![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমার মতই। সুখদুঃখের স্মৃতিতেই আমার বসবাস। তবে সুখের কথাগুলোই বলতে ভালোবাসি।
ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। এই আনন্দ নিরানন্দে পরিণত হয় যখন আমরা কোনো দুঃসংবাদ শুনতে পাই। আর যখন দুঃসংবাদটা হয় মৃত্যুর, আর সেটিও কোনো কাছের মানুষের – তখন দুঃখের মাত্রাটা যেন খানিক বেড়েই যায়! বন্ধু সোহাগ আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহী রাজিউন। তাঁর পুরো নাম সাইদুর রহমান সোহাগ।
বেশ আনন্দের সাথে ঈদের ছুটি কাটিয়ে শনিবার (০১.০৭.২০১৭) অফিস করার জন্য যখন নানান কান্ডকীর্তি করে ঢাকায় ফিরছি ঠিক একই সময় আমার সেই বন্ধুটা বিদেশের এক হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলো। এক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ভর্তি হয়ে ছিল হাসপাতালে। বাড়িতে তাঁর অসুস্থতার কথা শুনলে দুশ্চিন্তা করবে তাই সে সেকথা কাউকে জানায়নি। সেই অসুস্থ থাকা অবস্থায় সে হার্ট এ্যাটাকে মারা যায়। কিন্তু সে জানলোনা, তাঁর মৃত্যু সংবাদে সবাই কতটা কষ্ট পাচ্ছে?
জীবন ও জীবিকার তাগিতে সে থাকতো বাড়ি থেকে অনেক দূরে। দেশ থেকেও অনেক দূরে। সে থাকতো ভারত মহাসাগরের এক অপরূপ সৌন্দর্যমণ্ডিত দ্বীপ রাষ্ট্র মরিশাসে। সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকা দেশের পূর্বে অবস্থিত মাদাগাস্কার দেশটি থেকেও পাঁচশো মাইল দূরে অবস্থিত এই মরিশাস। মরিশাসে গিয়ে সোহাগ মরি-শ্যাষ (মরে শেষ) হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি। নামের জন্য যদি এমন পরিণতি হয় তাহলে তাঁকে অন্যকোনো দেশে যেতে বলতে পারতাম।
২০০৯ সালে নীলফামারী সরকারী কলেজে ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টে পড়া অবস্থায় সে মরিশাসে যায়। এর পর আর তাঁর দেশে ফেরা হয়নি। মরিশাসে যাওয়ার আগে দুইবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছেও নানান জটিলতার জন্য তাঁকে দেশে ফিরে আসতে হয়েছিলো। আর্থিকভাবে সে এক বিশাল লস, সেই লস পূরণ করতে গিয়েই মরিশাসে গিয়ে সে ছুটি পেলেও দেশে আসেনি। এবার সে দেশে আসছে জীবনকে ছুটি দিয়েই, আর কোনো ধরনের আর্থিক চিন্তা ছাড়াই! হায় রে জীবন!
সোহাগ নীলফামারীর নতুন বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৮ সালে প্রাথমিক, নীলফামারী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৪ সালে মাধ্যমিক ও নীলফামারী টেকনিক্যাল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ থেকে ২০০৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে। সব ক্লাসেই সে ছিল মাঝারি গোছের স্টুডেন্ট, তবে শান্ত ও ভদ্র হওয়ার কারনে সকল স্যার-ম্যাডামদের কাছে সে ছিল বেশ স্নেহভাজন।
তাঁর পরিবার, আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও বন্ধুদের কাছে সে ছিল অত্যন্ত প্রিয় একটা ছেলে। তাঁর বয়স তিরিশে হয়তো পড়েছে কিন্তু তা পেরোয়নি এটা নিশ্চিত। বিয়ে করেনি, হয়তো আর কিছুদিন গেলে, মরিশাসে দশ বছর পূর্ণ হলে দেশে এসে তা করে ফেলতো। কিন্তু নিয়তি, সে আর হলো কই! সদা হাসিখুশিতে থাকা ছেলেটি যে আর দুনিয়াতেই নাই এটাইতো ভাবতে খারাপ লাগছে।
আমরা কেউই থাকবো না, তবুও যে কয়দিন বা যে কয়েক বছর আছি, দোয়া করি সবার জন্য, দৈনন্দিন সুস্থতার জন্য, স্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য, দোয়া করি মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে শান্তির জন্যও।
০৩ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৫২
তৌফিক বলেছেন: আমীন।
২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৪৮
ওমেরা বলেছেন: দুঃখজনক ঘটনা ।আল্লাহ উনার ভাল আমল গুলো গ্রহন করুন ও খারাপ আমল গুলো মাফ করে উনার কবরের আজাব থেকে মুক্ত রাখুন ও শেষ বিচারের দিন উনার হিসাব সহজ করে নিন ।আমীন
০৩ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৫২
তৌফিক বলেছেন: আমীন।
৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৫০
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সত্যিই দুঃখজনক, ওনার আত্মার শান্তি কামনা করছি
০৩ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৫২
তৌফিক বলেছেন: আমীন।
৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:২৮
ধ্রুবক আলো বলেছেন: সত্যি খুবই দুঃখজনক। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসীব করুন।
০৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৪৬
তৌফিক বলেছেন: আমীন।
৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৫৭
সামিয়া বলেছেন: খুবিই দুঃখজনক ।। আপনার বন্ধুকে আল্লাহ্ বেহেশত নসীব করুক। আপনার জন্য সমবেদনা রইলো।
০৬ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪
তৌফিক বলেছেন: আমীন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:২৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আল্লাহ তাকে বেহেশত নসীব করুন