![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২২.০৫.১৭
চলৎশক্তি হারানো দু’পা হীন মানুষটির নাম শুকুর আলী (৩৫)। যশোর সদরের বালিয়া ভেকুটিয়া এলাকায় বাড়ি।
শারীরিক প্রতিবন্ধী এই মানুষটি বলেন, ‘আমাদের তো না খেয়ে মরে যাওয়ার মতো অবস্থা! আগে লোকজন দু’দশ টাকা ভিক্ষা দিতেন; এখন সরকারের ভিক্ষুক পুনর্বাসনের কর্মসূচির দোহায় দিয়ে আর কেউ টাকা-পয়সা দিচ্ছেন না।’
অপর প্রতিবন্ধী আনোয়ারা বেগম (৪৮)। বছর দেড়েক আগে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে তার ডানহাতটি কেটে ফেলতে হয়। বছরখানেক ধরে তিনি ভিক্ষা করছেন। তিনিও জানান একই কথা। কাপড়ের ব্যবসা করার জন্যে ১০-১৫ হাজার পেলে তিনি ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দেবেন বলে জানান।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে যশোর শহরের মুজিব সড়কে প্রেসক্লাবের সামনে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান নিয়ে তারা সাংবাদিকদের সামনে এসব তথ্য উপস্থাপন করেন।
শুধু এই দু’জন নন, মুজিব সড়কে শারীরিক প্রতিবন্ধী আরও জনা তিরিশেক মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। তাদের দাবি, সরকার ভাল পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি তাদের মতো শারীরিক প্রতিবন্ধীদের। ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচির কথা ব্যাপক হারে প্রচার হওয়ায় রাস্তাঘাটে এখন আর কেউই ভিক্ষা দিতে চান না। ভিক্ষা চাইলেই সবাই ডিসি অফিসে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।
তারা জানান, ভিক্ষা করতে তাদেরও ভাল লাগে না। কিন্তু সরকার তাদের জন্যে কোনও ব্যবস্থাও করেনি। বাধ্য হয়ে পেটের তাগিদে রাস্তায় নামতে হয়েছে।
যোগ্যতা অনুসারে কাজ বা ব্যবসায়ের সুযোগদানের দাবি করে তারা জানান, তাদের অনেকেই ইজিবাইক চালাতে পারেন; তাদের জন্যে সেই ব্যবস্থা করা হোক। কিংবা ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্যে ১০-১৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হলেও টুকটাক ব্যবসা করে দিন পার করা সম্ভব।
প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক তেছেম আলী (৬৫), রাজু (২২), শহিদুল (২৯), কলিমুদ্দিন (৫০) প্রমুখ বলেন, ‘হয় আমাদের পুনর্বাসন করা হোক, নইলে সরকার আমাদের সবাইকে এক লাইনে দাড় করিয়ে গুলি করুক। এই জ্বালা আর সইতে পারি না।’
ভিক্ষুকদের বিষয়ে কথা হয় যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ ঘোষের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গত মাসের ২৬ তারিখে আমরা সদর উপজেলায় ৪৬৪ জনের তালিকা সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়েছি। হয়তো দু’চারজন বাদ পড়ে যেতে পারে। তবে, যশোর পৌরসভা এলাকায় এখনও তালিকা সম্পন্ন হয়নি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তা সম্পন্ন হবে বলে আমা করছি।’
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
শেখ সাহেব, তাজুদ্দিন সাহেব, জিয়া, এরশাদ, বেগম জিয়া ও শেখ হাসিনা বাংগালী জাতিকে বিশ্বের সামনে ভিক্ষুক বানায়ে ভিক্ষা এনেছে বরাবরই।