নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কেরানীর চাকরী করি। আর কখনো সময় ও মন দুটোই মিলে গেলে লেখার চেষ্টা করি, এই আর কি!

তৌফিক

আমি আমার মতই। সুখদুঃখের স্মৃতিতেই আমার বসবাস। তবে সুখের কথাগুলোই বলতে ভালোবাসি।

তৌফিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষণের কথা মায়ের কাছে সন্তানের স্বীকার ও ক্ষমা প্রার্থনা, অতঃপর বিশ্বাস

১৪ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২

আজ মা দিবস। জগতের প্রত্যেক মাকেই জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। প্রত্যেক নারীকে জানাই তাঁর প্রাপ্য সম্মান। তবুও কোথায় যেন ভয়, সামান্য ন্যাকা ন্যাকা ভাব। মনের মাঝে ভয় গুড়গুড় করতে থাকে – এই বুঝি তাঁদের কেউ এক্ষনি বলে বসবেন – ধর্ষণের মত অপরাধ করে শাস্তি থেকে রেহাই পাওয়ার নানান পাঁয়তারা করাই কি মা-বোন-নারীকে সম্মান জানানোর নমুনা?

বর্ষণ নামের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে ধর্ষণ বলে ডাকতাম - সে অনেকদিন আগের কথা। ওই ডাকটার মধ্যে একটা সুড়সুড়ি ছিল, ছিল আন্তরিকতাও। তাকে এতো আস্তে ওই নামে ডাকতাম যাতে তৃতীয় কেউ শুনতে না পারে। শুনতে পেলে আমাদের মান-সম্মান থাকবে না। কিন্তু এখন সবদিকে যেভাবে ধর্ষণ শব্দটি উচ্চারিত হচ্ছে তাতে সমাজের কি পরিমান মানবিক মূল্যবোধের ক্ষতি হচ্ছে তা কোন সমাজ বিজ্ঞানী হয়তো বলতে পারবেন।

আমার দুটো ছোট বোন আছে যারা মাত্রই শব্দ শিখতে শুরু করেছে। সূর্যের আরেক নাম যে রবি, আর পূর্ব দিকের আকাশকে যে পূব আকাশও বলা যায় তা তারা জানে না। জানতে চাইলো - পূব মানে কি, রবি মানে কি, বলা হলো তারা শিখে গেলো। এরকম প্রতিদিন অসংখ্য শব্দ তারা শিখছে। হয়তো কোনো দিন ধর্ষণ শব্দটির মানেও বুঝতে শিখবে।

সেদিন এক ভাই বেশ দুঃখের সাথে বলছিল, যেটা অনেকটা এরকম - অনেকদিন পর গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গেছি। ক্লাস সিক্সে পড়ুয়া ভাগ্নি এসে জিজ্ঞেস করলো – মামা, একটা ইংরেজি শব্দের মানে ক্লাস টিচারসহ আব্বু-আম্মু কেউ বলতে পারছেনা, তুমিই একটু বলে দাওনা। দেখি শব্দটা কি? শব্দটা হল পর্নগ্রাফি। কোথায় পেলে এই শব্দ। আইসিটি বইয়ে আছে। শিশুদের পর্নগ্রাফি থেকে দূরে থাকতে বলেছে। আমিও এই শব্দের মানে জানিনারে মা। ডিজিটাল-সরকার জানে? ডিজিটাল আসলে কি জিনিস মামা? এটা সরকারেই জানেরে মা!

ইউটিউব শেখার জন্য এখন বিশেষ মাধ্যম, এক ভিডিওতে দেখলাম একলোক ওনার ৫/৬ বছর বয়সী দুই মেয়েকে যৌন বিষয়ক শিক্ষা দিচ্ছেন এবং যৌন হয়রানির হাত থেকে কিভাবে রেহাই পাবে তা শেখাচ্ছেন। কথাটা খারাপ শোনালেও বিষয়টা মোটেও খারাপ নয়। উনি মেয়েদের অঙ্গ-প্রতঙ্গ চেনালেন খুব সহজভাবে, মেয়ে হিসেবে বুক ও দুই উরুর মাঝখানটা খুব সেনসিটিভ, কেউ যদি কোনো কারনে বা আদর করতে করতেও ওই দুই জায়গায় হাত দেয়, তাহলে চিৎকার করে উঠবে। সেই চিৎকারে কেউ এগিয়ে আসলে লজ্জা না পেয়ে ওই লোক তোমার বা তোমাদের সাথে কি করেছিলো তা বলে দিবে ।

বনানীর রেইন ট্রি হোটেলে ধর্ষণের শিকার হওয়া মেয়ে দুটো শিকার হওয়ার সময় খুব চিৎকার করেছিলো। ওয়েটার, বয়, ম্যানেজার কিংবা আসেপাশের লোকজন কেউ সেই চিৎকার শুনে আসবে ভেবেছিল, কিন্তু কেউ আসেনি, ক্ষমা চেয়েছিল পশুদের কাছ থেকে, তাও পায়নি। অনেক রাতে বাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছিল সেই ধনীর দুলাল নামক পশুরাই, এই সর্তে যে – যেন ডাকলেই তারা পুনরায় আসে। ভিকটিম মেয়েদেরই দোষ বা ভুল ধরা হচ্ছে – বন্ধুকে বিশ্বাস করে কেন এতো রাতে একটি হোটেলে তারা জন্মদিন অনুষ্ঠান পালন করতে গেলো!

বিশ্বাস শব্দটা অনেক দামী ও সম্মানের। যে বিশ্বাসের প্রতি সম্মান রাখতে পারে সেই এর দাম পায়। এখন রাতে কোনো মেয়ে বন্ধুকে কল বা মেসেজ করতে ইচ্ছা করে না, শুধু মনে হয় – না জানি ও কি ভাবছে আমার ব্যাপারে। মা অর্থাৎ নারীর প্রতি সম্মান রেখে বলছি, সব ছেলে ধর্ষক নয়, বিশ্বাস রেখো। আমিও ওই প্রভাবশালী সম্পদশালী অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.