![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজা রামমোহন আর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর পরে তাঁর মতো পৈতাধারি সমাজ সংস্কারক এই দেশ আর কখনও পায়নি।তিনি কি মানের লেখক তাঁর চাইতে তিনি যা ভাবেন এটা আর কেউ ভাবতে পারে না।বিশেষ করে প্রথম আলোতে যারা লেখালেখি করে যেমন সোহরাব হোসেন,আসিফ নজরুল,ওয়াসিফ,আলি রিয়াজ,মিজানুর রহমান তাঁদের মত উঁচু মানের লেখক কলামস্টি এই বাংলা্য় আর পায়নি তারা যা ভাবে এটা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ চিন্তা আর কেউ এ ধরনের চিন্তা করতে পারেন না।তারা অসামান্য,অসাধারণ ,এক একজন নিরপেক্ষ বাঘ! তাঁদের লেখনিতে কি নিরপেক্ষতা তা বুঝা মুশকিল নয় কারণ বিদেশে বসে আমেরিকা ইউরোপরে কালচার চাপিয়ে দেয়া খুবই সহজ,তাঁদের মানবাধিকার সবক আমাদের মুখস্ত করানো খুব সহজ কেননা আমরা যারা দেশে থাকি তারা আস্ত একটা গোমুর্খ,নলেজ বলতে আমাদের কিছু নেই।এখন আসল কথায় আসি ....সৈয়দ আবুল মকসুদ ও তাঁর সেক্স ভাবনা...একটা কলাম লিখেছিলেন তাতে তিনি বলেছেন,গুগলে বাঙালি নাকি বেশি বেশি সেক্স ভিডিও দেখার জন্য হিট করে তার তালিকায় ৩য় নম্বরে ।জানি তিনি বিদ্রুপ করেছেন আমাদের মানসিকতা নিয়ে।বিকৃত সেক্স ভাবনাকে তুলে ধরেছেন।আমাদের সমাজে এমনিতে যে বিভাজন তৈরী আছে তাতে এরকম কিছু অস্বাভাবিক নয়।একজন ছেলে একজন মেয়ের হাত ধরলে যেখানে অপরাধ ভাবা হয় ,সেখানে চুমু খাওয়া ভালবেসে হোক না কেন,সেক্স করা এগুলো অপরাধ হিসেবে ধরা হয়।এমনকি একসাথে স্কুল কলেজে একসাথে লেখাপড়া করাটা ও এখন অপরাধ।যে মানুষ তার পড়শি মানুষকে পোশাকে -আশাকে দেহে ,,আচরণে এক ভিন্ন জগত অলক্ষ্যে তৈরী করেছে, যাকে সে একটা মাংস পিন্ড ছাড়া কিছু ভাবতে পারে না ,যাকে সে ভিন্ন এক স্বত্তা হিসেবে দেেখে গোপনে তা সাথে মধুর দৈহিক মিলন চিত্র দেখার জন্য গুগলে ঢুঁ মারবে এটতো স্বাভাবিক।আমি্ এক অফিসের ৫৫ বয়সি এক সিটি কর্পোরেশন চট্টগ্রাম কলেজের নাম বলছি না ইসলামী ইতিহাসের শিক্ষক যিনি জামাতের একজন নেতা ও বটে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সহ সভাপতি তিনি একদিন তার অফিস কম্পিউটারে সেক্সভিডিও দেখেছিলেন হয়ত কিন্তু পরে তাড়াহুড়ো করে বেরোতে গিয়ে পিসি আর বন্ধ করেনি পরে আমরা আবিষকার করলাম ওটা ছেড়ে তিনি চলে গিয়েছিলেন পরে বুঝতে পারলাম আধুনিক প্রযুক্তির অনেক অনুষঙ্গ আমরা নিতে পারিনি যদি ও এটা ও একটা বিকৃত ধরন...।একটা সময় আমরা একটিকেটে দুই ছবি দেখার জন্য সিনেমায় যেতাম কিংবা ইউটিউবে ঢুঁ মারতাম এখন আর প্রয়োজন হয়না কারণ একটাই সময় যত এগিয়েছে ততই খোলস ছেড়ে বেবিয়ে এসেছি ।কিনতু শুধু ব্যাক্তিগত ভাবে পাল্টালেও সমষ্টিগত বিষয়টা এমন নয়।এর ;জন্য অনেক সচেতনতা দরকার।এর সাথে মাতৃমৃতু্য হার ,অবাধ যৌনতা,নান যৌনরোগ,নারীদের ওপর অত্যাচার সবই বেড়েছে সমাজে।প্রতি পরতে পরতে এই যে বিভাজন রেখা ...তা বলার জন্য বিশেষজ্ঞ হবার প্রয়োজন পড়ে না।আচ্ছা এমন বিকৃত সমাজের মানুষদের পাল্টাবার জন্য তিনি ব্যক্তি জীবনে কি কি করেছেন।কি দায়িত্ব পালন করেছেন ,কি উদ্যোগ নিয়েছেন তার কোন হদিস পাওয়া যায় না।হয়ত দৌড়ে গিয়ে নিরপেক্ষ সভায় বক্তা থাকেন কিছু ধার করা সবক দেন এই তো !! খুব একটা পাত্তা দিবার প্রয়োজন হয়ত পড়ে না কিন্তু বিভ্রান্তি :ছড়ানোর থেকে বিরত থাকাটাই উচিত কাজ।কথাবাজদের দৌরাত্নে খুব অতিষ্ঠ।শুদ্ধ কথায় মান বাংলায় যারা মানুষ পোড়ার আন্দোলনে যারা পাশে থাকে না ,নিরপেক্ষতা গন্ধ খুঁজে বেড়ায় তাদের কাছ থেকে দূরে থাকাটাই শ্রেয়।এখন মনে হয় যারা বেশি কথা বলেন তারা কথার মত মত সাহিত্যিক তবে সাহিত্যিক নন!!!
©somewhere in net ltd.