![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমার মতই। সুখদুঃখের স্মৃতিতেই আমার বসবাস। তবে সুখের কথাগুলোই বলতে ভালোবাসি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশেও দিনের পর দিন বাড়ছে এর জনপ্রিয়তা। ফেসবুকে মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে কখনও কখনও ব্যাপক অসহিষ্ণুতা লক্ষ্য করা যায়। রাজনীতিবিদসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার পরিচিত ব্যক্তিদের নিয়ে কৌতুক কিংবা ব্যাঙ্গ অনেক সময় ব্যক্তিগত পর্যায়ে চলে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে। ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগের এ মাধ্যমটি মানুষের কাছে মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে অসহিষ্ণুতা ছড়ানোর ক্ষেত্রে কি বাড়তি মাত্রা যোগ করছে? বিবিসি বাংলার সাংবাদিক আকবর হোসেন সেকথাই জিজ্ঞেস করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডঃ শাহ এহসান হাবীবকে। সেই আলোচনায় ডঃ হাবীবের মতামত নিম্নে প্রকাশ করা হলো।
“হিউম্যান সাইকোলজিতে আমাদের ব্রেনে যে রিওয়ার্ডিং ফিলিং থাকে তা ফেসবুকে কাজ করে। এটার মাধ্যমে আমরা সোশ্যাল একসেপ্টেন্স তৈরি করতে চাই। ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধমে আমরা আমাদের পার্সোনাল টাইপ প্রকাশ করে থাকি। Social media give your personality type. অর্থাৎ আমি কিভাবে কমেন্ট বা মতামত প্রকাশ করছি সেটার সাথে আমার পার্সোনালিটির সম্পর্ক রয়েছে। মানুষটি কেমন তা তাঁর লেখা পোস্ট দেখেই ধারণা করা যায়। যেমন আমাদের মধ্যে কিছু মানুষ আছে যারা ডিবেট পছন্দ করেন, তাঁরা কিছু একটা বলে মানুষের মাঝে ডিবেট ছেড়ে দিয়ে আনন্দ পান।
ফেসবুকের মাধ্যমে আমরা ভার্চুয়াল এম্পাথি তৈরি করি। একজন আরেকজনের সাথে সলিডারিটি, ইউনিটি বা দ্য ওয়ে অফ থিংকিং শেয়ারের মাধ্যমে এক ধরনের ভার্চুয়াল এম্পাথি তৈরি হয়। ফেসবুকের কমেন্টসগুলো ক্লাসিফাই করলে বোঝা যায়, কতকগুলো মতামতের বিষয় যখন বন্ধুবান্ধবকেন্দ্রিক হয় তখন তাঁদের মধ্যে পার্সোনাল রিলেশনশিপ – হৃদ্যতা বা দূরত্বের সম্পর্ক বুঝতে পাই। কিন্তু যখন রাজনৈতিক বা ন্যাশনাল ইস্যু নিয়ে কেউ মন্তব্য করেন তখন এটার মধ্যে বড় ধরনের ডিভিশন তৈরি হয়। এখানে একধরনের বিদ্বেষ বা নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়, তখন মানুষের মনের রিপেয়ারমেন্টটা স্লো হয়ে যায় অর্থাৎ একে অপরের প্রতি আন্তরিকতা কমে যায়।
এটি নতুন কোনো বিষয় নয়, মানুষের বিদ্বেষ অনেক আগে থেকেই ছিল কিন্তু তা প্রকাশের জন্য প্লাটফর্ম ছিলোনা। এখন পসিটিভ বা নেগেটিভ ইমোশনগুলো আমরা ফেসবুকের মাধ্যমে সহজে প্রকাশ করতে পারি। হিউম্যান সাইকোলজিতে পজিটিভ রিওয়ার্ড ও নেগেটিভ রিওয়ার্ড সবসময় ছিল, এখন টেকনোলোজি তা প্রকাশের জন্য আমাদের সেই সুযোগটা করে দিয়েছে।
ফেসবুকে সমাজের পরিচিত ব্যক্তিদের নিয়ে কৌতুক কিংবা ব্যাঙ্গবিদ্রুপ করে যারা মতামত প্রকাশ করেন তাতে প্রকাশ পায় তাঁরা নিজেরা কি ধরনের পার্সোনালিটির মানুষ! তাঁরা ইন্ট্রোভার্ট নাকি এক্সট্রোভার্ট, সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যয় করার মতো তাঁদের হাতে কি পরিমান সময় থাকে, তিনি জবলেস নাকি কোনো গুরুগম্ভীর কাজের দায়িত্ব নিয়ে আছেন – তা বোঝা যায়।
ফেসবুকে সমালোচনার বিষয়টি মারাত্মকভাবে পরিলক্ষিত হয়। আমরা একটা কালচার তৈরি করেছি যেখানে সমালোচনা করাটা একটা বিনোদন বা ইন্টারটেইনমেন্ট। মতামত বা কমেন্টের পাল্টা কমেন্টকে আমরা দারুণ ইনজয় করছি।’’
সমাজবিজ্ঞানীর সাথে একমত হয়ে আমি বলতে চাই - আমার কাছেও অতিরিক্ত সমালোচনা করাটা খুব খারাপ লাগে।
০৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২১
তৌফিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। চকচকে এডিটেড ছবি আর বাহারি গল্প ও মন্তব্য দেখে নিজেকে সাধু বানিয়ে ওটাকেই রিয়াল লাইফ করছেন অনেকেই।
২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: এর ভালও দিক যেমন আছে মন্দ দিকও আছে।
০৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২৪
তৌফিক বলেছেন: হুম, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাল খারাপ সবই থাকে, যে যেভাবে কাজে লাগায় আরকি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৪
শরীফুর রায়হান বলেছেন: ভার্চুয়াল লাইফাটা ধীরে ধীরে রিয়েল লাইফে মোড় নিচ্ছে