![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছুদিন ধরেই এনার্জি ড্রিঙ্ক আলোচনায় চলে আসছে। সম্প্রতি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর বাজার থেকে সংগৃহীত বিভিন্ন পানীয়র নমুনা নিজেদের কেন্দ্রীয় রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে। পানীয়গুলোর মধ্যে ‘অপিয়াম উদ্ভূত অপিয়েট’,'সিলডেনাফিল সাইট্রেট’ ও উচ্চমাত্রার ক্যাফেইন নামের রাসায়নিক দ্রব্য পাওয়া গেছে। এ তিনটি উপাদানই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
এনার্জি ড্রিঙ্কের ইতিহাস অর্ধশত কালের। আমেরিকার গ্যাটোর ফুটবল কোচ তার টিমের পারফরম্যান্স নিয়ে ছিলেন বেশ হতাশ। তিনি ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সহায়তায় পানি, চিনি, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, লেবুর জুসে তৈরি করেন প্রথম এনার্জি ড্রিঙ্ক। এখন যোগ হয়েছে ক্যাফেইন। কখনও-বা ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল, অপিয়েট। ক্যাফেইন যোগ করার কারণ হলো এটি মস্তিষ্কে উত্তেজিত করে। বেশি পরিমাণে ক্যাফেইন গ্রহণের ফলে দেখা দিতে পারে ঘুম না হওয়া, অস্থিরতা, পেটের গণ্ডগোল, হাত-পায়ে কাঁপুনি, দ্রুত হৃদস্পন্দন এমনকি মারাও যেতে পারে। গর্ভবতী মায়েদের জন্য এটি হতে পারে গর্ভপাতের কারণ। আন্তর্জাতিক পানীয়গুলোতে প্রতি লিটারে ক্যাফেইনের পরিমাণ ৫০ মিলিগ্রাম, সেখানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরীক্ষায় ২৩০ মি.গ্রামের অধিক ক্যাফেইন পাওয়া গেছে। ২০০৮ সালে আমেরিকার ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা এফডিএর কাছে ১০০ চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী এনার্জি ড্রিঙ্ক নিয়ন্ত্রণের জন্য সুপারিশ করেছেন।
দেশের এনার্জি ড্রিঙ্কগুলোতে মেশানো হচ্ছে অপিয়েট ও সিলডেনাফিল। অপিয়েট সেবনে মাদকাসক্তি ও সিলডেনাফিল ব্যবহারে সাময়িক যৌন উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আমেরিকার গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, এনার্জি ড্রিঙ্ক সেবনে মাদক জগতে প্রবেশ করে টিনএজাররা। তাই সময় এসেছে এখনই এনার্জি ড্রিঙ্ক নিষিদ্ধ করার।
খবরের সূত্রে এই লিংকে
লেখক: ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু
©somewhere in net ltd.