নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী, আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি ।।

ঠাকুরমাহমুদ

sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful

ঠাকুরমাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয় নানাভাইয়ের কাছে খোলা চিঠি

১২ ই মে, ২০২১ রাত ৯:৪২



প্রিয় নানাভাই,
তোমার কাছে ছোট্ট একটি চিঠি লিখছি। হয়তো এই চিঠি তুমি একদিন অনেক অনেক আনন্দ নিয়ে পড়বে। শত সহস্রবার পড়েও হয়তো পুরোনো হবেনা চিঠি। হয়তো গর্বের সাথে সবাইকে পড়তে বলবে। এটিই আমার স্বার্থকতা। আজ থেকে প্রায় সাত বছর আগের কথা - এক ক্লান্ত দুপুরে আমি ঘুমিয়ে আছি, অফিসে যাইনি, তার অর্থ খুব সম্ভব শুক্রবার ছিলো অথবা শনিবার। ঘুমে স্বপ্ন দেখছি - ঝকঝকে পুতুলের মতো ছোট্ট এক শিশু টাওয়ালে মোড়ানো - বিছানায় শোয়া। ছোট্ট শিশুটি অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে! শিশুটি হয়তো ভাবছে আমিতো এত্তো এত্তো সুন্দর! কিন্তু আমার নানাজানতো দেখতে ডাকাত সর্দার, আরব বেদুইনদের মতো! আমিও শিশুটির মতোই নকল করে চোখ বড় বড় করে অনেকটা অবাক হয়ে তার দিকে তাকাতে চেষ্টা করলাম। কিন্তু সম্ভব হয়নি, কারণ ততোক্ষনে ঘুম ভেঙ্গে গেছে!

আমি স্বপ্ন দেখে খবরটি তোমার নানুর কাছে জানাই, তোমার বড় আম্মার কাছে জানাই - সুসংবাদ “আমার নাতনী আসতেছে”।

প্রিয় নানাভাই তোমাকে কানে কানে একটি জরুরী কথা বলে রাখি, তুমি একজন মানুষের কাছে প্রবলভাবে ঋণী আর তিনি হচ্ছেন তোমার নানু। তোমার নানু পৃথিবীতে খুব ভালো মানুষদের মাঝে একজন। আমি চাইবো আল্লাহ যেনো এমন মানুষ বারবার তৈরি করেন। কারণ পৃথিবীতে ভালো মানুষের খুউব প্রয়োজন।


ইতি
তোমার নানাজান
ডাকাত সর্দার, আরব বেদুইন


আত্মকথা:- আমি চিঠি লেখার যুগের মানুষ। চিঠিতে যে আনন্দ উল্লাস স্নেহ মায়া মমতা ভালোবাসা ছিলো, তা ইমেইল ও ফোনে কখনো পাইনি।

ছবি:- পোস্টকার্ড, বাংলাদেশ পোষ্টাল সার্ভিস।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার:- সামহোয়্যারইন ব্লগ।







মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মে, ২০২১ রাত ৯:৫৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ফেবু জেনারেশন চিঠি লেখে শুধু পরীক্ষার খাতায়।

১২ ই মে, ২০২১ রাত ৯:৫৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




পরিক্ষার খাতায়ও যে চিঠি লেখে তাতে চিঠির বৈশিষ্ট থাকে না। আমরা সময়ের সাথে কি কি হারিয়েছি তার হিসাব কষে শেষ করা যাবে না।

২| ১২ ই মে, ২০২১ রাত ৯:৫৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চিঠি লেখা বিষয়টি এখন বিলুপ্ত প্রায়।

১২ ই মে, ২০২১ রাত ১০:২০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




চিঠির সাথে জড়িত অনেক অনেক স্মৃতি আছে আমার। মনের ভাষা প্রকাশ করার খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম ছিলো চিঠি। এখন চিঠি নেই হয়তো মনের ভাষাও নেই।

৩| ১২ ই মে, ২০২১ রাত ১০:২৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আগে একটা সময় চিঠি পেতাম। খুব বেশি আগের কথা নয়। কিন্তু এখন আর ব্যক্তি কেন্দ্রিক চিঠি আদান প্রদান হয় না।
প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় হারিয়ে গেছে চিঠি।

১২ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৩১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




চিঠির সাথে মানুষের জীবন গভীরভাবে প্রভাবিত ছিলো। হলুদ খামের একটি চিঠি মানুষের সময় বদলে দিতো মানুষের জীবন বদলে দিতো। পিতার কাছে পুত্রের চিঠি। পুত্রের কাছে পিতার চিঠি। আমরা দিনের পর দিন অপেক্ষা করেছি একটি মাত্র চিঠির জন্য।

কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাই আপনার প্রতি অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো।


৪| ১২ ই মে, ২০২১ রাত ১০:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: একসময় আমি প্রচুর চিঠি লিখতাম। তখন মোবাইল, ইন্টারনেট ছিলো না।
অনেক মানুষকে চিঠি লিখেও দিতাম।

১২ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৩৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমিও অনেকের চিঠি লিখে দিয়েছি। অন্যর চিঠি লেখা সত্যি সত্যি অনেক কষ্টের কাজ। অনেক দুঃখ কষ্ট লিখতে গিয়ে নিজেও দুঃখ পেয়েছি।

৫| ১২ ই মে, ২০২১ রাত ১১:০৩

ইসিয়াক বলেছেন: চিঠি লিখতে আমার খুব ভালো লাগে। চিঠির উত্তর পাওয়ার আশায় দিন গোনা আরও উত্তেজনা পূর্ণ। কখন ডাকপিয়ন আসবে। আজ কী কাঙ্খিত চিঠি আসবে? সেই রকম উত্তেজনা। আমার বাবা ও দাদাজানও প্রচুর চিঠি লিখতেন। সব ট্রাঙ্কে জমানো ছিল। কিছুদিন আগে খুঁজতে গিয়ে দেখি অনেককিছুর সাথে চিঠি গুলোও গায়েব। কষ্ট পেয়েছিলাম খুব।

১২ ই মে, ২০২১ রাত ১১:২৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




সকালে বাজারে গেলে চিঠির জন্য পোস্ট অফিসে একবার খোঁজ নিতাম যদি আমাদের কোনো চিঠি আসে? কারণ রানার ভাইয়েরা চিঠি নিয়ে বাড়িতে পৌছাতেন দুপুরের পর তাই সকাল সকাল পোস্ট অফিসেই খোঁজ করা। সেখানেও রিতিমতো ভীর লেগে থাকতো - চিঠির অপেক্ষায়।

চিঠি হয়তো অমূল্য রত্ন। অমূল্য রত্ন ধরে রাখা যায় না। নানান প্রাকৃতিক দূর্যোগে যা কিছু নষ্ট হয়েছে হারিয়েছে তার মধ্য অন্যতম অত্যন্ত মূল্যবান কিছু চিঠি আর জমির দলিল।

৬| ১২ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



পোষ্ট অফিসগুলো কি অবস্হা?

১২ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৪১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




পোস্টাল সার্ভিস বেশ কিছু স্কিম চালু করতে চেয়েছিলো যা লস প্রজেক্টে পরিণত হয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং “নগদ” খুব সম্ভব ভালো করেছে, আমি সঠিক জানিনা। তাছাড়া পোস্ট অফিসে এমইএস (এক্সপ্রেস মেইল) লস প্রজেক্ট। সরকারি চিঠি ছাড়া ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় চিঠি ও পার্সেল ব্যবসা নিয়ে নিয়েছে বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিস ও পার্সেল প্রতিষ্ঠান।

৭| ১২ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



প্রিয় নানার কাছে লেখা চিঠিটি খুব সুন্দর হযেছে ,পাঠে প্রীত হলাম দারুনভাবে ।
পোষ্ট কার্ডে কত যে চিঠি লিখেছি নানার কাছে , পেয়েছিও অনেক ।
একটি কথা বলতেই হয় , চিঠি খোলা থাকলেও কেও সে সময় আন্যের
চিঠি কেও পড়তনা তার আগোচরে । এই নিয়মাচার এখন কি মানবে সকলে ।

পোষ্টটি জন্ম দিয়েছে পত্র লিখন নিয়ে কিছু প্রয়োজনীয় কথা ভাবতে ।
এক সময় চিঠি পত্র লেখা পারিবারিক ও ব্যক্তি পর্যায়ে খুবই জনপ্রিয় ছিল । ইমেইল আসার
পুর্বে দুরদুরান্ত থেকে চিঠি পত্র দিয়ে যোগাযোগ করা হতো । তাছাড়া সরকারী বেসরকারী
সব জায়গায় চিঠির প্রচলন ছিল খুব বেশী । দীর্ঘ দিনের অপেক্ষা আর বুক ভরা আশা
অনিশ্চয়তা নিয়ে আত্মীয় স্বজন প্রতিক্ষার প্রহর গুনত । বর্তমানে মেসেঞ্জার , ইমো ,
ভাইভার , হোয়াটএপস , ফেবু , টুইটারের যুগে সেসব যেন বিলুপ্ত প্রায় । তবে ফর্মাল
পর্যায়ে এখনো এসবের রীতি দেখা যায় যথা স্কুল কলেজ বা ইউনিভার্সিটি অথবা চাকুরী
কিংবা কোন অফিস, আদালত , তাছাড়া স্কুল কলেজের পাঠ্য সুচীতে এখনো পত্র
লিখন পদ্ধতি শেখানো হচ্ছে । তার পরেও দেখা যায় অনেকেই সঠিক নিয়ম মেনে
একটি ভাল পত্র লিখতে পারছেনা , পারছেনা ভাল করে লিখতে একটি চাকুরীর
দরখাস্ত , প্রার্থীর নীজ হাতে লেখা চাকুরীর দরখাস্তের সাথে জীবন বৃতান্ত তুলে ধরে
লিখতে পারছেনা একটি ভাল কভার লেটার , তুলে ধরতে পারছেনা অল্প কতায় একটি
ইমপ্রেসিভ পারসনাল স্টেটমেন্ট তার দরখাস্তের ভিতরে । আগুছালো কভার লেটার
দেখে অনেক সময় চাকুরী প্রার্থীর বিস্তারীত জীবন বৃতান্ত (বায়ো-ডাটা ) দেখার ইচ্চেটাই
হারিয়ে যায় নির্বাচকদের , এ কারণে অনেক চাকুরী প্রার্থীই নির্বাচিততো দুরের কথা,
প্রাথমিক পর্যায়ে শর্ট লিষ্টেড হওয়ার যোগ্যতাটুকুও হারিয়ে ফেলে শুধু মাত্র নিয়োগ কারীর
কাছে একটি ভাল কভার লেটার লিখতে পারেনা বলে । আবেদন পত্র ইমেইল বা ডাকযোগে
যে ভাবেই প্রেরণ করা হোক না কেন? পত্র লেখন পদ্ধতিটি হতে হবে সঠিক ও আকর্ষনীয় ।
তাই পত্র লিখনের প্রতি সকলকেই হতে হবে মনযোগী যদিউ পত্রের বাহন কিংবা মাধ্যম
হতে পারে ভিন্ন।

অগ্রীম ঈদ শুভেচ্ছা রইল

১৩ ই মে, ২০২১ রাত ১২:২০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ডঃ এম এ আলী ভাই, চিঠির সাথে আমাদের জীবন নানান ভাবে জড়িত ছিলো। আমার নিজের কথা বলি, আব্বার চিঠি, আম্মার চিঠি, ভাইয়ের চিঠি, আব্বার কাছে দাদাজানের চিঠি। দাদাজান অত্যন্ত পারিবারিক ও জরুরী কথাগুলো আব্বাকে ইংরেজীতে লিখতেন। এমনও হয়েছে আব্বা অফিসে চিঠি পেয়েছেন বাসায় এসে শুধু বলেছেন তিনি বাড়িতে যাচ্ছেন, কাপড়ও পাল্টাননি, পিতার প্রতি পুত্রের যে দায়িত্ব কর্তব্য একটি মাত্র চিঠিতে তার প্রমাণ মিলতো। ভাই সাহেব ধরতে পারেন একটি চিঠির কি মূল্য ছিলো তখন?

হাইস্কুলে বাংলা ২য় ও ইংরেজী ২য় পত্রে চিঠি ও দরখাস্ত পরিক্ষা সহ শ্রেণীকক্ষেও আমাদের সময় প্রচুর লিখতে হতো - তাছাড়া বাড়িতে চিঠি, বাড়ির আত্মীয় পরিজনের চিঠিও আমি প্রচুর লিখেছি।

আপনি সঠিক বলেছেন। একটি আবেদন পত্র / দরখাস্তের মূল হচ্ছে ভাষা পরিভাষা কেমন হচ্ছে এবং লেখক তার লেখায় কতোটা আকর্ষন করতে পারছেন। এখনও সরকারি দপ্তরে চিঠির প্রচলন আছে, এছাড়া কারণ দর্শানোর নোটিশ শো-কজের জন্য বিস্তারিত চিঠির আকারেই চিঠির মতোই ব্যাখ্যা করে লিখতে হয়। প্রমোশন, বদলি সহ স্কুল কলেজের নোটিশ।

হাতের লেখা চিঠিতে কোথাও না কোথাও স্নেহ মায়া মমতা দুঃখ ভালোবাসা জড়িত ছিলো আর তাই হয়তো আমরা চিঠিটি বারবার হাত বুলিয়ে দেখতাম।

অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যর জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনাকেও ঈঁদের শুভেচ্ছা।

৮| ১৩ ই মে, ২০২১ রাত ২:৪৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমিও চিঠির যুগের মানুষ । হলুদ খামে আমার সপ্তাহে দুইটা চিঠি আসতো।

১৭ ই মে, ২০২১ রাত ৩:০৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




জ্বী আমার মনে আছে। আপনাদের সাপ্তাহিক যায়যায়দিন এ লেখা পাঠাতে হতো চার ইঞ্চি বাই নয় ইঞ্চি খামে। ছোট খামে লেখা পাঠালে কাগজে বেশী ভাজ পরার কারণে লেখা বুঝতে সমস্যা হতো। তাছাড়া অনেক সময় কালির লেখা একটি আরেকটির সাথে লেগে যেতো। তাই বলপেন কলমে লেখার জন্য আমরা অনুরোধ করতাম।

৯| ১৩ ই মে, ২০২১ ভোর ৪:০৫

কামাল১৮ বলেছেন: আমার কিছু কলম বন্ধু ছিল দেশে এবং দেশের বাইরে।পারিবারিক চিঠি খুব একটা লিখা হয় নাই।আমার পারিবারিক বন্ধন খুব দৃঢ় ছিল না।বর্তমানেও নাই।আমি ছিলাম বারমুখো।

১৭ ই মে, ২০২১ রাত ৩:০৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




চিঠি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১০| ১৩ ই মে, ২০২১ সকাল ৯:৫৩

নতুন নকিব বলেছেন:



স্মৃতিময় সময়ের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন। ধন্যবাদ ভাই।

চিঠির যে আবেদন ছিল, যে ভাব, অনুভব ও অনুভূতি ছিল, যে বেগ ও আবেগ ছিল, হৃদয়ের যে টান ছিল, প্রাণময়তা এবং ভালোবাসার উষ্ণতা ছিল- মোবাইল, ইন্টারনেট আর মেসেজ চ্যাটের যুগে সেটা আর অবিকল নেই। সে কালে আবেগঘন প্রিয়জনের একেকটি চিঠি পড়ে চোখের পানি ধরে রাখা যেত না। বারবার পড়তে হতো। বার বার চিঠি পাঠে তিক্ত হৃদয় সিক্ত করার চেষ্টা প্রচেষ্টা ছিল। আহ! সেসব আজ কোথায় হারিয়ে গেল?

প্রযুক্তির কল্যানে যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নতিতে আজ রঙিন আমাদের জীবন- কথাটা ঠিকই, কিন্তু কোথায় যেন শুন্যতার এক বিমূর্ত হাহাকার আমাদেরকে পিছু টানে বারবার। মান অভিমান আগেও ছিল, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ধরে বিদেশ বিভূইয়ে কর্মস্থলে থাকা স্বামীর সাথে অভিমান চলতে থাকলেও, চিঠির পরে চিঠি চালাচালি হলেও, কারও ঘর ভাঙ্গার কথা আগে সচরাচর শুনা যেত না। অন্ততঃ চিঠি আদান প্রদানের পরে এমন ঘটনা খুবই বিরল ছিল। কিন্তু এখন? সম্পর্ক, সদ্ভাবের বন্ধন, প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসার বাঁধন- সকল কিছু নিঃশেষ করার জন্য একটি ফোনকলই যথেষ্ঠ। হায় হায়! প্রযুক্তিকে আমরা আমাদের জীবনে কল্যান আনয়নের পরিবর্তে, জীবন গড়ার বদলে জীবন ভাঙ্গার কাজেই ব্যবহার করার দিকেই এগুচ্ছি!

স্বজন আপনজনদের পারস্পারিক বিশ্বাস, একের প্রতি অন্যের ভরসা, সহনশীলতা, স্নেহ আর শ্রদ্ধার সবুজ সতেজ পত্র-পল্লবগুলো কেবলি যেন ভঙ্গুরতায় আচ্ছন্ন হয়, আধুনিকতার কুহেলিকার ছত্রাক আমাদের চেনাজানা চিরন্তন সম্পর্ক, লালিত ঐতিহ্য আর আত্মীয়তার অটুট-অবিচল বন্ধনের গায়ের পলেস্তরাগুলো ক্রমেই যেন খসে ফেলে দিচ্ছে, শুন্যতা আর আঁধারের হাতছানি ক্রমেই বসত গেড়ে চলেছে আমাদের মনের নরম জমিনে, প্রযুক্তির হাত ধরে সন্তর্পনে এগিয়ে আসা কৃত্রিমতা, শঠতা আর ছলনার ঢেউগুলো ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে আমাদের সম্পর্কের বসত ভিটার দিকে, আছড়ে পড়ছে জীবন নদীর চিকচিক করা বালুকাবেলায়, রৌদ্রস্নাত সৈকতগুলোয়।

ঈদ মোবারক।

১৭ ই মে, ২০২১ রাত ৩:১৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনাকেও ঈদ মোবারক। আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত মন্তব্য উত্তর করতে বেশ সময় নিয়েছি। আমি ঈদের ছুটিতে বাড়িতে ঘুমিয়েছি শুধু। পিসি অন করে ব্লগ বা পিসিতে অন্য কোনো কাজ করা সম্ভব হয়নি।

মানুষের পারিবারিক জীবনের বন্ধনগুলো এখন সঠিক ভাবে মজবুত হতে পারছেনা। পারিবারিক নানা সমস্যা ছাড়াও ভার্চুয়াল সমস্যা তো অনেক বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। যাক সেসব। আপনার মন্তব্যে অনেক অনেক বিষয় উঠে এসছে যা এখন বাংলাদেশের গ্রাম বাংলার চিত্র সহ শহুরে সমস্যা। এবং আমার মনে হয় এ সকল সমস্যার সমাধান সহজে হবার নয় বরং দিন দিন বেড়েই চলবে।

আমার উক্ত চিঠি লেখা সার্থক। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১১| ১৩ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমিও অনেকের চিঠি লিখে দিয়েছি। অন্যর চিঠি লেখা সত্যি সত্যি অনেক কষ্টের কাজ। অনেক দুঃখ কষ্ট লিখতে গিয়ে নিজেও দুঃখ পেয়েছি।

আমি লিখে দিতাম চ্যাংড়া পোলাপানের প্রেম ভালোবাসার চিঠি।

১৭ ই মে, ২০২১ রাত ৩:১৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমি বুঝতে পেরেছি আপনার চিঠি লেখার পাত্র ও বিষয়। আপনাকে ধন্যবাদ।

১২| ১৩ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:৪২

ডঃ রুহুল আমিন চৌধুরী। বলেছেন: আমিও আমার দাদা পোস্টকার্ডে চিঠি লোলেখি করতাম - এখন চিঠি লেকা বিলুপ্ত - ফেইজবুক বিলুপ্ত করেছে অনেক কিছু - চিঠি অন্যতম -

১৭ ই মে, ২০২১ রাত ৩:২২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনি যে সময়ের মানুষ আপনার অনেক অনেক অভিজ্ঞতা আছে বলে বিশ্বাস করি। ৭০ এর আগে যাদের জন্ম তাঁদের আমি সময় দেখা মানুষ বলি। ঈদ মোবারক। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৩| ১৩ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৫

ইসিয়াক বলেছেন: ঈদ মোবারক প্রিয় মাহমুদ ভাই।

১৭ ই মে, ২০২১ রাত ৩:২৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




প্রিয় ইসিয়াক ভাই আপনাকেও ঈদ মোবারক।

১৪| ১৩ ই মে, ২০২১ রাত ৯:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,




স্মৃতি কাতর বিষয়।
আজকাল সেই পারিবারিক বন্ধনও নেই তাই পোস্টকার্ডের চিঠির বন্ধনও আলগা হয়ে গেছে।

চিঠি লেখা আমার একটি প্যাশন। চিঠিতে কিন্তু ব্রীড়াময় সাহিত্যের দেখা মেলে। যেহেতু জীবনে এখন সাহিত্য নেই তাই মোবাইল ফোন জাকিয়ে বসেছে ছাঁচাছোলা গপ্প নিয়ে।

ঈদ শুভেচ্ছা।

১৭ ই মে, ২০২১ রাত ৩:২৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আহমেদ জী এস ভাই, আপনাকেও ঈদ মোবারক। আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত মন্তব্য উত্তর করতে বেশ সময় নিয়েছি। আমি ঈদের ছুটিতে বাড়িতে ঘুমিয়েছি শুধু। পিসি অন করে ব্লগ বা পিসিতে অন্য কোনো কাজ করা সম্ভব হয়নি। রমজান মাসে কাজের বেশ চাপ ছিলো আসলে রমজান মাসে রাত জাগার কারণে বেলা করে ঘুম থেকে উঠে সময় পেয়েছি কম তাই অল্প সময়ের জন্য কাজের চাপ তৈরি হয়েছে। আর তাই ছুটিতে ঘুমের প্রয়োজন ছিলো খুব।

আজকাল সেই পারিবারিক বন্ধনও নেই তাই পোস্টকার্ড, চিঠির বন্ধনও আলগা হয়ে গেছে। সত্যি সত্যি তাই হয়েছে। এবং আমার মনে হচ্ছে দিন দিন তা আরোও বিরূপ ধারণ করবে।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৫| ১৪ ই মে, ২০২১ রাত ১২:০০

রাজীব নুর বলেছেন: EiD Mubarak, ঈদ মোবারক

১৭ ই মে, ২০২১ রাত ৩:৩০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনাকেও ঈদ মোবারক।



১৬| ১৪ ই মে, ২০২১ রাত ২:২৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


১৭ ই মে, ২০২১ রাত ৩:৩২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনাকেও ঈদ মোবারক। আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত মন্তব্য উত্তর করতে বেশ সময় নিয়েছি। আমি ঈদের ছুটিতে বাড়িতে ঘুমিয়েছি শুধু। পিসি অন করে ব্লগ বা পিসিতে অন্য কোনো কাজ করা সম্ভব হয়নি। রমজান মাসে কাজের বেশ চাপ ছিলো, আসলে রমজান মাসে রাত জাগার কারণে বেলা করে ঘুম থেকে উঠে সময় পেয়েছি কম তাই অল্প সময়ের জন্য কাজের চাপ তৈরি হয়েছে। আর তাই ছুটিতে ঘুমের প্রয়োজন ছিলো খুব।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।


১৭| ১৬ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছোট্ট নাতনি'র কাছে নানাভাই এর লেখা খোলা চিঠিটা পড়ে ভাল লাগলো।

একসময় চিঠির মাধ্যমে সাহিত্যচর্চাও হতো, দৈনন্দিন আটপৌড়ে খবরাখবর বিনিময় করা ছাড়াও।

১৭ ই মে, ২০২১ রাত ৩:৪২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




একসময় চিঠির মাধ্যমে সাহিত্যচর্চাও হতো, শ্রেণীকক্ষ সহ পরিক্ষাতেও নিয়মিত চিঠি লেখা আসতো। এখন সিলেবাসে চিঠি আছে কিনা আমার সঠিক জানা নেই।

আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত মন্তব্য উত্তর করতে বেশ সময় নিয়েছি। আমি ঈদের ছুটিতে বাড়িতে ঘুমিয়েছি শুধু। পিসি অন করে ব্লগ বা পিসিতে অন্য কোনো কাজ করা সম্ভব হয়নি। রমজান মাসে কাজের বেশ চাপ ছিলো, আসলে রমজান মাসে রাত জাগার কারণে বেলা করে ঘুম থেকে উঠে সময় পেয়েছি কম তাই অল্প সময়ের জন্য কাজের চাপ তৈরি হয়েছে। আর তাই ছুটিতে ঘুমের প্রয়োজন ছিলো খুব।

টিঠিটি পড়ে ভালো লেগেছে জেনে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি ও আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.