নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful
অনেক অনেক দিন আগের কথা, ৭০ এর দশকের প্রথমের দিকের কথা বলছি, শীতের রাত পার হয়ে ঘন কুয়শায় ভোর সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারা একজন বালক বয়ষী ছেলের জন্য আসলেই প্রবল শক্তি আর সাহসের প্রয়োজন, আমার সেই প্রবল শক্তি বা সাহস কোনোটাই ছিলো না, আম্মা সাহস ও শক্তি দিতে চেষ্টা করতেন তার ভীরু ছেলেকে - মায়ের মন “প্রতিটি মা মনে করেন তার ছেলে সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়ে রাক্ষস পিটিয়ে রাজকন্যা উদ্ধার করে আনবেন” আমার আম্মাও ব্যাতিক্রম ছিলেন না, বিছানা থেকে টেনে তুলে দিলে আবার লতানো গাছের মতো বিছানায় ঢলে পরতাম - আলস্যে ! দাদাজানকে হারিয়েছি খুব ছোটবেলায় তাই দাদাজানের খুব একটা স্মৃতী মনে নেই, তবে যখণ এই সাত সকালে ঘন কুয়াশায় দাদীজানের কর্তৃত্বপূর্ণ ভারী গলায় হুমকি ধামকি শুনতাম - বুঝতাম পৌষ হোক আর কারেন্টের শকের মতো ঠান্ডা শীতের মাঘ মাস - আজকে ঈঁদ - আজকে নির্ঘাত ঈঁদ !!! দাদাজান বৃটিশ সরকারের অধীনে সাব রেজিষ্টার ছিলেন, দাদাজান চলে গেছেন, তবে তার পরিবার সামলানোর জন্য দাদীজানকে দিয়ে গেছেন দাদাজানের বৃটিশ সরকারের অভিজ্ঞতা !!! দাদীজান আমাদের রানী এ্যলিজাবেথ !!!
পুকুরে গোসলের সময় এক ভাই আরেক ভাইকে বলতাম এইবার শীত পরেনি এইবার পরেছে জার, জারের দিনে ঈঁদ হয় ! - সারা বছরে ঈঁদের আর সময় গময় নাই !!! ঝকঝকে পরিস্কার তবে ভয়ংকর ঠান্ডা পানিতে কাঁপতে কাঁপতে গোসল সেরে দাঁতে দাঁত যখন টিঃ টিঃ টিঃ বাড়ি খাচ্ছে আর শরীরে শীতের দুলুনী, তখন সব ঠান্ডা, শীত আর জারের কামড় ভুলে যেতাম ঘন দুধের জ্বালের ঘ্রানে - পাকঘরে নিঃস্বাস ফেলার জো নেই মতো ব্যাস্ততায় আছেন আমার গ্রীন আম্মা-বড় চাচী, আমার আম্মা, ও পাখি আম্মা-সেজো চাচী, আর সবার অভিভাবক “দাদীজান” !!! - তিনি বটবৃক্ষ, যার ডালপালা লতাপাতা - আমাদের পরিবার ।
ছোটবেলার ঈঁদ খুব মন টানে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই দাদীজানের সামনে, দাদীজানের প্রিয় খাবার আর আমাদের কাছে অমৃত ঈঁদের দিনে রান্না করা হাতে কাটা সেমাই !!! - এই সেমাই - ঘরে বসে আম্মা, চাচী বানাতেন কখনো ফুফু কেউ যদি আসতেন তারা রাতভর বাড়ীতে পিঠা বানাতেন আম্মা ও চাচীদের সাথে - কি যে আনন্দের দিন ছিলো, আর কি যে খুশির দিন - সেই দিন আর ফিরে পাবার নয় । অনেক রান্না আর খাবারের মধ্যে হাতে কাটা সেমাই রেসিপিও আমার কাছে মনে হয় এই খাবার এই পৃথিবীর না, অন্য কোন ভুবনের, অন্য কোনো পৃথিবীর, অন্য কোনো দেশের যেখানে - কোনো নিন্দা নেই, নেই কোনো দন্দ, নেই দুঃখ, হতাশা - আছে শুধু ভালোবাসা আর ভালোবাসা ।
হাতে কাটা সেমাই রেসিপি (আধুনিক যুগের)
উপকরণ
২ কাপ চিনিগুড়া পোলাও চালের গুঁড়ো
সিকি চা চামচ লবণ
১ কাপ পানি
৩ কেজি তরল দুধ (প্যাকেট তরল দুধ না, গুড়ো দুধের তরল অথবা গরুর দুধ)
খেজুরের গুড় এবং চিনি স্বাদমত
১২টি কিশমিশ
৪টি এলাচ
৪ টুকরো দারুচিনি
১টি তেজপাতা
২ চা চামচ গোলাপজল
প্রণালী:
১। প্রথমেই সেমাই পিঠার খামি তৈরি করে নিবেন যেভাবে - এক কাপ পানিতে একটু লবণ দিয়ে ফুটিয়ে নিন। পানি ফুটে এলে এতে চালের গুঁড়ো দিন এবং খুবই কম আঁচে সেদ্ধ করুন ১০ মিনিট। এরপর খামিরটা একটি আলাদা পাত্রে নামিয়ে নিন এবং একটু ঠাণ্ডা হতে দিন। খুব বেশী ঠাণ্ডা করবেন না। হাতে ধরার মত গরম থাকতেই মেখে খামির তৈরি করে নিতে হবে ।
২। খামির থেকে ছোট ছোট কিছু অংশ আলাদা করে নিন। খামিরটাকে ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন যাতে একদম শুকিয়ে না যায়। এরপর ছোট অংশটাকে একটু চালের গুঁড়োতে মাখিয়ে লম্বা দড়ির মত পাকিয়ে নিন। এর থেকে হাতেই কেটে নিতে হবে সেমাই পিঠা।
৩। এই পিঠা থেকে সেমাই তৈরির জন্য দুধ ফুটিয়ে নিন একটি পাত্রে। কম আঁচে রেখে বারবার নাড়ুন। ১০ মিনিটে দুধ ঘন হয়ে এলে আঁচ বন্ধ করে দিন এবং দুধ ঠাণ্ডা হতে দিন।
৪। একটি পাত্রে এক তৃতীয়াংশ চিনি এবং দুই তৃতীয়াংশ গুড় মিশিয়ে নিন আপনার ইচ্ছেমত স্বাদের জন্য। অথবা ইচ্ছে করলে পুরোটাই চিনি বা গুড় ব্যবহার করতে পারেন। এই মিশ্রণে অল্প করে পানি মিশিয়ে নিন এবং চুলোয় বা ওভেনে গলিয়ে নিন। এরপর তা ঠাণ্ডা করে নিন।
৫। ঠাণ্ডা করা দুধের সাথে এই ঠাণ্ডা গুড় দিয়ে মিশিয়ে নিন। গরম দুধে গুড় দিলে ফেটে যেতে পারে তাই একেবারে ঠাণ্ডা করে মেশাবেন। এরপর এতে এলাচ, কিশমিশ, দারুচিনি, তেজপাতা ও একটু লবণ দিয়ে ফুটিয়ে নিন। দুধ ফুটে এলে এতে সেমাই পিঠা দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে ১৫ মিনিট রান্না হতে দিন। এ সময়ের মাঝেই দেখবেন পিঠা সেদ্ধ হয়ে যাবে, দুধটাও বেশ ঘন হয়ে আসবে এবং সবশেষে গোলাপজল দিন। এ পর্যায়ে চুলা বন্ধ করে দিন, কারণ ঠাণ্ডা হলে আরো ঘন হয়ে আসবে তা।
এবার গরম সেমাই পিঠা পরিবেশন পাত্রে ঢেলে নিন। ঠাণ্ডা বা গরম দুই উপায়েই পরিবেশন করতে পারেন সেমাই পিঠা।
ব্লগের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা সাথে থাকার জন্য ।
ছবি: সার্চ ইঞ্জিন গুগল ।
উৎসর্গ: লেখাটি উৎসর্গ করছি প্রিয় কবি ভাই “সেলিম আনোয়ার” ভাইকে, যিনি নিজেরে মধ্যে অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদী ভাইকে খোজে পান ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ভালোই বলেছেন । ধন্যবাদ ।
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪
স্রাঞ্জি সে বলেছেন:
চুটকি..... আহ গরুর দুধে ভিজিয়ে।।।।।।।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আফসোস!!! সেই দিন আর ফিরে আসার না !!!
৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: দাদীজান আমাদের রানী এলিজাবেথ --
তিনি বটবৃক্ষ যার ডালপালা লতাপাতা আমাদের পরিবার - দাদীজানের ইমেজটা সুন্দর এঁকেছেন। উৎসর্গটাও ভাল লাগলো।
পোস্টে প্লাস + +
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই, পোষ্টে যখন অগ্রজ ভাইদের কমেন্ট পাই তখন গর্ব হয়, ভালো লাগে - ধন্যবাদ। দাদীজান আমাদের রানী ই ছিলেন এবং আমাদের পরিবারের সবচেয়ে শক্তিশালী অভিভাবক ও ।
৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১০
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: সুন্দর।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ভাই অনন্য দায়িত্বশীল আমি, ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য । আবারো ধন্যবাদ ।
৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: পৃথিবীর অন্যতম সেরা ডেজার্ট।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আমার জীবনে অন্য ভুবনের খাবারের মধ্যে একটি অন্যতম খাবার ! হ্যা আপনার কথা সঠিক “পৃথিবীর অন্যতম সেরা ডেজার্ট।”
৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯
জাহিদ অনিক বলেছেন: আহ ! সেই ছোট্টবেলায় খেয়েছি ---------- তারপর আর খাওয়া হয় নাই।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না--
সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি।
কান্নাহাসির বাঁধন তারা সইল না--
সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি॥
৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: চমৎকার, মজাদার খাবার !!
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাই সার্টিফিকেট দিয়েছেন “পৃথিবীর অন্যতম সেরা ডেজার্ট” - আর আমার কাছে আজো মনে হয় এটি এই পৃথিবীর খাবার নয়, অন্য কোনো ভুবনের অন্য কোনো দেশের - এই খাবারের সাথে মিশে থাকতো অনেক অনেক ভালোবাসা আর মায়া-মমতা । ধন্যবাদ ভাই হাসান জাকির ৭১৭১ ।
৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯
আখেনাটেন বলেছেন: ছোটোকালের কথা মনে করে দিলেন ঠাকুর মশাই। এখন কেন জানি দেশি এই অসাধারণ খাবারটি বাড়িতে তৈরি করতে চায় না।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আখেনাটেন ভাই, এই খাবার তৈরি প্রণালীতে আরো উপকরণ লাগে যা আমি লিখিনি - তা হচ্ছে
১ পেয়ালা ভালোবাসা
১ পেয়ালা মায়া
১ পেয়ালা মমতা
আর এই উপকরণ ছাড়া এই খাবার বানানো আর না বানানো তফাত নেই, বাজারে ব্রান্ডেড লাচ্ছা সেমাই আছে যা মেশিনে তৈরি হচ্ছে - তাই আমারা গলধঃকরণ করি !!!
৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: এইভাবে রেসিপি না দিয়ে বানিয়ে খাওয়ান। দোকা করুম।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: রাজীব নুর ভাই, আমার ছোট বোনটা রান্না বিশেষজ্ঞ না হলেও অজ্ঞ না, আপনি উপকরণ নিয়ে বাসায় যান কালকে আপনি গর্ব করে বলতে পারবেন ব্লগে ।
১০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬
কাজী ফররুখ আহমেদ বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ ভাই, আপনার দাদীজানের প্রতি রইলো অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও দোয়া ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ কাজী ফররুখ আহমেদ ভাই, আবারো ধন্যবাদ আর আপনার প্রতিও রইলো অনেক অনেক শুভ কামনা ।
১১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হাতে তৈরি এই সেমাই আমার খুবই প্রিয় ছিল ছোটবেলায়, খেয়েছিও প্রচুর। এখন আর সেরকম তৈরি হয় না।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন ভাই, হওয়ার কথাও না, সেই মানুষও নেই আর সেই রান্নাও নেই, তারা চলে গেছেন আর সাথে করে নিয়ে গেছেন তাদের সবকিছু ।
১২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০
নিউজপ্রিন্ট বলেছেন: মুছে যাওয়া দিনগুলি আমায় যে পিছু ডাকে
স্মৃতি যেন আমার এ হৃদয়ে বেদনার রঙ্গে রঙ্গে ছবি আঁকে।
অফটপিকঃ আপনি কি প্রতিবাদী লেখা ছেড়ে যাচ্ছেন ?
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সত্যি সত্যি ! প্রতিবাদী লেখা আর লিখবো না । সমাপ্ত করেছি প্রতিবাদী লেখা । ধন্যবাদ ।
১৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩
অন্তরন্তর বলেছেন: আপনার দাদিজানের প্রতি শ্রদ্ধা। দুধছরি পিঠা মনে হয় বলা হয় আমাদের এখানে তাই না? সেই খেজুর গুড় আর কুড়ানো নারিকেল দিয়ে বানানো এই পিঠা অমৃত। আমি যখন বাংলাদেশে আসি আমার মা প্রথম আমাকে এই পিঠা খাওয়াবে। আমার শ্বশুর বাড়িতে গেলে একই অবস্থা। এবার বুঝে নেন কেমন প্রিয় এই দুধছরি বা সেমাই পিঠা। শুভ কামনা রইল।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আমাদের ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার ঐতিহ্য পিঠা দুধছরি (হাতে কাটা সেমাই) আর চিত্রা (চিটা পিঠা) এই দুইটিই মেয়ের জামাই বা মেয়ে বাড়ীতে আসলে করা হয় । শুভ কামনা রইলো ।
১৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমার প্রিয় সেমাই। দেশের সংস্কৃতির অংশ। পোস্টটি উৎসর্গ করে আমাকে সম্মানিত করেছেন । আল্লাহ আপনাকে সম্মানিত করুক। ভাল থাকবেন।++++
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সেলিম আনোয়ার ভাই আপনি সম্মানের দাবীদার, পরম করুনাময় আল্লাহপাক আপনাকেও সম্মানিত করুন। আমেন ।
১৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহা! সুন্দর । বেশ ভালো লাগলো প্রিয় মাহমুদভাই,।
প্রিয় কবিভাই সেলিম আনোয়ারকে অভিনন্দন এমন একটি পোস্ট উৎসর্গ করায়।
উভয়ের উদ্দেশ্যে রইল বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ভালোবাসা আর শুভ কামনা ।
১৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬
খোকন১২ বলেছেন: আমার মা বুড়া হয়ে গেলো আর এই শেমাই খাওয়াও শেষ হয়ে গেল
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: মা, চাচী, ফুফু এরা হচ্ছেন প্রিন্সিপাল তাদের অভাব পূরণ হওয়ার নয় ।
১৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৬
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: বিল্কুল মজাদার খাবার। সহজে গলদ করন খাবার । সেমাই অনেকের ভাল লাগার খাবারের তালিকা দখল করে আছে।
ধন্যবাদ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ভাই সৈয়দ ইসলাম, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
১৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আগে এই সেমাই খুব খেয়েছি। আমার ভালো লাগতো। এখন আর খেতে পাই না। না নিজের বাসায়, না অন্য কারো বাসায়। মজার খাবারগুলো সব হারিয়ে যাচ্ছে।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৩৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: এই খাবারের সাথে যারা সংলিষ্ট ছিলেন তা ছিলো তাদের সংস্কার, কৃষ্টি, আপ্যায়ন, আথিতেয়তা ইত্যাদি ইত্যাদি - এখন তারা নেই তাদের সব নিয়ম নীতি খাবারও নেই, তাদের সাথে তারা তাদের সব নিয়ে গেছেন ।
১৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: ভাই, কেমন আছেন আপনি?
আর আপনার ব্লগ পোস্টে করা আমার মন্তব্যের রিপ্লে দেন নাই যে, ভুলে গেলেন নাকি
২০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। ভালো লাগলো।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৩৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ভাই, ধন্যবাদ ভাই, আবারো ধন্যবাদ ।
২১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
মিষ্টি পাস্তা
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, আমাদেরে মফস্বল এলাকায় একটা রেওয়াজ প্রচলিত - নতুন জামাই শশুর বাড়ী এসেছে আর তাকে দুধছরি / হাতে কাটা সেমাই খাইয়ে আপ্যায়ন করা হয়নি, তাহলে বুঝতে হবে আপ্যায়নে ঘাটতি আছে - ব্যাপারটা ভাবনার বিষয় !!! বিড়াট সমস্যা বলতে পারেন ।
২২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এটা সম্ভবত এখন বাজারে পাওয়া যায় , সেদিন দেখলাম গিন্নি এক প্যাকেট কিনে এনেছে। তবে সাইজ খুব ছোট।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৩৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাই, এখন বাজারে এই সেমাই পাওয়া যায় তবে হাতে বানানোর সেই ছেলে বেলার স্বাদ নেই । থাকার কথাও না । নদীর মাছের স্বাদ নাই - আর এটা তো হাতে বানানো !!!
২৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
গুরু,........
আপনি তো দেখি দারুণ ভোজন রসিক!!! এই সেমাই খেয়েছি, দারুণ সুস্বাদু৷তবে আমার পছন্দ হলো ঝাল খাবার৷এক সময় মিষ্টি জাতীয় খাবার খুব খেলেও এখন রুচি পরিবর্তন হয়ে গেছে৷
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৪৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: গুরু, আপনার ঝাল খাবার নিয়ে আগামী পোষ্টে লিখবো, আশা করি আপনার ভালো লাগবে ।
২৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৮
প্রামানিক বলেছেন: আহারে! আগের দিনে প্রত্যেকটা বাড়িতেই এই সেমাই তৈরী হতো। ঈদের দিন কি যে মজা করে খেতাম। আপনি পুরানো দিনের সুন্দর স্মৃতি মনে করে দিলেন। ধন্যবাদ
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: প্রামানিক ভাই, আপনি আমার পোষ্টে কমেন্ট করেছেন অর্থাৎ আমার লেখার মান উন্নয়ন করেছেন, ধন্যবাদ ভাইজান, ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন, পরম করুনাময়ের শান্তির ছায়া আপনার উপর থাকুক এই দোয়া করি ।
২৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১৩
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: ছোট বেলায় খাওয়া হইত কিন্তু এখন আর খাওয়া হয়না।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৪৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: নাই তো, পাবেন কোথায়, যারা এই খাবার তৈরিতে উস্তাদ তারা না ফেরার দেশে চলে গেছেন অনেক আগেই । এখন যা আছে বাজারের ব্যাকারী থেকে কিনে খাওয়া আর কি !!!
২৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৮
মিথী_মারজান বলেছেন: দারুণ ইয়াম্মী একটা খাবার।
আমরা এটাকে চুই পিঠা বলি।
আর যখন এটা বাসায় বানাই আমি নিজেই মনেহয় অর্ধেকের বেশি খেয়ে ফেলি। :p
আর এটা রান্নার সময় দুধে খেজুর, নারকেলের যে মিষ্টি মৌ মৌ একটা ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ে সেই ঘ্রাণটাও আমার খুব ভাল লাগে।
চমৎকার এই পিঠা রেসিপির সাথে আপনাদের পারিবারিক সুখস্মৃতির গল্পটা যেন পোস্টের ঘ্রাণ ও স্বাদ বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপা, আপনি সম্ববত আমার পোষ্টে বা আমার ব্লগে এই প্রথম কমেন্টে এসেছেন, আপনাকে আবারো ধন্যবাদ ।
২৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৬
নতুন নকিব বলেছেন:
অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দিল আপনার সুন্দর এই পোস্ট।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন নকিব ভাই ।
২৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার স্মৃতি কথা !!
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: মনিরা সুলতানা আপা, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, আপনার দেয়া সম্মান আমি মাথা পেতে নিলাম ।
২৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৬
তারেক ফাহিম বলেছেন: আহ্ স্মৃতি।
পো্ষ্টে ++
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: স্মৃতী সব সময় আনন্দের হয় তারেক ভাই, শুভ কামনা রইলো ভাই ।
৩০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৩
সজল_ বলেছেন: পোস্টটি দেখে মনে হলো এই ঈদে হাতে কাটা সেমাই বানানো হয়নি।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সজল ভাই, আগামী ঈদে হবে, মর খারাপ কেনো করছেন ? ভালো থাকুন, শুভ কামনা রইলো ।
৩১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পুরোনো দিনে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন। বিয়েশাদিতে রাতভর মহিলারা এই শেমাই বানাতো। আমরা বাচ্চারাও বানানোর জন্য বায়না ধরতাম। বানাইতামও। তবে সেগুলো ফেলে দিত, ময়লা হয়ে যের বলে।
নতুন বউ কনসিভ করলে তাকে দিয়ে শেমাই বানানো হতো। শেমাইয়ের দুই মাথা চোখা হলে ধরে নেয়া হতো মেয়ে হবে, আর ভোতা থাকলে ছেলে হবে। আল্ট্রাসনোগ্রাফি আর কী এটা কতটা সত্য হতো সেই তথ্য জানা নাই।
বিয়েশাদি ছাড়াও আত্মীয়স্বজনরা বাসায় এলে, কিংবা অন্যান্য পিঠা পায়েসের সাথে এটাও বানানো হতো। চাউল ছাড়াও শুধু আটা দিয়েও বানানো হয়। চাউলেরটা মজা হলেও আটারটা আমি খেতে পারতাম না। তবে মোটের উপর এই শেমাই আমার তত ফেভারিট ছিল বলে মনে পড়ে না, যদিও মিষ্টি জাতীয় খাবার আমার সবচাইতে প্রিয়।
আমার স্ত্রীর খুবই প্রিয়। বছর দুই-তিনের মধ্যে সে বানাইছিল। কীভাবে যেন আমি মিস করেছি। এখন কেউ এটা দিতে চাইলেও খেতে ইতস্তত করবো- হাতে বানানো বলে। এই শেমাইয়ের মধ্যে একটু মোটা ও পাতলা করে আরেকটা জিনিস দেয়া হতো, ওটাকে বলা হতো চাইপ্ল্যা (চাপিলা), চাপিলা মাছের মতো দেখতে সে জন্য।
পুরোনো দিনের গানের মতো উপভোগ করলাম।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ভাই সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, আপনার কমেন্ট পড়ে সত্যি অনেক ভালো লেগেছে, আপনাকে ধন্যবাদ ও আপনার প্রতি রইলো শুভ কামনা ।
৩২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৮
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সেমাই কলই পিছা বলতাম আমরা। কিন্তু যতদূর মনে পড়ে মা কখনো গোলাপ জল ইউজ করে নি। দেখি আজ ফোন করে জানবো। আর আপনার রেসিপি তার সাথে মিলিয়ে দেখবো
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ভাই উদাসী স্বপ্ন, আপনাকে আমার ব্লগে পাওয়া গেছে - ভাবতেও অবাক লাগে ! ধন্যবাদ । আপনার আম্মা অর্থাৎ আমার ফুফুকে আমার পক্ষ হতে সালাম দেবেন ।
৩৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১
শায়মা বলেছেন: এত সহজ না!
মানে রেসিপি দেখে এই সেমাই বানানো মোটেও সহজ নহে.....
চাই হাতের দক্ষতা!
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: শায়মা আপা,
এই খাবার তৈরি প্রণালীতে আরো উপকরণ লাগে যা আমি লিখিনি - তা হচ্ছে
১ পেয়ালা ভালোবাসা
১ পেয়ালা মায়া
১ পেয়ালা মমতা
আর হাতের দক্ষতা !
৩৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২২
ডি মুন বলেছেন: খুব সুস্বাদু খাবার। আম্মা বানাতো ছোটবেলায়।
আহা, নস্টালজিক হয়ে গেলাম।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৬:৩৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯
বাকপ্রবাস বলেছেন: আমর সেই রকম অপছন্দ