ, সারা দেহমন প্রশান্তিতে ভরে উঠছে! শরীরের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে মাখছি তোমার সুবাস! একেবারে গহীন থেকে ভেসে আসছে কলতান... সোনা তোমাকে খুব ভালবাসি!!!
আমিও! মি টুওও...
নোট:
১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে!
২৭০ খ্রিস্টাব্দের কথা। সেই সময় সেন্ট ভ্যালেনটাইন নামে একজন রোমান ক্রিশ্চিয়ান পাদরি বা সেন্ট ছিলেন। তিনি একই সঙ্গে চিকিৎসকও ছিলেন। সে সময় দেব-দেবী পূজার বিষয়টি রোমানদের ছিল মুখ্য। তারা ক্রিশ্চিয়ান ধর্মে বিশ্বাসী ছিল না। ক্রিশ্চিয়ান ধর্ম প্রচারের অভিযোগে রোমের সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস-এর আদেশে ভ্যালেনটাইন-এর মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
তিনি তখন বন্দি ছিলেন আর ছোট ছেলেমেয়েরা তাকে ভালোবাসার কথা জানিয়ে জেলের জানালা দিয়ে চিঠি ছুড়ে দিতো। বন্দি অবস্থায়ই তিনি জেলারের এক অন্ধ মেয়ের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেন চিকিৎসার মাধ্যমে।
মেয়েটির সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়।
মৃত্যুর আগে মেয়েটিকে লেখা এক চিঠিতে তিনি জানান, ফ্রম ইওর ভ্যালেনটাইন।
অনেকের ধারণা, সেন্ট ভ্যালেনটাইনের নাম অনুসারেই পোপ প্রথম জুলিয়াস ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে সেন্ট ভ্যালেনটাইনস ডে- হিসেবে ঘোষণা করেন।
©somewhere in net ltd.