নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful
আগষ্ট, ২০১৫ বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ০৮:৩০ মিঃ নিকুঞ্জ-১ একটি অসমাপ্ত বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে গাড়ির ফুয়েল পুড়ছি প্রায় ত্রিশ মিনিট যাবত, আমি বনানী থেকে যাত্রা’র সাথে সাথে বাড়িওয়ালা আমার বন্ধু মানুষ তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি, তিনি উত্তরা থেকে আসছেন - - - নিকুঞ্জ পৌছে ফোন দিয়েছি তিনি আসছেন - - - দয়া করে অপেক্ষা করতে বললেন, আমি অপেক্ষা করছি। ঝমঝম করে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে - কোনো লোকজন নেই, চারোদিকে শুনশান। রাস্তার মোড়ে চা’য়ের দোকান থেকে এক প্যাকেট টোষ্ট বিস্কুট নিয়ে আবারো বাড়ির সমনে চলে এসেছি (সুন্দর প্যাকেটে চিনি দেওয়া দুইটি টোষ্ট খেতে অসাধারণ) বৃষ্টির সাথে মানুষের অনেক আনন্দ-দুঃখ-কষ্ট মিশে থাকে, তার মধ্যে সম্ভবত দুঃখ-কষ্টই বেশি, অকটেন আর না পুড়ে গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ করে হাটি হাটি পা-পা করে বৃষ্টিতে নেমে এলাম - বৃষ্টিতে ভিজে সয়লাব হয়ে গেছি হঠাৎ অনুভব করলাম - পাশে কেউ! - না কোনো মানুষ নয়, ছোট সাদা কালো অবহেলিত শীর্ণকায় একটি দেশী কুকুরছানা আমার পাশে! মনে হচ্ছে খুশিতে লেজ নাড়ছে, তাকিয়ে জিগ্যাসা করলাম - খবর ভালো তো? সে কুঁ কুঁ করে দুইটি শব্দ করলো, বিস্কুট খাবে - চিনি দেওয়া টোষ্ট? আবারো কুঁ কুঁ শব্দ করে His Masters Voice গ্রামোফোনের কুকুরের মনোগ্রামের মতো বসে পরলো, খানিকটা টোষ্ট ভেঙ্গে দেওয়ার সাথে সাথে অত্যন্ত আনন্দের সাথে খেয়ে আমার দিকে এমন ভাবে তাকালো মনে হচ্ছে সে বলছে - “আর কিছু কি দেওয়া যাবে প্লিজ” বাকী টোষ্ট দিয়ে দিলাম - মনের আনন্দে সে অতি সামান্য টোষ্ট শেষ করে আমার পাশে দাঁড়িয়ে আমার একান্ত দেহরক্ষী হয়ে পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব গ্রহণ করলো! কয়েকবার বললাম - যাও চলে যাও, তোমার কোনো কাজ নেই - আমার দিকে খুব দুঃখ নিয়ে তাকিয়ে আবার কুঁ কুঁ শব্দ করে উঠলো, মনে হচ্ছে আবারো বলতে চাচ্ছে “তোমার পাশে থাকি কিছুক্ষণ, পাহারা দিচ্ছি তো”!!! আহারে কৃতজ্ঞতা!!!
বাড়িওয়ালা কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত মুস্তাফিজ ভাই গাড়ি থেকে নেমেই প্রথমে যে কথাটি বললেন - মাহমুদ ভাই আপনি কি ডগ নিয়ে এসেছেন? আপনারা তো বৃষ্টিতে ভিজে সয়লাব - কুকুরছানা টি আমার দিকে তখন এমন চোখে তাকিয়ে ছিলো যে আমার পক্ষে বলা সম্ভব হয়নি “এটি আমার নয় - একে আমি চিনিনা”। আমি মুস্তাফিজ ভাইকে বললাম “হ্যা আমি আর আমার বন্ধু ভিজে সয়লাব এখন আপনার ভেজার পালা”। তিনি শুনলেন কি না জানিনা, তবে বৃষ্টিতে ভেজার ভয়ে হোক আর দেরি করার কারণেই হোক হন্তদন্ত হয়ে বাসার গেট খোলায় মনোযোগ দিলেন।
বাড়ির কাজ দেখতে দেখতে রাত আনুমানিক ১০:০০ বাজে বাইরে এসে দেখি কুকুরছানা এখনো আমার জন্য অপেক্ষা করছে, গাড়ির দরজা খোলার সাথে সাথে সে অবাক চোখে তাকিয়ে দেখছে আমার চলে যাওয়া, তার দুঃখ ভরা চোখের ভাষায় যেনো বলছে “আমাকে কি নেওয়া যায় তোমার সাথে” এই কুকুরছানা জন্ম থেকেই মানুষ আর আর গাড়ির তাড়া খেয়েছে, সে গাড়িতে চড়ায় অভ্যস্ত না, তার হাড় জিরজিরে শীর্ণকায় শরীর ধরে আমাকেই উঠাতে হলো, রাস্তার মোড়ের চা’য়ের দোকানে আবারো থেমে দোকানদারের কাছে জানতে চাইলাম এই কুকুরকে চেনেন, দোকানদার কুকুরছানা দেখে বললো “হালা বজ্জাত, হের মা তিন চাইরডা পয়দা করছিলো সব মরছে হে টিক্কা আছে, আফনে নিবেন হেরে? তারপর আর কথা চলে না।
যবনিকা: - আমার জীবনে অনেক সাহসী দুঃসাহসী কুকুর দেখেছি, তবে এর মতো এতো ভীতু কুকুর আমি খুব একটা দেখিনি, আমি তাকে ভীরু বলে ডাকি, বাড়ির যে-কোনেই থাকুক সে দৌড়ে এসে বিশ্বস্ততার সাথে আমার কাছে বসবে, তার একমাত্র কাজ ভয় পাওয়া, তাই তার নাম ভীরু - আমার প্রিয় ভীরু, সে আমাদের গ্রামের বাড়িতেই থাকতে পছন্দ করে, হয়তো এটাও তার বিশ্বস্ততার সাথে দায়িত্ব ও কৃতজ্ঞতা হিসেবে নিয়েছে, তাই সে গ্রামের বাড়িতেই আছে।
উৎসর্গ: - ব্লগার “মুক্তা নীল” যিনি দুঃখের গল্প ব্লগে লিখতে পছন্দ করেন। তিনি হয়তো জানেন না “জীবন অর্থ পরাজয় নয়, জীবন অর্থ যুদ্ধ, জীবন যুদ্ধে শহীদ হলেও জয়ী বলে গন্য হয়”। ব্লগার মুক্তা নীলের কাছে আনন্দের গল্প আশা করছি।
কৃতজ্ঞতাঃ - সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে এক দিগন্ত ভালোবাসা ও ধন্যবাদ লেখাটি নির্বাচিত পোষ্টে স্থান দেওয়ার জন্য।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:০৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ভীরুর ভ্যাকসিনের কথা ভুলি না, তার প্রতি আমিও কৃতজ্ঞ।
২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:২২
ল বলেছেন: ব্রিলিয়ান্ট পোস্ট
শেষটায় এসে থেমে গেলাম, মনে হলো টিনের চালে বৃষ্টির ফোঁটার মতো মনের চালে টুপ টুপ করছে
শেষ লাইনগুলো কয়েকবার পড়লাম -----
জীবন অর্থ পরাজয় নেয় --জীবন অর্থ যুদ্ধ ... সে যুদ্ধে শহীদ হলেও জয়ী বলে গণ্য হয় ..
( নীল রং হলো দুঃখের তাই সবগুলো নীলাদ্রি এক হয়ে উথলে ওঠে নীলসাগর )
২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:০৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ল ভাই, যুদ্ধের রঙ কি অগ্নি লাল? আমাদের সকলের জীবন রঙধনুর সাত রঙে রঙিন হোক এই কামনা করছি।
৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভালো কাজ করেছেন, কুকুরটা ভালো একটা জীবন পেলো।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:০৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: জীবনে কখন কার প্রয়োজন পরে তা বোঝার জ্ঞান আমাদের দেওয়া হয়নি চাঁগাজী ভাই, যদি তাই হতো তাহলে মানুষ হিসেবে আমরা এতো অকৃতজ্ঞ প্রাণী হতাম না।
৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:১৮
মিরোরডডল বলেছেন: ইউ ডিড আ গুড জব ।
একটা নিরীহ প্রানিকে আশ্রয় দিয়েছেন ।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:২৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: জগতে আমরা সবাই নিরীহ, সময়ে বোঝা যায় কে কতোটা নিরীহ। ধন্যবাদ MirroredDoll
৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:৩৯
মিরোরডডল বলেছেন: so true!
২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:৪৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আমার জীবনে বেশ কয়েকবার একদম কাছাকাছি মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি, অজানা অনন্ত পথের জন্য তৈরি হয়েছি, সেসময় এছাড়া আর কিছুই করার ছিলোনা।
ধন্যবাদ আবারো।
৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:৩৯
ইসিয়াক বলেছেন: ভীরু জন্য শুভকামনা ।
মাহমুদ ভাই আপনাকে ধন্যবাদ ।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:৪৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আপনার জন্য এক দিগন্ত ভালোবাসা। আপনাকেও ধন্যবাদ।
৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:৫০
মিরোরডডল বলেছেন: Sad to hear what you’ve been through.
সামনে সেই গল্পগুলোও শেয়ার করবেন আশাকরি ।
ইফ ইটস ওকে উইদ ইউ ।
ভালো থাকবেন ।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: জীবনের গল্প লিখতে সমস্যা দেখি না। লিখবো, অবস্যই লিখবো। আমার ব্লগে পুরাতন পোষ্ট দেখতে পারেন সেখানে আমার নিজের জীবন নিয়ে লিখা আছো। ভালো থাকবেন।
৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:১৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+
২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সেলিম আনোয়ার ভাই ধন্যবাদ।
৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের দেশের কুকুরদের রাস্তাঘাটে বেহাল অবস্থা দেখলে সত্যিই খুব খারাপ লাগে। অবশ্য যে দেশে মানুষদেরই কোন দাম নাই, সেখানে কুকুরদের কথা ভেবে কি লাভ?
আপনি তবু তো একটার দায়িত্ব নিয়েছেন....এটাই ক'জন করে!!
ভীরুর একটা ছবি দিলেও তো পারতেন! পোষ্টের শুরুর ছবিটা ভীরুরই হওয়া উচিত ছিল।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: মানুষ মানুষে অবহেলা আর কুকুর তো - - - । আমি তেমন একটা ছবি তুলি না। ধন্যবাদ মফিজ ভাই।
১০| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:২০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভাগ্যিস এটা ব্লগ।
ফেবু হলে এতক্ষনে আমিন আমিন বলা মুমিন ভাই বোনদের গালির বন্য বয়ে যেত। ওদের কাছে কুকুর একটা ঘৃনিত হারাম প্রানী।
যদিও কোরানে এমকিছু খুজে পাওয়া যায় না, হাদিসে কুকুরের বিপক্ষে থাকলেও পক্ষেও হাদিস আছে।
অতচ নিরাপত্তা কাজে বোমা গোলাবারুদ সনাক্তে কুকুরের বিকল্প যন্ত্র বানানো সম্ভব হয়নি এখনো।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী ভাই, কুকুর মানুষের বন্ধু প্রাণী এটি সে তার নিজ জীবন দিয়ে লক্ষ কোটিবার প্রমাণ করেছে। একটি সামান্য প্রাণীর পক্ষে আর কিইবা করার আছে।
১১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:০২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লেগেছে লেখা
ছোডো বেলা কত কুত্তা পালছি, নাম দিয়েছিলাম একটার -ভুলো
ভুলা বলে ডাকলেই দৌড়ে চলে আসতো কাছে, সে আব্বার সাথে বল খেলতো, বল দূরে ফেললে সে নিয়ে আসতো, আহারে কী আনন্দময় জীবন ছিলো। কিন্তু সেই কুত্তাডারে বিষ খাওয়াইয়া মারছে চোরের ঘরের চোর চানাচুরে। রাতে তার জ্বালায় চুরি করতে অসুবিধা বিধায় তাকে মারতেই হবে এই মানসে চোররা তাকে বিষ খাওয়াইয়া মারছে
২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: মানুষ মানুষের ক্ষতি করে শুধু তাই নয়, সমগ্র প্রাণী জগতের ক্ষতি করছে মানুষ।
১২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৫২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: পরাজয়ে ডরে না বীর।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: কাপুরুষ প্রতিদিন শত সহস্রবার মরে, বীরের মৃত্যু একবারই হয়।
১৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৭
ঢাকার লোক বলেছেন: ছেলেবেলায় পড়া শরৎচন্দ্রের দেওঘরে বেড়াতে গিয়ে এক রাস্তার কুকুর নিয়ে লেখাটি মনে পড়লো ! শরৎচন্দ্র অবশ্য কুকুরটি সাথে নিয়ে আসতে পারেননি, হয়তো ট্রেনে করে নিয়ে আসার তেমন সুযোগও ছিলোনা ।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আমি শরৎচন্দ্রের কয়েকটি বই মাত্র পড়েছি, এই বইটি পড়িনি।
১৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৪২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাহাহা ভাল লিখেছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে এমন নিরাশ্রয় ভিরু কে একটা আশ্রয় দেওয়ার জন্য।
গল্পের নিগূঢ় অর্থে নাই বা গেলাম পড়ে ভালো লেগেছে।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৪৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনি কেমন আছেন? লেখার মুল্যায়নের জন্য আবারো ধন্যবাদ।
১৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: সমাজে এরকম লোকের সংখ্যাই বেশি।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৫১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: হয়তোবা, সমাজের মানুষ কেমন তার পরিচয় পাওয়া কঠিন বিষয়!!!
১৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:১৩
ঢাকার লোক বলেছেন: এ ঠিক বই না, শরৎচন্দ্র দেওঘর গিয়েছিলেন ডাক্তারের পরামর্শে বায়ু পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে, ওখানে এক রাস্তার কুকুরের দেখা পান এবং তাকে নিয়ে একটা সুন্দর স্মৃতিকথা লিখেছিলেন। বহুদিন আগে পড়া, বাংলাটা খুঁজে পেলামনা, একটা ইংরেজি অনুবাদ ইন্টারনেটে পেলাম এই লিংকে, সময় সুযোগ হলে দেখতে পারেন । ধন্যবাদ ।
https://www.thestatesman.com/supplements/recollections-of-deoghar-136908.html
২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৫২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ লেখাটির লিংক শেয়ার করার জন্য। আমি অবস্যই লেখাটি পড়ে দেখবো। আবারো ধন্যবাদ।
১৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:২০
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: কুকুরের কৃতজ্ঞতার অনেক গল্প শুনেছি ও পড়েছি।
কুকুর সংক্রান্ত গল্প পড়লে "শৈশবে দেখা- গ্রামের একটা কুকুরের" অস্পষ্ট ছবি চোখে ভাসে। মন খারাপ হয়।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৫২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: জুনায়েদ বি রাহমান ভাই, প্রাণী হিসেবে সম্ভবত সকল প্রাণী মানুষের বন্ধু প্রাণী। একমাত্র মানুষ কোনো প্রাণীর বন্ধু হতে পারেনি এমনকি মানুষে মানুষেও বন্ধু হওয়া জটিল ও স্বার্থ - - - - - কারণ হয়ে দাড়ায়।
১৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৩:৫১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পোষ্টটি যথা সময়েই দেয়া হয়েছে বলে মনে হল ।
প্রতি বছরই ২৬ অগাস্ট দিনটি পালিত হয় মানুষের সেরা বন্ধু হিসাবে বিবেচিত সারমেয়দের জন্যই। আন্তর্জাতিক কুকুর দিবস হিসেবে এই দিনটি মূলত কুকুর ও তাদের মানব বন্ধুদের মধ্যেকার অদ্ভুত ভরসা ও ভালোবাসার উদযাপনের উদ্দেশেই পালিত। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, পোষা প্রাণির প্রতি মানুষের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াগুলির একটি বৃহৎ উৎস আসে অক্সিটোসিন হরমোন থেকে। অক্সিটোসিন হল স্তন্যপায়ী প্রাণীদের দেহে প্রাপ্ত একটি হরমোন। এটি স্তন্যপায়ীদের মস্তিষ্কে কাজ করে। মানবদেহে এটি নারীদের প্রজননের সময় নির্গত হয়, বিশেষ করে সন্তান প্রসবের সময় এবং প্রসবের পরে।এটি সম্পর্কের বন্ধন তৈরিতে এবং পিতামাতার আচরণের বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করে। এটি অর্গাজম বা রাগমোচনের সময় এবং এমনকি আলিঙ্গণের মত ঘনিষ্ঠ মুহূর্তগুলোতেও নিঃসৃত হয়ে থাকে।
অক্সিটোসিন হরমোনের ছবি
অক্সিটোসিন এমন একটি হরমোন যা সামাজিক বন্ধন, নিশ্চিন্তিবোধ , আস্থা এবং উত্তেজনা প্রশমনে কাজে আসে। উক্ত কারণে একে প্রায়শই ভালোবাসার হরমোন নামে অভিহিত করা হয়। সায়েন্সডাইরেক্টে প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুসারে প্রমাণিত হয়েছে যে মানুষ যখন কুকুরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে, তখন উভয় প্রজাতিরই অক্সিটোসিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় (সুত্র : Understanding dog–human companionship
https://www.sciencedirect.com/science/article/pii/S0148296307002214 )। শুধু কি সামাজিক জীবন, বিনোদনেও দারুন ভুমিকা রাখে সারমেয়কুল। তখন তারা ভিরুতাকে পরিহার করে দারুন সাহসী হয়ে উঠে ।
মনে পরে তেরি মেহেরবানিয়া নামে একটি সিনেমা দেখেছিলাম প্রায় দুই যুগ আগে । সেখানে ছোট্ট কুকুরছানা মোতিকে রাম বাবু উদ্ধার করেন এবং মোতিই তাঁর সেরা বন্ধু হয়ে বেড়ে ওঠে। গ্রামের মেয়ে বিজলীর প্রেমে পড়েন রামবাবু। দুর্নীতিবাজ ঠাকুর ও তার সঙ্গোপাঙ্গরা রামকে হত্যা করে, বিজলীও আত্মহত্যা করে। শোকবিধ্বস্ত মোতিই তাঁদের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়:
তেমনি পরম মমতা দিয়ে পথ হতে কুড়িয়ে নিয়ে আসা আপনার ভীরু- ই প্রয়োজনে হয়ে যাবে সাহসীকতায় পরিপুর্ণ এক হিরো। এ প্রসঙ্গে মনে পরে সে সময়কালের আরো একটি মঝার ছায়াছবির কথা ( উল্লেখ্য ডিস এন্টিনার কল্যানে দুই যুগ আগে বেশ ঝুকে পরেছিলাম হিন্দি ছায়াছবির দিকে , সে মোহ এখন অবশ্য নেই বিবিধ কারণে ) । যাহোক, মনমোহন দেশাইয়ের মর্দ নামের একটি ছবির মুল প্রতিবাদ্য বিষয় ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের পটভূমিতে স্বাধীনতা, বন্ধুত্ব এবং পারিবারিক বন্ধনের এক রোমাঞ্চকর কাহিনী। সাহসী টাঙ্গাচালক রাজু (অমিতাভ বচ্চন) নির্মম ঔপনিবেশিক শাসকদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার সময় তার চমৎকার চারপেয়ে সঙ্গী ছিল বাদল নামের ঘোড়া এবং কুকুর মোতি। ‘কুকুর এবং ভারতীয়দের অনুমতি নেই' এমন জায়গায় গিয়ে ব্রিটিশ সাইমনের লেখার উপর মূত্রত্যাগ করে প্রতিবাদও জানায় মোতি। মোতিদের মত সারমেয়দের এমন প্রতিবাদ যে এখনো চলছে পুরাদমে তা চোখ খুলা রাখলে বুঝা যায় । এরা মনে হয় ঘ্রান শোকেই বুঝতে পারে কোথায় কি করতে হবে । সারমেয়রা আশ্রয়দাতা প্রভু ও তার আশ্রয়স্থানের অমর্যাদামুলক কোন কাজ বা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এমন ইতিহাস এখনো দেখা যায় না ।
ধন্যবাদ দারুন বহুমুখী অর্থবোধক একটি পোষ্ট দেয়ার জন্য । পোষ্টের উৎসর্গ যতার্থ হয়েছে ।
শুভেচ্ছা রইল
২৮ শে আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৪:২৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ভাই, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, ভালোবাসা ও দোয়া “আপনি ভালো থাকুন-সুস্থ্য থাকুন- ব্যাস্ত থাকুন”।
আমার মাঝে মাঝে মনে হয় প্রাণী জগতে সকল প্রাণী মানুষের বন্ধু ও বন্ধু হতেই এগিয়ে আছে, শুধু আমরা মানুষ কোনো প্রাণীর বন্ধু হতে পারিনি, এমনকি আমরা মানুষও মানুষের সঠিক বন্ধু হতে পারিনি। দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে “মানুষ যেভাবে মানুষ ও পশু হত্যা করে তা হয়তো পশু - পশুকে হত্যা করাকেও লজ্জিত করে”।
সৃষ্টিজগতে স্বজাতীয় প্রাণীর প্রতি এতো আক্রোশ ঘৃণা হিংসা লোভ লালসা স্বার্থ একমাত্র “মানুষ” ব্যতীত আর কোনো প্রাণীর মাঝে আছে কিনা আমার জানা নেই।
ডঃ এম এ আলী ভাই, সৃষ্টিজগতে মানুষই সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী (এখন পর্যন্ত তাই প্রমাণিত) তাহলে এই কি বুদ্ধিমানের পরিচয়! এই কি বুদ্ধিমানের উদাহরণ! সৃৃৃৃষ্টিজগতে সমগ্র বিশৃঙ্খলার জন্য দায়ী কে? - একমাত্র উত্তর “মানুষ”!!!
যদি প্রশ্ন করেন, সৃষ্টিজগতের বিস্ময়? আমার উত্তর: - মানুষ
যদি প্রশ্ন করেন, সৃষ্টিগজতের কলংক? আমার উত্তর: - মানুষ
ডঃ এম এ আলী ভাই, আপনার প্রতি রইলো অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা। আপনার প্রতিটি দিন হোক সুন্দর ও আনন্দময়। পরম করুণাময়ের শান্তির ছায়া যেনো আপনাকে শীতল ছায়া দিয়ে যায় আজীবন।
১৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৫:১৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
সামুতে লগ ইন থেকেই আলেক জান্ডার পোপের Happy the man কবিতাটি পড়তে ছিলাম ।
সামুতে ফিরে মন্তব্যের নোটিশ দেখে সেখানে গিয়ে আপনার লেখা সুন্দর প্রতিমন্তব্যটি চোখে পড়ল ,
এর শেষ লাইনে লেখা পরম করুণাময়ের শান্তির ছায়া যেনো আপনাকে শীতল ছায়া দিয়ে যায় আজীবন।
। আপনার সুকামনা ও কবিতার কথার সাথে নীজের জীবনটাকেই মিলাবার জন্য মনের আকুতি যেন
আরো বেড়েই গেল । পোপের কবিতার মত মনে হল তাই
Happy the man, whose wish and care
A few paternal acres bound,
Content to breathe his native air,
In his own ground.
Whose heards with milk, whose fields with bread,
Whose flocks supply him with attire,
Whose trees in summer yield him shade,
In winter fire.
.........
Sound sleep by night; study and ease
Together mix'd; sweet recreation,
And innocence, which most does please,
With meditation.
Thus let me live, unseen, unknown;
Thus unlamented let me die;
Steal from the world, and not a stone
Tell where I lye.
তেমনি আমিই বলব I want to die unlamented .
আমার সমাধিতে যেন না থাকে কোন নামফলক
আর বলে যাব রোদন করুনা আমার কবর পাশে
শান্তিতে থাকতে চাই এখানে ও সেখানে ।
কামনা করি পরম করুণাময়ের শান্তির ছায়া যেনো আপনাকেও
শীতল ছায়া দিয়ে যায় আজীবন।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:৩৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
তেমনি আমিই বলব I want to die unlamented .
আমার সমাধিতে যেন না থাকে কোন নামফলক
আর বলে যাব রোদন করুনা আমার কবর পাশে
শান্তিতে থাকতে চাই এখানে ও সেখানে ।
২০| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:৫৮
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপনার এই চমৎকার লেখাটি পড়ে আমি অভিভূত । প্রভুভক্ত প্রাণী যার পোষ মানে তিনি সত্যিই খুব ভাগ্যবান । আপনি ভালো একটি কাজ করেছেন সেজন্য ধন্যবাদ।
কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যুদ্ধের চেয়েও ভয়ঙ্কর ভাবে জীবনটাকে তছনছ করে দেয় , সেই যন্ত্রণা যে কত ভয়াবহ যার যন্ত্রনা সেই ছাড়া কেউ বুঝেনা। আমিও আপনার সাথে পুরোপুরি সহমত
জীবন অর্থ পরাজয় নয়, জীবন অর্থ যুদ্ধ, জীবন যুদ্ধে শহীদ হলেও জয়ী বলে গন্য হয়”।
তাই মাঝে মাঝে উঠে দাঁড়ানোর গল্প গুলো লিখি । আপনার এমন সহমর্মিতায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আরো আন্তরিকভাবে আনন্দিত হয়েছি আনন্দের গল্প লিখতে বলেছেন । পোস্ট প্রিয়তে রাখলাম।
শুভকামনা ও ধন্যবাদ ।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:২২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: মুক্তা নীল, ব্লগে আপনি আমাকে যেই সম্মান দিয়েছেন, পরম করুণাময়ের কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যেনো তার শত সহস্রগুন বেশী সম্মানে আপনাকে সম্মানিত করেন।
২১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৮
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: আমার প্রিয় ভীরু , চমৎকার উপস্থাপণ । ভাল থাকুন ।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:০৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আপনিও ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।
২২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৪৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,
অবোধ প্রাণীদের মাঝেই থাকে কৃতজ্ঞতাবোধ, থাকে অকৃত্রিম ভালোবাসা। কেবল মানুষের তা থাকেনা।
অনেকদিন পরে "হিজ মাষ্টার্স ভয়েজ" এর গ্রামফোন রেকর্ড দেখলুম।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:১১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আমার কাছে হিজ মাষ্টার্স ভয়েসের গ্রামোফোন রেকর্ড ডিস্ক সংরক্ষনে আছে। আমার অনেক স্মৃতি সেখানে জড়িত। ভীরুকে আমি যতোটা পছন্দ করি তারচেয়ে অনেক বেশী সে আমাকে পছন্দ করে এটাও তার একটি বৈশিষ্ট।
২৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৪৬
নীল আকাশ বলেছেন: মাহমুদ ভাই,
অনেকদিন পরে আপনার সেরা একটা লেখা পড়লাম। পড়ার পর মুগ্ধ হয়েছি।
বিশ্বাস করুন, কৃতজ্ঞতা মানুষের মাঝেই নেই শুধু, পশু পাখিদের মধ্যে প্রায় সময়ই দেখা যায়।
আপনার প্রিয় ভিরু ভাল থাকুক, সব সময়।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৫:১৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: নীল আকাশ ভাই আপনার উপর আমার অনেক আক্ষেপ জমে আছে, মোহাম্মদপুর বিহারী ক্যাম্পে চলুন আগে ঠান্ডা ফালুদা খাই তারপর কথা বলি। আপানাকে খোঁজেও পাই না। - কারণ কি?
২৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৩৭
করুণাধারা বলেছেন: জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর- আপনার এই পোস্ট পড়ে, কথাটা অনেকদিন পর মনে পড়ল।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৫:১৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: করুণাধারা আপা, সময় আমাদের অনেক কিছু করিয়ে নেয়, সেখানে আপনি হলেও তাই করতেন। আপনি ভালো থাকুন-সস্থ থাকুন-ব্যাস্ত থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৬:৪২
আনমোনা বলেছেন: ভালো লাগলো। ভীরুর ভ্যাকসিনের কথা ভুলে যাবেননা।