![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমার মতই। সুখদুঃখের স্মৃতিতেই আমার বসবাস। তবে সুখের কথাগুলোই বলতে ভালোবাসি।
শরাফ আহমেদ জীবন পরিচালিত ‘আবার তোরা সাহেব হ’ এবারের ঈদের হাসির নাটকটি বেশ ভাল লেগেছে। শেষের দিকের কিছু বিষয় পুরো নাটকটাকে আরো নাটকীয় ও উপভোগ্য করে তুলেছে।
কবি সমাজ থেকে নিজেকে বিতাড়িত না করতে সবকিছু ঠিকঠাক থাকা সত্ত্বেও বিয়ে অনুষ্ঠান থেকে বর ইরেশ যাকের পালিয়ে যান। তবুও সময়, স্রোত ও বিয়ে কারো জন্য অপেক্ষা করেনা – এমন বিশ্বাসে - বিয়ে ঠিকই অনুষ্ঠিত হয়।
ছেলের বউকে বাড়িতে নিয়ে আসেন শ্বশুরমশাই নিজেই। নতুন বউকে ভালোভাবেই গ্রহণ করেন তাঁর শাশুড়ি। তবে এসময় গ্রামের কেউ একজন প্রশ্ন তোলেন – বিয়াতে ‘কবুল’ বলেছে কে? বাবা মামুনুর রশীদ তখন লাঠি নিয়ে তেড়ে এসে উত্তর দেন এবং পাল্টা প্রশ্নও ছুড়ে দেন – ছেলে জন্ম দিয়েছি আমি, ছেলের বিয়েও করিয়েছি আমি, কবুলও আমিই বলেছি। কারো কি কোনো সমস্যা আছে?
দুই সপ্তাহ পর যখন মেয়ের বাবা তাঁর বেয়াইয়ের বাড়ি বেড়াতে আসেন তখন ঠিকই জামাইকে বাড়িতে দেখতে পান।
যা বুঝলাম, নাটকের নামকরণ হয়েছে বিয়ে উপলক্ষে পুরো গ্রামের মানুষকে একপ্রকার জোর করেই কোর্ট প্যান্ট পরানোকে কেন্দ্র করেই।
বেশ কয়েকবার ইরেশ যাকেরকে স্যান্ডেল ছুড়ে মারেন বাবা মামুনুর রশীদ। কবি হিসেবে ছেলেকে তিনি খুব তাচ্ছিল্য করেন। সব মিলিয়ে অনেক নাটকের ভিড়ে এ নাটকটি ভালই লেগেছে।
তবে একটি দৃশ্যে আমার বিশেষ খারাপ লেগেছে; বরযাত্রী হয়ে গাড়িতে ওঠার জন্য সিরিয়াল ধরে দাঁড়িয়ে থাকা গ্রামের এক দাড়িওয়ালা লোক গরম লাগছে বলে প্যান্ট খুলে গোড়ালিতে নামিয়ে লুঙ্গি নেংটি বাঁধা অবস্থায় যখন শুধু কোর্ট পরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তখন।
দৃষ্টিভঙ্গির দ্বিমত থাকতেই পারে। ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেন।
(বিঃদ্রঃ বাংলালিংক, শরাফ ভাই বা তাঁর টিমের কেউই আমাকে এমন পোস্ট দিতে প্রলুব্ধ করেন নাই।)
০৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২৮
তৌফিক বলেছেন: ঠিকই, ওই লোককে ছাড়া অন্য যে কাউকে দিয়ে করাতে পারতেন বলে আমারও মনে হয়েছে।
২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:২৭
পাজী-পোলা বলেছেন: এটা যদি ভালো নাটক হয় তাইলে ভালো নাটকের সংজ্ঞাই ভুলে যাব।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৪১
তৌফিক বলেছেন: ভাল নাটক বলিনি। বলেছি ভাল লেগেছে।
৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: গতকাল রাতে এই ছবিয়াল রিইউনিয়নের এই নাটকটা দেখলাম। ছবিয়ালের আরো দুটো (বিকেলের পাখি, আর ওইটার নাম মনে আসছেনা, ওই যে ছোট মানুষটা চিটাগাংয়ে চলে যায়) দেখেছি আগেই। সবসময়ের মতই অন্যরকম। তবে আমার ক্যান জানি ইরেশ জাকের এর অভিনয় ভালো লাগে না। খানিকটা মনোটনাস।
(বিঃদ্রঃ বাংলালিংক, শরাফ ভাই বা তাঁর টিমের কেউই আমাকে এই মন্তব্য দিতে প্রলুব্ধ করেন নাই।)
০৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩
তৌফিক বলেছেন: ইরেশ যাকেরের অভিনয় দেখে সাথে সাথে কেন যেন তাঁর বাবার কথা মনে পড়ে যায়! আর এখানেই ডট কমের এ্যাডটাতেই একমাত্র পারফেক্ট ক্যারেক্টার পেয়েছিলেন বলে মনে হয়।
৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০১
জেকলেট বলেছেন: নাটকটার সবচেয়ে বড় দুর্বলতাটাই হচ্ছে " এই দাড়িওয়ালা লোকের গরম লাগছে বলে প্যান্ট খুলা"। আচ্ছা মানুষের গরম লাগলে প্যান্ট আগে খুলে না কোট??? শিয়াল যেমনে হউক লেজটা না দেখালে চলে?? নাট্যকার মনে হয় নিজে এই কাম করে!!!
০৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৩৭
তৌফিক বলেছেন: যা হোক, নাট্যকার বা পরিচালক নিজে এমন করুক আর না করুক, এ দৃশ্যে অনেকটা কাতুকুতু দিতে চেয়েছেন বলে মনে হয়েছে।
৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৩৭
লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: ঢাকার কিছু অভিজাত হোটেল, কমিউনিটি সেন্টারে এখন ড্রেসকোড চালু হয়েছে। অভিজাতরা তাদের পার্টিতে আমন্ত্রিতদের ড্রেসকোড দিয়ে দেন। কোড ভংগ করলে ভিতরে ঢুকতে দিবে না। এদেরকে ব্যঙ্গ করেই নাটকটা বানিয়েছে।
শেষে লুংগি পরা উকিলকে দেখিয়ে বুঝিয়ে দিল বাইরে যত ঠাটবাট ভিতরে এরা আমজনতার চাইতে বেশি কিছু না।
০৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪
তৌফিক বলেছেন: হুম, শেষে দেখা যায় - জামাইয়ের বাড়ি কোর্ট পরে আসলেও শ্বশুর লুঙ্গি ছাড়তে পারেননি। লুঙ্গির উপরেই কোর্ট পরে এসেছে। আর এমন দৃশ্য শীতে গ্রামাঞ্চলে কিংবা ঢাকার নিম্নবিত্তদের মাঝে খুবই স্বাভাবিক। তবে গরমেও এমন দৃশ্যের অবতারনা করে নাট্যকার আসলেই এটাকে নাটক করে তুলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫
সাকিব মুসতানসির বলেছেন: এই দৃশ্যটা আমার কাছেও দৃষ্টিকটু লেগেছে। পরিচালক চাইলেই এই রোলটা অন্য কাউকে দিয়ে করাতে পারতেন।