![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
**কুকুরটিকে নেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় পশু হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসকেরা বেশির ভাগই গবাদিপশু–পাখির চিকিৎসক। গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি বাদে কুকুর-বিড়ালকে চিকিৎসা দেওয়ার প্রয়োজনীয় উপকরণ ও ওষুধ সেখানে নেই বললেই চলে।**
**জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মনিরুল হাসান খান আফজালের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, ‘দেশে প্রাণী অধিকার নিয়ে যেহেতু তেমন কোনো কাজ হচ্ছে না, তাই ব্যক্তিপর্যায়ে তাঁর এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। আমাদের আশপাশের কুকুর-বিড়ালের মতো যেসব প্রাণী আহত হয়, তাদের জন্য সরকারিভাবে কোনো চিকিৎসা-সুবিধা নেই। আশা করা যায়, এই তরুণদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে অন্যরাও এগিয়ে আসবেন। একপর্যায়ে সরকারিভাবেও এই প্রাণীদের জন্য চিকিৎসা-সুবিধা তৈরি হবে।’ গবাদিপশুর চিকিৎসকদের জন্য পোষ্য প্রাণীর চিকিৎসা করা স্বাভাবিকভাবেই একটু ঝুঁকিপূর্ণ, জানালেন মনিরুল হাসান। কেননা, তাঁরা মূলত গবাদিপশুদের চিকিৎসাসেবার ওপর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।**
উপরের লেখাগুলো কপি করা হয়েছে আজকের প্রথম আলোয় প্রকাশিত একটি ফিচার থেকে। আমাদের দেশে কথা বলতে কারো আটকায় না। যেকেউ যেকোন বিষয়ে মন্তব্য করতে পারেন, কোন সমস্যা হয় না।সাংবাদিক সাহেব যে কেন্দ্রীয় পশু হাসপাতাল নিয়ে লিখলেন প্রয়োজনীয় উপকরন ও ওষুধ নেই, উনি কি একবারও গিয়ে দেখেছিলেন কেন্দ্রীয় পশু হাসপাতালে সবচেয়ে বেশী চিকিৎসা নেয় কারা ? গবাদিপশু না পোষা প্রাণি ? প্রতিদিন কতটা কুকুর-বেড়ালের চিকিৎসা এবং ভ্যাক্সিনেশন হয় রেজিস্ট্রার খাতা খুলে দেখেছিলেন ?
একটা রেপুটেড পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক হয়ে স্যার যেই মন্তব্যটা করলেন এইটা আরো ভয়াবহ। দুঃখ লাগে জ্ঞানী-গুনী মানুষরা যখন আম-পাবলিকের মত সবজান্তা মন্তব্য করেন।স্যার এবং অন্যান্য সকল শিক্ষিত মানুষের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি 'গবাদিপশুর চিকিৎসক' এবং 'পোষ্য প্রাণীর চিকিৎসক' বলে আলাদা কোন শব্দ বা পেশা নেই। ইংরেজিতে ভেটেরিনারিয়ান বলে যে শব্দটা আছে সেটা দ্বারা সেই চিকিৎসক'কেই বুঝায় যিনি মানুষ ছাড়া অন্য সকল প্রাণির চিকিৎসা করেন।মন্তব্য করার আগে অন্তত উইকিপিডিয়াটা ঘাঁটলেও এই কথা বলতেন না।
আমরা প্রাণি-চিকিৎসকরা গবাদিপশু ,পোষা প্রাণি, বন্য প্রাণি সবকিছুর উপরেই ৫বছরের তাত্বিক এবং ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরেই ডাক্তার হিসেবে সার্টিফিকেট পাই।এই ৫ বছরের কোর্সে ৪ বছর থাকে একাডেমিক এবং ১ বছর ইন্টার্নশিপ।এই ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামটা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্টানে করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে এই প্রোগ্রামটা কাস্টমাইজ হয়। যেমন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে ইন্টার্নশপিপ আমি করেছি ২০১৩ সালে সেটাতে কলকাতার আলীপুর চিড়িয়াখানা, সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা প্রানী হাসপাতাল, ঢাকার কেন্দ্রীয় প্রাণি হাসপাতাল , ঢাকা চিড়িয়াখানা ইত্যাদি সরকারি প্রতিষ্টান এবং প্রাণ ডেইরী, আড়ং এর মত বেসরকারী প্রতিষ্টানে প্রশিক্ষনের সুযোগ হয়েছে। নাম দেখেই বুঝতে পারছেন আশা করি গবাদিপশু, পোষা প্রাণি বা বন্যপ্রাণি কোন কিছুর ব্যাপারে আমাদের প্রশিক্ষণের কমতি হয়নি।
আমি স্যারের এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং দুঃখ প্রকাশ করে মন্তব্য প্রত্যাহারের আবেদন জানাচ্ছি।
সেই সাথে সবাইকে উন্নত বিশ্বের সবচেয়ে দামী পেশার একটি সম্পর্কে ভালভাবে জানার অনুরোধ জানাই।
৫ টি লোভনীয় ক্যারিয়ারের একটি
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩
অশ্রুকারিগর বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ! আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষের এই পেশা সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে।
২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অন্য কোন সাইটের লিংক পোস্ট থেকে সরিয়ে দিন। আমরা এই ধরনের লিংক অনুমোদন করি না। এই ধরনের লিংক করার জন্য সাধারনত আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৭
অশ্রুকারিগর বলেছেন: দুঃখিত ,নিয়মটা জানা ছিল না।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২১
সুমন কর বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সাথে পূর্ণ সহমত।