![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সব সমাজ সমান নয় হোক সেটা পশ্চিমা বা পূর্ব ।এমন অনেক কিছু আছে আধুনিক সমাজে যা গ্রহণ করার মত মনমানসিকতা আমাদের নেই ।এজায়গায় আমাদের সমাজ একেবারেই অপর্দাথ বা অযোগ্য ।আবার পশ্চিমা সমাজের যা পাব তাই নেব এটাও ঠিক নয়।সাহিত্য বা চিত্রকলায় বা নাটকে বা কবিতায় বা উপন্যাস- অনেক সময় অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত হয়।বলে রাখা ভাল ,কোন দেশের শ্লীলতা আবার অনেক দেশে অশ্লীলতা আবার উল্টোটাও হয়।এই ধরনের শব্দ আমাদের আঞ্চলিকতার ভেতর ও পরিলক্ষিত হয় ।প্রত্যেহ জীবনের সাথে যা জড়িত তা সাহিত্যে স্থান পাবে এইটাই স্বাভাবিক।তবে এটা ও অমোঘ সত্য গোষ্ঠীগত স্বার্থ কোন না কোন সময় প্রভাব খাটায়।এমন অনেক কিছু আছে আমরা কতিপয় নিতে পারলাম আবার কতিপয় এটাকে মেনে না নিয়ে অন্যকিছু করার চেষ্টা করলাম । পশ্চিমা দেশে অনেক সাহিত্য বা চিত্রকলা এই দায়ে অভিযুক্ত হয়েছে সেটা অনেকেরই জানা কিন্তু ওই সময়ে ওটা নিতে পারার মত সহ্য ক্ষমতা হয়তা তাদের ছিল না কিনতু বর্তমানে তারচেয়ে বেশি লিখে ও অনেককেই সে দায়ে অভিযুক্ত হতে হয় না ।আমাদের সমাজ এখন ও সেই মধ্যযুগের প্রান্তর অতিক্রম করছে।তাই এখানে এটা হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আমরা ব্যক্তিগত ভাবে ইনিয়ে বিনিয়ে থ্রি এক্স দেখি ,আইটেম গান দেখি.......... অথচ সাহিত্যে কে যোনি ,স্তন, চনু, সেক্স বা চোদাচুদি -এর কথা দেখলে বা লেখার প্লটে এসব দেখলে বা চিত্রায়ন করলে গেল গেল রব শুরু করি ।যা বলি যা করি যা প্রচলিত বা প্রচলিত নয় তা বইয়ের শিল্পজগতে থাকবে।কোন মেয়েকে যদি আমরা বলি হাই সেক্সি তাহলে আপনি অশ্লীলতা করেছেন বলে ধরে নিবে সমাজ আবার এমন ও হতে পারে যে মেয়েটি ও আপনাকে পজিটিভ উত্তর দিয়ে বিষয়টাকে সরল করতে পারে এই অর্থে তার কান এই শব্দ নিতে পারার মত ক্ষমতা আছে।সেক্সি শব্দ এখানে সৌন্দর্য্যকে প্রকাশিত করে কিন্তু আমরা যদি এটাকে সচারচর যোনি বা ভোদা কল্পনা করি তাহলেই বিপত্তি। হুমায়ু্ন আজাদের অনুবাদ কর্ম "দ্বিতীয় লিঙ্গ" পড়লে আপনি নিশ্চিত কোন কিছু অশ্লীলতা পাবেন না বরং একজন মেয়ের অর্ন্তনিহিত দুঃখ আপনার চোখে প্রতিনিয়ত ভেসে উঠবে তার জন্য মায়া বা করুণা অনেক কিছুই জাগতে পারে হতে পারে ব্যাথায় আপনি ও কাতর তার ব্যাথায়।অথচ আমাদের দেশে এক শ্রেণীর মানুষ হুমায়ুন আজাদকে মুরতাদ ঘোষণা করেছে ,হাইর্কোটে রিট করেছে যদি ও পরে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তা পাঠকের কাছে পৌঁছে যেমন তসলিমা নাসরিন।অথচ তাকে তো দেশ থেকেই তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।হালাল হারামের তারতম্য করে যেমন বিভক্ত সমাজ তৈরী হয়েছে ঠিক তেমনি অশ্লিলতা ও শ্লীলতার মধ্যে ও বিভক্তি সমাজে স্পষ্ট।তাহলে আপনি বলতে পারেন একটা সিনেমা বা পোস্টার বা বিজ্ঞাপন বা অন্য যেকোন ইমেজে অঙ্গভঙ্গি থাকে তাহলে কি তাকেও সেটা বলা যাবে কি যাবে না।এখানে বাণিজ্য ব্যাপারটাও জড়িত আছে।চটি ও অনেকেই লেখে আবার সেই লেখা পড়ার পাঠক ও আছে তাতে কিছু বাণিজ্য ও আছে।বাণিজ্য থাকুক আর নাই থাকুক অশ্লীলতা বা নগ্নতা এক জিনিস নয় ।শিল্প নগ্নতাকে অন্যন্য উচ্চতা দিয়েছে পশ্চিমা দেশের সেই কলাবিদ্যা আমাদের কাছে কতটুকুন শিল্প তা প্রশ্নাসাপেক্ষ।ওই যে সমাজ বা আপনি এটা নিতে পারছেন কিনা।পশ্চিমা দেশে ও এমন অনেক কিছু আছে যা ওরা নগ্নতার দোহায় দেয় !কিন্তু মাপকাঠিটা ভিন্ন আরে কাঠি ভিন্ন হোক আর না হোক পু্রো বিষয়টা মানুষের বিচ্ছিন্নতার সাথে জড়িত এই বিচ্ছিন্নতা মনোজাগতিক।কিংবা বলতে পারি বাংলার ইতিহাস পাঠ করতে গেলে আমরা সেসইসময়র অনেক পবিত্র স্থানে বিশেষ করে মন্দিরে নানা নগ্ন মূর্তির মূর্তিকলা দেখি ।মসজিদ বা প্যাগোডায় সেটা দেখি না হয়ত অন্যের কাছে থেকে আলাদা করে রাখার জন্য হয়ত তারা এটা করেছে ।মনের দিক থেকে আলাদা করেছে কি? মিশর ,গ্রীক বা রোমান সাহিত্য ইতিহাস পাঠে ও সেই কলাবদ্যিা আছে ।আর যে অশ্লীলতা খুঁজবে সে কাকতাড়ুয়া থেকে ও খুঁজবে আবার দোকানের শাড়ি বা প্যান্ট পড়ানো ফিগার থেকে ও খুঁজতে পারে অথবা পোশাক যেমন ব্রা ,পেন্টি,জাঙ্গিয়া,ব্লাউজ এসব থেকে ও খুঁজতে পারে । আমাদের দেশে লালনের স্ট্যাচু বসানোর চেয়ে বিমানবন্দরে হাজিদের স্ট্যাচু বানানোকে এখানে যর্থাথতা দেয় আবার বিদেশের নগ্ন স্ট্যাচু দেখলে আহা কি অসাধারণ বলে মেনে নেই।আবার অনেকেই ছি ছি করবে আবার পরক্ষণেই মুখ টিপে হাসবে!! অনেক নারীদেরকে ও আমরা দেখেছি কুকুরের সেক্স্র কর্ম করার সময় মন্তব্য করতে বা হেসে লুটোপুটি হতে তখন তো তাদের মধ্যে ওইসময়ের জন্য অশ্লীলতা চেপে বসে না বরং একটা কৌতুকদ্দেীপতা করে মাত্র ।বর্তমানে ফেসবুকে ও সাইয়িদ সাইমনের লেখাা প্রকাশিত হবার পর এক ধরনের কৌতুহলতা পেয়েছে অনেকেই অভিযুক্ত করেছে যে এই বইতে অশ্লীলতা ভর করেছে ।তাই এটাকে ডিফাইন করার চেয়ে ফিল্টার করে ভাবলেই হয় !বেগম রোকেয়া যে সমাজকে কটাক্ষ করেছিলেন বাঙালি সমাজে এই শিল্পিত কটাক্ষ আর কেউ করেনি এখানে প্রকাশভঙ্গিটাই মুখ্য ।তবে সবসময় যে শিল্পিত আমরা যা বুঝি বা বলি তা হতে হবে এমন কোন কথা নেই। লেডি লাভার চার্টালিজ ও অনেকটা ওই রকম ।সৃজন যে কেউ করতে পারে সবকিছু যে মননশীল হতে তা নয় তবে তা নানা রুপে নানা আঙি্গকে ধরা দিবে ব্যক্তির কাছে এটাই সত্য তবে সমষ্টিগত কদর্য স্বার্থের ভেতর পড়লে কর্দয আরো বেড়ে যায় অনেকেই তো বলে নাদা শুকালে তাতে বারি দিতে নেই নোংরা আরও বেশি ছড়াবে!!অশ্লীলতার কাছে কতিপয় পরাস্ত হয় তবে শিল্প বা সাহিত্য তার ভাঙচুরের মধ্যে বিস্তুৃত হতে থাকে।এটা হল মধুরতা । ।।
©somewhere in net ltd.