![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২৫ মে যশোরের রাস্তায় দেখা মিলেছে টমটমের। ইতোমধ্যে তা শহরবাসীর নজর কেড়েছে। যাত্রী বহনে প্রাথমিকভাবে এই টমটম ব্যবহার করা হবে বলে জানা গেছে।
যশোর শহরের বারান্দিপাড়া এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা এলাকায় যাত্রীবোঝাই টমটম দেখে বিস্মিত হই। এরআগে এই শহরে টমটম আমার চোখেই পড়েনি। ভাবছি, একদিন চড়বো পরিবারের সবাইকে নিয়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যশোর শহরের রেলগেট রায়পড়া এলাকার শাহজাহান বিশ্বাস এই টমটমটি ঢাকা থেকে এনেছেন। যশোর শহরে তিনি এটি ভাড়ায় খাটাতে চাইছেন।
আমদানি-রফতানি ব্যবসায় সম্পৃক্ত শাহজাহান বিশ্বাস বলেন, ব্যবসার কাজে আমাকে প্রায় ঢাকাতেই থাকতে হয়। সময়-সুযোগ পেলে আমি টমটমে চড়ি। আমার খুব প্রিয় একটি বাহন এটি। হঠাৎ ভাবনায় এলো, যশোরে যদি এই গাড়ির প্রচলন করি মন্দ হয় না! সেই ভাবনা থেকেই চারদিন আগে দুটি ঘোড়াসহ গাড়িটি আনি।
আড়াই লাখ টাকা ব্যয়ে গাড়িটি যশোরে আনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে যশোর শহরের চাঁচড়া মোড় থেকে দড়াটানা পর্যন্ত গাড়িটি নিয়মিত যাত্রী বহন করবে।
টমটম গাড়ির সহকারী শমসের আলী জানান, চাঁচড়া থেকে দড়াটানা পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২০টাকা। আশা করা যায়, যাত্রীরা সানন্দে গাড়িতে চড়বেন এবং উপভোগ করবেন।
বিকেলে শংকরপুর রায়পাড়া এলাকায় দেখা যায় মহা হুলুস্থুল ব্যাপার। শিশুরা এই গাড়িতে চড়ার জন্যে জড়ো হয়েছে; সঙ্গে তাদের অভিভাবকরা।
সোহেল নামে এক শিশু চড়েছে টমটমে। এই ফাঁকা সড়কের বাবলাতলা থেকে সার গোড়াউন মোড় পর্যন্ত যাওয়া-আসা বাবদ নেওয়া হচ্ছে ১০টাকা। প্রতি ট্রিপে ১৫-১৬ শিশু উঠছে।
শাহজাহান বিশ্বাস এই গাড়ির সঙ্গে প্রশিক্ষক হিসেবে ঢাকা থেকে নিয়ে এসেছেন মোহাম্মদ আলম নামে একজনকে। তিনি কিছুদিন থেকে আরেকজনকে টমটম চালানোর নিয়মকানুন শিখিয়ে তারপর চলে যাবেন।
মোহাম্মদ আলম জানান, ঢাকাতে তাদের তিনটি টমটম ছিল। তারমধ্যে একটি শাহজাহান ভাই কিনেছেন।
তিনি বলেন, সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ঘোড়া গানি টানে। এরপর দু’ঘণ্টা রেস্ট। বিকেল তিন থেকে চারটের দিকে বের হয়ে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ফের চলবে। ঢাকার তুলনায় যশোরে কম দামে সতেজ ঘাস পাওয়া যায় বলে খাবার খরচও একটু কমবে।
টমটম মালিক শাহজাহান বিশ্বাস বলেন, আজ পরীক্ষামূলক চলেছে। বিকেলের ট্রিপে প্রায় দু’হাজার টাকা আয় হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ঝিকরগাছার একটি বিয়েতে ভাড়া ঠিক হয়েছে। কথা হয়েছে স্থানীয় একটি পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। আশা করছি, যশোরবাসী এই বাহনটি ভালভাবেই নেবে ।
©somewhere in net ltd.