![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেরে সিনেমাখোর বললে সামুর লিজেন্ডারি সব সিনেমাখোর ব্লগারদের অপমান করা হবে তবে সিনেমা খুব একটা কম দেখা হয়নাই। এনাদের কল্যানেই খুঁজে খুঁজে বিভিন্ন জনরার সিনেমা দেখা শিখেছি। দেখতে চেয়েছি বাংলা, হলিউড, বলিউডের বাইরে সারা বিশ্বের সিনেমার হালচিত্র। একটার পর একটা মুগ্ধ হয়ে দেখেছি আর ভালোবেসেছি সিনেমাকে। সিনেমা নিয়ে ভালো লিখতে পারিনা বা রিভিউ লেখলে নিজেই সন্তুষ্ট হইনা বলে অনেক সিনেমা দেখার পরে স্বতঃস্ফূর্তভাবে লিখতে বসলেও কয়েক প্যারা লিখার পরে মুছে ফেলি ওয়ার্ড ফাইলটা। তারপরেও সবাইকে জানানোর জন্য আজকে ভাবলাম একটু অন্যভাবে সিনেমা নিয়ে লিখি। একেকটা দেশ ধরে সেই দেশের মৌলিক আমার ভাল লাগা সিনেমাগুলোর কথা সবাইকে জানাই। আজকে থাইল্যান্ডের সিনেমা দিয়ে শুরু করলাম। অপরুপ প্রকৃতি, মার্শাল আর্ট আর অপরাধ জগত, বেশিরভাগ থাই সিনেমার মূল আকর্ষণ এগুলোই। ভালো লাগলে অন্যান্য অপরিচিত দেশের সিনেমা নিয়ে হাজির হবো। শুরু করা যাক।
১। The Protector (2005)
IMDb rating: 7.1
থাইল্যান্ডের বিখ্যাত অভিনেতা টনি ঝার ( ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস সিরিজেও আছে) এই সিনেমা দিয়ে থাইল্যান্ডের সিনেমাজগতের সাথে আমার পরিচয়। খাম(টনি ঝা) ছোটবেলা থেকেই হাতির সাথে বড় হয়। প্রাচীনকাল থেকেই হাতি তাদের সংস্কৃতির একটা অংশ। হাতির সার্কাস, হাতির মতো যুদ্ধকৌশল, হাতির অনুকরনে নাচ মোটকথা হাতিই তাদের সব। একটি থাই মাফিয়া সিন্ডিকেট খামের পরিবারের সবাইকে মেরে মা ও বেবি হাতিটিকে ছিনতাই করে অস্ট্রেলিয়ায় পাচার করে দেয়। ওয়ান ম্যান আর্মি, দ্য প্রটেক্টর খামের একার লড়াই শুরু হয় হাতিদের থাইল্যান্ডের জংগলে ফিরিয়ে আনার জন্য। সাথে যোগ দেয় অস্ট্রেলিয়ায় চাকরিরত থাই বংশোদ্ভুত পুলিশ মার্ক। ১ ঘন্টা ৫১ মিনিটের সিনেমাটি টানটান উত্তেজনায় ভরা। মুয়ে থাই নামক থাই মার্শাল আর্টের কলাকৌশলে প্রতিটি ফাইটিং সিন চরম লেভেলের। উপরের ছবিটি আমার খুবই প্রিয়। কি সুন্দর এই দৃশ্য!
দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ায় এর সিক্যুয়েল বের হয়েছিল The Protector 2 (2013) নামে। এইটাও দেখার মতো।
২। Ong-Bak: The Thai Warrior (2003)
IMDb rating: 7. 2
এটাও টনি ঝার সিনেমা। একশন, ক্রাইম থ্রিলার বেসড এই সিনেমাটার পুরোটাই ভর্তি মুয়ে থাই মার্শাল আর্ট দিয়ে। ছবির মতো সাজানো একটি গ্রামে বাস করে টিং। গ্রামটির ঐতিহ্য এবং সম্মানের বাহক হচ্ছে একটি বৌদ্ধমূর্তি। গ্রামেরই একজনের বিশ্বাসঘাতকতায় চুরি হয়ে যায় এই অমূল্য সম্পদ। গ্রামের উপর নেমে আসে অমংগল, খরা। অভিশাপ থেকে সবাইকে বাঁচাতে টিং গ্রাম ছেড়ে শহরে পাড়ি জমায়। উদ্দেশ্য মূর্তি উদ্ধার। রাস্তায় হাজির হয় একের পর এক বিপদ। মুয়ে থাইয়ের কলোকৌশলে সব কিছুকে পরাস্থ করে মূর্তি খুঁজে বের করে টিং। বোরড হওয়ার কোন সুযোগ নেই। মার্শাল আর্ট দেখতে দেখতে ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিট কিভাবে কেটে যাবে টেরই পাবেন না।
Ong-Bak এর সাফল্যের পর এর আরো দুইটি সিক্যুয়েল বের হয়েছে। সমান উপভোগ্য।
৩। Tropical Malady (2004)
IMDb rating: 7. 3
মার্শাল আর্ট খুব একটা পছন্দ নয় ? তাহলে কান চলচ্চিত্র উৎসবে জুরি পুরস্কার পাওয়া রোমান্টিক সাইকোলজিক্যাল জনরার এই সিনেমা দেখতে পারেন। সিনেমাটিতে সূক্ষভাবে দুইটা গল্পের সমন্বয় করা হয়েছে। প্রথম গল্পে একজন ছুটি কাটাতে আসা সৈনিক এবং একজন গ্রাম্য কৃষক ছেলের মধ্যকার বন্ধুত্ব থেকে বিভিন্ন ঘটনায় ভালোবাসায় পরিনত হওয়াকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তারপরে হঠাত করেই সিনেমা ভিন্নদিকে চলে যায়। প্রাচীন মিথোলজিক্যাল যুগে চলে যায় যেখানে এক সৈনিক জংগলে মুখোমুখি হয় বাঘের উপরে ভর করা এক জাদুকরের। এই জাদুকর আবার আগের সেই কৃষক ছেলে এবং সৈনিক সেই আগেরজনই। দুইটি ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ঘটনার মেলবন্ধনের ছবিটিতে থাইল্যান্ডের রেইনফরেস্টের অপরূপ সৌন্দর্য্য মুগ্ধ হয়ে দেখবেন।
একই পরিচালকের Blissfully Yours (2002) রোমান্টিক জনরার আরেকটি উপভোগ্য সিনেমা।
৪। The Gangster (2012)
IMDb rating: 6.6
এটি একটি পিউর গ্যাংস্টার মুভি। পঞ্চাশের দশকের থাইল্যান্ডের অপরাধ জগতের গল্প। রাস্তার মারপিট দিয়ে হাত পাকিয়ে সময়ের সাথে গ্যাংস্টার হয়ে উঠা জড এবং তার বন্ধু ডেং এর গল্প। ক্ষমতার শীর্ষে উঠতে গিয়ে একটা সময় এই খুনাখুনি, হানাহানির জীবন বিস্বাদ হয়ে উঠে জড এর কাছে। কিন্তু উপায় নেই গোলাম হোসেন। তুমি অপরাধ জগতে আটকা পড়েছ। অনেকগুলো চরিত্র থাকায় প্রথমে আপনার একটু বিরকত লাগতে পারে কিন্তু ছুরি দিয়ে ফাইটিং এর সিনগুলো আপনাকে উপভোগ করতেই হবে।গ্যাংস্টার, মাফিয়া নিয়ে সিনেমা পছন্দ করলে এইটা মাস্ট সি।
এই সিনেমাগুলো আমার পারসোনাল চয়েসে সেরা। এর বাইরে আরো কিছু সিনেমা আছে যেগুলোও দেখার মতো। The Overture(2004), Bangkok Dangerous (নিকোলাস কেজের) , Mysterious Object at Noon(2000).
আপনার যদি হলিউড, বলিউডের গন্ডির বাইরে অন্যান্য দেশের সিনেমা দেখতে ইচ্ছে হয় তাহলে ফেসবুকের এই গ্রুপে( World Cinema Paradiso) জয়েন করতে পারেন। নিত্যনতুন সব বিভিন্নরকম সিনেমা নিয়ে হাজির থাকে।
এক জীবনে আর কয়টাই বা সিনেমা দেখা যায়!
০১ লা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪
অশ্রুকারিগর বলেছেন: ঠিক। বইয়ের সাথে আসলে কোন কিছুর তুলনা হয়না। তারপরেও The Protector দেখার আমন্ত্রণ রইলো। থাইল্যান্ডের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ভালো লাগবে।
২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫
আলভী রহমান শোভন বলেছেন: ম্যালা দেশের ম্যালা সিনেমা দেখে ফেলছি। কিন্তু থাইল্যান্ডের কোন ছবি কখনো দেখা হয় নাই। ধন্যবাদ পোস্টের জন্য, ভাইয়ু।
সময় করে মুভিগুলো দেখার চেষ্টা করবো। আর আমাকে কয়েকটা ভালো থাইল্যান্ডের রোম্যান্টিক মুভির নাম সাজেসট করেন, রোম্যান্টিক মুভি আমার সেই ভালো লাগে।
০১ লা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭
অশ্রুকারিগর বলেছেন: বিপদে ফেলে দিসেন। রোমান্টিক জনরা আমার ততটা পছন্দ না। তারপরেও Blissfully Yours দেখতে পারেন। তবে এখানে দেওয়া সবগুলো সিনেমাই ভালো লাগবে আপনার যদি রোমান্স ছাড়াও অন্য জনরাতে আপত্তি না থাকে।
মন্তব্যে ভাললাগা রইলো।
৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৩৪
জুন বলেছেন: মারামারি ছাড়া কোন ম্যুভি থাকলে নাম জানানোর অনুরোধ রইলো অশ্রু কারিগর।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮
অশ্রুকারিগর বলেছেন: জুন আপু, অনেকগুলো সিনেমা দেখে যা বুঝলাম অপরুপ প্রকৃতি, মার্শাল আর্ট আর অপরাধ জগত, বেশিরভাগ থাই সিনেমার মূল আকর্ষণ এগুলোই।
রোমান্টিক আমি খুব একটা দেখিনাই। তারপরেও Blissfully Yours দেখতে পারেন।
৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি দুইটা থাই সিনেমা দেখসি। বিউটিফুল বক্সার (ড্রামা, স্পোর্টস) এবং শাটার (হরর)। বেশ ভালো। এ্যাকশন মুভি বেশি টানে না। দ্যা গ্যাংস্টার দেখার ইচ্ছে রইলো।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৪৬
অশ্রুকারিগর বলেছেন: বিউটিফুল বক্সার দেখিনি, লিস্টে নিলাম। হরর দেখিনা তা সে যত ভালোই হোক।
প্রটেক্টরও দেখতে পারেন।
৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪
নীলপরি বলেছেন: পোষ্ট পড়ে দেখার ইচ্ছা হোলো । চেষ্টা করবো দেখার ।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:২৮
অশ্রুকারিগর বলেছেন: মনে হয় দেখলে ভালো লাগবে। সবসময় আমার ব্লগে পদচারণার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮
মাদিহা মৌ বলেছেন: সিনেমা কেন যেন খুব একটা টানে না