![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
BGMEA(Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association)একটি অনৈতিক ব্যবসায়ীদের সংঘটন।এখানকার বেশিরভাগ ব্যবসায়ী (অবশ্যই সবাই নয়)একদিকে সরকারের সাবসিডি আরেকদিকে শ্রমিকদের শ্রমশোষণ দুটোই করে থাকে।এর আর একটি নজির হলো – হাতিরঝিলে অবৈধ বিজেএমইএ ভবন যেটা আপিলে হারার পরও নিলর্জ্জদের মত রাষ্ট্রপতির মার্জনা ভিক্ষার অপেক্ষায় আছে!যারা নিজেদের দক্ষতায় বিদেশের ক্রেতার কাছ থেকে পোশাকের দাম এক সেন্ট বাড়াতে পারে না সেখানে তারা শ্রমিকদের মাসিক বেতন কমদেয়ার জন্য এক হতে পারে।গতকাল থেকে আশুলিয়ায় যা হচেছ এটা খুবই বেদনাদায়ক।দিনদিন জীবনযাপনের খরচ বাড়ছে সেতুলনায় শ্রমিকদের বাৎসরিক আয় বাড়ছে না।প্রডাকশনের নামে অতিরিক্ত শ্রম শোষণ ও সেঅনুযায়ী মজুরী তারা দেয়না।এছাড়া অনিরাপদ পরিবেশ,শ্রমদূর্ঘটনা ঘটেই চলেছে তার কোন সুরাহা তারা করতে পারে না।তাদের জোটবদ্ধ অনিচ্ছায় সবচেয়ে দায়ী।অথচ তারা তাদের দায় স্বীকার না করে শ্রমিকদের হুমকিধামকি দেয়।গার্মেন্টেসের বড় বড় পদগুলোতে স্কীল ম্যানপাওয়ার বদলে তারা বিদেশ থেকে কর্মকর্তা আমদানি করে দেশের মানবসম্পদকে পিছিয়ে দিচ্ছে।তারা শুধু এদেশকে ওই শার্টের পেছনে “মেইড ইন বাংলাদেশ” বলে বিদেশে প্রসার ও বাংলাদেশে ব্র্যান্ড নামে শুধু প্রচার চালাচ্ছে আদতে এটা দিয়ে শোষণকে দীর্ঘমেয়াদী করাই তাদের লক্ষ্য।শুধু তাই কি তারা একই সাথে আরেকটি ব্র্যান্ড বিদেশের মাটিতে প্রচার করে যারা তা কখনই স্বীকার করতে চায় না সেটা হল” বাংলাদেশ হলো স্বস্তা শ্রমের দেশ” এই নেতিবাচক প্রচারণার কারণে ও বিদেশের ক্রেতারা পোশাকের খরচের দাম বাড়াতে পারছেনা।অথচ এর দায়ও তারা নেবে না।শ্রমআন্দোলনকে ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য তারা বলছে ফ্যাক্টরি বনধ করে দেবে!তবে দাও।এগুলি তো ফ্যাক্টরি নয় তাদের একটা একটা দোকান মাত্র!দোকান বন্ধ করলে কি আর এমন হয়!ততদিনে তাদের অনেকেরই ডুয়েল সিটিজেনশিপ,বিদেশে বিনিয়োগ ফাইভস্টার হোটেলের মত জীবনযাপন আর কি লাগে!আর একজন শ্রমিক তার সমস্ত শ্রমের বিনিময়ে সারা জীবন পলিথিনের নিচেই স্যাতঁস্যাতে পরিবেশই থেকে যাবে।তবে অবাক করার ব্যাপার সরকারও খুবই রহস্যজনক ভূমিকা পালন করে।বাণিজ্যমন্ত্রী রাত্রে বললেন,এইসব আশুলিয়ায় যেসব শ্রমিক থাকে তাদের আগামী তিনবছরের বাড়ীভাড়া বাড়বে না।সকাল হতে না হতেই বিজেএমইএর ঘোষণা শ্রমিকদের যারা আন্দোলনে যুক্ত তাদের কে চাকরিতে নেয়া হবে না,বেতন দেয়া হবে না আর ৫৫টি ফ্যাক্টরি বনধ থাকবে!সংঘবদ্ধ চোর ডাকাতরা বাস্তবজীবনে এসব ব্যবসায়ীদের চেয়েও মানবিক হয়।পরিবেশ তাদেরকে চোর ডাকাত বানিয়েছে আর এদেরকে বানিয়েছে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী!হাজার হাজার শ্রমিকে মৃত্যু,আগুনে পোড়া শ্রমিকের লাশ,দালান ধ্বসে পড়া কোনকিছুই আর বাদ রইল না।এখানে আরেকটা কথা না বললেই নয়, বাঙালির মত চোদমারানির জাত পৃথিবীতে খুব কম আছে! এরা নিজদেশে,দেশপ্রেম,নিজের ভাল পর্যন্ত নিজেরা বোঝেনা।এটা বলার কারণ—”গার্মেন্টেসে কর্মরত বাঙালি ম্যানেজমেন্ট!সবকিছু এরা বিদেশেীদের শিখিয়ে দেয় কিভাবে দুই নম্বরী করে করফাঁকি,শ্রমিকদের বেতন মেরে দেয়া,স্যালারিশীট তিন চারটে বানিয়ে রাখা ,কমপ্লায়েন্স এর নামে নয় ছয় করে,শ্রমিকের খাবার থেকে পার্সেন্টিজ খাওয়া এদের নিত্যদিনের ব্যাপার। আর এইরকম দূনীর্তিবাজ কর্মকর্তারা যে শ্রমিকদের মারখেয়ে চাকরি ছেড়ে পালিয়েছে এইরকম উদাহরণ ইপিজেডে অনেক।এইসব গুটিকয়েক বাঙালি ম্যানেজমেন্ট নিজেরা যেমন দূনীতির্তে জড়িয়ে যায় ঠিক তেমনি বিদেশী মালিকদের ও শিখিয়ে দেয় কিভাবে লভ্যাংশ বাড়িয়ে এদেশে থেকে মুনাফা নিয়ে যেতে হয়।বাংলাদেশ নাকি বিশ্বে রেডিমেট গার্মেন্টেসের দুই নম্বর স্থান দখল করেছে।অথচ আর্ন্তজাতিক মানদন্ডের তুলনায় দুই একটি ফ্যাক্টরির নাম দিয়ে সার্টিফিকেট কিনে,পরিবেশ সার্টিফিকেট কিনে বাহবা কুড়ায়!”অনেকটা উপর দিয়ে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট” টাইপের।বলতে চাইলে আর কোটি শব্দ দিয়েও শেষ করা যাবে না।শুধু এই কথা বলতে হয়- শ্রমিকদের ওপর এই হুমকি ধামকি বন্ধ করা হোক।শ্রমিকদের শ্রমাধিকার ফিরিয়ে দেয়া হোক।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৮
তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: ধন্যবাদ। হাঁটুর নিচের নলেজ রেখে অন্তত এখান ঘাটাঘাটি করতে আসেইনা ।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩
সুখী নীলগঞ্জ বলেছেন: মানুষের মধ্যে সন্তুষ্টি নাই। দেশের যুবসমাজের ৪০% বেকার। তাদের কোন আয় রোজগারই নেই। সেখানে গার্মেন্টস গুলো আর কিছু না হোক, তাদের শ্রম ব্যবহার করে তাদেরকে খাওয়ার বা একটা ঘরভাড়া করে থাকার টাকা তো তুলে দিতে পারছে! নইলে বেকরত্বের হার তো ৭০% ছাড়িয়ে যেত। শ্রমিকদের বেতন যদি সত্যিই বাড়াতে চান তো বায়ারদেরকে চাপ দিন - গার্মেন্টস মালিকেরা এমনিতেই বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার চাপ সামলাতে গিয়ে বিপর্যস্ত। শ্রমিক দিয়ে তাদেরকে আর পর্যুদস্ত করার অপচেষ্টা চালাবেন না আশা করি।