![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসলামী ব্যাংকিং সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ ক্রমাগত বাড়ছে। এ'নিয়ে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় ধরনের আলোচনা/সমালোচনা দেখা যায়। তবে আলোচনাগুলি প্রধানত 'সুদ' কেন্দ্রিক হয়ে থাকে। ফলে ব্যাংকিং ব্যাবস্থার আসল যে সমস্যা বা ক্ষতিকর দিক তা থেকে যায় দৃস্টির আড়ালে।
ব্যাংকিং ব্যাবস্থার আসল সমস্যা হচ্ছে সম্পদ পুঞ্জীভুত করা। পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যাবস্থায় বিকশিত হওয়ার কারণে অনেকের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় একিভুত করে বৃহৎ পুঁজি তৈরী করার লক্ষ নিয়েই ব্যাংকিং ব্যাবস্থা গড়ে উঠেছে। তাই সুদভিত্তিক প্রচলিত ব্যাংক হোক আর মুনাফা ভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিংই হোক - উভয়েই সম্পদ পুঞ্জীভুত করে অল্প কিছু মানুষের হাতে তুলে দেয়ার কাজটি ঠিকই করছে। ফলে সমাজে ধনী দরিদ্রের ব্যাবধান বেড়ে যাচ্ছে, বাড়ছে সামাজিক অস্থিরতা - আজ তাই পুঁজিবাদের পিতৃভুমী খোদ মার্কিন যুক্তরাস্ট্রেই দাবি উঠেছে ১% এর হাতে সকল সম্পদ থাকা চলবে না।
ইসলামী অর্থনীতির অন্যতম মুল বৈশিস্ট হচ্ছে সম্পদের যথাসম্ভব সুষম বন্টন এবং অল্পকিছু লোকের হাতে সকল সম্পদ পুঞ্জিভুত হওয়া প্রতিরোধ করা। ইসলামী ব্যাংকিং ব্যাবস্থা যদি সম্পদ পুঞ্জিভুত করার প্রকৃয়া থেকে বেরিয়ে আসতে না পারে তাহলে অচিরেই প্রচলিত সুদী ব্যাংকের সাথে তাদের তেমন কোন পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যাবে না।
___________________________________________________
ইসলামী অর্থনীতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে মহাসত্যের পরিচয় সাইটে প্রকাশিত লেখাগুলি পড়ুন।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৭
হারান সত্য বলেছেন: ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা
আমরা সবাই মিলে চেস্টা করলে ইসলামী চেতনার আলোকে আজকেও একটি সুন্দর ষোশনমুক্ত সমাজ গঠন করা সম্ভব।
২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫০
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: ইসলাম দেয়ার সময় ব্যাংকের দরকার ছিল না; ও সময়ের আরবদের জন্য দরকার ছিল খেজুরে ব্যাংক: যেখানে খেজুর জমা করতে হয়!
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২১
হারান সত্য বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনি যদি কস্ট করে আমার দেয়া সাইটের লেখাগুলি পড়েন তাহলে আশা করা যায় ব্যাংকিং ব্যাবস্থার সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন।
৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫
দি সুফি বলেছেন: ভালো জিনিস তুলে ধরেছেন।
নিয়মিত যাকাত আদায় করলে এই সমস্যা থেকে অনেক সহজেই বেড়িয়ে আসা সম্ভব। যাকাতের নামে ১০০-২০০ পিস্ শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণের কথা বলছি না।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭
হারান সত্য বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
প্রচলিত ২.৫% যাকাত আদায়ের মাধ্যমে এই সমস্যার মাত্রা কিছুটা কমানো গেলেও পুরোপুরি দুর করা সম্ভব হবে না। বর্তমানে ব্যাংকে আমানতের উপর ৭-৮% হারে সুদ/মুনাফা পাওয়া যায়। যদি ২.৫% হারে যাকাত আদায় করা হয় তাহলেও জমাকৃত টাকা কোন পরিশ্রম/ঝুকি ছাড়াই ৫% হারে বাড়তে থাকবে। এ'ছাড়া ব্যাংকিং ব্যাবস্থা আরো বহু উপায়ে সম্পদ অল্প কিছু মানুষের হাতে তুলে দেয় (যে আলোচনা পরের পোস্টগুলিতে আসবে - ইনশাআল্লাহ) যা শুধুমাত্র ২.৫% যাকাতের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়।
২.৫% যাকাত শুধুমাত্র বৈধ/হালাল উপায়ে পরিশ্রমের মাধ্যমে উপার্জিত সম্পদের জন্যই প্রযোজ্য/কার্যকর। অবৈধ উপায়ে/কৌশলে দ্রুত সম্পদশালী হওয়ার যে ব্যাবস্থা ব্যাংকিং পদ্ধতিতে করা হয়েছে তা চালু রেখে সম্পদের সুষম বন্টন অসম্ভব।
৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪
মনসুর-উল-হাকিম বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন, সুভেচ্ছান্তে ধন্যবাদ।
আপনি যে সমস্যাটা মুলতঃ উল্লেখ করেছেন তা শুধুমাত্র ইসলামি ব্যংক নয়, বরং ইসলামী অর্থনীতির দৃষ্টিকোনে বিশ্লেষন করতে হবে। ব্যংকিং ব্যবস্থা অর্থনীতির একটি অংশ মাত্র।ইসলামের আলোকে দেশের ইতিবাচক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন সার্বিক অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক-সামাজিক বিপ্লবের। একা ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থা এই ত্রিমাত্রিক সমস্যা সমাধানে যথেষ্ট নয়।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১২
হারান সত্য বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার উপলব্ধির প্রতি পুর্ণ সহমত জানাচ্ছি। আমি যে সাইটের লিংক দিয়েছি সেখানে বিষয়গুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা আছে। আশা করি সময় করে পড়বেন।
এখানে সংক্ষেপে ব্যাংকিং ব্যাস্থার মুল সমস্যাটা তুলে ধারার চেস্টা করা হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২৩
বেলা শেষে বলেছেন: To much thanks for good writing bassically on Islam , they are very beautiful with good description . I will visit you again & again Inshallah...
...up to next time..