নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/techshomadhan

টেক সমাধান

https://www.facebook.com/techshomadhan

টেক সমাধান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচার উপায়

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮



কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন কিন্তু ভাইরাসের শিকার হননি এমন মানুষ বিরল (অবশ্য আপনি সেসব পণ্য দোকান থেকে কিনে এনে স্রেফ সাজিয়ে রাখলে ভিন্ন কথা)। যদি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে জেনে রাখুন প্রতি ঘণ্টায় আপনার ডিভাইসে এসে হাজিরা দিয়ে যায় কমপক্ষে ২০০ ভাইরাস।।

এখন, কথা হচ্ছে ‘ভাইরাস পুষবেন না তাড়াবেন’ সে সিদ্ধান্ত একান্তই আপনার!

আগের পোস্টঃ ভাইরাসের রকমফের থেকে জানা ভয়ঙ্কর ভাইরাসগুলো যদি দুধ-কলা দিয়ে পুষতে চান তাহলে যেখানে-সেখানে যে কোনো সিডি, পেনড্রাইভ পেলে নগদেই তা আপনার কম্পিউটারে লাগান, লোকাল বাসে পাশের যাত্রীর মোবাইলে নতুন কোনো টিউন শুনলেই যেচে গিয়ে তাকে বলুন ‘ভাই, রিংটোনটা যদি দিতেন, পিলিজ!’ কিংবা ফেইসবুকের ওয়ালে যে যা কিছুই পোস্ট করুক না কেন দেখামাত্রই ক্লিক - ইত্যাদি করতে থাকুন।

আর, যদি ভাইরাস তাড়াতে চান, তাহলেও যথারীতি আপনার জন্য রয়েছে অনেকগুলো পথ – সে সব নিয়েই আমাদের এবারের পোস্ট।

‘শেষ চিকিৎসা’
শেষ ভালো যার, সব ভালো তার – কবি বলেছেন, কিন্তু আমরা বলি যে শুরুটা যদি ভালো না হয় (মানে আপনি যদি আগে থেকেই সচেতন না হন) তাহলে কিন্তু শেষমেশ সব খারাপের দিকে যায়।

উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে প্রটেকশনবিহীন কোনো ডিভাইস ভাইরাসের চূড়ান্ত আক্রমণের শিকার হলে অপারেটিং সিস্টেম পুনরায় ইন্সটল করা ছাড়া সাধারণত আর কোনো উপায় থাকে না।

ভিলেন নয়, হয়ে যান নায়ক!
কম্পিউটার বা স্মার্টফোনকে আপনার ভার্চুয়াল হোম কল্পনা করলে এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন যে ইন্টারনেটে কানেক্টেড থাকাকালীন প্রতি ঘণ্টায় সেখানে ২০০’র বেশি ভাইরাস আসা-যাওয়া করা মানে আপনার পিসি হচ্ছে ভাইরাসের আখড়া। আর, যে সব পদ্ধতিতে অফলাইনে ভাইরাস ছড়ায় সেসব ঠেকাতে গেলেও মাসে এক-আধবার কিছু সময়ের জন্য কম্পিউটার অন করে তার দিকে কেবল ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কিংবা স্মার্ট ফোনে শুধু কল করা আর রিসিভ করা ছাড়া আর কিছুই করা যাবে না।

সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে এভাবে ভিলেনের মতো পালিয়ে বেড়াতে পারেন; কিংবা প্রতিদিন ‘প্যারাসিট্যামল তিনবেলা’র মতো চাইলে প্রতিবার কম্পিউটার চালু করে একবার ও বন্ধ করার আগে আরেকবার, এভাবে ভাইরাসমুক্ত থাকার ডোজ - রোজ রোজ হিসেবে চাইলে অপারেটিং সিস্টেমও রিইন্সটল করতে পারেন অথবা নায়কের মতো পিটিয়ে সিধে করে দিতে পারেন ভাইরাসদের। সেজন্য কিন্তু বেশী কিছু না, দরকার সামান্য সচেতন হওয়া।

সেই সচেতনতাটুকু যে কী তা কিন্তু আপনি জানেন, হয়তো গুরুত্ব উপলব্ধি না করায় বা ঠিকঠাক মতো বুঝতে না পারায় কিংবা স্রেফ সময় করে উঠতে না পারায় এতোদিনে হয়তো তা আর নেয়া হয়নি।

ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচার আসলে একটাই সমাধান- কম্পিউটার বা মোবাইল, অনলাইন বা অফলাইন, ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক যে মাধ্যমেই আপনি কম্পিউটিং প্রযুক্তির গ্রাহক হন না কেন আজই আপনার ডিভাইসে একটি এন্টিভাইরাস ইন্সটল করে নিন।

এন্টিভাইরাস শুধু আপনার কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে থাকা পুরনো ভাইরাস দূর করে নতুন করে যেন আর কোনো ভাইরাস আপনার ডিভাইসের সংস্পর্শে আসতে না পারে তা-ই নিশ্চিত করবে না, বরং তার পাশাপাশি আপনার সার্বিক নিরাপত্তাসহ বৃদ্ধি করবে আপনার ডিভাইসের পারফর্মেন্স।

ভাইরাস আসলে কীভাবে তাড়ানো যায় – তা তো জানলেন, কিন্তু কোন এন্টিভাইরাস ব্যবহার করবেন কিংবা কোনটা করবেন না বা ‘ফ্রি’ না ‘পেইড’ কোন ভার্সন ব্যবহার করবেন... এসব থাকবে আগামী পোস্টে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:০৩

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া অনেক অনেক উপকারী পোস্ট! যদি আলিবাবা ডট কম কই থেকে যে ধরেছিলো আমাকে আমি নিজেও জানিনা!!!!!!!!:(

৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১

টেক সমাধান বলেছেন: হাহাহা... 'আপনি হয়তো কম্পিউটারে বা স্মার্টফোনে কোনো একটি গান, ছবি কিংবা ভিডিও খুঁজতে ইন্টারনেটে ঢুকলেন। গুগল করে খুঁজেও পেলেন সেই কাঙ্ক্ষিত জিনিসটি। কিন্তু ক্লিক করা মাত্র আপনার ব্রাউজার সেখানে না গিয়ে আপনাকে নিয়ে গেল অন্য আরেকটি সাইটে যেখানে দেখলেন কোনো একটি বিশেষ পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন।

এই ধরণের ভাইরাসগুলোকেই বলা হয় ব্রাউজার হাইজ্যাকার।

আপাতদৃষ্টিতে খুব নিরীহ আর ভদ্রগোছের বলে মনে হলেও শুধু ওই বিশেষ বিজ্ঞাপনটি আপনাকে দেখানোই কিন্তু এই ভাইরাসের মূল উদ্দেশ্য নয়। এরপরই মূলত শুরু হয় এদের মিশন! আপনি চান বা না চান, মোবাইলে এমবি থাকুক বা না থাকুক (প্রয়োজনে মূল একাউন্ট থেকে টাকা কেটে হলেও), ভাইরাস এবার আপনার ডিভাইসে নামাবে বেনামী সব প্রোগ্রাম যেগুলো বয়ে আনে সত্যিকার সব রিস্ক ফ্যাক্টর।

এছাড়াও, ব্রাউজার হাইজ্যাকার ভাইরাস নিজ থেকে আপনার ব্রাউজারে জুড়ে দেয় অখ্যাত সার্চ ইঞ্জিনের টুলবার – আর, এসব স্লো করে দেয় আপনার ইন্টারনেট সার্ফিং।' এই ভাইরাসের কথা কিন্তু আগের পোস্টে বলেছিলাম আমরা!

http://www.somewhereinblog.net/blog/techshomadhan/30060852

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:১০

শায়মা বলেছেন: হায় হায় এখন এর হাত থেকে মুক্তি পাই কেমনে?? :(

৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:১২

টেক সমাধান বলেছেন: আছে আছে... মুক্তিরও উপায় আছে! জানতে সাথে থাকুন। ;-)

৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৫

এই আমি সেই আমি বলেছেন: ভাই টাইপ করার সময় পয়েন্টার মাঝ খানে চলে আসে । তারপর সব কিছি কাঁপতে থাকে । মহা উপকার হয় মুক্তির উপায় জানালে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭

টেক সমাধান বলেছেন: আপনি সম্ভবত ল্যাপটপের সমস্যার কথা বলেছেন, তবে সব কিছু কাঁপতে থাকে বলতে বুঝতে পারিনি... স্ক্রিন, নাকি মাউস পয়েন্টারটাই নড়াচড়া করে?

৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩১

এই আমি সেই আমি বলেছেন: টাইটেল বার বা সার্চ বক্স লেখা কাঁপতে থাকে ।
লেখার সময় কার্সর নড়ে যায় ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩

টেক সমাধান বলেছেন: টাচপ্যাড ড্রাইভার আপডেটেড না থাকায় এমনটা হচ্ছে, আপনার ল্যাপটপের নাম ও মডেল নম্বর দিয়ে টাচপ্যাড ড্রাইভার আপডেট/ইনস্টল করুন।

৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১২

এই আমি সেই আমি বলেছেন: সম্ভবত আমার টাচপ্যাড ঠিক আছে সমস্যা অন্যত্র।
খুলে বলি । আমরা যখন টাইমপ করি তখন কার্সর টি একটি বর্ণ করে এগুতে থাকে। কিন্তু আমার বেলায় সেটা সরে গিয়ে পূর্বে লিখিত টেস্টের ভিতর চলে যায়। তখন বর্তমানে লিখিত শব্দ টি থাকে অসম্পূর্ণ আর পূর্বে লিখিত শব্দ টি যায় বদলে । যেমন আমি লিখছিলাম আমি তখন আ এর পরে ম টি চলে গেছে পূর্বে লিখিত টাইপ শব্দের মাঝ খানে ।
আমার জান হারাম করে দিয়েছে । সমাধান দিলে খুব উপকার হয় ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪০

টেক সমাধান বলেছেন: এটা কিবোর্ডের সমস্যা (কিছুদিন আগে আমারও হয়েছিল)। কোনোভাবে পানি বা তরলজাতীয় কিছু আপনার কিবোর্ডে প্রবেশ করেছে বোধহয়। সমাধানের জন্য ভালো কোনো সার্ভিসিং সেন্টারে দেখান।

৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৯

পুলক ঢালী বলেছেন: আমি বোধহয় ব্রাউজার হাইজাকিং এ আক্রান্ত হয়েছি বিশেষ করে সামুতে একটা ক্লিক করলে অন্য এ্যাড খোলে । মুক্তির উপায় কি ? ইসেট ব্যবহার করি ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৭

টেক সমাধান বলেছেন: আপনার ডিভাইস এবং অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে বললে আরও ভালো হতো, যাই হোক আপনি যদি ইসেটের পেইড ভার্সন (আমাদের একটাই কথা - এন্টিভাইরাস যেটাই হোক না কেন ক্ষতি নেই, তবে অবশ্যই পেইড ভার্সন হতে হবে) ব্যবহার করে থাকেন তবে একবার 'ফুল স্ক্যান' করে নিন এবং একই কোম্পানির ম্যালওয়্যার চেকার দিয়েও একবার স্ক্যান করিয়ে নিন। আর, এসব করা যদি খুব ঝক্কি'র মনে হয় - তবে, সিমপ্লি আপনার ব্রাউজারটা আনইনস্টল করে আবার নতুন করে ইনস্টল করে নিন। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.