নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিত্ব কে আবিষ্কার করা...

তাওিহদ অিদ্র

জীবন অর্থবহ...

তাওিহদ অিদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের বিচার বর্জ্য ব্যবস্থা ,পুলিশের আবদার ও আধা ন্যাংটা সমাজ

১০ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:০৬

বাংলাদেশের বিচার বর্জ্য ব্যবস্থা ,পুলিশের আবদার ও আধা ন্যাংটা সমাজ
........................................................................

বাংলাদেশ কার ও গোলামি করে না এমন কথা ১৯৭১ সালে প্রমাণ করেছে এ কথা এক দিকে হয়ত সত্য কিন্তু গোলামি করে না এমন কথা বলা যাবে না।বৃটিশ রাজরা একসময় পৃথিবীর দুই তৃতীয়াংশ অঞ্চল শাসন করেছিল তার একটাই ছিল সর্ববড় ভারত বর্ষ।নানা কাল ফেলে বাংলাদেশ এখন স্বাধীন দেশ ।প্রকৃত স্বাধীন কিনা সন্দেহ বিশেষ করে জনগণ কর্তৃক।যে কারণে দেশ স্বাধীন হয় সে কারণগুলোর শুধু হাত বদল হয়েছ প্রকৃত বলে কিছু হয়নি।বাংলাদেশের আদালতে যে প্রচলিত আইন ব্যবস্থা আছে তা বৃটিশ বেনিয়াদের রেখে যাওয়া যে আইন তারা তৈরী করেছিল এ অঞ্চলের মানুষকে স্বাধীনভারে শৃঙ্খলাভাবে চলার জন্য নয় তার গলা টিপে ধরার জন্য মাত্র।যেসব বিধিবদ্ধ আইন এখানে কোডিফাইড করা আছে তার ৯০ভাগ ধারা,বিধি,উপধারা ,অনুছ্ছেদ মাুনষের জন্য নয় তা পশুর জন্য হতে পারে।দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই আইন এ দেশের জন্য কতটুকুন উপযোগী করতে পেরেছে তা আসলেই প্রশ্নসাপেক্ষ।অন্ধত্বের ও একটা সীমা আছে,এ মুর্খতার বা অন্ধ হয়ে থাকার কোন সীমা নাই ।সাধারণ মানুষ কিভাবে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে ।এক কথায় বলা যায়" আদালতের দেয়াল ও টাকা খায় "।মানুষের ভাবনা,চিন্তাকে কাজের মধ্য দিয়ে র্কাযকর করতে না পারার অর্থ হল .. দূনীর্তি।সবাই একবাক্যে কোরান হাদিসের বাণীর মত বলে যায় "আদালতকে আমরা শ্রদ্ধা করি,এটা হল শেষ আশ্রয় স্থল " ।এটা হল যার করছি তা আইনের ভেতর ফেলে জায়েজ করার মত ।এ ব্যবস্থা পুরোপুরি বাংলাদেশ নয় কমবেশি সব ব্যবস্থার ভেতর ভোগান্তি হয়রানি আছে ।তা না হলে গ্ল্যাডস্টোন বলত,-জাস্টিস ডিলেইড ইন জাস্টিস ডিনাইড"।আর ও আছে, আইন হল মাকড়সার জালের মত বড়রা ছিঁড়ে বেরিয়ে যাবে আর ছোটরা আটকা পড়ে মারা যাবে ।তাহলে এ সামন্তবাদী ব্যবস্থা থেকে কি মানুষের মুক্তি নেই ।আইন হল সামন্তবাদ বা জমিদারী ব্যবস্থা ।তাদের কার্যসিদ্ধি করার জন্য তারা এই রকম ব্যবস্থা তৈরি করেছিল যা কালের বির্বতনে আধুনিকতার ছাঁচৈ মানুষের অধিকার রক্ষার নামে আর সহিংস লুটেরাদের আশ্রয়স্থল হয়েছে বোলতার চাকের মত।এক চাকে অনেক বোলতা। যে সমাজ মনুষ্য উন্নয়নকে প্রাধান্য দেয় ,যে সমাজ চিন্তাশীল মানুষের সমগ্রতাকে নিয়ে ভাবে,প্রগতিশীলতাকে আশ্রয় দেয় সে আইন চেতনা তত উন্নত ।কিন্তু আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশে সে টা লুনঠনের হাতিয়ার হবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা অনুমেয় ।যে সমাজের মানুষের বোধ ,চেতনা,আর্দশ,মানবতাবাধ উপল্ধি করতে পিঠটান দেয় সে সমাজে আইন একটা পৈশাচিক হাতিয়ার হয়ে দাঁড়ায়।এদেশে হচ্ছে ও তাই ।এককালে বড় বড় দার্শনিকেরা আইন ভঙ্গ করে আইন তৈরি করেছেন ।এখন আইন ভঙ্গ করলে সাজা হয় কেননা মানুষ অপরাধপ্রবণ তাই তাকে শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবনে আটকে রাখার জন্য আইনের প্রয়োজনীয়তা আছে ।মানুষ স্বাধীন,তবে সে কোনভাবেই পরিপূর্ণ স্বাধীনতার স্বাদ লাভ করতে পারবে না যদি না সে স্বাধীনতার লাগাম টেনে না ধরা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তো রাজনৈতিক ব্যবস্থা সবসময় টালমাটাল আর যেহেতু রাষ্ট সরকার দ্বারা পরিচালিত সেই সব সরকার ধারাবাহিকভাবে দেশ শাসন করেছে সবার মাঝে এ বোধাদয়ের অভাব ছিল।আজকাল অনেক কোর্ট হয়ত বিভিন্ন জায়গায় স্থাপন হয়েছে ঠিকই কিন্তু সাধারণ মানুষের সেই উক্তি কি আজো বেছে নেই ,আছে ,খুব ভালভাবে আছে " আদালতের দেয়াল ও টাকা খায় "। আইনেই বলা আছে আইন নৈতিকতাকে প্রশয় দেয় না তাই তার মধ্যে নৈতিকতার খোঁজ নেয়া ঠিক হবে না ।আজকাল বলে ব্যবসা ও করব আবার সেবাও দেব।এক্ষেত্রে ব্যবসাও করব ,আবার নিঃস্বও হব।বেশিরভাগ মানুষ যখন উপকারভোগী হয় তখন সে ব্যবস্থাকে মোটের উপরে ভাল বলা যায।আর যখন সেটা পাওয়া না যায় তখন সে ব্যবস্থাকে বর্জ্য ও বলা যায়। তাছাড়া নানা শক্তি নানা কসরত প্রর্দশণ করে ।তার সাথে রাজনীতি ও দূণীর্তি যুক্ত হলে একেবারে পোয়াবারো। সে পোয়াবারো সমাজে এ আইন সমাজ ঘুরপাক খাচ্ছে।সেবার বদৌলতে ছেঁচা দিচ্ছে।যে মানুষ যত বড় টাকা,পেশীশক্তি,রাজনীতি শক্তিওয়ালা তারা তো আইনের তোয়াক্কা করে না ,আইনই তাদের তোয়াজ করে চলে ।তার সাথে যদি সরকারের ইন্ধন থাকে,সংবিধানের ইন্ধন থাকে ,গোষ্ঠীগত ইন্ধন থাকে তাহলে তো কথাই নেই ।সেখানে ন্যায়ের বদলে মাৎস্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়।এখন আইন তার জগতে বাহ্যিক আর কাঠামোগত নানান পরিগ্রহ ভোগ করছে ,এ হচ্ছে,বে হচ্ছে কিনতু কাজের কাজ তো কিছুই হচ্ছে না ।মানুষ যে তিমিরে আছে সে তিমিরেই রয়ে গেছে ।

পোশাক: আইনী পোশাকের একটা ড্রেস কোড আছে ।সেটাও তো গোলামদের কোট।আমরা উঞ্ন প্রধানদেশের মানুষ।তার ওপর নাগরিক অধিকার বলে যা বোঝায় তা তো সরকার ঠিকমতো নিশ্চিত করতে পারেনি ।তাই খুব গরম যখন পড়ে কোট গা্উন টাই পড়ে...গাদা গাদা মানুষের ভেতর উকিল,বিচারক সবাই নাকে মুখে ঘামে ঘর্মে একাকার হয়ে যায় ।কেন আমাদের দেশের আবহাওয়া উপযোগী একটা ড্রেস কোড কি আমরা নির্ধারণ করতে পারতাম না সে সিম্বল এর কথা বলা হয় তা কি আমরাও একটা বানাতে পারতাম না।কিনতু পারিনি পাঠে পঠনে ,পোশাকে আশাকে সবজায়গায় গোলামীর হেয়োঁ তুলছি ।

পুলিশ: আইনের কাজকে মাঠ পর্যায়ে পরিপূর্ণতা দেযার দায়িত্ব যার উপর পড়েছে সে হল -পুলিশ।আইন আদেশ দিবে আর তা বাস্তবায়ন করবে প্রশাসন তার অন্যতম প্রধান অংশ হল এই পুলিশ প্রশাসন।আইনশঙ্খলার পাশাপাশি তারা মানুষের দূর্ভোগ লাঘবে সহায়ক শক্তি হিসেবে তাকে তৈরী করা হয়েছে ।ওই আবার ও একই কথা বলতে হয় স্বাধীণতার পর আদৌ স্বাধীণ কিছু কি আমরা তৈরী করতে পেরেছি? বাংলাদেশেরে পুলিশ সার্ভিসে যারা আছেন তার ৯০ ভাগ লোক কে মানুষ বিশ্বাস করে না ।পুলিশ দেখলে মানুষ ভয় পায় ,তার আশ্রয় নেয়া মানে মনে করে হেনস্তা তাই আগ বাড়িয়ে যাওয়ার দরকার কি যা হওয়ার তাই হয়েছে ।তাই ওই ৯০ ভাগের মধ্যে ১০ ভাগ ভাল মানুষকে দেখা যায় না ।তাছাড়া পুলিশের মধ্যে ব্যক্তিবেশিষ আছে যারা র্ধষণ,চুরি,ডাকাতি,ছিনতাই এর সাথে জড়িত ।রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে মানুষ যাবে কোথায়।অথচ মানুষ ঘুমাতে যায় তারা জেগে থাকবে বলে ।সে যাক পুলিশ সাধারণ পি আর বি বা বাংলাদেশ পুলিশ বেগুলেশন দ্বারা পরিচালিত হয় ।তার পাশাপাশি বিধিবব্ধ যে আইন আছে তার ভেতর থেকে ব্যবহারিক কর্ম তারা সম্পাদন করে ।রাষ্ট্র তাদের যে সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়ে থাকে তা হয়ত পর্যাপ্ত নয় কিনতু এটা জেনেই তো সে চাকরিতে যোগদান করে ।তাহলে পুলিশ কেন আবদার করবে তার জন্য আাইন পাল্টাতে,কিছু বানাতে ??? ফৌজদারী আইনেই বলে দেয়া আছে,পুলিশের সাথে যেয়ো না,তার কথা আদালত বিশ্বাস করে না ,আদালত তার কথা শুনতে বাধ্য নয় যদি অপকর্মেরে শাস্তি বা অপরাধের শাস্তি নির্ভর করে তার তদন্ত আর অনুস্ধানের ওপর।সাক্ষ্য আইনেও তাই ।তারা যদি তাদের ব্যবহারিক কর্মসম্পাদন করার জন্য পর্যাপ্ত লজিস্টিক সার্পোট না পাই তাহলে তারা বলতে পারে দাবিদাওয়া করতে পারি এমনকি ভূক্তভোগী বা শ্রমিকদের মত প্রতিবাদ,আন্দোলন করতে পারে কিন্তু আইন পাল্টানোর আবদার কখনো তারা করতে পারে না ।আর কোন সরকার কোন উছিলায় যদি সে কাজটি করে থাকে মনে রাখতে হবে সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ বাড়াতে ,,,নির্যাতন বাড়াতে... অতাচার বাড়াতে যাওয়ার সামিল হবে তা।এমনিতে আজকাল বলাবলি করে ,দেশটা পুলিশী হয়ে গেল ।তারা যদি রাজনীতি কাজের সাথে জড়িত হয়ে পড়ে বা বাধ্য হয় তাহলে মরণ ছাড়া আর কোন গন্ত্যন্তর নেই ।হয় কথায় নয় কথায় আপনার জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশী হাজত ,রিমান্ড ।রিমান্ড মানে আস্ত একটা টাকার ডিমান্ড!!!লাইসেন্স যদি দেয়া থাকে নির্যাতনের তাহলে আপনি মরবেন কিন্তু নির্যাতন কিনবেন না।আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে সে দিকে কারো খেয়াল নেই আছে ভাগভাটোয়ারার আবেদন আর ডিমান্ড।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.