নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিত্ব কে আবিষ্কার করা...

তাওিহদ অিদ্র

জীবন অর্থবহ...

তাওিহদ অিদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুভূতি কোথায় থাকে...

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮

দূনীতির জন্য নয়,চুরি-ডাকাতির জন্য নয়,খুনের জন্য নয়,জ্বালা ও পোড়াও এর জন্য নয় সর্বোপরি মানুষের মৃতু্্যর জন্য নয় শুধু ধর্ম নয় ধমীর্য় আড়ালে যে কর্দযতা হয় তার জন্য তার জাত গেল ,পদ গেল ,সমাজ গেল .........আমাদের সব অনুভূতি শ্রমের জন্য নয় ,অলসতার জন্য ও নয় শুধু ধর্মানুভূতির জন্য জমা থাকে !! যে সব সাধারণ মানুষ যা বিশ্বাস করে সততার সাথে তাদের বিশ্বাসে আঘাত দেয়া উচিত নয় ।তবে কেউ যদি উচিত -অনুচিতের কথা বলে তাহলে তার কথা শুনতে হবে মনোযোগ দিয়ে কি বলতে চেয়েছেন অনুধাবন করতে হবে তা যদি না করে আপনি বলে দেন তিনি অপরাধী তাহলে সেটা ও এক ধরনের অপরাধ এটা আমরা ধরতে পারি না ।যারা ধর্ম বিশ্বাস করেন সততার সাথে ,নির্মোহতার সাথে ,ত্যাগের সাথে মানুষে মানুষে সম্প্রীতির সাথে তাদের কথা ভিন্ন ।কোন অসৎ মানুষ যার নিজের সততা নিয়ে প্রশ্ন আছে সেই যদি অন্যের কথাকে অসৎ,অন্যায় ,কর্দয ,অপরাধ বলে মন্তব্য করেন তখন স্বাভবিক ভাবে প্রশ্ন আসে কে কার বিচার করবে ?একজন অপরাধী কি আরেকজন অপরাধীর বিচার করতে পারে ? সোজা উত্তর কখানো না ।আমাদের সমাজে,রাষ্ট্রে এটা একটা রীতি নীতি হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে ।নিজে অসৎ হয়ে আরেকজনের অসততা খোঁজার মত মানুষের সংখ্যা বেশি। তখন স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন আসে অনুভূতি কোথায় থাকে? কোন অঙ্গে ? প্রত্যেক অঙ্গের একটা নিজস্বতা আছে সেও ধর্ম মেনে তার কাজ করে .. নিয়ম মেনে কাজ করা মানে হল ধর্ম।আর ধর্মের সাথে যখন রাজনীতি যোগ হয তখন ধর্ম ধর্মরে জায়গাই থাকে না ... সেটা তখন বিষবাষ্প ছড়ায়,আগুন লাগায় ,হানাহানি বাড়ায় ,স্বার্থান্ধ মানুষের হাতিয়ার হয়ে দাঁড়ায় ।কেউ যদি কোন যুক্তি দিয়ে ,কথা দিয়ে কোন প্রশ্ন তুলেন তাহলে তাকে তার কথা বা যুক্তি দিয়ে ঘায়েল করা উচিত ।লাঠি দিয়ে তাকে ঘায়েল করতে হবে কেন? নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করা তো ধর্মানুশীলনে নেই ! তাহলে ্আজ কেন চিলে কান নিয়েছে বলে রব উঠেছে...আর তাকে তরবারী ,পাথর ছোঁড়া, শিরোচ্ছেদ এর কথা বলা হবে কেন? কারা বলছে ? তাদের চরিত্র কি? তারা কি ব্যক্তিজীবনে সৎ? নিজে নিজের কাছে পরীক্ষা দিন ।আল্লাহ বা ঈশ্বর বা গডের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না পুরষ্কার দুনিয়া বা আখিরাতে পেয়ে যাবেন। মিছিল করলে ,শাদা ধবধবে প্রতিকী ধারণ করলে জাতে সর্বশ্রেশ্ঠ হয় না ।যে জীবন অন্যের জীবনকে ভালবাসতে জানেনি সেখানে মানুষের চেয়ে বস্তু বড় হয়ে যায় ।"সবার ওপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই " ।তাইতো আজ ধর্মের চেয়ে মানুষ ছোট ।মানুষ তোমরা মানুষকে কতল কর তা নাহলে তার শ্রেষ্ঠত্ব কোথায় ? আমাদের দেশে তো কোন কথাই বলা যাবে না জিহ্বা কেটে নাও.... নতুন কথার কোন দাম নেই ।অসঙ্গতির কথা ও বলতে নেই ! পাপ জঘন্য পাপ ।যিনি পাপী তিনি পাপীর বিচারক ।একজন মানুষ শুধু একটা ইজমের নৈতিকতার ওপর গড়ে উঠে না ।মানুষ বেড়ে উঠে গড়ে উঠে হাজার হাজার ইজমের ভাল এর ওপর ।যারা অন্ধ তাদের চোখ আজ বড় ।যারা অসভ্য তারা আজ সভ্যতার কারিগর ।এজন্যই তো সক্রেটিস,ব্রুণো,আর্কিমিডিস দেহ থেকে শরীর আলাদা হয়েছে ।নবীকে ও হিজরত করতে হয়েছে ।সব মানুষ তার কর্ম এর মাধ্যমে বেচেঁ থাকে ,কেউ সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয় ।সমালোচনা করা মানে তো কোন অসঙ্গতি নয় ।একটা কাজে হাজার অসঙ্গতি আছে সে অসঙ্গতির বিরুদ্ধে কথা বলা মানে তো কাউকে আঘাত করা নয় ।ধর্ম অর্ধামিকদের হাতে পড়ে আজ আগাছায় পরিণত হয়েছে ।আমার চেতনার পরিমাপ করবে অন্য কেউ ,বিচার করবে অন্য কেউ এটা কোন ধর্মের কথা না মানুষের কথা !!! ধর্মের নামে যখন আকাম হয় তখন ঠিক "তালগাছ আমার" যখন এ কথা যখন তুলে ধরবেন তখন আপনি খারাপ,মুরতাদ,মালাউন ............।কি আজব সমাজে আমাদের বসবাস।মসজিদে ,মাজারে, মাদ্রাসায় রক্ত ঝরে কার রক্ত ? ভাই বা মানুষের ।তারা তো ধর্ষণের বিরুদ্ধে কথা বলে না,দূনীর্তরি বিরুদ্ধে কথা বলে না,যৌতুকের ব্যাপারে কথা বলে না .... । আমি আমার অনুভূতির দাসত্ব করতে পারি না ..সহচর হতে পারি ।হামলে পড়া ভাল নয় ...বুঝুন যা খারাপ ভাবছেন ,তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন । আমাদের আরজ আলী নেই আমাদের আছে মজিদের মত পীর । ধর্ম পীর,রাজা পীর,রাণী পীর,আলেম পীর,ভন্ড পীর... কারা জগেতের খারাপ ? সেটা যতদিন না বুঝব্ ততদিন আমাদের বাড়ি হবে,গাড়ি হবে,ফ্ল্যাট হবে,নারী হবে সবই হবে হৃদয় হবে না ............... সেখানে অনুভূতি থাকে না ।অনুভূতি তখন কর্ষণে লিপ্ত থাকবে .....এখন যেমন হচ্ছে ...।।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.