![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাঙামাটিতে প্রতিষ্ঠিত "রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ ও রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় " এক দীর্ঘ সংগ্রামের ফসল! প্রতিষ্ঠান দুটি রাঙামাটিতে স্থাপন করা নিয়ে গোটা পার্বত্য চট্টগ্রাম দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়! পাহাড়ের বাঙ্গালি সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠানের পক্ষে থাকলেও উপজাতী ও দেশীয় কুলাঙ্গার কিছু স্ব ঘোষিত বুদ্ধিজীবী এর বিপক্ষে অবস্থান নেয়!
যেদিন বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন করা হয় সেদিন উপজাতীয়রা তিন পার্বত্য জেলা থেকে তাদের সশস্ত্র হাজার হাজার ক্যাডার রাঙামাটি শহরে জড়ো করে! পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী মোতায়ন করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হচ্ছিলো না! সন্ত্রাসীরা মনির নামে এক বাঙালি যুবককে গুলি করে হত্যা করে! বাঙালিদের পাঁচটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেয়! অবস্থা বেগতিক দেখে প্রথমে ১৪৪ ধারা পরে কারফিউ জারি করতে হয়! টানা ৭২ ঘন্টা কারফিউ জারি রাখতে হয়েছিলো!
অবশেষে এক বাঙালি ভাইয়ের রক্তের বিনিময়ে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ঢাকা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে উদ্বোধনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের যাত্রা শুরু হয় ২০১৫ সালে!
কিন্তু যে বাঙালির রক্তে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠান সেখানে বাঙালিরা কি পেল? ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হতে শুরু করে কর্মকর্তা কর্মচারীদের ৮০ শতাংশ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে উপজাতি থেকে! বাকিদের নিয়োগ হয়েছে সমতল থেকে! পাহাড় থেকে ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে বলে কথা ছিলো! সেখানেও শুরু হয়েছে চরম অনিয়ম! ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর মধ্যে উপজাতীয় কর্মকর্তারা যোগশাজ করে কেবল উপজাতি শিক্ষার্থী ভর্তি করাচ্ছে! তাই, জাতির পিতার মতো বলতে হয়, কি পেলাম আমরা?
যেই বাঙালিরা আন্দোলন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলো তাদের ন্যায্য দাবির জন্য যারা বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলো তাদের কাছেই ভিক্ষা চাইতে হচ্ছে! আন্দোলন করতে হচ্ছে! অতীত অভিজ্ঞতা থেকে আমি নিশ্চিত পাহাড়ের বাঙালিরা ন্যায্য এই দাবি সারা জীবনেও আদায় করতে পারবে না!
@ দেখুন "তিন দফা দাবিতি বাঙালি ছাত্র পরিষদের স্মারকলিপি প্রদান "
২৭ এপ্রিল ২০১৭। নিজস্ব প্রতিবেদক
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থী ভর্তিকে ‘বৈষম্যহীন’ করে স্থানীয় শিক্ষার্থী ভর্তিতে পাহাড়ী ও বাঙালী কোটা ৫০% হারে পূরণ, একমাসের মধ্যে ভর্তি শেষ করে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু এবং বিশ^বিদ্যালয়কে নিজস্ব ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়ার দাবিতে বিশ^বিদ্যালয়টির ভাইস চ্যান্সেলরকে স্মারকলিপি দিয়েছে পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ। এই তিনদফা দাবি মেনে নেয়া না হলে, অবরোধ,হরতাল ও ঘেরাও সহ কঠোর কর্মসূচীর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম অচল করে দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করে দিয়েছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম,হাবিবুর রহমান,নাজমউ্দন নেতৃত্বে সংগঠনটির একটি প্রতিনিধিদল এই স্মারকলিপি প্রদান করে। ভিসিকে স্মারক লিপি প্রদানের পর এর অনুলিপি বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন,রাঙামাটির জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘ প্রথম বছরের পর থেকে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ও নিয়োগে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারি বাঙালী শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। যোগ্য বাঙালী শিক্ষার্থীদের না নিয়ে গোপন পরীক্ষার মাধ্যমে পাহাড়ী শিক্ষার্থী ভর্তির তথ্যও আমাদের কাছে আছে। শুধু তাই নয়,বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে মেধাকোটায় সারাদেশ থেকে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ‘বাঙালী’ কোটায় দেখিয়ে একটি মিথ্যা বিভ্রম তৈরি করছে। মেধা কোটায় সারাদেশ থেকে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ‘বাঙালী কোটায় দেখানোর এ অসুস্থ প্রবণতা অত্যন্ত দু:খজনক।’
ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে তিনদফা দাবি উপস্থাপন করে সংগঠনটি। এতে যে তিনটি দাবি জানানো হয়, তা হলো, পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত কোটায় পাহাড়ী ও বাঙালী শিক্ষার্থীদের ৫০% হারে ভর্তি করতে হবে, অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে নিয়ে যেতে হবে, ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়ার একমাসের মধ্যে ফলাফল প্রদান ,ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন এবং নতুন বর্ষের শ্রেণী কার্যক্রম শুরু করতে হবে।’
প্রসঙ্গত, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের আজ তৃতীয় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে শহরের শাহ উচ্চ বিদ্যালয় ও রাঙামাটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। বিশ^বিদ্যালয়টি চালুর পর এই প্রথম এর ভর্তি পরীক্ষা রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে
ইটালিক অংশটুকুর সূত্রঃ Pahar২৪.com
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:০০
তাজুল ইসলাম নাজিম বলেছেন: মাননীয় স্পিকার, আমি কি তাদের বুদ্ধিবেশ্যা বলতে পারি?
২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৩৬
টারজান০০০০৭ বলেছেন: উপজাতিদের পাহাড় থেইকা সরাইয়া প্রতিটা ইউনিয়নে বাটোয়ারা করিয়া পুনর্বাসন করা হোক। আর তাহাদের পাবলিক রিলেসন অফিসার বুদ্ধুজীবীদের সেখানে ডাম্পিং করা হোক।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৬:৫৯
তাজুল ইসলাম নাজিম বলেছেন: যতার্থ বলেছেন
৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:২৪
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "সন্ত্রাসীরা মনির নামে এক বাঙালি যুবককে গুলি করে হত্যা করে! বাঙালিদের পাঁচটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেয়! "
কি জঘন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৫০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: তারা কৌটাতে ভর্তি হতে চায় অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু নিজের অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয় চায়না। অবাক লাগে , আমাদের অনেক বুদ্ধিজীবিরাও এদের সাথে আছে...