![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমার মতই। সুখদুঃখের স্মৃতিতেই আমার বসবাস। তবে সুখের কথাগুলোই বলতে ভালোবাসি।
ঢাকার রাস্তা অল্প বৃষ্টিতেই ডুবে যায়, পানি উঠে, সেই পানিতে কোনো কোনো রাস্তায় পলিথিন ব্যাগসহ নানান রকম খাবারের প্যাকেটের সাথে নানান ব্র্যান্ডের কনডমের প্যাকেট কিংবা ব্যবহৃত কনডমও ভাসতে দেখা যায়। বৃষ্টি হলে এ দৃশ্য যেন বেশি বেশি চোখে পড়ে। মনের মধ্যে বাজতে থাকে, আজি ঝরো ঝরো মুখরিত বাদল দিনে, জানি নে, জানি নে কিছুতেই কেন যে মন লাগে না...
যাহোক রাবীন্দ্রিক মনে বর্ষণ শব্দটা খুব বাজে তখন। ঠিক যেমনটা এখন মিডিয়ায় কিংবা সোশ্যাল ওয়েবসাইটে ‘ধর্ষণ’ শব্দটা খুব বাজছে। বর্ষণের দিন ধর্ষণের মাত্রা বেড়ে যায় তাই রাস্তায় কনডমের পরিমান অতিমাত্রায় দেখা যায়- ব্যাপারটা আসলে তেমনটি নয়, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভাল না থাকার জন্যই বর্ষায় বা অতি বৃষ্টিতে এরকম দৃশ্য দেখা যায়।
যখন রাস্তায় গু ভাসতে দেখি তখন রাবীন্দ্রিক মনে ভাটা পড়ে। মেজাজ খারাপ হতো আমি যখন নীচতলার বাসায় থাকতাম আর উপর থেকে আমার বারান্দা আর জানালার পাশে এসে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কনডমের প্যাকেট পড়তো। পড়তো ঋতুর প্যাড, লোম তোলার নানান সামগ্রীসহ নানান কিছু। কেয়ারটেকার-বাড়িওয়ালাকে বলে অনেকবার অভিযোগ জানানোর পরও কোনো পরিবর্তন দেখা যায় নি।
এখন আমি ছয়তলার উপরে থাকি। কোনদিন জানালা বা বাথরুম থেকে ব্যবহৃত কিছু ফেলিনি। বাসার কাউকে কিছু ফেলতেও দিইনা। গোপন কিছু ফেলার দরকার হলে নন-ট্রান্সপারেন্ট প্যাকেটে ভরিয়ে বাসার ব্যবহৃত ডাস্টবিনে ফেলুন, পরে ময়লাওয়ালা নিয়ে যাবে, তাতে সমস্যাতো নাই।
আমার বাসা থেকে বের হয়ে ছোট গলি থেকে বড় গলিতে এলে এক বাসার সামনে আমি প্রায় ব্যবহৃত কনডম ও তার প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখি। খুব মন খারাপ হয়। রাস্তাটা বেশ প্রশস্ত, বাসাটাও দারুন দেখতে, ভিতরে ওয়েল ফার্নিস্ট। ওই বাসায় আমি ভাড়া চাইতে গিয়েছিলাম, এতো ভাড়া আমার পক্ষে কুলানো সম্ভব নয়। যাহোক যারা মোটামোটি ছয় ডিজিটের সমান বেতন পান বা আয় করেন তাঁরা এ্যাফোর্ড করতে পারবেন। তাহলে ওনারা এতো শিক্ষিত মানুষ হয়েও রাস্তায় এমন করে নোংরা জিনিস ফেলেন কেন এটা বুঝিনা।
আসুন আমরা সবাই নিজ উদ্যোগে পরিবেশ সুস্থ রাখি, সুন্দর স্বাভাবিক সুস্থ জীবন গড়ি।
©somewhere in net ltd.