নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী, আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি ।।

ঠাকুরমাহমুদ

sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful

ঠাকুরমাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেজবানি ও আমাদের চট্টগ্রাম

০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩৪



”মেজবানি” - ফার্সি শব্দ। উইকিপিডিয়া হতে যার আভিধানিক অর্থ পেয়েছি - আপ্যায়ন, আপ্যায়নকারী, অতিথি আপ্যায়নকারী, আতিথেয়তা, মেহমানদারি। আমাদের চাটগাঁয়ে ও নোয়াখালীতে এর প্রচলন বা বহুল প্রচলন বলা যেতে পারে। দেশের অন্যত্রও দাওয়াত জেয়াফত, বিবাহ সহ নানান অনুষ্ঠানে আপ্যায়ন, আতিথেয়তা, মেহমানদারি হয়ে থাকে, তবে আমার দেখা আমাদের চাটগাঁয়ে ও নোয়াখালিতে যতোটা বড় আকারে হয়ে থাকে তা খুব সম্ভব অন্যত্র এতো বড় আকারে এতো ব্যাপক আকারে অনুষ্ঠান হয়ে উঠে না বা হয় না (আমার জানার ভুল থাকতে পারে)।

ব্যক্তিগতভাবে আমি অনেক দাওয়াতে অংশগ্রহণ করেছি। ভালোবাসা মায়া মমতা বন্ধুত্ব ও আত্মীয়তার কারণে দাওয়াতে অংশ নিতে হয় আবার সামাজিক দায়বদ্ধতার কারণেও দাওয়াতে অংশ নিতে হয়। আমার যতোটুকু মনে পড়ে, আমার জীবনে আমি প্রথম এমন উল্লেখ করার মতো বড় একটি দাওয়াতে অংশ নিই - আমাদের চট্টগ্রামের এক জনপ্রিয় মফস্বল থানা এলাকায়। সঙ্গত কারণে সাল সময় উল্লেখ করছি না। যিনি অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিলেন তিনি পারিবারিকভাবে বনেদি ব্যবসায়ী মানুষ “সওদাগর ভাই”। কোনো রাজনৈতিক সংঘঠনের নেতা নন। দূর দূরান্ত পর্যন্ত কোনো রাজনীতির সাথে জড়িতও নন।

শীতের দিন। আমি যখন তাঁর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে পৌছি তখন সন্ধ্যা শেষে ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন রাত নেমে এসেছে। বাড়ির প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে বাড়ি ও বাড়ি সংলগ্ন আশেপাশের এলাকায় ডেকোরেটরের ডিজেল জেনারেটরে টিউব লাইটে আলোয় আলোকিত। বাড়ির পাশের ধানি জমিতে রান্নার আয়োজন করা হচ্ছে - একদল মানুষ মাটিতে গর্ত করে ইট রেখে রান্নার জন্য অস্থায়ী চুলার ব্যবস্থা করছেন। ট্রাকে করে গাছের চিলি কাঠ ও কোরোসিন তৈল এসে নেমেছে। আরো এসেছে ড্রাম ভর্তি সরিষার তৈল, মসলা, গরম মসলা, বস্তা বস্তা পায়জাম আতপ চাল। প্যান্ডেলের নিচে একদল মানুষ চাটাইয়ের পাটিতে বসে বস্তা ভর্তি মণকে মণ পেঁয়াজ রসুন আদা ছিলে ছেঁচার ব্যবস্থা করছেন (তখন ব্লেন্ডার মেশিনের তেমন প্রচলন ছিলো না) ডজন খানেক বাবুর্চি দৌড়াচ্ছেন দায়িত্বরত কাজ বোঝাতে। গরু জবাই হয়েছে ৭টি। প্রতিটি গরুতে যদি কমপক্ষে ৫ মণ করেও মাংস হিসাব করি তাহলেও সর্বমোট মাংস দাড়ায় ৩৫ মণ। রান্নার আয়োজন সহজ - গরুর মাংসের রেজালা তরকারি, আর পায়জাম আতপ চালের ভাত।

আমি দেখেছি, বিচিত্র কারণে ধনি গরিব নির্বিশেষে মাছ মাংস খাওয়ার জন্য মানুষের মন কাঁদে। সওদাগর ভাই মনে প্রাণে খাবারের আয়োজন করেছেন। একদিন অন্তত এক বেলা যাতে তাঁর এলাকার নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ পেটপুরে তৃপ্তি সহকারে ভাত মাংস খেতে পারেন। রাতভর রান্নার আয়োজন ও রান্না হয়েছে। অগনিত মানুষ নারী পুরুষ শিশু সহ কিশোর কিশোরী বৃদ্ধ বৃদ্ধা পরের দিন সকাল হতে দুপুর পর্যন্ত হাসি মুখে ভাত মাংস খেয়েছেন। আর তাঁদের মাঝে হয়তো অনেক অনেক মানুষ ছিলেন যারা একমাত্র কোরবানীর ঈদ ছাড়া মাংস খেতে পারেন না। তাদের চোখে মুখে যে আনন্দ ছিলো তা আমার সামান্য লেখার ভাষায় বোঝানো অসম্ভব বিষয় । এতোগুলো মানুষ খেয়ে যেই পরিমাণ খুশি ও আনন্দিত হয়েছেন সম্ভবত সওদাগর ভাই তার চেয়েও বেশী আনন্দিত। কারণ, তিনি প্রতি বছরই এই কাজটি করতেন।

খাবার আয়োজন করে সওদাগর ভাই মাঠের প্যান্ডেলে সকল দাওয়াতিদের মাঝে দাড়িয়ে করজোড় হাতে চাটগাঁয়ের বিশুদ্ধ আঞ্চলিক ভাষায় বললেন - “আমি আপনাদের সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, আপনাদের দাওয়াত দিয়ে হয়তো ভালোভাবে খাওয়াতে পারিনি, আমাকে ক্ষমা করবেন। দোয়া করবেন যেনো আপনাদের ভালো খাবারের ব্যবস্থা করতে পারি, দোয়া করবেন যেনো আপনাদের কর্মের ব্যবস্থা করতে পারি - যাতে একদিন আপনারা আমার চাইতেও বেশী আয়োজন করতে পারেন

উপসংহার: সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা, তবে সওদাগর ভাই কোনো ব্যক্তি বিশেষ কারোও নাম নয়। গল্পের কারণে একটি নাম নেওয়া হয়েছে। আমাদের চট্টগ্রাম নোয়াখালীতে এমন সওদাগর ভাই অনেক অনেক আছেন। যারা রোজার ঈদ কোরবানীর ঈদ বাদেও বছরে কমপক্ষে একবার হলেও এমন একটি বড় আয়োজন করেন যার নাম মেজাবানি। সওদাগর ভাই যারা আছেন তাঁরা শুধু মানুষকে বছরে একবার খাওয়ানোর জন্য ডাকেন না। তাঁরা ব্যবসা তৈরি করেন ও মানুষের জন্য কর্মসংস্থান করেন। মৌলিক অধিকার বঞ্চিত মানুষদের শিক্ষা ও চিকিৎসা সহযোগিতা করেন। মানুষকে স্বাবলম্বী তথা আত্মনির্ভরশীল করেন। সওদাগর ভাই আমাদের সমাজের ভালোবাসার মানুষ। বাংলাদেশের সত্যিকার মাটির মানুষ সওদাগর ভাই। আমাদের দেশে মেজবানি টিকে থাকুক শত সহস্র বছর আর আমাদের মাঝে সওদাগর ভাইও থাকুন শত সহস্র বছর। সওদাগর ভাইদের আমাদের খুব প্রয়োজন।



উৎসর্গ: ০৮-১১-২০২২ আমার লেখা দেশের বাজারে আগুন পোস্টে মোহাম্মদ গোফরান ভাই মোট ১৬টি মন্তব্য করেছেন। প্রতিটি মন্তব্য খুবই প্রয়োজনীয় মন্তব্য, অকারণ অযথা মন্তব্য চালাচালি নয়। আমাদের চাটগাঁ ও নোয়াখালীর মানুষ কাউকে তৈল দিতে পারেন না, তৈল নিতেও পারেন না। আমি নিজে পারিবারিকভাবে তৈলের ব্যবসার সাথে জড়িত। তৈল আমার ব্যবসা পণ্য, বিনামূল্যে তৈল বিতরণ আমারও কাজ নয়। আমার সামহোয়্যরাইন ব্লগ জীবনে কোনো একক পোস্টে কোনো একক ব্যক্তি হতে এতো মন্তব্য এই প্রথম পেয়েছি, যা আমার জন্য মাইল ফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। আমি কৃতজ্ঞ আমি আনন্দিত ও মোহাম্মদ গোফরান ভাইয়ের কাছে আমি ঋণী। এই পোস্টটি মোহাম্মদ গোফরান ভাইকে উৎসর্গ করছি হয়তো কিছুটা ঋণ পরিশোধ হবে, বাদবাকী ঋণ যদি থাকে মোহাম্মদ গোফরান ভাই পাওনা থাকবেন।

সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।


ঠাকুরমাহমুদ
ঢাকা, বাংলাদেশ
০৯-১১-২০২২ ইংরেজি





ছবি সূত্র: বাংলাদেশ মানচিত্রে চট্টগ্রাম বিভাগ

বিশেষ দ্রষ্টব্য: “মেজবানি ও আমাদের চট্টগ্রাম” লেখাটি আমার ব্যক্তিগত স্মৃতি বিজড়িত চট্টগ্রামের মেজবানি নিয়ে অতি সাধারণ ও সামান্য একটি লেখা মাত্র। এটি সামহোয়্যারইন ব্লগের লেখা প্রতিযোগিতার জন্য নয়।






মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪৮

সোনাগাজী বলেছেন:



২০২৩ সলে, দেশে যদি আসলে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, তার আগে সারা দেশে কিছু মেজবানী করার দরকার।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:০০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমার দাদাজান দাদীজান ও বাজানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসে আমি খুবই সামান্য আয়োজন করে থাকি। আমি ২০২৩ এ আমার সাধ্যমতো ব্যবাস্থা নিবো। তাছাড়া গল্পে উল্লেখিত সওদাগর ভাই যারা আছেন তাঁরাও তাঁদের সাধ্যমতো নিজ নিজ এলাকায় ব্যবস্থা নিবেন।

আমাদের চার পুরুষের কর্মজীবন ও ব্যবসা জীবনের বড় একটি অংশ চাটগাঁ জড়িত।

২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:১১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমার দীর্ঘ দিনের পুরনো অভ্যাস। আমি ভোরে পত্রিকা পড়ি। আজ অফিসের ফার্স্ট আওয়ারে সামুর হোম পেজে ভিজিট করছিলাম আর পত্রিকা পড়ছিলাম অনলাইনে। আপনার পোস্টের সাথে প্রাসঙ্গিক একটা আর্টিকেল পড়ছিলাম। সে আর্টিকেল থেকেই ১৬ টি মন্তব্য কোট করেছিলাম।ঋণের কিছু নেই।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:৫৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



কতোটা বড় মনের মানুষ হলে এমন আয়োজন হতে পারে তা যারা নিজ চোখে দেখেনি তাঁদের বলে লিখে বোঝানো মুশকিল, আমি লেখায় সামান্য চেষ্টা করেছি। আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।


৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:১৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আপনার মতো জনপ্রিয় ও সম্মানিত ব্লগার কাউকে পোস্ট উৎস্বর্গ করলে তিনি সম্মানিত অনুভব করতে বাধ্য ফলে আমিও সম্মানিত অনুভব করছি।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ২:০০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনাকে সন্মানিত করতে পেরে আমি নিজেও সন্মানিত অনুভব করছি। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:১৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: মেজবানি আসলে চট্টগ্রামের ঐতিহ্য। 'মেজ্জান হাইলি আয়ুন, মাইজ্জ্যান্যা বাড়ি, মানু না? চাটগাঁইয়া হানা চলিবুনা? টাইপের রেস্টুরেন্ট গুলো কোটি টাকার ব্যবসা মেজবানের ঐতিহ্যকে পুজি করে।চট্টগ্রামের অরজিনাল মেজবানের ফ্লেভার পেতে আপনার পোস্টে উল্লেখ করাটার মতো কোন মেজবানে খেতে হবে। চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যু বার্ষিকীর মেজবানি আমার চোখে এখন পর্যন্ত চাটগাঁর সেরা মেজবানি।আমাদের গ্রামের বাড়িতে প্রতিবছর মাঝারি মেজবান হয়। ফাদার ইন ল পটিয়ায় বিশাল মেজবানীর আয়োজন করেন ২৭শে রবিউল আওয়াল। আপনার দাওয়াত রইলো।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ২:০৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমার দাদাজান, আমার বাজান, আমি নিজে ও আমার ছেলে মেয়ে চার পুরুষের চট্টগ্রামের সাথে কর্মজীবন ও ব্যবসা জীবন জড়িত। চট্টগ্রামে আমাদের অনেক অনেক স্মৃতি। মায়া মমতা ভালোবাসার স্মৃতি। প্রাণের শহর চট্টগ্রাম।

চট্টগ্রামের মানুষ আমাদের আত্মার আত্মীয়।

৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ২:৩৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মেজবানে খাওয়া শেষে ক্ষমা চাওয়ার প্রথা এখনো চালু আছে ফেনীতে

০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ২:৩৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



দাওয়াতি মানুষ কতোটাকু কষ্ট করে এসেছেন জানিনা, তাছাড়া তাঁদের কতোটুকু ভালোভাবে খাওয়াতে পেরেছি নাকি পারিনি তাও জানিনা। তাই আমিও দাওয়াতিদের কাছে ক্ষমা চাই।

৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৩:৫০

বিষন্ন পথিক বলেছেন: চট্টগ্রামের জামাইদের তাহলে তো খুব আদর আপ্যায়ণ পাবার কথা. দাওয়াতের আন্তরিকতা আর বিনয় পড়তে খুব ভালো লাগলো। সত্যি কথা বলতে আপনাদের ভাষা অন্য জেলার মানুষের কাছে কিছুটা বিরক্তির কারণ। নোয়াখালীর টা কিছুটা ফানি। আশা করি আমার মন্তব্যে আহত হননি।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:৪৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



না, আপনার কথায় আহত হইনি। চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর মেয়েদের সাধারণত ভিন্ন জেলাতে বিয়ে হয় না। সমগ্র বাংলাদেশেই জামাই আপ্যায়ণ বেশ জোড়ালোই বলা যায়। এক সময় রেওয়াজ ছিলো জামাইকে সিকো ফাইভ ঘড়ি দিতে হতো। আরোও কতো রেওয়াজ ছিলো। সময় কতো কিছু পরিবর্তন হয়েছে আরোও হবে।

আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:০১

সোনাগাজী বলেছেন:


নেওয়াজ আলি বলেছেন: মেজবানে খাওয়া শেষে ক্ষমা চাওয়ার প্রথা এখনো চালু আছে ফেনীতে।

-নোয়াখালীর লোকেরা মেজবান খাওয়ায়? খাওয়ালে ভালো!

০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:৪৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



নোয়াখালীতে মেজাবনি চালু আছে, বেশ ভাবেই আছে। আন্তরিকতার দিক দিয়ে বাংলাদেশে চট্টগ্রাম নোয়াখালীর মানুষ প্রথম কাতারে থাকবেন।

৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মেজবানি দাওয়াত চাদপুরেও দেখেছি, খেয়েছিও। গোমাংশের ব্যাবহার বেশী। তাই বেশি খেতে পারিনা।
একটি সুন্দর বিষয় তুলে আনার জন্য ধন্যদাদ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:৫৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



মেজবানি আয়োজনের প্রধান হচ্ছে গরুর মাংসের তরকারি। বাংলাদেশে নানান অঞ্চলে মেজবানি হয়। আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।




৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত আপনার সাথে একমত পোষণ না করতে পেরে।
আমার দেখা মতে চাটগাইয়া মানুষেরা বেশ অহংকারী হয়। নিজের পরিচিতজন ও অঞ্চলের লোকের জন্য জান দিয়ে দেয় কিন্তু অপরিচিত লোকদের বিশ্বাস করে না ও তাদের সাথে খারাপ আচরন করে। চাটগাঁ, কক্সবাজার নারিকেল জিঞ্জিরা সহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের সব পাহাড়ি জনপথে আমি ভ্রমন করেছি একাধিকবার। একসময় আমাকে নিয়মিত চিটাগাং পোর্টে যেতে হোত। বারবার স্থানীয়দের ব্যবহার আমাকে ব্যথিত করেছে। শ্রীহট্ট ও চাটগাঁয়ের লোকেরা নিজেদের একটু উঁচু জাতের মনে করে। মেজবানের কোন আতিথিয়েতার সোভাগ্য হয়নি দেখে এর বিষয়ে বলতে পারছি না।
দুবাইতে আমি একটা ফ্লাট বাড়িতে চাটগায়ের এক বয়স্ক ব্যবসায়ীর সাথে ৪ মাস শেয়ার করেছিলাম। ব্যতিক্রম সবখানে আছে তবে তিনি অতিরিক্ত স্বার্থপর ও সন্দেহবাতিক ছিলেন।
আমার জানা মতে বাংলাদেশের সবচাইতে আন্তরিক মানুষ বাস করে খুলনাতে।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ব্লগে বিচিত্র কারণে নেগেটিভ রোল মন্তব্য বেশী হয়। এখন থেকে ছবি ব্লগ করবো, তাহলে কেউ আর নেগেটিভ রোল মন্তব্য করার ব্যবস্থা পাবেন না।

১০ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ২:০৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





শেরজা তপন ভাই, আপনি একটি নেগেটিভ রোল মন্তব্য করেছেন আমি তার নেগেটিভ প্রতিউত্তর করেছি। বিষয়টি খানিকটা এক্সপেরিমেন্ট! আপনি লক্ষ্য করবেন এই মন্তব্যর জ্বালা কোথায় কোথায় জ্বলে। আপনি লক্ষ্য করবেন অসুখি মানুষের কোথাও শান্তি নেই। অসুখি মানুষের জন্য করুণা করা ছাড়া আমাদের আসলে আর কিছু করার নেই।

আপনার জন্য বায়তুল মোকারমের আমিত্তি শুভেচ্ছা।
আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

১০| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:০৮

জুল ভার্ন বলেছেন: শেরজা তপন ভাইয়ের মন্তব্যের সাথে আমি একমত।

ব্যবসায়ীক কারণে আমাকেও দীর্ঘদিন চট্টগ্রামে আসা যাওয়া এবং থাকতে হয়েছে। একদা আমার রপ্তানীমূখি শিল্প কারখানাটিও চট্টগ্রামে ছিলো। কিন্তু আমি 'অস্থানীয় লোক' বলেই কয়েক বছরে স্থানীয় লোকদের চরম অসহযোগীতা-প্রতারণার কারণে বিপুল পরিমাণ আর্থিক গচ্ছা দিয়ে কারখানা ঢাকায় শিপ্ট করতে বাধ্য হই। তবে চট্টগ্রামের মেজবানী খেয়ে আমি তৃপ্ত হলেও ওখানকার ভাত খেয়ে কখনো তৃপ্ত হইনি। ওখানকার প্রায় হোটেলেই আতপ চালের ভাত অর্ধসিদ্ধ করে। যার জন্য ভাতের ভিতরে একটা বিচি'র মতো শক্ত গোটা থেকে যায়!

চট্টগ্রামে আমার অনেক আত্মীয় স্বজন আছেন- যারা যুগযুগ ধরে ওখানে থাকতে থাকতে "চাটাগাইয়া" থেকে বড়ো চাটগাইয়া হয়ে গিয়েছে!

০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ব্লগে বিচিত্র কারণে নেগেটিভ রোল মন্তব্য বেশী হয়। এখন থেকে ছবি ব্লগ করবো, তাহলে কেউ আর নেগেটিভ রোল মন্তব্য করার ব্যবস্থা পাবেন না।

১০ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ২:০৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





এক্সপেরিমেন্ট সাকসেস।

আপনার জন্য বায়তুল মোকারমের আমিত্তি শুভেচ্ছা।
আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

১১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: শেষে লিখেছেন ফিচার প্রতিযোগিতার পোস্ট নয়। ফিচার প্রতিযোগিতায় কারা বিজয়ী হবে বলে আপনার ধারণা?

০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমার লেখা অতি সামান্য ও নগণ্য - আপনারা আমার লেখা পড়ের অনুপ্রেরণা দেন আমার ভালো লাগে। আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি কখনো কোনো প্রতিযোগিতায় জড়াই না। ব্লগে কে বা কারা প্রতিযোগিতা করবে সেই চিন্তা ব্লগ এডমিনের, আমার না। আমি ব্যবসায়ী মানুষ আমি আমার ব্যবসা নিয়ে চিন্তা করি, ব্লগ নিয়ে চিন্তা করা আমার কাজ না।


১২| ১০ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১৫

আরইউ বলেছেন:


বড় পরিসরে যেসব মেজবান হয় তাতে কখনো খাওয়া হয়নি।

ভালো মন্দ সব জায়গায় আছে তাই এই এলাকার লোক ভালো, ঐ এলাকার লোক মন্দ এমন ক্লাসিফিকেশেন আমি বিশ্বাসী নই। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে চট্টগ্রামের মানুষদের ভালো লেগেছে। আমি চট্টগ্রাম এলাকার যাদের সাথে মিশেছি তাদের সবার ভেতর কমন বিষয় হচ্ছে তারা যদি আপনাকে ভালোবাসে আপনাকে নিঃশর্ত ভালোবাসবে, সব দিয়ে ভালোবাসবে।

১০ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:২২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ব্লগে বিচিত্র কারণে নেগেটিভ রোল মন্তব্য বেশী হয়। এখন থেকে ছবি ব্লগ করবো, তাহলে হয়তো কেউ আর নেগেটিভ রোল মন্তব্য করার ব্যবস্থা পাবেন না।


১৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪৮

আরইউ বলেছেন:



আমি ঠিক জানিনা আমার মন্তব্যটি কী কারণে আপনার নেতিবাচক মনে হল। আমার শব্দচয়নে কোন ভুল হলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী!

১০ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:০৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনার মন্তব্য নেতিবাচক মনে হয়নি। প্লিজ ক্ষমা চাওয়ার কিছু নেই, ব্লগ ফেসবুক ইউটিউব, ইমু, টিকটক, লাইকি হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের চিত্র। আমি ইউটিউবে ফেসবুকে নানান আলোচিত খবরের নিচে মন্তব্যগুলো পড়ি। আমাদের দেশের মানুষের মন মানসিকতা মন্তব্য প্রতিমন্তব্য থেকে জানা যায়।

আমি শেরজা তপন ভাই বা জুল ভার্ণ ভাইয়ের মন্তব্যে উদ্দেশ্য করে বলছি না যে আমি তাদের মন্তব্যে থেকে লেখালেখি ছেড়ে দিচ্ছি ও এখন থেকে ছবি ব্লগ করবো! যেমন আপনাকেও লিখেছি - ঠিক তেমনই।

ব্লগে লেখালেখি করতে আর ভালো লাগছে না। আসলে ব্লগে যেই পরিমাণ নেগেটিভ রোল শুরু হয়েছে এমনটি এই ২০২২ সনে এসে আশা করা যায় না। যাইহোক ব্লগের বিষয় নিয়ে আমি আলোচনা করতে চাই না। এইগুলো ব্লগ এডমিনের কাজ, আমার কাজ নয়।

আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

১৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:১৬

জুল ভার্ন বলেছেন: স্যরি, আমার মন্তব্য "নেগেটিভ" বিবেচনায়। ভবিষ্যতে "মনখুশ" মন্তব্য করতে সচেতন থাকবো।

১২ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৪৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমি মনখুশ মন্তব্য বা তৈলাক্ত মন্তব্য নিজেও করিনা অন্য কেউ আমাকে তৈলাক্ত বা মনখুশ মন্তব্য করবেন তাও কখনো আশা করি না। বাংলাদেশে এমন কোনো এলাকা নেই যেই এলাকাতে খারাপ লোক নেই যেই এলাকাতে ভালো লোক নেই। তবে ব্লগ অনলাইন প্লাটফর্ম ফেসবুক ইউটিউব ইমু লাইকি হচ্ছে বাংলাদেশের চিত্র।

আমি একটি আপ্যায়নের পোস্ট দিয়েছি মাত্র, চট্টগ্রামের মানুষ কেমন তা নিয়ে নয়। আপনাকে একটি মজাদার তথ্য দেই আমার পক্ষে কোনোদিন সম্ভব নয় আপনার কোনো ক্ষতি করা। ঠিক তেমনই আপনার পক্ষেও কোনোদিন সম্ভব নয় আমার কোনো ক্ষতি করা। আপনার আমার ক্ষতি করার জন্য পরিচিত লোক / আপনজন / আত্মীয় / বন্ধু / ব্যবসা পার্টনার প্রয়োজন। এর বাইরে যারা আছে তাদের নিয়ে চিন্তা করার কোনো প্রযোজন নেই। বাইরের মানুষ অর্থ বাইরের মানুষ যাকে আমাদের কোনো প্রয়োজন নেই। আশা করি আপনাকে বুঝাতে পেরেছি। এবং আপনি যদি মন খারাপ করে থাকেন তাও দূর করতে পেরেছি।

আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

১২ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:০৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনি হিসাব করে দেখতে পারেন (হয়তো) জীবনে যদি কোনো বড় ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন তা অবশ্যই কাছের মানুষ দ্বারা হয়েছেন। দূরের মানুষ বড় ক্ষতি করে পাড় পেতে পারে না। আমরা তাদের কবর থেকে তুলে আবার ৭০ ফিট কবর দিতে পারি। কিন্তু কাছের মানুষকে তা করতে পারি না।

আশা করি আপনার মনোকষ্ট দূর করতে পেরেছি। যদি মনোকষ্ট দূর হয়ে থাকে তাহলে আওয়াজ দিয়ে যাবেন।

১৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০০

রাজীব নুর বলেছেন: শুধু বললে হবে??
একদিন খাওয়ান।

১২ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:১২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



লাল আটার পোয়া রুটি আর গরুর হাড়ের ঝাল ঝাল নিহারি। সাথে আপনার প্রিয় কোমল পানীয় - কোকা কোলা পেপসি সেভেন আপ অথবা বোরহানি।


১৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এখন মন্তব্য করতেও অনেক হিসাব করতে হয়। দুইজন নোংরা আমাকে ইট মারার পর পাটকেল ছুড়ছিলাম।হজম করতে না পেরে দুই দিনে ১ টি পোস্ট ও ২ টি মন্তব্য রিপোর্ট করে গায়েব করে দিসে। শেরজা ভাই এর মন্তব্যের প্রতিউত্তরে বলছি, কারণ তার মধ্যে ভিন্ন মত গ্রহণ করার সম্মানজনক যোগ্যতা আছে। প্রতিটি বিভাগেই ভাল খারাপ চোর চেছড় চিটিং বাটপার গালি বাজ, হিংসুক নিন্দুক, গালিবাজ আছে।

১২ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:২২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনি ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। বাস্তব জীবনে আমরা কি করি? - যাদের আমরা অপছন্দ করি তাদের থেকে দূরে থাকি / নাকি তাদের সাথে প্রতিনিয়ত বিবাদ করি? - দূরে থাকি। ভার্চুয়াল এলাকাতেও একই বিষয় আপনি যাদের অপছন্দ করেন, তাদের থেকে সব সময় দূরে থাকুন। তারা যা ইচ্ছে তা করুক। হাসতে হাসতে তাদের মুখ ডান কান থেকে বাম কান হয়ে যাক! চিৎকার করতে করতে বাজারের ইঁদুর মারার হকার হয়ে যাক! আপনার কি?

রেস্টোরেন্টে গিয়ে দুইটি বাটার নান আর দুইটি শিক অর্ডার করুন।

১৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: জুল ভার্ন বলেছেন: স্যরি, আমার মন্তব্য "নেগেটিভ" বিবেচনায়। ভবিষ্যতে "মনখুশ" মন্তব্য করতে সচেতন থাকবো।

~ চেষ্টা করেও পারিনা। দেখি আপনার মন্তব্যটা মাথায় থাকবে।

প্রিয় ব্লগার ঠাকুর মাহমুদ ভাই বেশ স্পর্শকাতর মানুষ। আপনি হয়তো জানেননা আমি সবচাইতে পছন্দ করি আমার নিজ এলাকার মানুষদের! আপনি সৌভাগ্যবান চাটগাঁইয়া হওয়াতে প্রচুর অতিথিপরায়ণ নিকটজন ও আন্তরিকতাপূর্ন মানুষের সংস্পর্শে এসেছেন।
আমার সে সৌভাগ্য হয়নি- গুটিকতক মানুষকে দিয়ে আমি পুরো এলাকার বিচার করেছি। ক্ষমাপ্রার্থী!

১২ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



শেরজা তপন ভাই, আমি খুবই দুঃখ পেয়েছি আপনার মন্তব্যে, আপনি ক্ষমাপ্রার্থী হতে যাবেন কেনো? আপনি আমার সামনে থাকলে আমি আপনাকে বুকে জড়িয়ে ধরতাম। এবং আপনাকে নিয়ে ৩০০ ফিটে কোথাও বসে গল্প করতাম। ভাই প্লিজ আপনার প্রতি অনুরোধ অন্তত আমাকে কখনো “ক্ষমাপ্রার্থী” কথাটি বলবেন না। মানুষ চেনার যতোগুলো পন্থা সবগুলো আমার জানা। আপনি আমার কাছে অত্যন্ত ভালো একজন মানুষ। আমি আজ আপনাকে প্রত্যয়ন করছি।

জুল ভার্ণ ভাইকে বলা কথাটি আপনাকেও বলছি। আমার পক্ষে কোনোদিন সম্ভব নয় আপনার কোনো ক্ষতি করা। ঠিক তেমনই আপনার পক্ষেও কোনোদিন সম্ভব নয় আমার কোনো ক্ষতি করা। আপনার আমার ক্ষতি করার জন্য পরিচিত লোক / আপনজন / আত্মীয় / বন্ধু / ব্যবসা পার্টনার প্রয়োজন। এর বাইরে যারা আছে তাদের নিয়ে চিন্তা করার কোনো প্রযোজন নেই। বাইরের মানুষ অর্থ বাইরের মানুষ যাকে আমাদের কোনো প্রয়োজন নেই। আশা করি আপনাকে বুঝাতে পেরেছি। এবং আপনি যদি মন খারাপ করে থাকেন তাও দূর করতে পেরেছি।

ব্লগে অনেকে নানান ধরণের মন্তব্য করে, আমি পড়ি তার সনদপত্র তৈরি করি, এবং তার লেখা তার মন্তব্য থেকে ১০০ হাত দূরে থাকি। - কি বুঝলেন। আপনি সেই দলের ধারে কাছের কেউ নন।

আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

১৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: স্যরি ভুল হয়েছে; আপনি হয়তো জানেননা আমি সবচাইতে অপছন্দ করি আমার নিজ এলাকার মানুষদের!

১২ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:০৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




শেরজা তপন ভাই, আপনি হিসাব করে দেখতে পারেন (হয়তো) জীবনে যদি কোনো বড় ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন তা অবশ্যই কাছের মানুষ দ্বারা হয়েছেন। দূরের মানুষ বড় ক্ষতি করে পাড় পেতে পারে না। তাদের আমরা কবর থেকে তুলে আবার ৭০ ফিট কবর দিতে পারি। কিন্তু কাছের মানুষকে তা করতে পারি না।

আশা করি আপনার মনোকষ্ট দূর করতে পেরেছি। যদি মনোকষ্ট দূর হয়ে থাকে তাহলে আওয়াজ দিয়ে যাবেন।

১৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: :) আপনাকে আমি বিশেষভাবে শ্রদ্ধা করি ও অন্তরিকভাবে ভালবাসি।
ব্লগে আপনিতো বটে নুন্যতম কাউকে কষ্ট দিয়ে ফেললে আমি মনঃস্তাপে ভুগি। জুলভার্ন ভাই খানিকটা কষ্ট পেয়েছিলেন বলে একটুখানি খারাপ লেগেছিল।
আমি সবসময়ই আপনার মতামতের সর্বোচ্চ মুল্যায়ন করি। আপনার আপন মানুষের চেয়েও অতি আন্তরিক মন্তব্যে দারুনভাবে প্রীত হলাম।
ভাল থাকুন-শুভকামনা রইল।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমি কিছু কাজে ঢাকার বাইরে ছিলাম। তাই যথা সময়ে আপনার মন্তব্য প্রতি উত্তর করা সম্ভব হয়নি। প্লিজ মনোকষ্ট রাখবেন না। আমি আজ রাতে আবার ঢাকার বাইরে যাচ্ছি। খুব সম্ভব এই মাসের শেষের দিকে ফিরবো।

আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.