![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাফিজ নই
আমি হাফিজ নই
যে প্রেমিক ভালবাসার দেহের দাগ দেখতে পাইনি
প্রেমিক?
আমি প্রেমিক নই
আমি প্রেমিক নই
যে কিনা ভালবাসার দেহে ঝলসানো দাগ দিয়েছিল
একটুকরো মেঘ: মেঘের কালসংবরণ
আমি প্রেমিক নই
কালো তিল ।।
একটা গোলাপ নয় একটা রজনীগন্ধা ও নয়
অপেক্ষার প্রহর নিয়ে উপেক্ষিত এক যুবক স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে।
আন্তঃনগর ট্রেন ছুটে যায় আর আসে
শ্বেতপাথরে সজ্জিত পথে আসতে দেরি হচ্ছে— অচেনা লাগছে!
সবুজ গ্রাম ফুটে আছে...
হয়ে যায় যদি মুখোমুখি চাইনিজ রাইফেলের গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেব বুক
তবু খোলা মাঠে নিয়ে অন্ধকারে একা হত্যা করো না
ছিটিয়ে দিয়ো না বিগত নষ্ট বুলেটের খোলস
পারবে তো মুখোমুখি হতে ?
তোমাদের সাহস...
নাবিকের হুইলের মত ঘড়িটা তাকিয়ে আছে
বিকাল চারটে; আরাম করে হেঁটে যাচ্ছি ফুটপাত ধরে
আগেও কিছু পা পেছনেও কিছু পা
শাখা প্রশাখা থেকে সবুজ গন্ধ নেমে আসে
পাহাড়ে গেলে সবাই উপরে উঠে
খাদ যে...
কিছুক্ষণ আগে ভোরের আযান হয়েছে
কিছুক্ষণ আগে মন্দির গীর্জায় বেজেছে ধ্বনি
যাবে দূরের পথ
বহমান জীবন মোটেও তার কাছে কেওজ নয়!
পথে বিছানো কাঁটা সরিয়ে সরিয়ে কে যেন এগোলো –গল্পে
প্লট নতুন হলে লেখা হবে---
মহাসমারোহে...
পাতার আড়াল থেকে বের হওয়া কদম কলি
ফুলের ব্যবসাদার কাঁচি চালিয়ে গুছিয়ে দেবে
কোন প্রেমিক প্রেমিকার হাতে।
আড়ালের আর্তনাদ কেউ শুনে না
না প্রেমিক না প্রেমিকা না ব্যবসাদার।
আঘ্রাণ কিনে নিয়ে ওরা জিতে যায়
আসছে বর্ষার...
আধুনিক নকশা করা চৌদ্দতলা বাড়ি ছোটো ছোটো রঙ্গন ফুল
বারান্দায় স্টীলের পাত ফাইভ এমএম গ্লাস বেয়ে ঝুলে থাকা লতা
বেশ ভাল লাগে,একটা শিশু অকারণ এদিক সেদিক হাঁটে
যেন এ্যাংরি বার্ডস খেলছে;ভেঁপু বাজানো গাড়ি...
কি করে একটা অসুখ এত কাছে চলে এল
কি করে একটা আভা বাগানের ছায়া হয়ে গেল
কি করে একটা আষাঢ় এতটা বৃষ্টি জমা রাখে
কি করে একটা ঘাস এতটা সবুজ হয়
কি করে পোকা...
বেলী,অনেকদিন পর ভাবিনি তোমার সাথে আবার দেখা হবে
জিওলগাছের তল দিয়ে যেতে যেতে একদিন ভোরের সাথে
মনে আছে;--জানি বিস্তর ব্যস্ততা কাউকে দেয়না অবসর
তবু কয়াশা ফেলে দুজন হেঁটেছি শান্তধুলোর পথধরে
সেখানে ও আজ ঘাস...
একটা কর্ণফুলী দেখলে কিছু মানুষের কথা মনে পড়ে
একটা মরা পাখি দেখলে
একটা গাছের গুঁড়ি দেখলে
একটা দু-চাকার গাড়ি
একটা বিকটাকার শব্দ
একটা হাসপাতাল
একটা সংশোধনাগার
একটা ফাঁসি
একটা সিলিন্ডার
একটা পোতাশ্রয়
একটা বোয়িং
একটা তেলাপিয়া
একটা ইয়াবা
একটা চাপাতি
একটা...
শ্বেতপাথর জ্বলজ্বল করছে;
আলো যেন এ পথ ধরে সোজা চলে গেছে
পরের স্টেশনে বিরাম পরাগে
পা –পা, খুটাস- খুটাস শব্দে আসে কেটলির চা
খেতে পারো– বাতাসের চাপ বুঝে
যদি যতি পড়ে যায় সজনে ডাঁটায় তাহলে...
শহীদ মিনারের পদতলে কেন যাও? ওটাতো তোমাদের না
স্মৃতির স্তম্ভ, রাস্তার পাশ ধরে সারি সারি,অপরাজেয় বাংলা..
মন্ত্রীর বাসার সামনে কেন যাও? ওটা কি তোমাদের ?
গণভবন? --বোকা ছেলে প্লেকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে ছিল
তাকে তুলে...
রাষ্ট্র কেন খুন করে? রাষ্ট্র কেন খুনি? রাষ্ট্রের কাজ যদি হয় ধরে ধরে শাস্তি দেওয়া। সে রাষ্ট্রটা আসলে রাষ্ট্র না সে রাষ্ট্রের থাকার কথা মাটির নিচে, জোয়ান লোকরা তাকে খুঁড়ে...
আমার সামনে থেকে আমাকে তুলে নিয়ে গেল
চারপাশ চেয়ে আছে থুতনি উঁচিয়ে।
চোখ গেল লালনের জাত গেল তবু ফিরিয়ে নিল না
একটা গাড়ি কতিপয় বাহিনী যাদের দেশপ্রেম প্লুটোর সমান উঁচু
তার পাশ ঘেঁষে আবেদনময়ী...
বেশকিছু দিন পোকায় কেটে যাচেছ পালঙ্কের খুঁটো
পড়ে যাবার দিন বাদ দিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম কীটস্ নিয়ে
রবীন্দ্রনাথ তখনো আক্রান্ত করেনি।
জড়ময়তার রোমান্টিক বেদনা কিভাবে নাড়া দিয়ে গেল জৈব রসায়নে
হিগস বোসন প্রজেক্টের...
©somewhere in net ltd.