![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ষোল ডিসেম্বর //
প্রতিটি দিনের আলাদা আলাদা সুখদুখ আছে তবু শ্রেনীর অঙ্কের খাতায় তৃর্ষ্ণাত চোখে ইতিহাসের মর্মর ধ্বনি।তিনবেলা পেটপুরে খাওয়ার সংগ্রাম নাই বরং রোগ থেকে বাঁচার জন্য ইচ্ছে করে খাওয়া কমিয়ে দিচ্ছে সংগ্রামীরা।ভরপেটের আকাশজুড়ে আজকাল দিনে রাতে আলো।চারিদিকে আলো আর আলো। আলোরদুনিয়া জুড়ে অজস্র ফুটপাত আর অজস্র মানুষের খালি গা’য় রাত্রিযাপন।সূচক-সুঁচের ফোঁড়ায় ফোঁড়ায় সারি সারি ব্যাথার নাম দালান,বিমানের খোলসে শক্তনটে ঝুলে থাকা ব্যাথার নাম মারণাস্ত্র,নীল সমুদ্রে ঘুমিয়ে থাকা ব্যাথার নাম টর্পেডো।পিছিয়ে নেই,পিছিয়ে নেই।আধুনিক ব্যবস্থাপনা বাজারে বাস্তব শ্রেণীর এমন সিংগেল হওয়ার বিমুখতা সফল।পদ্মা মরে গেছে মরে গেছে এরকম আর অনেক কিছু মরে যাবে।আকাশে ধুলাবালি আর কার্বনের মেঘ। বিজ্ঞাপনে এক একটা যকৃতের দাম লাখ টাকা!পাহাড়ে সেনাছাউনী তবু তো নীলগিরিতে বেড়াতে যায়, সু্ন্দরবনে নোঙর করায় পর্যটন জাহাজ।সূর্য যেমন তেমনই রয়ে গেছে,জোছনারও একই হাল।উন্নত জাতির হাতে পড়েনি-এই ভাল।চেতনা,দ্রোহ,সহমর্মিতার মুখ নিচু হয়েছে।তবু বোধনে জেগে আছে ষোলডিসেম্বর। ইতিহাসে প্রতিদিনের প্রস্তুতি আছে,থলের মুখ খোলা আছে।সব ভরপুরভাবে আছে।বছর ঘুরে না চাইলে ও আছে,মগজে ঠোকা মেরে মেরে আছে সমগ্র অকৃত্রিমকালে-আবার ষোলডিসেম্বর আছে।
মুন //
বেঢপ সাইজ নিয়ে তার খুব মাথাব্যাথা।তেমন একটা খাই না তবু বাড়তি মেদ দিনদিন বেড়েই চলেছে।তাকে দেখলে অনেকেই পালাত।কেউ প্রেমট্রেমও করতে চাইত না।প্রেম করার খুব শখ তার।শখ?মনে মনে চাইতো তার জীবনে প্রেম আসুক,একটা ছেলে বন্ধু থাকুক।সবাই কেমন ছেলে বন্ধু নিয়ে ঘুরে বেড়াই।এটা একটা প্রতিযোগীতার মত।তার রং মন্দ হওয়াতে ছেলেরাও তেমন উৎসাহ বোধ করে না।একটু আধটু করলে ও তার অতিরিক্ত বকবকানি আর অতি উৎসাহতে ছেলেগুলো কেমন মোতা মোতা হয়ে যেত।অথচ সবসময় কত উন্মাদনা তার ভেতর।তার স্নায়ুগুলো খুব সতেজ।বান্ধবীদের সাথে কত মজার মজার অভিজ্ঞতা শুনে সে খুব চমৎকৃত হত।তাদের সব গোপন যুগের কাহিনীগুলো রমরমিয়ে উঠে আসে সহপাঠীদের আড্ডায়,কোরাসে, কেওজে!গোপন বলে সে কোন কিছু মানতে চাইত না। তবু তার একটা ছেলে বন্ধু না থাকায় সেকি আফসোস!ক্যাফেতেও যায়!তার ইচ্ছে একদিন সে ও তার কাছের বন্ধুর সাথে মাস্টারবেশনে যাবে।যেখানে সহজাত হতে চায় সেখানে ছেলেগুলো কেমন পালিয়ে বেড়াই তার কাছ থেকে।বোধ হয়,বোধের মুন সুপার মুনই হতে চাইবে।বেঢপ সাইজ দেখে দেখে অন্যেরা বেজাই সুখ পাক।পৌষের রাত!পৌষের রাত!
ভ্রমণ //
আইলেনার লাগানো রাত
নুয়ে পড়ছি পাতার চিকন শিরা বেয়ে।
উত্তরবিলের ঘনচোখে জ্বলে উঠে উজ্জ্বলমণি
হিমের রাত দীর্ঘহলে কেবল সুখী হয় ধবল মাটিরা
লাঙলের ফলায় চরকার মত ঘুরে ঘুরে কি অদ্ভূত নকশা করে যায়।
নিস্তব্ধরাতে পাতা ঝরার শব্দে- ভয় পেয়ে,যারা চলে গেল ওমের কাছে
অথচ জেগে রইল তাদের সমস্ত রোমের মাঠ
তাদের সাজানো নিথর সংসার
--এক দেশ বিশ্ব ব্যাথার উদযাপন!
মানুষ দিনরাত পার করে যায় মানুষের মতন
ক্ষুর্ধাত,বিনিদ্র,পশমবিহীন!কে মনে রাখে?----এইসব ফেলে
সমুদ্র চোখে শিশিরের আয়োজন কে খুঁজতে যায়?
বরং কুয়াশা লিখি খোসার উপর,পৌরাণিক সংকেতে—
ক্ষীরার শিরায় জ্বলজ্বল করছে কল্পিত রাজ্য--
আকাশ থেকে ঝরে পড়ছে বয়সী শাদা শাড়ি
যাকে জোছনা বলে ডাকছি
ভ্রান্ত হয়ে ভ্রমণে ঘুরে বেড়ায়
দুখসুখের
এই বাংলার কারুময় উজ্জ্বলরাতের বাতাসে---।
একদিন হবে //
আ্যমিবার স্বপ্ন আছে,চায় আরো নিবিড় জল।
উচ্ছিষ্ট যত বাড়বে,তত তারা পৌঁছে যাবে বেডরুমে,
কুকুর জানে কারা কোলে তোলে তাকে সঙ্গমে লাগাবে।
চড়ুই,কোমল রোদে ছড়ায়ে দিয়েছে পাখা
স্কাইক্র্যাপারে তার ঘুলঘুলির অভাব হবে না
নিশ্চিত জানে:বিনোদন মনে করে মানুষ গম ছিটাবে ছাদ বারান্দায়।
সাতশকোটির অহংকারে ঘূর্ণন সার্কেল থেকে কতমিটার নিচে নেমে এসেছে পৃথিবী
স্বপ্নের ভারে?
সেটা ভাববার দরকার নাই বা থাকুক
মনুষ্য স্বপ্ন সেতো নিশ্চিত অন্যের ধ্বংস!
পুরনো চোখ নিয়ে ভাবছি:
কনফুসিয়াস বকে গিয়েছিলেন একদা।
একদিন হবে এই ভেবে,মানুষের স্বপ্ন দেখাটা ভুলছিল।
স্বপ্ন নিজের করে নেয়া-যা তা
বিশ্রী আয়োজন।হবে,একদিন হবে
হাঁটব মঙ্গলের বালিতে;দেখে নেব প্লুটোতে কি কি হচ্ছে!
রসায়নের খাবার নিয়ে ঘুরে বেড়াব সমুদ্রতলে
মাছেদের সমগ্র আয়োজন তুলে আনবে;নানাবিধ ধ্বংস গাঁথা,হারিয়ে যাওয়া মুদ্রা,
ভেঙে পড়া জাহাজের কৃতজ্ঞতা।
এইসব মনুষ্য প্রজাতির রাশভারি সম্ভার সুপার স্টোরে ধুমধারাক্কা বেড়ে উঠবে
বেশ সুলভে বিক্রি হবে।
মেরুদন্ড বড় বিশ্রি রকমের স্বপ্ন: যা কখনো দেখবার প্রয়োজন মনে করে না
এক-দ্বিকোষী প্রাণীরা;
অভিযোজন পরিবেশের একমাত্র লাইসেন্স মানুষের!
©somewhere in net ltd.