নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী, আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি ।।

ঠাকুরমাহমুদ

sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful

ঠাকুরমাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযোদ্ধার চিঠি - সৈয়দ আতিকুল হোসেন ঠাকুর

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০৪




আমার আব্বা সহ তিন চাচা মোট চারজন মুক্তিযোদ্ধা। চারজন দেশের জন্য যুদ্ধ করে ফিরে এসেছেন মাত্র তিনজন। যুদ্ধের মাঠে রেখে এসেছেন তাদের প্রিয় আদরের ছোট ভাই সৈয়দ আতিকুল হোসেন ঠাকুর’কে। যিনি এই চিঠির লেখক। তিনি মেট্রিক ও ইন্টারে প্রথম শ্রেণীতে পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ ভূগোলের ছাত্র ছিলেন। পরিবারের সবচেয়ে পাগলা ছেলেটিকে তাঁর আদরের বড় ভাই বুকে পাথর বেধে যুদ্ধের মাঠে রেখে আসেন। বিজয় আসে বিজয় যায়, আমার কাছে বিজয় মানে দুঃখের এক সাগর যেখানে আমার ছোট চাচার মতো লক্ষ লক্ষ শহীদ হয়েছেন তাদের হারিয়ে আনন্দ করার মতো মন মানসিকতা আমার কখনো হয়নি।

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর অর্থ স্বজনের ঘরে না ফেরার মাস
বিজয়ের মাস ডিসেম্বর অর্থ এক বোন তার পাগলা ভাইয়ের পথ চেয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনার মাস
বিজয়ের মাস ডিসেম্বর অর্থ এক মায়ের অশ্রুভেজা ঘোলা চোখে দুরপ্রান্তে তাকিয়ে থাকার মাস
বিজয়ের মাস ডিসেম্বর অর্থ এ্ক সন্তান তার বাবাকে খোঁজার মাস।

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর অর্থ এক স্ত্রীর করুণচোখে অবোধ জীবনের মাস
বিজয়ের মাস ডিসেম্বর অর্থ এক ভাই তার ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ বহনকারীর মাস
বিজয়ের মাস ডিসেম্বর অর্থ এক বাবার বুকের পাঁজর ভাঙ্গা কান্নার আর্তনাদের মাস
বিজয়ের মাস ডিসেম্বর অর্থ একরাশ হাহাকার বুকে জমে থাকা কষ্টের বাস্প জমে থাকার মাস।

উপসংহার: - ১৯৭১ বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের ২০ তারিখ সন্ধ্যায় বৃদ্ধ পিতা মাগরিবের নামাজের জন্য ওযু করবেন, গ্রামে সন্ধ্যার অন্ধকারে ধুলি ধুসরিত পোশাকে এলোমেলো চুল দাড়ি গোফে অপরিচিত অচেনা তিন যুবক বৃদ্ধের কাছে এসে দাড়ান, বৃদ্ধ তার ছেলেদের চিনতে ভুল করেন না। তিনি ঘোলা চোখে তাঁর ছোট ছেলেকে খোঁজেন, অবোধ ছোট শিশুদের মতো তিনি তাঁর ছেলেদের কাছে কিছুই জানতে চান না। বুকের পাঁজর ভাঙ্গা কান্নায় তিনি ওযু শেষ করেন। বৃদ্ধ জীবনে এই প্রথম নামাজ কাজা করেন, তিনি নামাজে না দাড়িয়ে মোনাজাতে হাত তুলে কাঁদতে থাকেন। - তিনি আমার বেহেস্তবাসী দাদাজান সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেন ঠাকুর।

চিঠি: - অরিজিনাল চিঠি আমাদের কাছে নেই, সংগ্রামের বছর গ্রামকে গ্রাম পালাতে পালাতে চিঠিপত্র জমির দলিলপত্র কিছুই নেই। জমির দলিল পরবর্তীতে কুমিল্লা থেকে ত্রিপুরা থেকে কপি আনা হয়েছে কিন্তু চিঠি নেই। এই চিঠি অসংখ্যবার পড়া হয়েছে, আমার যতোটুকু মনে আছে ততোটুকু গুছিয়ে লিখতে চেষ্টা করেছি।



কৃতজ্ঞতা স্বীকার: সামহোয়্যারইর ব্লগ কর্তৃপক্ষ। নির্বাচিত পোস্টে “উক্ত লেখাটি” স্থান দেওয়াতে সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।।







মন্তব্য ৬৫ টি রেটিং +২৫/-০

মন্তব্য (৬৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:২৪

নীল আকাশ বলেছেন: স্বাধীনতা যুদ্ধে মৃত্যু বরণ করা ব্যক্তিকে আল্লাহ বেহেস্ত নসীব করুন, ছুম্মা আমীন।



১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




নীল আকাশ ভাই,
আমার ছোট চাচা সৈয়দ আতিকুল হোসেন ঠাকুর মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে ফুটবল চ্যাম্পিয়ন ছিলেন, ৭০ এর পূর্বে ফুটবল মাঠে একটি কথা প্রচলিত ছিলো, ফুটবল শর্ট যদি পিতলের কলসে শর্ট মারার মতো টন্ করে শব্দ হয় তাহলে বুঝতে হবে এটি সৈয়দ ঠাকুরের ফুটবল শর্ট।

নীল আকাশ ভাই, আমি যখন এই পোষ্ট লিখছি তখন আমার মনের অজান্তে চোখের জলে গাল ভিজেছে। বয়ষ হয়েছে এখনো পুরোনো কথা মনে পরলে কান্না আসে। স্বাধীনতা যুদ্ধে সকল শহীদকে আল্লাহপাক বেহেস্ত নসীব দান করুন।

২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: উপসংহার পড়ে চোখের পানি আটকে রাখতে পারি নি

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




প্রিয়জন হারানোর ব্যথা যে কি তা যে জানেনা সে কোনোদিন জানেনা। আমি যখন এই পোষ্ট লিখছি তখন আমার মনের অজান্তে চোখের জলে গাল ভিজেছে। বয়ষ হয়েছে এখনো পুরোনো কথা মনে পরলে কান্না আসে। স্বাধীনতা যুদ্ধে সকল শহীদকে আল্লাহপাক বেহেস্ত নসীব দান করুন।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




চিরসুখীজন ভ্রমে কি কখন
ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে।
কী যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কিসে
কভূ আশীবিষে দংশেনি যারে।

ভাই, আপনি আমার কষ্ট বুঝতে পেরেছেন জেনে আমি আন্তরিকভাবে আপনার কাছে কৃতজ্ঞ। এই পোষ্ট যখন আমি ভোর সকালে লিখছি তখন আমিও চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি মনের অজান্তে কান্নায় গাল ভিজেছে।

৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪০

করুণাধারা বলেছেন: এমন কত তাজা প্রাণের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একজন মুক্তিযোদ্ধার কথা তুলে ধরার জন্য। খুবই কষ্টদায়ক ঘটনা জন্য একজন পিতার জন্য, পুরো পরিবারের জন্য, তবে একই সাথে তিনি সকলকে গৌরবান্বিত পড়ে গেছেন। আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুন।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




করুণাধারা আপা,
জীবনে প্রিয়জন যিনি হারিয়েছেন তিনি জানেন ব্যথার মর্ম, আর সেই প্রিয়জন যদি অকালে চলে যান তাহলে এই ব্যথা আজীবন তাড়া করে ফেরে। ১৯৭১ এর যুদ্ধে সকল শহীদকে আল্লাহপাক জান্নাত নসীব দান করুন।

৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চিঠিটা পড়তে পড়তে শেষের দিকে এসে গর্বে বুক ভরে উঠলো- বাবা, আপনার ছেলেরা বীর, আর বীরের পিতা কখনো চিন্তাগ্রস্ত হয় না। এটা তো এক মহাবাণী। পিতাকে এমন অভয় বাণী দেয়া সম্ভব এমন বীর সন্তানের পক্ষেই।

চিঠিতে জনৈক দেওয়ান সাহেবের এক মহানুভবতার পরিচয় ফুটে উঠেছে। এরকম মহানুভব ব্যক্তিরাই ছিলেন আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা ও শক্তির উৎস। তাকে সালাম জানাই। তার বর্তমান অবস্থা জানা থাকলে জানাবেন।

সালাউদ্দিন সাহেবের সাথে কি আপনার আফিয়া ফুফুর বিয়ে হয়েছিল? সালাউদ্দিন সাহেবের সম্পর্কেও জানতে ইচ্ছে করছে।

হাঁস-মুরগি বিষয়ক ব্যাপারটা পড়ে মনটা খুব নির্মল আনন্দে ভরে উঠলো।

৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার বাবার প্রতি রইল সশ্রদ্ধ সালাম। যুদ্ধফেরত তিন মুক্তিযোদ্ধার প্রতিও সেলিউট। তাদের সম্পর্কে আশা করি লিখবেন।

আমার চাচা মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার পর আমার দাদি, চাচি, বাবা, ভাইবোনদের অবস্থা আমি দেখেছি। সেই চাচা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সময় পেলেই আমার সাথে মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে আলাপ করতেন। সবসময়ই মনে হতো, আমি যেন চাচার সাথে যুদ্ধক্ষেত্রেই অবস্থান করছি।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




দেওয়ান সাহেব অনেক বড় মনের মানুষ ছিলেন, দেওয়ান সাহেবের কোনো পুত্র সন্ত্রান নেই তিনি আমার দাদাজানের সমবয়সী মানুষ ছিলেন, দেওয়ান সাহেবের মেজো মেয়ের স্বামী ১৯৭১ এর যুদ্ধে ভৈরব ব্রিজ অপারেশনে শহীদ হোন। সালাহ উদ্দিন মা্ওলা সাহেবের সাথে আমার ফুফুর বিয়ে হয়, ফুফু বেঁচে আছেন আর ফুফা বার্ধক্য বয়ষেই ইন্তেকাল করেন।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৪৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ভাই,
আমার মনে হয়েছে আমার লেখার প্রতিটি বাক্য আপনি অনুভব করতে পেরেছেন। আমি কৃতজ্ঞ আমার লেখা পড়ে আমার ব্যথা আপনি বুঝতে পেরেছেন। আমি কৃতজ্ঞ আপনার সুন্দর আশা ভালোবাসার মন্তব্যে।

৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪৭

নীল আকাশ বলেছেন: স্বাধীনতা যুদ্ধে সকল শহীদকে আল্লাহপাক বেহেস্ত নসীব দান করুন। স হ ম ত।
এবং এর সাথে যারা স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে তাদের ধিক্কার দেয়া হোক।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




স্বাধীনতা যুদ্ধে সকল শহীদকে আল্লাহপাক বেহেস্ত নসীব দান করুন।

৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫২

এম এ হানিফ বলেছেন: শ্রদ্ধাবনত হয়ে স্মরণ করি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। যাদের ত্যাগ আর জীবনের বিনিময়ে এই লাল সবুজের পতাকা আমাদের হয়েছে। স্বজন হারানো পরিবারদের এই সীমাহীন যন্ত্রণা হয়ত কখনো কোন কিছুতেই লাঘব হবার নয়। তবে পাশে আছি আমরা। সৈয়দ আতিকুল হোসেন ঠাকুর ভাইয়েরা কখনো মরে না, তারা বেচে থাকে। বেচে থাকে আমাদের এই লাল সবুজের পতাকার মাঝে।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




এম এ হানিফ ভাই,
আমি যুদ্ধ দেখেছি, যুদ্ধ ভয়ঙ্কর। আর যেনো যুদ্ধের মতো কালো থাবা কোনো দেশ কোনো জনপদ আক্রান্ত না করে। পৃথিবীর প্রতিটি সন্তান যেনো থাকে দুধে ভাতে মায়ের কোলে নিরাপদে। ১৯৭১ এর যুদ্ধে সকল শহীদকে আল্লাহপাক জান্নাত নসীব দান করুন।

৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সালাহ উদ্দিন মা্ওলা সাহেবের সাথে আমার ফুফুর বিয়ে হয়, ফুফু বেঁচে আছেন আর ফুফা বার্ধক্য বয়ষেই ইন্তেকাল করেন। এটা আমার মনে একটা আকুলতা সৃষ্টি করেছিল। একটা অজানা আশঙ্কা কাজ করছিল- হয়ত বিয়েটা হয় নি এবং নিজের ভেতরে একটা ট্রাজিক ফিলিং কাজ করছিল। যাক, জেনে ভালো লাগলো যে আপনার ছোটো চাচার অনুরোধক্রমে তার পছন্দের পাত্রের সাথেই আপনার ফুফুর বিয়ে হয়েছিল। জীবন থেমে থাকে না- যুদ্ধবিগ্রহেও প্রাকৃতিক নিয়মে এগিয়ে যায়- একটা সুন্দর উদাহরণ মনে হলো আপনার ছোটো চাচা ও ফুফুর বিয়ের ব্যাপারটা।

আপনার ফুফার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আপনার ফুফুকে আল্লাহ দীর্ঘজীবী করুন, এই দোয়া করি।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমার ফুফা অনেক বড় মনের মানুষ ছিলেন, তিনি যুদ্ধের পর বাংলাদেশ পুলিশে সাব ইন্সপেক্টর পদে চাকরি শুরু করে এএসপি হয়ে রিটায়ার্ড করেন। পুলিশের চাকরির পাশাপাশী তিনি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিখেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের কাজ করেছেন। - একজন পুলিশ অফিসার যখন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিখেন তখন বুঝা যায় তার জীবনে সততার গুরুত্ব।

বদলির চাকরির কারণে ফুফা আমার অন্ধগ্রামের ফুফুকে নিয়ে বাংলাদেশের এমন এমন থানা, জেলায় চাকরি করেছেন যে ফুফু তার জীবনে দুর দুরান্ত বেড়ানোর গল্প ১০০ বছরে বলেও শেষ করতে পারবেন না। তিনি স্বামী সন্তান নিয়ে সুখী জীবনই পার করেছেন।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




জীবন থেমে থাকে না। জীবনের এই চলার পথে আমাদের অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে গিয়ে কখনো কখনো আমরা আমাদের প্রিয়জনকে হারিয়ে ফেলি। যেই প্রিয়জন আমাদের আলো ছিলো, ছায়া ছিলো, ভালোবাসা ছিলো।

আপনার উপলব্ধিকে আমি শ্রদ্ধা জানাই।

৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২১

রাজীব নুর বলেছেন: হাতের লেখা তো খুব সুন্দর।
চিঠিটা পড়ে ভালো লাগলো।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমার ছোট চাচার হাতের লেখা অনেক সুন্দর ছিলো তবে তাঁর লেখা ছিলো টানা হাতের লেখা, এটি অরিজিনাল চিঠি নয় কপি চিঠি, আমি অনুলিপি করেছি।

৯| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫

বাকপ্রবাস বলেছেন: যারা বা যে পরিবার মুক্তিযুদ্ধের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত তাদের আনন্দ, ব্যদনা, ভাবনা চিন্তা এসব আমরা অনেকেই বুঝতে পারিনা বা ধরতে পারিনা যারা মুক্তিযুদ্ধের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত নয়। শ্রদ্ধা ভালবাসা ও দোয়া রইল প্রত্যেকটি মুক্তিযোদ্ধা, গাজী, শহীদ এবং তাদের সকল পরিবারকে।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বাকপ্রবাস ভাই,
পৃথিবীর প্রতিটি সন্তান যেনো থাকে দুধে ভাতে মায়ের কোলে নিরাপদে। জীবনে প্রিয়জন যিনি হারিয়েছেন তিনি জানেন ব্যথার মর্ম, আর সেই প্রিয়জন যদি অকালে চলে যান তাহলে এই ব্যথা আজীবন তাড়া করে ফেরে।

১৯৭১ এর যুদ্ধে সকল শহীদকে আল্লাহপাক জান্নাত নসীব দান করুন।

১০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪২

খোলা মনের কথা বলেছেন: প্রথমত দোয়া করি আল্লাহপাক আপনার ছোট চাচাকে যেন জান্নাত দান করেন। দেশের জন্য সবার জীবন উৎসর্গ হয় না। তিনি মহান, তিনি শহীদ, তিনি আমাদের মহানায়ক তাই অন্তরের অন্তরস্থল থেকে তার প্রতি আমার শ্রদ্ধাও অকৃত্রিম ভালবাসা।

চিঠিটা পড়ে মনে হলো আমি এই প্রথম একটি মহান চিঠি পড়লাম। কত সহজ সাবলীল ভাবে সাধারন কথা গুলো অসাধারনভাবে লেখা। এই চিঠি যে পড়বে তার চোখে পানি আসবে। জানিনা প্রিয়জনেরা এই চিঠি পড়ে কত না উপলব্ধি করেছে ওনাকে। সরল জীবনের কয়টি কথা আসলে ভাল লাগার মত। ছোট বোনের প্রতি ভালবাসা, লাল মুরগি, হাঁসের ডিম, ছোট বোনের বিয়ের দায়িত্ব। এগুলো অনেক পুরানো আর সাধারন কথা হলেও মনে হল টাটকা জীবন্ত কথা। তাদের এত কিছু ত্যাগের জন্যই তো আজ এমন একটা দেশ পেয়েছি। দোয়া করি তিনি যেখানে থাকুন না কেন যেন ভাল থাকেন......

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ভাই খোলা মনের কথা,
আমি যুদ্ধ দেখেছি, যুদ্ধ ভয়ঙ্কর। আর যেনো যুদ্ধের মতো কালো থাবা কোনো দেশ কোনো জনপদ আক্রান্ত না করে। পৃথিবীর প্রতিটি সন্তান যেনো থাকে দুধে ভাতে মায়ের কোলে নিরাপদে। জীবনে প্রিয়জন যিনি হারিয়েছেন তিনি জানেন ব্যথার মর্ম, আর সেই প্রিয়জন যদি অকালে চলে যান তাহলে এই ব্যথা আজীবন তাড়া করে ফেরে।

১৯৭১ এর যুদ্ধে সকল শহীদকে আল্লাহপাক জান্নাত নসীব দান করুন।

১১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
চিঠিটা পড়তে পড়তে চোখ ভিজে যায়।

- বাবা, আপনার ছেলেরা বীর, আর বীরের পিতা কখনো চিন্তাগ্রস্ত হয় না।
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সাহসি কন্ঠ। বীর যোদ্ধার প্রেরণা ও শক্তির উৎস। তাকে 'জয় বাংলা' সালাম জানাই।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




হাসান কালবৈশাখী ভাই,
আমার আব্বা, আমার চাচা সবাই দাদাজানকে যুদ্ধে যে সকল চিঠি লিখতেন যেনো তারা প্রবাসে আছেন, যুদ্ধের ভয়াবহতা সম্পর্কে তিল পরিমানও কোনো চিঠিতে লিখে মাতাপিতাকে চিন্তাযুক্ত করেন নি। মনে হতো এই বুঝি রাতের ট্রেনে করে বাড়ি ফিরবেন। আমি যখন এই পোষ্ট লিখছি তখন আমার মনের অজান্তে চোখের জলে গাল ভিজেছে। বয়ষ হয়েছে এখনো পুরোনো কথা মনে পরলে কান্না আসে।


১২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০০

অন্তরন্তর বলেছেন: আমি এমন পোস্টগুলো পড়লেই খুব কষ্ট পাই, সারাদিন আমার সেই ১৯৭১ সালের অনেক স্মৃতি চোখে ভাসে, সেই আগুনে পোড়া বাড়ীগুলো, সেই ঘরে ঘরে গিয়ে রাজাকারদের অত্যাচার, অসহায় মানুষ ধরে নিয়ে যাওয়া, গুলি করে অসহায় মানুষ হত্যা সব সব মনে পড়ে। আপনার বাড়ি আর আমার বাড়ি খুব নিকটে তাই আমার মনে হয় আপনি আমাদের গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী অনেক গ্রামের খবর জানেন কি অত্যাচার করেছিল রাজাকাররা পাকী জল্লাদদের সাথে নিয়ে।
আপনার কাকা সহ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সকল শহীদদের জানাই আমার বিনম্র শ্রদ্ধা। আপনার চিঠি পড়ে আমি বেশ ইমোশনাল হয়ে গেছি। ভাল থাকবেন ঠাকুর ভাই। শুভ কামনা।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




অন্তরন্তর ভাই,
আমার ছোট চাচা সৈয়দ আতিকুল হোসেন ঠাকুর মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে ফুটবল চ্যাম্পিয়ন ছিলেন, ৭০ এর পূর্বে ফুটবল মাঠে একটি কথা প্রচলিত ছিলো, ফুটবল শর্ট যদি পিতলের কলসে শর্ট মারার মতো টন্ করে শব্দ হয় তাহলে বুঝতে হবে এটি সৈয়দ ঠাকুরের ফুটবল শর্ট।

অন্তরন্তর ভাই, আমি বিস্বাস করি বাংলাদেশে ত্রিশ লক্ষের চেয়েও বেশী হত্যা হয়েছে, যেই সকল হিন্দু পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যা করে পানিতে ফেলে দিয়েছে তাদের হয়ে কেউ সংখ্যা ক্লেইম করার ছিলো না। তাছাড়া যাদের সাত জন সদস্যর পরিবারের পাঁচজন হত্যা হয়েছে বাকী দুই জন ভারতে পালিয়েছে তারা আর ফেরেনি। তারাও গুনার বাইরে ছিলো সব সময়।

আমার নিজের চোখে দেখা সেসব ঘটনা। খুবই কষ্টের সেসব দিন।

১৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সহজ সরলভাবে লেখা চিঠি, কিন্তু হৃদয় ছুয়ে যায়। কিছু প্রশ্ন মনে এসেছিল, আপনার মন্তব্যের প্রতুত্তর থেকে জেনে নিয়েছি।

আমার তিন মামা আর এক চাচা যুদ্ধে গিয়েছিলেন। আল্লাহর ইচ্ছায় সবাই ফিরে এসেছিলেন। তিন মামার মধ্যে মেজ মামার সাথে আমার সখ্যতা ছিল সবচেয়ে বেশী। উনার কাছে যুদ্ধের, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের অনেক ঘটনা শুনেছি।

সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা আর উনাদের পিতা-মাতাকে সশ্রদ্ধ সালাম।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ভুয়া মফিজ ভাই,
যুদ্ধে যেতে সাহস লাগে যা সবার ছিলো না। আপনার চাচা আপনার মামা তারা দেশের সাহসী সন্তান। আর দেশের সুর্য সন্তান ১৯৭১ এর যুদ্ধে সকল শহীদকে আল্লাহপাক জান্নাত নসীব দান করুন।

১৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট । মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য সংযোজন । অশেষ কৃতজ্ঞতা এমন এক খানি পোস্টের জন্য ।
সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাল থাকুক । যারা বেচে আছেন তারা যথাযথ মর্যাদা নিয়ে বেচে থাকুন । আর যারা ইন্তেকাল করেছেন স্রষ্টা রাব্বুল আলামিন তাদের বেহেশত দান করুক এই কামনা থাকলো ।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




সেলিম আনোয়ার ভাই,
বাড়িতে কিছু মানুষ থাকেন যারা আলো দেন, ছায়া দেন, বাড়ির সবাই কিন্তু এমন না, আমার ছোট চাচা ছিলেন বাড়ির আলোকিত মানুষ, তিনি বাড়িতে আলো দিতেন ছায়া দিতেন, ভালোবাসা দিতেন। ১৯৭১ এর যুদ্ধে সকল শহীদকে আল্লাহপাক জান্নাত নসীব দান করুন।

১৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২০

শিখা রহমান বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা সকল মুক্তিযোদ্ধাকে ও আপনার পরিবারকে।

অসাধারণ পোষ্টটার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:২২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




শিখা আপা,
আমার ছোট চাচা ছিলেন সত্যিকারের আলোকিত মানুষ। আপা কিছু মানুষ থাকেন যারা না থাকলে বাড়ি আর বাড়ির মতো আলোকিত থাকে না, আমার ছোট চাচা সেই আলোর একজন।

১৯৭১ এর সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। আর আপনার প্রতি রইলো অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।

১৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮

সুপারডুপার বলেছেন:




মাহমুদ ভাই ,

প্রথমেই আপনার ছোট চাচা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আতিকুল হোসেন ঠাকুরের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। ছোট চাচাকে হারিয়ে আপনার কাছে বিজয় মানে দুঃখের এক সাগর। কিন্তু, কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে, দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে? বিজয় ও বেদনা যেন একে অপরের সাথে যুক্ত। আপনার ছোট চাচার মত মুক্তিযোদ্ধাদের বেদনা আর আত্মত্যাগেই আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি।

আমাদের সবাইকেই একদিন এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে। কেউ সাধারণ ভাবে, কেউ বীরের বেশে পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। উনি বীরের বেশে পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছেন, রেখে গেছেন আমাদের জন্য স্বাধীন বাংলাদেশ। উনার মত লক্ষ শহীদের অবদান আমরা কখনো ভুলবো না।

আপনার ছোট চাচা বলে গিয়েছেন : ''বাজান আপনার ছেলেরা বীর , আর বীরের পিতা কখনো চিন্তাগ্রস্থ হয় না। '' তাই , আপনিও কোনো চিন্তাগ্রস্থ হবেন না। এই রকম একজন চাচাকে পেয়ে সত্যিই আপনার অনেক গর্ব করা উচিত।

আপনার ছোট চাচার আত্মার চির শান্তি কামনা করি।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:২৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




সুপারডুপার ভাই,
আমার নিজের জীবনের অনেক গল্প আছে তা সময়ে আমি ব্লগে লিখবো, আমি কৃতজ্ঞ আপনার কাছে, আমি কৃতজ্ঞ ব্লগের প্রতিটি ব্লগারের কাছে যারা যুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধ, শহীদ আর মানুষের ব্যথাকে সম্মান করেন। আমি কৃতজ্ঞ আমার লেখা পড়ে আমার ব্যথা আপনি বুঝতে পেরেছেন। আমি কৃতজ্ঞ আপনার সুন্দর আশা ভালোবাসার মন্তব্যে।

১৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ঠাকুরমাহমুদ ভাই
আপনার ছোট চাচা
বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আতিকুল হোসেন
ঠাকুরের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




নূর মোহাম্মদ নূরু ভাই,
আপনি আমার ছোট চাচার প্রতি সম্মান করেছেন আমি কৃতজ্ঞ আমি সম্মানীত। নূর মোহাম্মদ নূরু ভাই, যুদ্ধে এদেশে সাঁড়াশি দিয়ে এ দেশের সাহসী সুর্য সন্তানদের কেড়ে নিয়েছে। আর যারা বেঁচে ছিলেন তাদের প্রতি রাষ্ট্রের অবহেলায় তারা ক্ষয় হয়ে গেছেন এ এক বিশাল দুঃখের সাগর রচনা।

পরম করুণাময় আল্লাহপাক ৭১ এর সকল শহীদকে জান্নাতবাসী করুন।

১৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন:
আমার ছোট চাচার হাতের লেখা অনেক সুন্দর ছিলো তবে তাঁর লেখা ছিলো টানা হাতের লেখা, এটি অরিজিনাল চিঠি নয় কপি চিঠি, আমি অনুলিপি করেছি।

ওকে। আপনাকে ধন্যবাদ।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

১৯| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪১

ঢাবিয়ান বলেছেন: অসাধারন একটি লেখা। বিনম্র শ্রদ্ধা রইল আপনার চাচজানের প্রতি। এই চিঠিতো পরিবারের অমূল্য সম্পদ

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ঢাবিয়ান ভাই,
আমার শহীদ ছোট চাচার প্রতি আপনার সম্মান প্রকাশে আমি কৃতজ্ঞ। তিনি ও তাঁর মতো সুর্য সন্তানদের হয়তো জন্ম হয়েছিলো বাংলাদেশ আলোকিত করার জন্য। তাঁরা হয়তো দেশের মাটিকে এতোটাই ভালোবাসতেন যে বাংলাদেশকে আলোকিত করে নিজেরা এই দেশের মাটির সাথে মিশে গেছেন।

২০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৬

জুন বলেছেন: বীর মুক্তিযোদ্ধা যারা এই দেশটাকে ভালোবেসে দিয়ে গেছে প্রান, সেইসব দেশ প্রেমিকদের প্রতি রইলো আমার বিনম্র শ্রদ্ধা ঠাকুর মাহমুদ। অত্যন্ত আবেগময় চিঠিটি পড়ে মনটা ব্যাথাতুর হয়ে উঠলো।
তাহের উদ্দিন ঠাকুর কি আপনার কি কোন আত্মীয় হতেন? ব্যাতিক্রমী নামটি দেখে প্রশ্ন আমার। আশাকরি কিছু মনে করবেন না।
লেখায় ভালোলাগা রইলো।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





জুন আপা,
আপনি যেই সম্মান প্রকাশ করেছেন আমি ব্যক্তিগতভাবে ঋণী ও কৃতজ্ঞ। এই দেশের সূর্য সন্তানদের জন্মই হয়েছিলো হয়তোবা এই দেশকে তাঁরা আলোকিত করবেন বলে, এরা ক্ষণজন্মা মানুষ। দেশকে আলোকিত করে তাঁরা দেশের মাটির সাথে মিশে গেছেন। যাদের কাছে আমরা চিরো কৃতজ্ঞ চিরো ঋণী।

জুন আপা, তাহের উদ্দিন ঠাকুর আমার সেজো চাচা হোন! তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলেন, তাই রাজনৈতিক সচেতন ও তৎকালীন উচ্চ শিক্ষিত বেকুব ছিলেন। যুদ্ধে যেতে সাহসীকতার প্রয়োজন পরে তাঁর সেই সাহস ছিলো না - তিনি একজন ভীতু মানুষও। পুরো মুক্তি যুদ্ধকালে তিনি তাজ উদ্দিন সাহেবের সাথে ভারতের কোলকাতা ও দিল্লি অবস্থান করেছেন! পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন ও বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীত্ব গ্রহণ করে দেশকে উপকার করেন! খুব অল্প সময় তিনি মন্ত্রীত্ব করতে পেরেছেন, কারণ তাঁর শারীরিক (স্পাইনাল) সমস্যায় তিনি ভারতের হাসপাতালে দীর্ঘদিনের জন্য শয্যাশায়ী হয়েও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা সহ জেল হত্যা মামলার মতো ভয়ঙ্কর মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে পড়ে পরিবার পরিজনকে চরম আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন করে পরিবার পরিজনকে উপকার করেন! যদিও তিনি দেশ ও মহান রাজনীতির কারণে পরিবার পরিজনের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ মাইল দুরে ছিলেন এবং আজীবন বিচ্ছিন্ন ছিলেন। (রাজনীতি আপন কে পর করে দেয়, আর পরকে আপন করে নেয়। - যার জন্য মূল্য দিতে হয় পরিবার পরিজনকে)। যদিও তিনি দুর দুর পর্যন্ত এ সকল ভয়ঙ্কর হত্যা মামলার সাথে জড়িত ছিলেন না। আগেই বলেছি তিনি ভীতু মানুষ ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি প্রমাণ করেছেন তিনি সহ ভারতে চলে যাওয়া, ভারতে পালিয়ে যাওয়া, ভারতে আশ্রয় নেওয়া লোকজন ভীতু ছিলেন। এ সকল প্রহসনের মিথ্যা মামলার দায়ভার ছিলো জিয়া সরকারের। জিয়া সরকার কাকে কোন দিকে ফাঁসিয়ে দিয়ে গেছেন, কাকে কোন দিকে উদ্ধার করেছেন, কাকে ঝুলিয়ে দিয়েছেন - আমরা ভুক্তভোগী তাই কিছুটা জানি।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাকালে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা সহ জেল হত্যা মামলার বিচারে তিনি বেকসুর খালাস পান। এবং বাধ্যর্ক জনিত কারণ সহ দীর্ঘদিনের স্পাইনাল সমস্যা ও অতিরিক্ত ঔষধ সেবনে কিডনি ও লিভার ফাঙ্কশান নষ্ট করে ২০০৯ সনে ১লা ফেব্রুয়ারী তিনি স্বাভাবিকভাবে ইন্তেকাল করেন। আল্লাহপাক উনার রুহের মাগফেরাত করুন।

২১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,




চিঠি ও লেখার সবটুকুই খুব "টাচি" ( সঠিক বাংলা প্রতিশব্দ খুঁজে পেলুম না্)।
যুদ্ধের ডামাঢোলের মাঝেও একজন তরুন মুক্তিযোদ্ধার লেখা এমন চিঠি যেন বাংলার নরম মাটির মতোই স্নেহাদ্র বাঙালীর সত্যিকারের ছবি এঁকে দিয়ে গেলো!
সৈয়দ আতিকুল হোসেন ঠাকুর এর মতো অসংখ্য আতিকুল হোসেনের ত্যাগের বিনিময়েই মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে পারছি আমরা আজও। আপনি সৌভাগ্যবান, একাধারে বিজয়ী ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের আপনি একজন গর্বিত সদস্য।

সশ্রদ্ধ সালাম আপনার পরিবারকে।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আহমেদ জী এস ভাই,
আপনার মন্তব্য প্রমাণ করে আপনি আমার পুরো পোষ্ট তথা সম্পূর্ণ লেখা পড়েছেন এবং যেই সহমর্মিতা ও সম্মান প্রকাশ করেছেন তাতে আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ ও ঋণী। আপনি মুক্তিযোদ্ধা আপনি যুদ্ধকালীন সাক্ষী আপনি জানেন শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে শুধু নয়, নিরহ মানুষের সাথেও কি রকম নির্মম নির্যাতন হয়েছে, কিভাবে মানুষ হত্যা করে খালে বিলে সড়কে মহাসড়কে ফেলে দিয়েছে। সেই নির্মম পীড়া ভুলে যাওয়ার নয়। আহমেদ জী এস ভাই, আমি আবারো আপনার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি একই সাথে আপনার সুন্দর মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ ও শুভ কামনা জানাচ্ছি।

পরম করুণাময় আল্লাহপাক ৭১ এর সকল শহীদকে জান্নাতবাসী করুন।

২২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২৬

শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন:


মাহমুদ ভাইয়া, আপনার লিখা পড়ে অজান্তেই চোখ ছলছলিয়ে উঠেছে। আপনার চাচার জন্য প্রাণভরে দোয়া-' পরপারে ভালো থাকুন।'
দেওয়ান সাহেবের মেহমানদারীর অংশটুকু পড়ে আমার দাদীর কথা মনে পড়ে গেলো। বীর মুক্তিযোদ্ধারা নাকি আমাদের বাড়িতে আসতেন। তখন আমার দাদী তাঁদের চুপিচুপি রেঁধে খাওয়াতেন। আমার দাদা খুব অল্পবয়সে মারা গিয়েছেন। অল্পবয়সেই বিধবা হয়ে যাওয়া একজন মহিলা যিনি সন্তানদের নিয়ে রীতিমতো কঠিন জীবন সংগ্রাম করছিলেন, সেই তিনিই কিনা নিজে যা জোগাড় করতে পেরেছেন তাই ই মুক্তিযোদ্ধাদের মুখে তুলে দিয়েছেন।এসব শুনে আমার খুব গর্ববোধ হতো।
তাই আমি মনে করি, মুক্তিযুদ্ধে পুরো বাংলার মানুষ যে যার অবস্থান থেকে যুদ্ধ করেছেন। যদিও রাজাকারবাহিনীরা ব্যতিক্রম। কিন্তু এও শুনেছি যে অনেকেই রাজাকার সেজে পাকবাহিনীর খবর এনে মুক্তিযোদ্ধাদের দিতেন। তারাও গোপনে যুদ্ধে সহযোগিতা করেছেন।
জানা-অজানা সব মুক্তিযোদ্ধার প্রতি হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা যাঁদের অবদানে স্বাধীনতার স্বাদ আস্বাদন করতে পেরেছি।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৫:২০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বোন শুভ্রনীল শুভ্রা,
আমি যখন এই পোষ্ট লিখছি তখন আমার মনের অজান্তে চোখের জলে গাল ভিজেছে। বয়ষ হয়েছে এখনো পুরোনো কথা মনে পরলে কান্না আসে। আমার নিজের জীবনের অনেক গল্প আছে তা সময়ে আমি ব্লগে লিখবো, আমি কৃতজ্ঞ আপনার কাছে, আমি কৃতজ্ঞ ব্লগের প্রতিটি ব্লগারের কাছে যারা যুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধ, শহীদ আর মানুষের ব্যথাকে সম্মান করেন। আমি কৃতজ্ঞ আমার লেখা পড়ে আমার ব্যথা আপনি বুঝতে পেরেছেন। আমি কৃতজ্ঞ আপনার সুন্দর আশা ভালোবাসার মন্তব্যে।

২৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৫৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া অসাধারণ পোস্ট !

২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




স্বামী বিশুদ্ধানন্দ ভাই,
১৯৭১ এর যাত্রী আমি। ১৯৭১ নিয়ে আরো অনেক অনেক লেখা লিখবো যদি হাতে সময় পাই আর যদি বেঁচে থাকি। জীবন আজ আছে কাল নেই। তাই চেষ্টা করবো জীবনের স্মৃতি কিছু লিখে যেতে বাদবাকী আল্লাহ ভরসা।

২৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:০১

এমজেডএফ বলেছেন: মাহমুদ ভাই, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত আপনার চাচাজানের হৃদয়স্পর্শী চিঠিটি পড়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েছি। আজকের বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের ইতিহাসবিকৃতি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীদের অতিরঞ্জিততার কারণে নতুন প্রজন্ম বিভ্রান্ত। তাই মুক্তিযুদ্ধের বাস্তব ঘটনার লেখাগুলো আজকের তরুণ প্রজন্মকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে উৎসাহিত করবে। যে পিতা তাঁর চার পুত্রকে একসাথে মুক্তিযুদ্ধে পাঠিয়েছেন তাঁর প্রতি আমরা যে কত কৃতজ্ঞ তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ১৯৭১ সালে বিজয়ের মাসে যখন সারা জাতি স্বাধীনতাপ্রাপ্তির আনন্দে মাতোয়ারা সেই মুহূর্তে পিতার কাছে মুক্তিযুদ্ধে সন্তান শহীদ হওয়ার সংবাদ কত দুঃখের ও কত বেদনার হতে পারে তা কল্পনাও করা যায় না!

আপনার ছোট চাচা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আতিকুল হোসেন ঠাকুরের প্রতি অবনত শিরে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এবং তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আপনার বেহেস্তবাসী দাদাজান এবং তাঁর তিন মুক্তিযোদ্ধা পুত্রদের প্রতি স্বাধীনতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সকল মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীনতার জন্য ত্যাগ স্বীকারকারী সকল মানুষদের প্রতি বলতে চাই -
"এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা, আমরা তোমাদের ভুলবো না।"

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৫:২৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




এমজেডএফ ভাই,
আপনি আমার কষ্ট বুঝতে পেরেছেন জেনে আমি আন্তরিকভাবে আপনার কাছে কৃতজ্ঞ। এই পোষ্ট যখন আমি ভোর সকালে লিখছি তখন আমিও চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি মনের অজান্তে কান্নায় গাল ভিজেছে। আমি কৃতজ্ঞ আপনার কাছে, আমি কৃতজ্ঞ ব্লগের প্রতিটি ব্লগারের কাছে যারা যুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধ, শহীদ আর মানুষের ব্যথাকে সম্মান করেন। আমি কৃতজ্ঞ আমার লেখা পড়ে আমার ব্যথা আপনি বুঝতে পেরেছেন। আমি কৃতজ্ঞ আপনার সুন্দর আশা ভালোবাসার মন্তব্যে।

এমজেডএফ ভাই, আমার নিজের জীবনের অনেক গল্প আছে তা সময়ে আমি ব্লগে লিখবো।

২৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৫:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
নীজের বাবাকে লেখা একজন শহীদ মুক্তিযুদ্ধার চিঠিটা পড়তে পড়তে কথন যে চোখ দিয়ে অশ্রুধারা নেমে এসেছে তা টেরই পাইনি । লেখাটি পাঠের সময় নীজের অজান্তেই স্মৃতিতে ভেসে উঠে অনেক সুখ দৃ:খের কথা । চিঠিটা পাঠে গর্বে বুক ভরে উঠে বাবার প্রতি বলা একজন মুক্তি যুদ্ধার বলা অমোঘ বাণীটি বাবা আপনার ছেলেরা বীর, আর বীরের পিতা কখনো চিন্তাগ্রস্ত হয় না । মনে হলো একথা শুধু একজন পিতার প্রতিই নয় এটা দেশের সকল মুক্তিযুদ্ধার পিতার প্রতিও সমভাবে প্রযোয্য ।

দেওয়ান সাহেবের মত মহানুভব মানুষজনের অকতোভয় সাহায্য সহযোগীতা সে সময়ে কত যে প্রয়োজন ছিল তা মুক্তিযোদ্ধাদের থেকে ভাল কারো জানার কথা না । অনেক সময় অচেনা অজানা জায়গায় যেখানে স্বাধীনতা বিরোধি সকল পক্ষই গোপনে মুক্তি যুদ্ধাদের অবস্থানের খবরা খবর নিকটস্থ পাক বাহিনীর ক্যাম্পে গোপনে পৌঁছে দিত সে সময়ে বিশ্বাসের উপর ভর করেই মুক্তিযুদ্ধাদের চলতে হত । সে সময় পরম বিশ্বস্ততার সহিত জীবনের ঝুকি নিয়ে মুক্তি যুদ্ধাদেরকে প্রকাশ্যে ও গোপনে সহায়তা করতেন । দেওয়ান সাহেবদের মত এমন মহানুভব সকলের প্রতি রইল প্রগাড় শ্রদ্ধা ।

সালাউদ্দিন সাহেবের সাথে আপনার আফিয়া ফুফুর বিয়ে হয়েছিল জেনে ভাল লাগল । উনাকে আল্লাহ বেহেস্তবাসী করুন সে দোয়াও এ সাথে রইল ।

আপনার পরিবারের চার জন বীর মুক্তিযোদ্ধার বাবার প্রতি রইল সশ্রদ্ধ সালাম। বিজয়ীর বেশে ঘরে ফেরা আপনার পরিবারে তিন জন মুক্তিযুদ্ধার প্রতি রইল শ্রদ্ধাঞ্জলী।

পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:১১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ডঃ এম এ আলী ভাই,
আমার মনে হয়েছে আমার লেখার প্রতিটি বাক্য আপনি অনুভব করতে পেরেছেন। আমি কৃতজ্ঞ আমার লেখা পড়ে আমার ব্যথা আপনি বুঝতে পেরেছেন অনুভব করতে পেরেছেন। আপনি আমার কষ্ট বুঝতে পেরেছেন জেনে আমি আন্তরিকভাবে আপনার কাছে কৃতজ্ঞ। এই পোষ্ট যখন আমি ভোর সকালে লিখছি তখন আমিও চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি মনের অজান্তে কান্নায় গাল ভিজেছে।

ডঃ এম এ আলী ভাই, দেওয়ান সাহেবের মতো লোকজন ছিলেন বলে মুক্তিযোদ্ধারা ভাগ্যক্রমে তাদের দেখা পেয়েছেন আর যুদ্ধের মাঠে খাবারের যে কষ্ট করেছেন তা অনেকাংশে পরিপূর্ণ করেছেন দেওয়ান সাহেবের মতো মহানুভবগণ। তাঁদের কাছে আমরা চিরো কৃতজ্ঞ।

এতোটা কষ্টের জীবন ছিলো যা আজ ভাবতেই চোখে পানি আসে, এমনো দিন গেছে সারা দিন আহার নেই, আমরা সাধারণ নিরহ মানুষ যারা মহিলা ও শিশু কিশোর কিশোরী নিয়ে গ্রামকে গ্রাম পালচ্ছে, পাছে শোনা যাচ্ছে পাঞ্জাবী আসছে! ডঃ এম এ আলী ভাই সারা দিন উপোস কোনো খাবার নেই, এক জেলে’র বাড়িতে রাতে আশ্রয় নিয়েছি বিলের মাঝে জেলে’র ঘরে মুড়ির লাড্ডু ছাড়া আর কোনো খাবার নেই্, সেই মুড়ির লাড্ডুকে মনে হয়েছে পৃথিবীতে এর চেয়ে মজাদার খাবার হয়তো আর নেই আর হবেও না।

এখন দিন সময় যুগ পাল্টে গেছে তারপরও মনে হয় এসব লিখতে হবে খুব জরুরী। খুব কষ্টের সেই সব দিনরাত্রী। আপনি আমার দাদাজানের প্রতি যেই ভালোবাসা প্রদর্শন করেছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি কৃতজ্ঞ আপনি আমাদের পরিবারের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন। আমি কৃতজ্ঞ আপনার সুন্দর ভালোবাসাময় মন্তব্যর জন্য।

আপনি ভালো থাকুন - সুস্থ থাকুন - ব্যস্ত থাকুন।




২৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৫৭

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা। যারা গত হয়েছেন, তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি, পাশাপাশি মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে দু'হাত তুলে তাদের জন্য দোয়া চাইছি। আল্লাহ তাদের সকল গুনাহ মাফ করে জান্নাত নসিব করুন। আমিন।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৫৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ইফতেখার ভূইয়া ভাই,
আমি যুদ্ধ দেখেছি, যুদ্ধ ভয়ঙ্কর। আর যেনো যুদ্ধের মতো কালো থাবা কোনো দেশ কোনো জনপদ আক্রান্ত না করে। পৃথিবীর প্রতিটি সন্তান যেনো থাকে দুধে ভাতে মায়ের কোলে নিরাপদে। জীবনে প্রিয়জন যিনি হারিয়েছেন তিনি জানেন ব্যথার মর্ম, আর সেই প্রিয়জন যদি অকালে চলে যান তাহলে এই ব্যথা আজীবন তাড়া করে ফেরে।

সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা। যারা গত হয়েছেন, তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি, পাশাপাশি মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে দু'হাত তুলে তাদের জন্য দোয়া চাইছি। আল্লাহ তাদের সকল গুনাহ মাফ করে জান্নাত নসিব করুন। আমিন।

২৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: যুদ্ধে যেতে সাহস লাগে যা সবার ছিলো না। ঠিক বলেছেন। আমার মামা সাত জন। তার মধ্যে চার জনের যুদ্ধে যাওয়ার বয়স ছিল। বড়মামা যাননি। উনাকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম, উনি কেন যান নাই। প্রথমে বলেছিলেন, মা-বাবা, ছোট ভাই-বোনদের দেখাশোনা করার জন্য যাননি। পরে একদিন চেপে ধরাতে উনার সহজ স্বীকারোক্তি ছিল, আমার অতো সাহস নাইরে মামু!!

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ভুয়া মফিজ ভাই,
দেশের ক্রান্তিকালে দেশে স্বাধীনতার জন্য দেশের জন্য যারা রক্ত দিয়েছেন তারা জানতেন তারা যে কোনোদিন মারা যেতে পারেন। এই জেনেশুনে মৃত্যুর মুখে লড়ে যারা প্রাণ দিয়েছেন তারা আমাদের দেশের সূর্য সন্তান। দেশ আলোকিত করে দেশের মাটির সাথে মিশে গেছেন।

২৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,




প্রতিমন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
আবারও এসেছি ব্লগ সংক্রান্ত আমার ধারনার কথা বলতে।
ব্লগ একটা মিথোস্ক্রিয়ার জায়গা। ধারনা করি, এখানে একজন ব্লগার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিজের মনের কথাগুলোই লিখে থাকেন সম্ভবত। এই যে ব্লগাররা লেখেন তা যে বিষয়ের উপরেই হোক না কেন, বাকী ব্লগারদের উচিৎ তাদের মনোমত বিষয় হলে সে লেখাগুলো পড়া এবং তাতে যথাযথ মন্তব্য করা। মন্তব্য হতে পারে প্রশংসার, হতে পারে সমালোচনামূলক কিম্বা অপছন্দের। এটা মনে রাখতে হবে, একজন ব্লগার প্রতিষ্ঠিত কোন লেখক নন। তার লেখাতে অপূর্ণতা থাকতে পারে, কাঁচা লেখা হতে পারে, পারে আরও অনেক কিছুই হতে। আবার অনেকের লেখাতে থাকতে পারে তেমন জোর, তেমন জেল্লা, তেমন জ্ঞানের প্রতিফলন। যা-ই থাকনা কেন, একটি সুলিখিত মন্তব্য কাঁচাদের পাঁকা হয়ে উঠতে, অপরিনতদের পরিনত করতে আর প্রাজ্ঞদের আরোও দায়িত্বশীল হতে সহযোগিতাই করে। ব্লগে এই সুযোগগুলো অবারিত। ব্লগের চমৎকারীত্ব এখানেই, আপনি আপনার লেখার তাৎক্ষনিক ফিডব্যাক পেয়ে থাকেন যা প্রিন্টিং মিডিয়াতে সম্ভব নয় একেবারেই।
আমি এই দিকগুলোতে কখনও অবহেলা করিনে। যে লেখাটি পড়ি তা প্রায় খুঁটিয়ে খুঁটিয়েই পড়ি। লেখকের মনের গতিটাকে ধরতে চেষ্টা করি। ধরতে চেষ্টা করি কি বলতে চেয়েছেন তিনি। তাই পঠিত লেখাটিকে আগাগোড়াই পড়তে হয়। নইলে লেখককে তার লেখার যোগ্য মন্তব্য কি করে করবো ?
লিখেছেন - আপনার মন্তব্য প্রমাণ করে আপনি আমার পুরো পোষ্ট তথা সম্পূর্ণ লেখা পড়েছেন। ঐ যে উপরে অতো কথা লিখলুম তা এটা বোঝাতেই যে, আমি কোনও লেখা পড়লে ফাঁকি দিয়ে তা পড়িনে। যতোখানি সম্ভব পঠিত লেখাটিতে লেখকের প্রাপ্য মর্যাদাটুকু দিয়েও মন্তব্য করতে চেষ্টা করি। এর বাইরে কিছু লেখাতে হাস্যরসও করি। কারনটা এই যে - আমরা আমরাই তো!
আপনার সব লেখাই আমি পড়ি যদিও সবটাতেই মন্তব্য করা হয়ে ওঠেনা। এটা হয়তো খেয়াল করে থাকবেন।

শুভ কামনা রইলো ।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





আহমেদ জী এস ভাই,
আপনার মন্তব্যে বিস্তারিত পড়ে আমি সত্যি সত্যি আমি অনুপ্রাণিত। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আহমেদ জী এস ভাই, আমি রাজনৈতিক লেখা সহ সমালোচনা, দেশ ও সম সাময়িক বিষয় নিয়েও আর লিখছি না। অযথা ব্লগে এক ধরণের বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় তাতে নামহীন পরিচয়হীন এমন এমন ব্লগার আজেবাজে মন্তব্য করে বসবে যা কখনো কল্পনা করা যায় না।

আমার নিজের কিছু লেখা আছে যা লিখে আমি আমার জীবনকালে শেষ করতে পারবো না। তাই সেই পথে কিছু লেখালেখির চেষ্টা করছি। তাছাড়া নিয়মিত এখন আর লিখতেও পারবো না, এ বছর প্রচুর কাজ সেই কাজ শেষে লেখার মতো সময় দেয়াটা কঠিন হবে। এছাড়া, ব্লগে কমবেশী যতোটুকু সময় দিয়েছি তাতে ফলাফল হতাশাজনক। - এটি ব্লগ ও ব্লগারদের কাছে কখনো আশা করিনি।

আহমেদ জী এস ভাই, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।

২৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:২৬

মিরোরডডল বলেছেন: আহা কত স্বপ্ন 'দেশ স্বাধীন হলে বড় করে অনুষ্ঠান করবে' !!!
বাবার প্রতি সন্তানের মমতা আর আবেগ দিয়ে লেখা চিঠি খুবই হৃদয়স্পর্শী ।
প্রিয়জনকে হারানোর যে কষ্ট এটা আসলে যার হয় শুধু সেই বোঝে ।
You must be proud of them. In fact, we all should be proud.

২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বোন মিরোরডডল,
আমার ছোট চাচা সৈয়দ আতিকুল হোসেন ঠাকুর মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে ফুটবল চ্যাম্পিয়ন ছিলেন, ৭০ এর পূর্বে ফুটবল মাঠে একটি কথা প্রচলিত ছিলো, ফুটবল শর্ট যদি পিতলের কলসে শর্ট মারার মতো টন্ করে শব্দ হয় তাহলে বুঝতে হবে এটি সৈয়দ ঠাকুরের ফুটবল শর্ট।

আমি কৃতজ্ঞ আপনার কাছে, আমি কৃতজ্ঞ ব্লগের প্রতিটি ব্লগারের কাছে যারা যুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধ, শহীদ আর মানুষের ব্যথাকে সম্মান করেন। আমি কৃতজ্ঞ আমার লেখা পড়ে আমার ব্যথা আপনি বুঝতে পেরেছেন। আমি কৃতজ্ঞ আপনার সুন্দর আশা ভালোবাসার মন্তব্যে।

১৯৭১ এর যাত্রী আমি। ১৯৭১ নিয়ে আরো অনেক অনেক লেখা লিখবো যদি হাতে সময় পাই আর যদি বেঁচে থাকি। জীবন আজ আছে কাল নেই। তাই চেষ্টা করবো জীবনের স্মৃতি কিছু লিখে যেতে বাদবাকী আল্লাহ ভরসা।

৩০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
চোখটা কেমন করছে। ঝাপসা হয়ে আসছে।


১৯৭১ বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের ২০ তারিখ সন্ধ্যায় বৃদ্ধ পিতা মাগরিবের নামাজের জন্য ওযু করবেন, গ্রামে সন্ধ্যার অন্ধকারে ধুলি ধুসরিত পোশাকে এলোমেলো চুল দাড়ি গোফে অপরিচিত অচেনা তিন যুবক বৃদ্ধের কাছে এসে দাড়ান, বৃদ্ধ তার ছেলেদের চিনতে ভুল করেন না। তিনি ঘোলা চোখে তাঁর ছোট ছেলেকে খোঁজেন, অবোধ ছোট শিশুদের মতো তিনি তাঁর ছেলেদের কাছে কিছুই জানতে চান না। বুকের পাঁজর ভাঙ্গা কান্নায় তিনি ওযু শেষ করেন। বৃদ্ধ জীবনে এই প্রথম নামাজ কাজা করেন, তিনি নামাজে না দাড়িয়ে মোনাজাতে হাত তুলে কাঁদতে থাকেন। - তিনি আমার বেহেস্তবাসী দাদাজান সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেন ঠাকুর।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




স্বপ্নবাজ সৌরভ ভাই,
মানুষের জীবন অমূল্য সম্পদ যা কোনোভাবেই কোনো অর্থের বিনিময়ে পাওয়া সম্ভব না। যিনি আপনজন হারিয়েছেন তিনিই একমাত্র জানেন আপনজন হারানোর ব্যথা। অনন্তকাল এই ব্যথা বুকে নিয়ে চলতে হয় আমরণ। এই পোষ্ট লেখার সময় মনের অজান্তে আমি কেঁদেছি।

৩১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সে সময়ের এক একটি লেখা লাইনও যেন বিশাল এক সম্পদের মত।
চিঠিটা পড়ে মন খারাপ হয়েছে। আপনাদের মত করে সে অনুভব হয়ত ধরতে পারব না নিজের ভেতরে কিন্তু যুদ্ধের সময়কার আবহ গুলো পড়লে গায়ে কাঁটা দেয়।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বোন অপর্ণা মম্ময়,
আমি ১৯৭১ যুদ্ধ দেখেছি। এরপরেও যুদ্ধ দেখতে হয়েছে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে। যুদ্ধ ভয়ঙ্কর। ধ্বসে পরে জনপদ ও লক্ষ কোটি মানুষের ঘর, সংসার, সরকার, আইন, প্রশাসন ও ব্যাংক। নিরাপত্তাহীনতার চরম সময় যদি থাকে তার নাম যুদ্ধ। যে যাকে পারে মারছে। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ থাকুক নিরাপদে, পৃথিবীর প্রতিটি সন্তান থাকুক দুধেভাতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.