![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অল জার্মান ফাইনালে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে পঞ্চমবারের মতো ইউরোপ-সেরার খেতাব বাভারিয়ানদের। মারিও মানজুকিচ ও আরিয়েন রোবেনের দুটি গোল যেন আলো জ্বালাল মিউনিখ জুড়ে। সর্ব জার্মান ফাইনালে জার্মানি হেসে উঠলেও দেশটির ডর্টমুন্ড অংশে যেন শোকের ছায়া। দারুণ খেলে ফাইনাল অবধি এসেও যে আলোর মশালটা জ্বালান হলো না ইয়ূর্গেন ক্লপের শিষ্যদের।
৬০ মিনিটে মানজুকিচের এক সুযোগ-সন্ধানী গোল এগিয়ে দিয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখকে। এর ঠিক সাত মিনিট পর নিজেদের বক্সের মধ্যে বায়ার্নের ব্রাজিলীয় ডিফেন্ডার দান্তে ডর্টমুন্ডের মার্কো রিউসকে ফাউল করলে প্রাপ্ত পেনাল্টি থেকে খেলায় সমতা ফিরিয়ে নিয়ে আসেন ডর্টমুন্ডের গুনডোগান। কিন্তু, খেলার ৮৮ মিনিটে অনেক যুদ্ধে পোড় খাওয়া নায়ক আরিয়েন রোবেন জয়সূচক গোল করে বায়ার্নের জয়টা নিশ্চিত করেন।
খেলার শুরু থেকেই ম্যাচটা যেন ছিল বায়ার্নেরই। বরুসিয়া ডর্টমুন্ড বায়ার্নের রক্ষণ ভাগে মাঝে-মধ্যে আতংক ছড়ালেও তা গোল পাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না। বায়ার্নের গোল রক্ষক ম্যানুয়েল ন্যয়ার ডর্টমুন্ডের ওই আক্রমণগুলো সামাল দিয়েছেন দারুণ কারিশমায়। তবে বায়ার্নের কাউন্টার অ্যাটাকের ধার পুরো খেলায় বেশ ভালো করেই বুঝেছে ডর্টমুন্ডের অপেক্ষাকৃত অনভিজ্ঞ রক্ষণ ভাগ। তবে, আলাদা করে বলতেই হচ্ছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের গোল রক্ষক ও অধিনায়ক রোমান উইডেনফেলারের নাম। বায়ার্নের ক্ষুরধার আক্রমণগুলো এই গোল রক্ষকের সামনে এসেই যেন হাওয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছিল। একের পর এক গোল ঠেকিয়েও শেষ পর্যন্ত তিনি পেরে উঠলেন না মুলার, রিবেরি, মানজুকিচ ও রোবেনের গড়া বাভারিয়ান আক্রমণ ভাগের সঙ্গে। খেলা শেষ হওয়ার দুই মিনিট আগে রোবেনের গোলটি যেন উইডেনফেলারের প্রতিরক্ষার দেয়াল ভেদে করে জার্মান ফুটবলের মিউনিখ-ডর্টমুন্ড বিভক্তিটাকে আরও স্পষ্ট করে ফুটিয়ে তুললেন।
খবরের সুত্র এই লিংকে ক্লিক করুন
©somewhere in net ltd.