![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোট্ট একটুখানি ছাদ। কিন্তু সেটা ফেলে রাখেননি ফারহানা ইয়াসমিন পপি। গোটা ছাদটাকে ফল, ফুল আর সবজির ক্ষেত বানিয়েছেন। কর্কশ ছাদটাকে সবুজ প্রান্তরে রূপান্তরিত করেছেন এই গৃহবধূ। শুধু কি তাই-ছাদের এই বাগানটার অলি-গলি চেনাতে রেখেছেন শাপলা চত্ত্বর, সবজি চত্ত্বর, রোজ গার্ডেন, মেঠোপথ, সবুজ বনসহ নানা ধরনের নাম!
কথা বলছি যশোর শহরের বকচর মসজিদপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী আকরাম হোসেনের স্ত্রী শৌখিন গৃহবধূ ফারহানা ইয়াসমিন পপির কথা। দূর থেকেই তার একতলা বাড়ির ‘সবুজ ছাদটা’ চোখে পড়ে। সিঁড়ি টপকে ছাদে পৌঁছানোর পর চোখে অনুভূত হয় কোমল প্রশান্তি।
ছাদের উপরে সারিবদ্ধভাবে টব। আর সেখানে শোভা পাচ্ছে নানা জাতের ফল, ফুল, সবজি আর ঔষধীগাছ!
৯৫০ বর্গফুটের ছাদে ছোট ছোট গাছে ঝুলে রয়েছে ডালিম, বেদানা, জামরুল, কমলা, মাল্টা, পেয়ারা, শরবতি লেবু, মেওয়া, পাকিস্তানি চেরি, কাগজীলেবু! আছে জবা, গোলাপ, টগর, চেরি, টাইমফুল, অ্যাডোনিয়া, কনকচাপা, কাঁঠালিচাপা, মৌচন্দ্রা ইত্যাদি।
লাউ-কুমড়ো শেষ হলেও রয়েছে বেগুন, ক্যাপসিকাম, কাঁচাঝাল। পুদিনাপাতা, আদা, অ্যালোভেরা, মেহেদির মত ঔষধীগাছও রয়েছে ছাদে।
ফারহানা ইয়াসমিন পপি জানান, খুব ছোট থাকতেই বাগান করার শখ ছিল। কিন্তু, ভাড়া বাসায় তা সম্ভব হয়নি। বছর দুয়েক আগে নিজেদের বাসায় এসে আস্তে আস্তে শুরু করেন বাগানের কাজ।
দুই সন্তানের জননী পপি জানান, ছাদবাগানে উৎপন্ন সবজি ও ফল বিষমুক্ত। নিজেরা খাই, প্রতিবেশীদেরও সামর্থ অনুযায়ী দিই। তাছাড়া বাগানটাতে এলেই মনটা অন্যরকম হয়ে যায়।
তিনি বলেন, তার দেখাদেখি অনেকেই এখন আগ্রহ প্রকাশ করছেন ছাদবাগানের। এতে ভালই লাগে।
উপসহকারী কৃষি অফিসার সুভাষ চন্দ্র সরকার বলেন, যশোর শহরের অনেক ছাদেই এখন এমন বাগান দেখতে পাওয়া যায়। ফারহানা নিজ উদ্যোগেই বাগানটি করেছেন। আমি দেখেছি।
তিনি বলেন, আগে তিনি নিজের পদ্ধতিতে চাষ করতেন, এখন তাকে কারিগরি বিষয়টি আমি অবহিত করেছি। ফলে বিষ ও রাসায়নিক প্রভাবমুক্ত সবজি আর ফল তিনি উৎপাদন করতে পারছেন-যা আমাদের বিশেষ করে শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে খুবই জরুরি।
বাসার ছাদে বিষমুক্ত ফল ও সবজি চাষ করে তিনি সফল। তার এই উদ্যোগে অনেকেই উৎসাহ পাবেন- এই আশাব্যক্ত করেন কৃষি কর্মকর্তা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪১
তৌহিদ জামান73 বলেছেন: এই আশাব্যক্ত করেন কৃষি কর্মকর্তা।