নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful
ছবি: ০১ একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি।
আমি কোনো ব্লগার নই। আমি লেখক সাংবাদিক গবেষক দার্শনিকও নই। আমি ব্যবসা বুঝি। আমার ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক জ্ঞানে আমি ধারণা করতে পারি “শিক্ষা বঞ্চিত এই অবহেলিত শিশুগুলোকে যদি বাংলাদেশ শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে পারতো তাহলে এরা বাংলাদেশের আদর্শ সন্তান হতে পারতো। সাধারণ শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষাতে এরা হতে পারতো বাংলাদেশের সত্যিকার গর্বিত নাগরিক। এই অবহেলিত শিশুগুলো হতে পারতো দেশের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রী। এই লাঞ্ছিত শিশুগুলো হতে পারতো দেশের প্রথম শ্রেণীর ব্যবসায়ি - যারা হয়তো দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে পারতো।
সুষ্ঠু শিক্ষা ও ব্যবস্থাপনায় হয়তোবা অনেক কিছুই হতে পারতো। এই জনম দুঃখী শিশুগুলো হয়তো হতে পারতো বাংলাদেশের আদর্শ শিক্ষক - যারা হয়তো শিক্ষার নামে কখনো কোনো কলঙ্কিত ব্যবসা চালু করতো না। এই নিগৃহিত শিশুগুলো হয়তো হতে পারতো বাংলাদেশের অন্যতম চিকিৎসক - যারা চিকিৎসার নামে কখনো ক্লিনিক ব্যবসা ও ঔষধ বিক্রির নামে রোগীদের হাতে বড় বড় প্রেসক্রিপশন ধরিয়ে দেওয়ার কাজ করতো না। হয়তো হতে পারতো অনেক কিছুই, অসম্ভব তো কিছু না। মানব সন্তানই জজ ব্যারিস্টার হয়, ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হয় - তারা নিশ্চয় অতিমানব বা জ্বীন পরী নন!
এই লেখাটি যারা পড়ছেন তাদের প্রতি অনুরোধ, এই লাঞ্ছিত নিগৃহিত অবহেলিত শিশুগুলোর সাথে কখনো সুযোগ হলে কথা বলে দেখতে পারেন। তাদের আইকিউ কোন লেভেলের কিছুটা হলেও হয়তো ধারণা করতে পারবেন। ইদানিং আমরা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশ সাইক্লিস্ট গ্রুপ, বাংলাদেশ বাইকার গ্রুপ, বাংলাদেশ ইবনে বতুতা গ্রুপ বিপুল অর্থ খরচ করে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ভ্রমণ করছেন। হোটেল রিসোর্টে থাকছেন - মজাদার মুখরোচক খাবার খাচ্ছেন ফুড রিভিউ নামে রেস্টুরেন্ট মার্কেটিং করছেন ইত্যাদি ইত্যাদি। আশ্চর্য বিষয় ও মজার ব্যাপার হচ্ছে বাংলাদেশের এই অবহেলিত নিগৃহিত ও লাঞ্ছিত শিশুগুলো গত ৫০ (পঞ্চাশ) বছর ধরে সহায় সম্বলহীন ভাবে কপর্দকশূন্য হাতে দেশের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ঘুরে ফিরছে। দেশের ৬৪টি জেলা এদের পরিচিত। যে কোনো প্রান্তে এদের ছেড়ে দিলে এরা ফিরে আসতে পারে পুরোনো কর্মস্থলে। ঠিক তেমনই দেশের যে কোনো প্রান্তে এদের যেতে বললে এরা যেকোনো প্রান্তে নিশ্চিন্তে গিয়ে দেখাতে পারে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাবার দক্ষতা এবং তাদের পরিচিতি। এরা হয়তো হতে পারতো বাংলাদেশের সবচেয়ে দক্ষ নাগরিক।
একটি বিশেষ অনুরোধ: দেশের সাধারণ মানুষ, অতি সাধারণ মানুষ সহ অসাধারণ মানুষ ও সরকার আইন প্রশাসন কি এই অবহেলিত লাঞ্ছিত নিগৃহিত শিশুদের নিয়ে কাজ করবেন? চাইলেই তাদের জীবন পাল্টে দেওয়া সম্ভব। শুধু চাইতে হয়। চেয়ে দেখতে হয়। চাওয়ার মতো চাইতে হয়। এখনও সময় আছে এই লাঞ্ছিত অবহেলিত শিশুগুলোকে কারিগরি শিক্ষার আওতায় এনে এদের জীবন পুনর্বাসন করা সম্ভব। এই জনম দুঃখী শিশুগুলোরও অধিকার আছে এবং যোগ্যতা আছে একটি সুন্দর জীবনের।
ছবি: ০২ ভৌতিক বলে মনে হলেও এরা মানব সন্তান। দেশের সন্তান। তাদের মেধা জ্ঞান আমাদের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।
ছবি: ০৩ বই পুস্তকে পড়েছিলাম মানুষের মৌলিক চাহিদা নাকি অন্ন বস্ত্র বাসস্থান শিক্ষা ও চিকিৎসা!
ছবি: ০৪ পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি এ জীবন মন সকলি দাও - সত্যিই কি তাই?
ছবি: ০৫ জীবন মানে যন্ত্রনা।
ছবি: ০৬ শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড! - ওরা কারা? আমাদের জাতির কেউ নাকি ভিনগ্রহের এলিয়েন?
ছবি: ০৭ অবহেলা লাঞ্চনা - আসমুদ্রহিমাচল!
আত্মকথা: প্রিয় কবি নির্মলেন্দু গুণের একটি কবিতা দিয়ে আত্মকথা শেষ করছি “আমি হয়তো মানুষ নই, মানুষগুলো অন্যরকম, হাঁটতে পারে, বসতে পারে, এ-ঘর থেকে ও-ঘরে যায়, মানুষগুলো অন্যরকম, সাপে কাটলে দৌড়ে পালায়। আমি হয়তো মানুষ নই, সারাটা দিন দাঁড়িয়ে থাকি, গাছের মতো দাঁড়িয়ে থাকি। সাপে কাটলে টের পাই না, সিনেমা দেখে গান গাই না, অনেকদিন বরফমাখা জল খাই না। কী করে তাও বেঁচে থাকছি, ছবি আঁকছি, সকালবেলা, দুপুরবেলা অবাক করে সারাটা দিন বেঁচেই আছি আমার মতে। অবাক লাগে।
উপসংহার: আমার প্রতিটি লেখার শেষে আমার নিজের অভিমত হিসেবে আত্মকথা অথবা উপসংহার দেওয়ার চেষ্টা করি। যদিও পুরো পোস্ট আামার লেখা। উক্ত লেখার সম্পূর্ণ দায়ভার একান্ত আমার নিজের। আলাদাভাবে আত্মকথা বা উপসংহার দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা হবার কথা না। তারপরও প্রতিটি লেখায় একটি উপসংহার আমার কাছে খুব জরুরী হয়ে পরে। আজকের উপসংহারে বলতে চাই, আজকের লেখার সত্যি সত্যি কোনো নাম দিতে পারিনি তাই আজকের পোস্ট - “শিরোনামহীন।
পোস্টের নামকরণ: ডঃ এম এ আলী ভাই সাহেব দেশের অবহেলিত পথ শিশুদের নিয়ে লেখাটি পড়ে মন্তব্যে জানিয়েছেন লেখাটির নাম হতে পারে “শ্রমই যাদের স্বপ্ন” তিনি যথার্থ বলেছেন তাই পোস্টের নাম করণ করা হয়েছে - “শ্রমই যাদের স্বপ্ন” অথবা - শিরোনামহীন।
প্রতিটি ছবির সূত্র ও যথাযথ ওয়েব লিংক ছবির ক্রমিক নাম্বারে সংযোজন করা আছে।
ছবি: ০১ Bangladesh prepares for graduation
ছবি: ০২ Govt to eradicate child labour by 2025
ছবি: ০৩ Garment brands contribute to low wages & child labour in Bangladesh
ছবি: ০৪ 8 Facts about Child Labor in Bangladesh
ছবি: ০৫ Govt announces six sectors free from child labour
ছবি: ০৬ what is child labor definition?
ছবি: ০৭ Bangladesh can lead the call to end child labour in South Asia
কৃতজ্ঞতা স্বীকার: সামহোয়্যারইন ব্লগ।
০২ রা জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:১২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনার মতামত সম্পূর্ণ সত্য। তবে আমাদের সাধারণ মানুষের যে দায়ভার আছে তা থেকে আমরা খুব সম্ভব পালিয়ে বেড়াচ্ছি। যেটি দেশের সমাজের পরিবেশের ক্ষতি করছে দিনের পর দিন।
এই লাঞ্ছিত অবহেলিত শিশুগুলো গড়পরতায় আর দশটা পরিবারের শিশুদের থেকে ক্ষেত্র বিশেষে ভালো জ্ঞান রাখে। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে এদের নিয়ে কারো মাথা ব্যথা দূরে থাকুক দুঃখবোধও নেই। আপনি লেখা ও ছবিগুলোর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন জেনে আমি কৃতজ্ঞ।
মন্তব্য ও লাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো।
২| ০১ লা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৪৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দারুন মানবিক পোস্ট। সত্যি তাদের সুযোগ দিলে তারা অনেক ভাল ফল বয়ে আনতে পারতো দেশের জন্য ও দশের জন্য । শিশুশ্রম কিন্তু নিষিদ্ধ । অথচ ওরা বাধ্য এমন শ্রমে ।
০২ রা জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:১৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
যারা সন্তানদের সকাল সন্ধ্যা প্রাইভেট ও কোচিং পড়াচ্ছেন নিজের বাসাবাড়ি সহ সমগ্র দেশ টিওশনের আখড়া করেছেন তারা আশ্চর্য হতেন, তারা হতবাক হতেন, তারা বাক্যহারা এই অবহেলিত লাঞ্ছিত শিশুগুলো যদি পড়ালেখার সুযোগ পেতো। জীবন যুদ্ধে লড়াই করে করে এই শিশুগুলোর মেধা চকচকে ধারালো চাকুর মতো শার্প।
কবিতার যাদুকর, আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
৩| ০১ লা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: নিজেদের চারপাশেই ছড়িয়ে আছি এই সব করুন চিত্র। আমরা চোখ বুজে থাকি।
০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
সত্যি সত্যি আমরা চোখ বন্ধ করে রাখি, নয়তো তাদের পুনর্বসানের জন্য তাদের পরিবারের পুনর্বসানের জন্য চেষ্টা করা হতো। আপনি কখনো তাদের সাধে কথা বললে বুঝতে পারবেন এদের বেসিক জ্ঞান বেশ ভালো। এদেরকে কোনোভাবে কারিগরি শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে পারলে এদের জীবন পাল্টে যেতো পাল্টে যেতো দেশের ভবিষ্যত।
৪| ০১ লা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৬
কামাল১৮ বলেছেন: চলতে ফিরতে সারাদিনই এই ছবি দেখা হতো।যা কিছু করার সরকারী উদ্যোগেই করতে হবে।সমাজে যারা মানবিক মানুষ আছে তারা কিছুটা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে অনেকেই ভালোভাবে দাড়িয়ে যাবে।তাদের প্রতিভা আছে দরকার প্রাথমিক একটু সহযোগিতা।
০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
সমাজে যারা মানবিক মানুষ আছে তারা কিছুটা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে অনেকেই ভালোভাবে দাড়িয়ে যাবে। তাদের প্রতিভা আছে দরকার প্রাথমিক একটু সহযোগিতা।
- তাদের প্রতিভা মনে রাখার মতো, মনে ধরার মতো যথেষ্ট শার্প যা আর দশটা পরিবারের ছেলেমেয়ের চেয়ে কোনো অংশে কম নয় বরং বেশী বলা যায়। এরা জন্মের পর থেকে জীবন যুদ্ধে লড়ছে। জীবন যুদ্ধ লড়াই করে করে এরা যেই দক্ষতা অর্জন করেছে তার মূল্যায়ন আমরা করতে পারছি না।
এই অসহায় অবহেলিত শিশুগুলোকে কোনোভাবে কারিগরি শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে পারলে এদের জীবন পাল্টে যেতো পাল্টে যেতো দেশের ভবিষ্যত।
৫| ০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: করোনা মহামারী হতে বাঁচতে এখন যুদ্ধ করি। ভাতের জন্য যুদ্ধ করি
০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ১১:১৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বাংলাদেশের জন্মের সাথে সাথে এই বাংলার মানুষ ভাতের চিন্তা করেছেন। ভাত ছাড়া কিছুই ভাবতে পারেন নি। যদি শিক্ষিত ও দেশ প্রেমিক একটি জাতি তৈরি করতে পারতো তাহলে ভাতের চিন্তা করতে হতো না। বাংলাদেশীর পাঁচ আঙুল ডুবে থাকতো দুধে ভাতে। বাংলাদেশেও পাম অয়েল আর রাবার গার্ডেন থাকতো।
ভাতের জন্য যুদ্ধ করি - একমুঠো ভাতের জন্যই যুদ্ধ করতে হবে আমরণ!
৬| ০২ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১:২৭
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ঠাকুর মাহমুদ ভাই,
খুবই মানবিক একটি পোস্ট লিখার জন্য অনেক ধন্যবাদ !
রাষ্ট্র হিসাবে সকল নাগরিকের জন্য নূন্যতম মৈলিক চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে দেশটি। আর লুচ্চা, লাফাঙ্গা স্বৈরাচারী লেজেহোমো এরশাদ তার ক্ষমতাকালে নিজে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হয়ে প্রশাসন ও সমাজের তৃণমূল পর্যায়ে দুর্নীতির ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়। তার ধারাবাহিকতায় এখন আমরা রাষ্ট্রের সম্পদ বন্টনে এই বিশাল বৈষম্য দেখতে পাই। এক শ্রেণী ভোগ-বিলাসে মত্ত আর আর সমাজের হতভাগ্য শ্রেণী অন্ন, বাসস্থান বা শিক্ষার মতো নূন্যতম মৌলিক অধিকার থেকে চরমভাবে বঞ্চিত।
আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের মূল সমস্যা হচ্ছে নিয়ন্ত্রণহীন দুর্নীতির ব্যাপ্তি। এই দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করতে না পারলে সম্পদ বন্টনের এই চরম বৈষম্য কমানো সহজে সম্ভব হবে না।
০২ রা জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:২৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ ভাই, খুব সম্ভবত এরশাদ আর তসলিমা নাসরিন আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছে সমাজে কি পরিমান লম্পট নারী পুরুষ বিদ্যমান। এই লম্পট নারী পুরুষদের নোংরামীতে পরিবেশ সমাজ দেশ আজ পঁচে যাচ্ছে। এই নোংরা নষ্ট নারী পুরুষদের কারণে সমাজে পচন রোগ ধরেছে যার কোনো চিকিৎসা নেই। একটি কথা মনে রাখবেন যারা নোংরামী করে তাদের লজ্জা হয় না। লজ্জা হয় তাদের যারা নোংরামী দেখে। - এইসব দেখতে হচ্ছে এটিই আমাদের লজ্জা।
আমি এই অবহেলিত পথ শিশুদের সাথে কথা বলেছি। এদের সাথে কথা বললে অবাক হতে হয় - শিক্ষা, সমাজ, রাজনীতি ও অর্থনীতি সম্পর্কে এই পথ শিশুদের জ্ঞান মনে রাখার মতো।
আবারও আপনার মন্তব্য প্রসঙ্গে আসছি। নিয়ন্ত্রণহীন দুর্নীতির মূল উৎস হচ্ছে নষ্টামী। নষ্ট মানুষ আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারলে অবশ্যই দুর্নীতি কমে আসবে।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ অত্যন্ত মূল্যবান মন্তব্য করেছেন ও পোস্টের যথার্থ মূল্যায়ন করেছেন জেনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
৭| ০২ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১:৩৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
লেখাটির শিরোনাম হতে পারে শ্রমই যাদের স্বপ্ন
দেশের জন্য খুবই করুন ও মর্মান্তিক অবস্ত হয়েছে চিত্রিত ।
দিন তিনেক আগে পোষ্টাইলে পোষ্টটি নির্ঘাত ছবি ব্লগ
প্রতিযোগীতায় সকলের বিশাল দৃষ্টি আকর্ষন করতো ।
শিশুশ্রম মুক্ত নিরাপদ কর্মস্থল, শোভন কর্মপরিবেশ ও শ্রমিকদের জন্য উন্নত জীবনমান
নিশ্চিত করনই ছিল বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ ও বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫ এর
ভিশন ও মিশন ।কর্মক্ষেত্রে শিশু শ্রমিক নিয়োগ নাকরন আর যারা এখনো নিয়োজিত আছে
তাদেরকে স্বাবাভিক জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে তাদের স্বাস্থ্য , নিরাপত্তা ও শিক্ষার ব্যবস্থা
নিশ্চিতকরণ প্রয়োজন ।
কোন দেশ কত উন্নত, তার অন্যতম একটি নিয়ামক হলো সেই দেশের শিল্প কলকারখনা ও
উৎপাদন কর্মকান্ড হতে হবে শিশু শ্রম মুক্ত । শিশু শ্রম মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে এবং বাংলাদেশকে
উন্নত রাষ্ট্র হিসাবে দ্রুত প্রতিষ্ঠিত করতে শ্রম পরিদর্শক দেরকে সততার মহিত বিচক্ষনতার
সাথে কাজ করতে হবে। সরকারের সংস্লিষ্ট সকলকে দেশের সর্ব স্তরে শিশু শ্রম বন্ধের বিয়য়ে সততার
সহিত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে । শুধু আইনে থাকলে হবেনা, চই তার সুষ্টু ও সফল বাস্তবায়ন ।
শুভেচ্ছা রইল
০২ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৩৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ভাই সাহেব, এই অবহেলিত শিশুগুলোর মেধা কোনোভাবে অগ্রাহ্য ও অবেহেলা করার মতো না। বরং গড় পরতায় বলা যায় এই জনম দুঃখী শিশুগুলো দেশের আর দশটা পরিবারের শিশুদের চেয়ে ভালো জ্ঞান রাখে। এবং যে কোনো বিপদে সারভাইভ করার জন্য প্রচন্ড দক্ষতা নিয়ে এরা বড় হচ্ছে। এই দক্ষতা আমরা চোখে দেখতে পাচ্ছি না, আমরা দেখতে পাচ্ছি তাদের ছোট ছোট অপরাধ বড় করে! - আর তাই হয়তো তাদের সাথে আমরা অত্যন্ত রুঢ় আচরণ করছি।
শিশুশ্রম তো অনেক দূর দূরের বিষয় এই শিশুগুলো দেশে যে পরিমান অবেহলা লাঞ্ছনা লাথি গালি খেয়ে বড় হয় তাই হয়তো এই জনম দুঃখী শিশুদের একটি ছোট/বড় অংশ অপরাধের সাথে জড়িয়ে পরে, আর সাথে আছে দেশের অপরাধ চক্রের কূটকৌশল। জন্ম থেকে কেউ অপরাধী হোন না। অপরাধ তাকে অপরাধের সাথে অপরাধের পথে নিয়ে চলে। তাদের জীবন পাল্টে দেওয়ার জন্য প্রয়োজন দেশের মানুষের মানবিকতা ও সরকারের সহযোগিতা।
ঢাকা সহ সমগ্র দেশে মানুষজনে একটি খারাপ অভ্যাস পরিণত হয়েছে আর তা হচ্ছে কাজের লোক পোষা। কুকুর পোষার মতো এরা মানুষ পোষতে চান। আর তাই সমাজের একটি অংশ আজও অবহেলিত লাঞ্ছিত। মানুষের প্রয়োজনে গড়ে উঠছে পথ শিশু ও বাসা বাড়ির নিত্য কাজের জন্য কাজের লোক। আরব দেশে বাসা বাড়ির কাজ আর বাংলাদেশে বাসা বাড়ির কাজে কোনো পার্থক্য নেই শুধু বাস্তবতা আমরা জানতে পারিনা কিছুর টাকার বিনিময়ে তা লুকিয়ে ফেলা হয়ে থাকে।
শ্রম আইন বাস্তবায়ন করতে হলে বাসা বাড়িতে কাজ করার আইনের প্রয়োগ কঠোর ও মজবুত করতে হবে। শ্রম আইন বাস্তবায়ন করতে হলে একটিও পথ শিশু পথে থাকা যাবে না, তারা থাকবে সরকারি ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত ভালো জীবন গড়ার উদ্দেশ্যে ক্যাডেট কলেজের মতো করে।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ও এবং পোস্টের জন্য যথাযথ শিরোনামে ঋণ স্বীকার করছি।
৮| ০৩ রা জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৪১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কী আর বলবো। মতিঝিলে এক ঝাঁক তরুণ তরুণি রাস্তায় ঘুমায়, দেখে খুব কষ্ট লাগে। ডাস্টবিনের কাছে বসে খায়। ভাল্লাগে না, এদের পুনর্বাসনের কোনো ব্যবস্থা নাই।
০৩ রা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৩৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
রোহিঙ্গাদের জন্য যা করেছেন বাংলাদেশ সরকার তার ৫% আমাদের দেশের শিক্ষা বঞ্চিত অবহেলিত লাঞ্ছিত শিশুদের জন্য করতে পারলেও এই জনম দুঃখি শিশুদের জীবন পাল্টে যেতো। এই পথ শিশুদের সাথে কথা বললে আপনি আশ্চর্য হবেন তাদের সাধারণ জ্ঞান, দেশ, রাজনীতি ও অর্থনীতি সম্পর্কে তাদের ধারণা আপনাকে অবাক করবে।
৯| ০৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৩৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমার বিশ্বাস, দেশ এখন এতিম,ছিন্নমুল,দরিদ্র শিশুদের দায়িত্ব নেয়ার মত অবস্থায় আছে।
সরকারের উদাসিনতায় যা বাস্তব রুপ লাভ করছেনা।
০৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৩৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
এখন পর্যন্ত এই দেশে অবহেলিত অনাথ শিশুদের নিয়ে যতো প্রতিষ্ঠান কাজ করেছে সবাই স্বার্থের জন্য কাজ করেছে। আপনার বিশ্বাস সঠিক। তাই এই অনাথ অবহেলিত জনমদুঃখী শিশুদের ভবিষ্যত গড়ার কাজটি হতে হবে সম্পূর্ণ সরকারি ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় সহ সংলিষ্ট এমন মন্ত্রনালয় যারা এই শিশুদের ভবিষ্যত পাল্টাতে সক্ষম।
১০| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: শিক্ষা, অন্ততঃপক্ষে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত, প্রতিটি শিশুর একটি মৌলিক অধিকার। রাষ্ট্রের উচিত, শিশুদের এ অধিকার নিশ্চিত করা, তাদের এ অধিকার পূর্ণভাবে তাদের জন্য সংরক্ষিত রাখা। শিশুশ্রম দেশের আইনে নিষিদ্ধ আছে। সমাজের প্রতিটি স্তরে এ আইনের কঠোর প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন চাই। এ ব্যাপারে ডঃ এম এ আলী এর সাথে আমি একমত।
পোস্টে দ্বাদশ ভাললাগা। + +
২৪ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:১৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
এভাবেই এক সময় পথশিশুর বড় একটি অংশ ক্রাইমে জড়িয়ে পরে। বর্তমানে যারা নালা নর্দমায় পথে ঘাটে পরে আছে তাদের পুনর্বাসন করা খুব ব্যয়বহুল না তারপরও তাদের কোনো না কোনো কারণে পুনর্বাসন হচ্ছে না। এদের মেধা জ্ঞান আর দশটি ছেলে মেয়ের চেয়ে কোনো অংশে কমও না। তারপরও তাদের জ্ঞানের তাদের জীবনীশক্তির অপচয় হচ্ছে অথচ এরা বাংলাদেশের শ্রেষ্ট নাগরিক হবার যোগ্যতা রাখে অধিকারও রাখে।
আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত আমি কিছু কাজে ও ক্লান্তিতে ব্লগে মন্তব্য উত্তর করতে বিলম্ব হয়েছে। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:২৫
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সরকার মনে হয় অবহেলিত শিশুদের নিয়ে কাজ করে।তবে তার বেশির ভাগ অর্থই হয়তো চলে যায় এসব কাজে যারা নিয়জিত থাকে তাদের পেটে।সমাজের বিত্তবানদের উচিত তার সমর্থনুযায়ী অবহেলিত শিশুদের দায়িত্ব নেওয়া।
ছবি গুলো দেখে মন খারাপ হয়ে গেল।