![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ইন্টারনেট আসক্ত মানুষ। দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে আমার কম্পিউটারের সামনে বসে থেকে এক ওয়েবসাইট থেকে আরেক ওয়েবসাইটে বিচরণ করে....
বেশ কয়েকদিন আগে সাড়ে এগারো থেকে রিক্সাতে যাচ্ছিলাম মিরপুর ১০ এর দিকে। এগারো নম্বরে পার হতেই মোটামুটি জ্যাম। পিছন থেকে একটা প্রাইভেট অনবরত হর্ন বাজাচ্ছে, মেজাজ চড়ে যাচ্ছিলো। রিক্সা সরানোর মত জায়গা নাই - ডানপাশে সেফটি আর বামপাশে ১টা সাদা মাইক্রো, মাঝখানে আমার রিক্সা স্যান্ডুইচ, সেইটা বুঝার পরও যে কেন শালার ড্রাইভার হর্ন দিচ্ছে বুঝতে পারছিলাম না। রিক্সাওয়ালাও হালকা খিস্তিখেউড় করছে আর আমার দিকে ঘাড় ফিরিয়ে সমর্থনের আশা করছে। আমিও তাকে সাই দিচ্ছি। যাই হোক একসময় জ্যাম কমল, বাম পাশ ফাঁকা পেয়ে রিক্সাওয়ালা সাইড দিতে পিছনের হর্নের যন্ত্রণা থেকে বাঁচলাম। মনে মনে প্রাইভেট ওয়ালার চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করলাম।
আবার এই আমিই কয়েকদিন আগে যখন ট্যাক্সি ক্যাবে বেইলিরোড যাচ্ছিলাম তখন একই জায়গাতে একই ঘটনা। এইবার আমি ক্যাবে আর সামনে রিক্সা রাস্তা আটকাইয়া বসে আছে। ড্রাইভার সমানে হর্ন বাজাচ্ছে আর মুখে গালাগালির তোপ। মনে মনে তাকে সমর্থন করছিলাম, পাশে বসা বন্ধুকে ডায়লগ দিচ্ছিলাম - "এইসব আবাল রিক্সাওয়ালাদের জন্যই আজ ঢাকা শহরের এই অবস্থা, এদের লাইগাই রাস্তাতে এত্ত জ্যাম"। আমার বন্ধু মিটিমিটি হাসছিলো। আমার কথা শেষ হলে সে বলল "দোস্ত তুই রিক্সাতে থাকলে কিন্তু ভুলেও এই কথাটা তোর মাথাতে আসত না, উল্টা তুই পিছনের গাড়ীর ড্রাইভারকে গালি দিতি হর্ন দেওয়ার জন্য"।
তখনই আমার কয়েকদিন আগের সেই ঘটনা মনে পড়ল। সে তো দেখি ভূল বলে নাই, ঘটনা তো সত্যি!! তখনই ফ্লাশব্যাকের মতন কিছু ঘটনা মনে পড়ল।
প্রায় সময়ই সিটিং গাড়িগুলাতে(সেফটি, ৩৬) উঠা লাগে। আজিমপুর যাওয়ার পথে সাইন্সল্যাবে আর মিরপুর আসার পথে ১০ নম্বরে গাড়ি ফাঁকা হয়ে গেলে রাস্তাতে গাড়ীর জন্য অপেক্ষা করে থাকা অনেকেই লাফ দিয়ে উঠে পড়েন। আমরা যারা আগে থেকেই গাড়িতে থাকি তারা চিল্লাচিল্লি করি, "ঐ হেল্পার টাকা ফেরৎ দে, তোর গাড়ি লোকাল, তুই প্যাসেঞ্জার তুললি ক্যান???" আবার এই আমিই সাড়ে ১১ যাওয়ার জন্য যখন ১০নম্বরে দাঁড়াই তখন সুযোগ খুঁজি যদি ফাঁকা সিটিং পাই তাইলে চামে উঠে পড়ব।
যেসব ছোটখাটো হোটেলে বসার জায়গা অল্প(লালবাগের নান্নার বিরিয়ানি/ অরিজিনাল ১০ এর উপভোগ কাবাব) সেখানে নিজে যখন খেতে বসি জমিদারি স্টাইলে আয়েশ করে আস্তে আস্তে খাই, খাওয়া শেষে জলদি সিট ছাড়ি না অযথা লেট করি। আর যারা বসার জন্য অপেক্ষা করে দাঁড়িয়ে আছে তাদের দিকে তাচ্ছিল্য কৌতুকের চোখে তাকাই। আবার যখন ঘটনা উল্টা হয়, যখন আমি অপেক্ষা করি তখন যারা বসে বসে খাচ্ছে তাদের মুণ্ডুপাত করি, "ব্যাটা জলদি খা, ভাব নিয়ে খাইতেছে। দেখস না খাড়াই আছি, যেন্ বাপের হোটেলে খায়!!"
প্রথম দিকে ভাবতাম মনে হয় সমস্যাটা খালি আমার। পরে নানানজনকে জিজ্ঞেস করে আর হালকা পর্যবেক্ষণ করে দেখলাম অনেক লোকেরই মনোভাব একইরকম। আমাদের সমস্যাটা কোথায়? আমরা এত সহজে এত অল্প সময়ে কেন নিজেদের অবস্থান ভূলে যাই? যদি অন্যদের অধিকারের দিকে নজর না দেই তাহলে কোন আশাতে আমরা নিজেদের অধিকার দাবী করি? আমরা আসলে এমন ক্যান?
১৩ ই মে, ২০১০ রাত ৯:০৭
টেকিবাবা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
২| ১৩ ই মে, ২০১০ রাত ৯:১২
নকীবুল বারী বলেছেন: খেক খেক ...........জোস উপলব্ধি।
১৪ ই মে, ২০১০ রাত ১২:১০
টেকিবাবা বলেছেন: খেক খেক...ধন্যবাদ।
৩| ১৯ শে মে, ২০১০ সকাল ৭:২৮
আমড়া কাঠের ঢেকি বলেছেন: লেখা ভালা হইছে। প্রোপিকটাও
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই মে, ২০১০ সকাল ৯:০৩
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর লিখেছেন। ++++++++++++++++++++++++++